একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত শরীফ , শানে নযুল এবং কিঞ্চিৎ বিশ্লেষণ >
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يايها الذين امنوا ادخلوا في السلم كافة ولا تتبعوت خطوات الشطان انه لكم عدو مبين
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يايها الذين امنوا ادخلوا في السلم كافة ولا تتبعوت خطوات الشطان انه لكم عدو مبين
অর্থ: হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ কর। শয়তানকে অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।"
[ সূরা বাক্বারা ২০৮]
শানে নযুল : একবার সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খেদমতে কিছু উটের গোস্ত হাদিয়া আসলো। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বৈশিষ্ট্য ছিলো কিছু হাদীয়া আসলে কিছুটা নিজে রেখে বাকি সবগুলো ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। ওই দিনও উটের গোস্ত সমূহ বন্টন করে দিলেন। উক্ত মজলিসে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু। তিনি পূর্বে ইহুদী ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ইহুদীদের জন্য উটের গোস্ত খাওয়া হারাম ছিলো। সে কারনে আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কখনো উটের গোস্ত খান নাই। যেহেতু তিনি কখনো উটের গোস্ত কখনো খান নাই সেহেতু উটের গোস্ত উনার কাছে খাওয়াটা বিব্রতকর ছিলো। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমিতো কখনো উটের গোস্ত খাই নাই , আমাকে উটের গোস্ত না খাওয়া অনুমতি দিন।
এসময় আল্লাহ পাক ওহী নাজিল করলেন-
يايها الذين امنوا ادخلوا في السلم كافة ولا تتبعوت خطوات الشطان انه لكم عدو مبين
অর্থ: হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ কর। শয়তানকে অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।"
[ সূরা বাক্বারা ২০৮]
অর্থাৎ মুসলমান হতে হলে ইসলামে বিধানে পরিপূর্ণ দাখিল হতে হবে। এর বাইরে অন্যকোন বিষয় চলবে না। মুসলমানদের জন্য যেটা হালাল সেটা গ্রহণ করতে হবে।
ফিকিরের বিষয়, সাধারনভাবে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী উটের গোস্ত খাওয়া কিন্তু ফরজ,ওয়াজিব কোনটাই না। এটা একটা মুস্তাহাব সুন্নত ।
কিন্তু যেহেতু হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম ইসলাম গ্রহন করেছেন সেহেতু ইসলামের বিধান উনার জন্য ফরজ হয়ে গেছে। সেটাই বলা হয়েছে ইসালামে পরিপূর্ণ দাখিল হও, শয়তানের পথ অনুসরন করো না।
অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উটের গোস্ত গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ্ !!!""
বিশ্লেষণ : দেখুন ইসলাম কত সুক্ষ্ম বিষয়। ইসলামের যে পবিত্র বিধান রয়েছে একজন মুসলমানের জন্য সেটা পরিপূর্ণ মেনে চলতে হবে। যদি কেউ পবিত্র ইসলামের বাইরে কোন চিন্তা চেতনা, আচার ব্যবহার, নিয়মনীতি, গ্রহণ করে সেটা কখনোই গ্রহনযোগ্য হবে না।
কোনভাবেই হারাম গনতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব, ভোট নির্বাচন, বেপর্দা, বেহায়াপনা, টিভি, ভিডিও, গান বাজনা, খেলাধূলা, সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি, পহেলা বৈশাখ, পহেলা মে, বিধর্মীদের নীতি ইত্যাদি বিষয় সহ সকল হারাম নাজায়িয কাজ কোনভাবেই করা যাবে না।
যদি কেউ করে সে কুরআন শরীফের ভাষা অনুযায়ী শয়তানের পথের অনুসারী হবে।
একারনে আমাদের উক্ত আয়াত শরীফ এবং শানে নযুলটা ভালো ভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। তাহলেই শরীয়তের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান বুঝতে পারবো।
আরো বুঝতে পারবো আমরা কতটুক ইসলামে প্রবেশ করেছি,
এবং কতটুকু শয়তানের পথে পরিচালিত হচ্ছি।
আল্লাহ পাক আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!!
