হযরতে সায়্যিদুনা জুনাইদ বাগদাদী (রহঃ) বর্ণনা করেন,ইবনুল কুরাইবী (রহঃ) বলেন,একদা আমার স্বপ্নদোষ হল।আমি তখন গোসল করার ইচ্ছা পোষণ করলাম।প্রচন্ড শীতের রাত ছিল।তাই আমার নফস গোসল করতে রাজি ছিল না এবং আমাকে পরামর্শ দিল,এখনও প্রচুর রাত বাকী আছে,এত তাড়াতাড়ি গোসল করে লাভ কি?আরামে ঘুমাও।সকাল হলে সূর্যের উত্তপ্ত তাহে নির্বিঘ্নে গোসল করে নিতে পারবে।আমি তাত্ক্ষনিক আমার নফসকে একটি অনুপম শাস্তি দেয়ার শপথ করলাম।তা হল,আমি প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাপড় সহ গোসল করব এবং গোসল করার পর কাপড় না নিংড়িয়ে ভিজা কাপড়েই থাকব এবং শরীরেই সে ভিজা কাপড় শুকাব।বাস্তবে তাই করলাম।যে দুষ্ট নফস আল্লাহর কাজে অলসতা করার জন্য প্ররোচনা দিয়ে থাকে তার এরুপ শাস্তিই হয়ে থাকে।(কিমিআয়ে সাআদাত,২য় খন্ড,পৃ-৮৯২)
প্রিয় ভাইয়েরা,এ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত,যারা রাত্রে স্বপ্ন দোষ হওয়ার পর পরকালের ভীতিপ্রদ লজ্জাকে ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের লজ্জায় বা অলসতার কারণে গোসল করা থেকে বিরত থেকে ফজরের নামাযের জামাআত নষ্ট করে দেয়,এমনকি নামাজ পর্যন্ত কাযা করে ফেলে।যখনই কোন কারণে গোসল ফরয হবে তখনই গোসল করে নেয়া উচিত।হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,ফিরিশতারা সে ঘরে প্রবেশ করে না,যে ঘরে ছবি,কুকুর ও জুনুবী ব্যাক্তি রয়েছে।(সুনানে আবু দাউদ,১ম খন্ড)
[জুনুবী ব্যাক্তি হল এমন ব্যাক্তি যার উপর স্ত্রী সহবাস বা স্বপ্নদোষ বা যৌন উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয়েছে।