সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষনে মনে করে। এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে মনে করে থাকে।
কিন্তু কোন রোগ মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষন মনে করা এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে মনে করাটা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত !!
আইয়ামে জাহেলিয়াতে ছফর মাসকে অশুভ ও কুলক্ষনে মনে করা হতো। আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয় --
عن حضرت ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله قلي عليه و سلم لا عدوي ولا هامت ولا نوء ولا صفر
অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, " সংক্রামক বলতে কিছু নেই। তারকার ( উদয় বা অস্ত যাওয়ার) কারনে বৃষ্টি হওয়া ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই !"
দলীল-
√ মুসলিম শরীফ - কিতাবুস সালাম - ৩২ নং অনুচ্ছেদ - হাদীস ৫৫৯৯
√ মিশকাত শরীফ ৩৯১
√ শরহুস সুন্নহ ৬/২৭১
হাদীস শরীফে আরো বর্নিত হয় --
عن حضرت عبد الله بن مسعود رضي الله عنه عن رسول الله صلي الله عليه و سلم قال الطيرة شرك قاله ثلاثا
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন , " যে কোন বিষয়কেই অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত । তিনি এ বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেছেন!"
দলীল-
√ মুসনাদে আহমদ ১ম খন্ড ৪৩৮ পৃষ্ঠা
√ আবু দাউদ শরীফ
√ তিরমীযি শরীফ
√ মিশকাত শরীফ ৩৯২
√ শরহুস সুন্নাহ ৬/ ২৭৪
√ শরহুত ত্বীবী ৮/ ৩২
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে -
عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم لا عدوي ولا طيرة
অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, " ছোঁয়াচে এবং অশুভ বলে কিছু নেই !"
দলীল -
√ মুসলিম শরীফ - কিতাবুস সালাম -৩৩নং পরিচ্ছেদ-হাদীস ৫৬০৭ !
স্মরনীয় যে, চিকিৎসা শাস্ত্রে পাঠ্য সূচীতে ইসলামি জ্ঞান না থাকার কারনে কোন কোন চিকিৎসক গন কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা- বসন্ত ইত্যাদি রোগকে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে থাকে।
যেটা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ !!
কাজেই এমন শরীয়ত বিরোধী কুফরী আক্বীদা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ও ওয়াজিব !!
তবে ভালো লক্ষন সম্পর্কে ধরনা করার সুযোগ রয়েছে। বরং ভালো লক্ষন ধারনা মুস্তাহাব সুন্নত !
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্নিত আছে --
عن حضرت ابي هريرة رضي الله عنه قال سمعت رسول صلي الله عليه و سلم يقول لا طيرة وخيرها الفال قالوا وما الفال قال الكلمة الصالحة يسمعها احدكم
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি শুনেছি যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, " কোন বিষয়কে অশুভ কুলক্ষণে মনে করো না , তবে শুভ লক্ষন আছে। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন আরজ করলেন, শুভ লক্ষন কি ? তখন তিনি বললেন, উত্তম কথা, যা তোমাদের মধ্যে হতে কেউ শুনতে পায় !"
দলীল-
√ বুখারী শরীফ
√ মুসলিম শরীফ - কিতাবুস সালাম- ৩৩ নং অনুচ্ছেদ- হাদীস ৫৬০৪
√ মিশকাত শরীফ ৩৯৩
√ শরহুস সুন্নাহ ৬/২৭৭
√ শরহুত ত্বীবী ৮/৩১৩
সুতরাং প্রমান হলো, কুলক্ষন, ছোঁয়াচে বলে কিছু নেই বরং শুভ লক্ষন রয়েছে !
সুবহানাল্লাহ্ !!!
উল্লেখ্য, বর্তমান সমাজে আরো যেসকল কুফরী মূলক ভ্রান্ত আক্বীদা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে তার কিছু নিম্নরুপ--
→ রাস্তা চলার সময় কোন প্রানী যদি ডান দিক থেকে রাস্তা অতিক্রম করে বাম দিকে যায় তাহলে যাত্রা শুভ, আর যদি বিপরীত থেকে যায় তাহলে যাত্রা কুলক্ষনে বা অমঙ্গল হবে, এরুপ বিশ্বাস করা !
→ শান্তির প্রতিক বা শান্তি লাভের আশায় পাখি উড়িয়ে দেয় !
→ ঘুম থেকে উঠে পেঁচা দেখা কিংবা পেঁচার ডাক শুনলে কুলক্ষনের পূর্বাভাস মনে করা !
→ অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি কোন বন্ধ্যা ব্যক্তিকে দেখতে পায় কিংবা খালি কলস দেখতে পায় তবে সারাদিন অমঙ্গলে অতিবাহিত হবে এমন ধারনা করা !
→ শনিবার এবং মঙ্গলবার ইন্তেকাল করাকে কুলক্ষন মনে করা এবং জাহান্নামী হওয়ার আলামত মনে করা !
→ পরীক্ষার পূর্বে ডিম বা কলা খাওয়াকে পরীক্ষা পাশের প্রতিবন্ধকতা মনে করা !
→ সময়কে গালি দেয়া, জোরে বাতাস প্রবাহিত হওয়া দেখে বাতাসকে গালি দেয়া, আকাশে দীর্ঘ সময় মেঘ থাকলে মেঘকে গালি দেয়া !
ইত্যাদি !!
সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য নিজেদের ঈমানকে হিফাযত করতে হলে যাবতীয় কুফরী আক্বীদা থেকে বেঁচে থাকা ফরজ-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত !
আল্লাহ পাক আমাদের যাবতীয় কুফরি আক্বীদা থেকে হিফাজত করুন !!