[ সূরা বাক্বারা ২০৮]
শানে নযুল : একবার সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খেদমতে কিছু উটের গোস্ত হাদিয়া আসলো। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বৈশিষ্ট্য ছিলো কিছু হাদীয়া আসলে কিছুটা নিজে রেখে বাকি সবগুলো ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। ওই দিনও উটের গোস্ত সমূহ বন্টন করে দিলেন। উক্ত মজলিসে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু। তিনি পূর্বে ইহুদী ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ইহুদীদের জন্য উটের গোস্ত খাওয়া হারাম ছিলো। সে কারনে আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কখনো উটের গোস্ত খান নাই। যেহেতু তিনি কখনো উটের গোস্ত কখনো খান নাই সেহেতু উটের গোস্ত উনার কাছে খাওয়াটা বিব্রতকর ছিলো। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমিতো কখনো উটের গোস্ত খাই নাই , আমাকে উটের গোস্ত না খাওয়া অনুমতি দিন।
এসময় আল্লাহ পাক ওহী নাজিল করলেন-
يايها الذين امنوا ادخلوا في السلم كافة ولا تتبعوت خطوات الشطان انه لكم عدو مبين
অর্থ: হে ঈমানদারগণ ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ কর। শয়তানকে অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।"
[ সূরা বাক্বারা ২০৮]
অর্থাৎ মুসলমান হতে হলে ইসলামে বিধানে পরিপূর্ণ দাখিল হতে হবে। এর বাইরে অন্যকোন বিষয় চলবে না। মুসলমানদের জন্য যেটা হালাল সেটা গ্রহণ করতে হবে।
ফিকিরের বিষয়, সাধারনভাবে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী উটের গোস্ত খাওয়া কিন্তু ফরজ,ওয়াজিব কোনটাই না। এটা একটা মুস্তাহাব সুন্নত ।
কিন্তু যেহেতু হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম ইসলাম গ্রহন করেছেন সেহেতু ইসলামের বিধান উনার জন্য ফরজ হয়ে গেছে। সেটাই বলা হয়েছে ইসালামে পরিপূর্ণ দাখিল হও, শয়তানের পথ অনুসরন করো না।
অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উটের গোস্ত গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ্ !!!""
বিশ্লেষণ : দেখুন ইসলাম কত সুক্ষ্ম বিষয়। ইসলামের যে পবিত্র বিধান রয়েছে একজন মুসলমানের জন্য সেটা পরিপূর্ণ মেনে চলতে হবে। যদি কেউ পবিত্র ইসলামের বাইরে কোন চিন্তা চেতনা, আচার ব্যবহার, নিয়মনীতি, গ্রহণ করে সেটা কখনোই গ্রহনযোগ্য হবে না।
কোনভাবেই হারাম গনতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব, ভোট নির্বাচন, বেপর্দা, বেহায়াপনা, টিভি, ভিডিও, গান বাজনা, খেলাধূলা, সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি, পহেলা বৈশাখ, পহেলা মে, বিধর্মীদের নীতি ইত্যাদি বিষয় সহ সকল হারাম নাজায়িয কাজ কোনভাবেই করা যাবে না।
যদি কেউ করে সে কুরআন শরীফের ভাষা অনুযায়ী শয়তানের পথের অনুসারী হবে।
একারনে আমাদের উক্ত আয়াত শরীফ এবং শানে নযুলটা ভালো ভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। তাহলেই শরীয়তের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান বুঝতে পারবো।
আরো বুঝতে পারবো আমরা কতটুক ইসলামে প্রবেশ করেছি,
এবং কতটুকু শয়তানের পথে পরিচালিত হচ্ছি।
আল্লাহ পাক আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!!