সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় জিহাদ যেটা হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের মুশরিকদের সাথে। এটা খুব বড় ও সম্মানিত জিহাদ এবং এই সম্মানিত জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সম্মানিত জিহাদ এ যাঁরা শরীক থাকবেন, উপস্থিত থাকবেন, অংশ গ্রহণ করবেন তাঁরা প্রত্যেকেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবেন, জান্নাতী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্মানিত জিহাদ উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰی عَنْهُ قَالَ وَعَدَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ فَإِنِ اسْتُشْهِدْتُ كُنْتُ مِنْ خَيْرِ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا حَضْرَتْ أَبُوْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰی عَنْهُ الْمُحَرَّرُ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের থেকে হিন্দুস্তান তথা ভারতের জিহাদ সম্পর্কে ওয়াদা তথা প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন। যদি আমি সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ উপস্থিত হই এবং শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করি তাহলে আমি হবো সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ। আর আমি যদি সম্মানিত জিহাদ মুবারক থেকে ফিরে আসি (বিজয়ী বেশে) তাহলে আমি হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!
দলীল-
√ মুসনাদে আহমদ ২/২২৮,
√ মুস্তাদরকে হাকিম ৩/৫১৪
√ হিলইয়াতুল আওলিয়া ৮/৩১৬
√ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াহ ৬/২৪৯
√ আন নিহায়া ফিল ফিতান ১/৩ ইত্যাদি
হাদীস শরীফে অন্য বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰی عَنْهُ قَالَ وَعَدَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيْهَا نَفْسِىْ وَمَالِىْ وَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ أَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا حَضْرَتْ أَبُوْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰی عَنْهُ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের থেকে হিন্দুস্তান তথা ভারতের সম্মানিত জিহাদ মুবারক সম্পর্কে ওয়াদা তথা প্রতিশ্রুতি মুবারক গ্রহণ করেন। যদি আমি সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক পাই তাহলে আমি সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ আমার পবিত্র জান বিলিয়ে দিবো এবং আমার মাল-সম্পদ ব্যয় করবো। আর আমি যদি সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করি তাহলে আমি হবো সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ। আর আমি যদি সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার থেকে ফিরে আসি (বিজয়ী বেশে) তাহলে আমি হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!
দলীল-
√ নাসাঈ শরীফ
√ সুনানে সাঈদ ইবনে মানছূর ২/১৪৫
√ মুসনাদে বাযযার ১৫/৩০২,
√ সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ ৪/৩০২,
√ আস সুনানুল কুবরা লিলবাইহাক্বী ৯/১৭৬ ইত্যাদি
উপরোক্ত হাদীছ শরীফদ্বয় থেকে হিন্দুস্তান তথা ভারতের সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার গুরুত্ব, তাৎপর্য, ফাযায়িল, ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই জিহাদ মুবারকের এতোই গুরুত্ব, তাৎপর্য, ফাযায়িল, ফযীলত, বুযুর্গী, সম্মান মুবারক যে, স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে, মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে এই জিহাদ মুবারকের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
হিন্দুস্তান তথা ভারতের মুশরিকদের সাথে যেই জিহাদ হবে সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ যাঁরা শহীদ হবেন উনারা হবেন সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ অবশ্যই মুসলমানগম মহাবিজয় অর্জন করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যাঁরা বিজয়ী বেশে এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক থেকে প্রত্যাবর্তন করবেন উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করবেন। অর্থাৎ উনারা সুনিশ্চিত জান্নাতী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মুসলমানগন যে মহাবিজয় অর্জন করবেন সেটা হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণিত হাদীছ শরীফ থেকেই স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ আবার ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে। মুসলমানগন আবার নিজেদের অধিকার ফিরে পাবে। বিধর্মীদের মূলৎপাটন হবে।
সুবহানাল্লাহ্ !!!!