আমীন !!
কিন্তু কোন রোগ মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষন মনে করা এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে মনে করাটা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত !!
আইয়ামে জাহেলিয়াতে ছফর মাসকে অশুভ ও কুলক্ষনে মনে করা হতো। আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয় --
عن حضرت ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله قلي عليه و سلم لا عدوي ولا هامت ولا نوء ولا صفر
অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, " সংক্রামক বলতে কিছু নেই। তারকার ( উদয় বা অস্ত যাওয়ার) কারনে বৃষ্টি হওয়া ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই !"
দলীল-
√ মুসলিম শরীফ - কিতাবুস সালাম - ৩২ নং অনুচ্ছেদ - হাদীস ৫৫৯৯
√ মিশকাত শরীফ ৩৯১
√ শরহুস সুন্নহ ৬/২৭১
হাদীস শরীফে আরো বর্নিত হয় --
عن حضرت عبد الله بن مسعود رضي الله عنه عن رسول الله صلي الله عليه و سلم قال الطيرة شرك قاله ثلاثا
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন , " যে কোন বিষয়কেই অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত । তিনি এ বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেছেন!"
দলীল-
√ মুসনাদে আহমদ ১ম খন্ড ৪৩৮ পৃষ্ঠা
√ আবু দাউদ শরীফ
√ তিরমীযি শরীফ
√ মিশকাত শরীফ ৩৯২
√ শরহুস সুন্নাহ ৬/ ২৭৪
√ শরহুত ত্বীবী ৮/ ৩২
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে -
عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم لا عدوي ولا طيرة
অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, " ছোঁয়াচে এবং অশুভ বলে কিছু নেই !"
দলীল -
√ মুসলিম শরীফ - কিতাবুস সালাম -৩৩নং পরিচ্ছেদ-হাদীস ৫৬০৭ !
স্মরনীয় যে, চিকিৎসা শাস্ত্রে পাঠ্য সূচীতে ইসলামি জ্ঞান না থাকার কারনে কোন কোন চিকিৎসক গন কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা- বসন্ত ইত্যাদি রোগকে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে থাকে।
যেটা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ !!
কাজেই এমন শরীয়ত বিরোধী কুফরী আক্বীদা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ও ওয়াজিব !!
তবে ভালো লক্ষন সম্পর্কে ধরনা করার সুযোগ রয়েছে। বরং ভালো লক্ষন ধারনা মুস্তাহাব সুন্নত !
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্নিত আছে --
عن حضرت ابي هريرة رضي الله عنه قال سمعت رسول صلي الله عليه و سلم يقول لا طيرة وخيرها الفال قالوا وما الفال قال الكلمة الصالحة يسمعها احدكم
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি শুনেছি যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, " কোন বিষয়কে অশুভ কুলক্ষণে মনে করো না , তবে শুভ লক্ষন আছে। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন আরজ করলেন, শুভ লক্ষন কি ? তখন তিনি বললেন, উত্তম কথা, যা তোমাদের মধ্যে হতে কেউ শুনতে পায় !"
দলীল-
√ বুখারী শরীফ
√ মুসলিম শরীফ - কিতাবুস সালাম- ৩৩ নং অনুচ্ছেদ- হাদীস ৫৬০৪
√ মিশকাত শরীফ ৩৯৩
√ শরহুস সুন্নাহ ৬/২৭৭
√ শরহুত ত্বীবী ৮/৩১৩
সুতরাং প্রমান হলো, কুলক্ষন, ছোঁয়াচে বলে কিছু নেই বরং শুভ লক্ষন রয়েছে !
সুবহানাল্লাহ্ !!!
উল্লেখ্য, বর্তমান সমাজে আরো যেসকল কুফরী মূলক ভ্রান্ত আক্বীদা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে তার কিছু নিম্নরুপ--
→ রাস্তা চলার সময় কোন প্রানী যদি ডান দিক থেকে রাস্তা অতিক্রম করে বাম দিকে যায় তাহলে যাত্রা শুভ, আর যদি বিপরীত থেকে যায় তাহলে যাত্রা কুলক্ষনে বা অমঙ্গল হবে, এরুপ বিশ্বাস করা !
→ শান্তির প্রতিক বা শান্তি লাভের আশায় পাখি উড়িয়ে দেয় !
→ ঘুম থেকে উঠে পেঁচা দেখা কিংবা পেঁচার ডাক শুনলে কুলক্ষনের পূর্বাভাস মনে করা !
→ অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি কোন বন্ধ্যা ব্যক্তিকে দেখতে পায় কিংবা খালি কলস দেখতে পায় তবে সারাদিন অমঙ্গলে অতিবাহিত হবে এমন ধারনা করা !
→ শনিবার এবং মঙ্গলবার ইন্তেকাল করাকে কুলক্ষন মনে করা এবং জাহান্নামী হওয়ার আলামত মনে করা !
→ পরীক্ষার পূর্বে ডিম বা কলা খাওয়াকে পরীক্ষা পাশের প্রতিবন্ধকতা মনে করা !
→ সময়কে গালি দেয়া, জোরে বাতাস প্রবাহিত হওয়া দেখে বাতাসকে গালি দেয়া, আকাশে দীর্ঘ সময় মেঘ থাকলে মেঘকে গালি দেয়া !
ইত্যাদি !!
সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য নিজেদের ঈমানকে হিফাযত করতে হলে যাবতীয় কুফরী আক্বীদা থেকে বেঁচে থাকা ফরজ-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত !
আল্লাহ পাক আমাদের যাবতীয় কুফরি আক্বীদা থেকে হিফাজত করুন !!
আমীন !!