উমর (একদিন হযরত রাঃ) গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আছেন এমন সময় হঠাৎ এক বৃদ্ধ লোক
এসে ডাক দিয়ে বলেন, হে উমর! তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠ, ফজরের নামাজের সময় পার
হয়ে যাচ্ছে, হযরত উমর (রাঃ) জানতে চাইলেন, তুমি কে? বৃদ্ধ বেশধারী শয়তান
উত্তর দিলেন, আমি শয়তান! তখন হযরত উমর (রাঃ) বললেন আচ্ছা, তোমার কাজতো
মানুষকে ধোঁকা দিয়ে নামাজ কাযা করানো, আর তুমি কিনা আমাকে নামাজের জন্য
ডাকছো, ঘটনার হেতু কি? বৃদ্ধ বেশধারী শয়তান উত্তর দেয় উমর, অনেক দিন চেষ্টা
করে গতকাল তোমাকে ফজরের নামাজ কাযা করাতে সক্ষম হই কিন্তু তুমি
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছ, আল্লাহ
তোমার নামাজ কবুল করে তোমাকে আরো দশ গুণ সওয়াব বেশি দিয়েছেন! কিন্তু আমি
চাইনা তুমি দশ গুন সওয়াব পাও,আগে যা পাচ্ছিলে তাই ভাল, এজন্যই তোমাকে ফজরের
নামাজের জন্য ডেকেছি || (সহীহ বুখারী)
শয়তান আমাদের অনেক সময় ভালো দেখিয়ে আসলে খারাপের দিকে নিয়ে যায়, একটু করলে কোন সমস্যা নেই এই মানসিকতা সৃষ্টি করে আমাদের বড় গুনাহের জন্য তৈরি করে নেয়, যার ফলে পরে আমরা বড় গোনাহ করতে ও লজ্জা ও কষ্ট পাইনা, তাই ঈমান ও ইসলামের বিষয়ে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
শয়তান আমাদের অনেক সময় ভালো দেখিয়ে আসলে খারাপের দিকে নিয়ে যায়, একটু করলে কোন সমস্যা নেই এই মানসিকতা সৃষ্টি করে আমাদের বড় গুনাহের জন্য তৈরি করে নেয়, যার ফলে পরে আমরা বড় গোনাহ করতে ও লজ্জা ও কষ্ট পাইনা, তাই ঈমান ও ইসলামের বিষয়ে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।