NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

" মেরাজুন্নাবী-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম """""

"
আনে ওয়ালা হে মেহবুব ম্যারা, আরশে কুরছি ফেরেশতা সাঁজাও।।
সারদ কারদাও জাহান্নাম কি আগআউর জান্নাত কো দুলহান বানাও।।
উম্মে হানি কি ঘর কামলেওয়ালা, আউর ছুরুতে জিবরাঈল আয়ে।
আউর বুলে এ হুকুম রাব কি হে, জালদি মাহবুব কো ম্যারে লাও
(সুবাহানাল্লাহ)।।
-আল্লাহ্ বলেন এই ফেরেশতারা তোমাদের আজ আর কোনো কাজ নাই। জাহান্নামের আগুন বন্ধ করে দাও, জান্নাত সাজাও , আরশ কুরছি সাজাও, ফেরেশতা তোমরা ও সাজো,আজ আমার মাহবুব নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দাওয়াত দিয়েছি (সুবাহানাল্লাহ-)

পবিত্র মেরাজ শরীফের ভেদতত্ত্ব- ৫

পবিত্র মেরাজ শরীফের ভেদতত্ত্ব- ৫
মিরাজ শরীফে বড়পীর গাউসে পাক-(পার্ট-২)
সৃষ্টির শেষ সীমানা সিদরাতুল মোনতাহা আল্লাহর দূত জিবরাইল বলে ইয়া রাসূল-আল্লাহ
আর চুল পরিমাণ যাওয়া সম্ভব নয়।
যদি যাই আল্লাহর নূরে জ্বলে পুড়ে খার-সার হয়ে যাব এখন শুধু আপনারই শান ইয়া রাসূল-আল্লাহ ।
সকল দুত ও বোরাক এর ভ্রমণ মুনতাহায় হলো শেষ লা মাকানে এখন শুধু রাসূল আল্লাহ একাই চলন্ত ।
রাসুল আল্লাহ চিন্তা করে ভেদ পরিচয় গোপন রাখে রফরফ সওয়ারী আসছে ধেয়ে আহমদ মোস্তফার কদম তলে আহমদ মোস্তফাকে নিয়ে সওয়ারী চলল আল্লাহর কাছে ।
আহমদ মোস্তফা চিন্তা করে সৃষ্টি যেথায় না আসতে পারে
রফরফ সওয়ারী আসলো কিভাবে ?
জিজ্ঞাসা করে রাসূল আল্লাহ কে তুমি হে সওয়ারী ওয়ালা সওয়ারী বলে ইয়া রাসূল-আল্লাহ
আমি আপনার আহলে বাইত গাউসে খোদা ।
পাঠিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা
আপনার নূরে আমিও নূরতাজেল্লা ।
রাসূলুল্লাহ হেসে বলে হে আমার সন্তান আব্দুল কাদের !
মারফতের গোপন ভেদ রয়েছে অতি গোপন আদব ও মহব্বতের কারণে সবকুটু দিলাম তোমাকে।
নূরেতে নূর উজ্বালা সকল দিকেই নূরের খেলা আহমদ সাল্লে আলা মীমের পর্দা উঠাইয়া আহাদ রুপ ধারণ করিয়া লা-মাকানে খেলে নূরের খেলা ।
খোদার নূর খোদার সাথে মিলন হলো আরশে আজিমে
ভেদ পরিচয় গোপন রেখে কালামুল্লাহ নিয়ে আসে
মোহাম্মদ সাল্লে আলা ভেদের কথা কয় না যথা-তথা ।
আহমদী রুপে হাদী ত্রিভূবন হয় উজ্বালা
আশেক হলে বুঝতে পারবে রাসূল আল্লাহর মূল ঠিকানা ।
রাসূল আল্লাহর আসল পরিচয়(হাকিকত) মিরাজে হলো প্রকাশ
বে-রসিকেরা না বুঝে বলে শুধু আবোল-তাবোল কথা।

