NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

আঃ ওয়াহাব নজদীর মতবাদে যারা বিশ্বাস করে,, তারাই হলো ওয়াহাবী।।

আঃ ওয়াহাব নজদীর মতবাদে যারা বিশ্বাস করে,, তারাই হলো ওয়াহাবী।। কিন্তু কে এই ওয়াহাব নজদী?? কিই বা তাহার মতবাদ? আসুন সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।। বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত আছে, আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত,, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আমার ওফাতের পর নজদ হতে শয়তানের তীক্ষ্ণধারার দুটি শিং বের হবে।। উক্ত দুটি শিংয়ের মধ্যে ওয়াহাব নজদীকে শয়তানের দ্বিতীয় শিং হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়। এই ঘৃণিত ব্যক্তিটি আবু বকর সিদ্দিক(রা) খেলাফতের এগারশত বছর পর আবির্ভূত হয়। বহু কালের প্রতিষ্ঠিত ইসলামের মুল কাঠামোতে এই ব্যক্তি প্রবল ঝাকুনি দেয়। সে সমগ্র আরব ভূখণ্ডে তোলপাড় ও ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে।। তার মতবাদগুলো ছিলঃ এক)) প্রিয় নবীজী (স) এর রওজা শরীফ জিয়ারত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি এই নিষেধ অমান্য করবে, তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তার হুকুম অমান্য করায় লোক মারফত জিয়ারতকারীর মাথা ও দাড়ি মুড়ায়ে দেয়।। দুই)) আযানের মধ্যে মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্য উচ্চারণ করা যেনার অপেক্ষা বড় অপরাধ। তার বাসস্থান সংলগ্ন এক মসজিদ থেকে আযানের সময় উক্ত বাক্য উচ্চারণের কারনে মুয়াজ্জীনকে ধরে এনে প্রকাশ্যে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়। তিন)) কোরআন বুঝার জন্য কোন তাফসীর কিতাবের প্রয়োজন নাই,, যে যার মতো কুরআনের ব্যাখ্যা করতে পারবে। উক্ত ঘোষণার পর তার নেতৃত্বে ফিকাহ্ তাফসীর ও হাদীস গ্রন্থসমূহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। চার)) রাসূলুল্লাহ (স) মরে মাটির সাথে মিশে গেছে, কাজেই তাকে কেউ দরূদ ও সালাম প্রেরণ করবে না, ইহা সকলের জন্য নিষিদ্ধ। পাঁচ)) চার ইমাম কিছুই নয়। তাদের মাজহাব বাতিল। কেননা তাঁরা দিশেহারা ছিলেন। ছয়)) হযরত মোহাম্মদ (স) ছিলেন ডাক পিয়নের মত। সাত)) হযরত মোহাম্মদ (সা) এর হাতে যত মুশরিক বিভিন্ন যুদ্ধে শহীদ হয়েছে, আল্লাহ বিশ্বাসী হওয়ার কারনে তারা সবাই জান্নাতে যাবে। আট)) যারা ওয়াহাবী আকিদায় বিশ্বাসী হবে না, তাদের মাল সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া ও তাদের হত্যা করা জায়েজ হবে। নয়)) ওয়াহাবী আকিদায় অনুপ্রবেশের ধারা ছিল এইঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি এতদিন কাফের ছিলাম এবং আমার মাতা পিতা /দাদা দাদী সকলে কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। দশ)) আজ হতে আর কেউ আজান ও নামাজের শেষে দোয়া করবে না। এগার)) আওলিয়া কেরামের মাজারগুলো ভেঙে তদস্থলে পায়খানা নির্মাণ করা শ্রেয়। নজদীরা উক্ত আকিদার বাস্তবায়নের জন্য এহসা প্রদেশের পবিত্র মাজারগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। (নাউযুবিল্লাহ)