পাপ কাজের ফসল হচ্ছে জাহান্নাম।


পাপ কাজ থেকে বাচার জন্য কিছু উপায়…
মানুষের অন্তরটা একটা পাত্রের মতো। আপনি যদি অন্তরটাকে ভালো জিনিস দ্বারা পূর্ণ করেন তাহলে খারাপ জিনিসগুলো ঢুকতে পারবেনা। আবার আপনি যদি আপনার অন্তরটাকে খবিস জিনিস দ্বারা আচ্ছন্ন করে রাখেন, নফস (প্রবৃত্তি) ও শাহওয়াত (লোভ-লালসা/কামনা-বাসনা ইত্যাদি), শয়তানের আনুগত্যকে মেনে নেন, ভালো জিনিসগুলো আপনার অন্তরে প্রবেশ করবেনা।
উদাহরণস্বরূপ, যার অন্তরে কুরানুল কারীমের নূর, হেদায়েত প্রবেশ করবে তার অন্তরে গান-বাজনা, ফাসেক (পাপিষ্ঠ) গায়ক/গায়িকার জন্য সম্মান, ভালোবাসা জায়গা করতে পারেনা। সে তার অন্তরে খবিস (নাপাক) ও মুনকার (হারাম ও খারাপ কাজগুলো) জিনিসের প্রতি এতোটা তীব্র ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা পোষণ করবে যে, তার গান শুনতে ভালো লাগলেও, গান শোনার প্রচন্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয়ের কারণে এইগুলো থেকে দূরে থাকবে। এইজন্য ওলামারা বলেছেন - কোনো বান্দার অন্তরে গান-বাজনা ও কুরান, এই দুইটা জিনস একই সাথে স্থান দখল করতে পারেনা। কারণ, কুরান হচ্ছে আল্লাহ তাআ’লার নাযিল করা ঈমানের নূর বা আলো, আর গান-বাজনা হচ্ছে মুনাফেকীর অন্ধকার।
আপনি খারাপ কাজ থেকে বাচতে হলে – সবচেয়ে জরুরী হলো - আপনার ঈমানকে মজবুত করা। ঈমানের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে – “আল-ওয়ালা ওয়াল বারা” - শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই কোন কিছুকে ভালোবাসা আর শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা করা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম “আল-ওয়ালা ওয়াল বারাকে” ঈমানের মজবুত একটি হাতল বলেছেন।
কাফেরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজকাল অধিকাংশ নারীরাই নিজেদের সম্মান ও ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করে, স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, মার্কেট সব জায়গাতেই বেপর্দা, অর্ধনগ্ন, কাপড় পড়েও উলংগ - এমন নারীদের সংখ্যা মহামারীর মতো বেড়ে গেছে। চরিত্রহীন, লম্পট নারী-পুরুষেরা প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হচ্ছে।
অপরদিকে পুরুষদের জন্য নারীদেরকে এমনিতেই মোহনীয় ও আকর্ষণীয় করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিবেশে দ্বীনদার ভাইদের জন্য চোখের জেনা, অন্তরের জেনা, অংগ-প্রত্যংগের জেনা থেকে বাচা কঠিন হয়ে গেছে। অপরদিকে আল্লাহর প্রতি দাসত্ব ও আনুগত্য হিসেবে, জাহান্নানের কঠিন শাস্তি (আগুনে পুরে রোস্ট হওয়া, নাইযুবিল্লাহ) থেকে বাচার জন্য নিজেকে হারাম ও পাপ কাজ থেকে বাচা ছাড়া উপায় নেই। প্রবৃত্তির গোলামী করে নিজের নফস ও শাহওয়াত অনুযায়ী চলে, শয়তানের আনুগত্যের প্রতিদান জাহান্নামের অপমামানজনক শাস্তি ছাড়া আর কিছুইনা।
এই ধরণের পাপ কাজ থেকে বাচতে হলে আপনাকে এই ব্যপারগুলো সম্পর্কে সচেতন হবে -
১. যারা বেপর্দা চলাফেরা করে, ফাহেশা নারী, দাইয়ুস পুরুষ, এরা কারা, এদের সংজ্ঞা কি, ইসলামে কেনো এরা নিন্দনীয়, দুনিয়া ও আখেরাতে এদের কি ভয়াবহ শাস্তির অপেক্ষা করছে যা কুরান ও সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে - এসম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা বিশ্লেষণ সহকারে আপনাকে জানতে হবে। এটা হলো দ্বীন সম্পর্কে “ইলম” (জ্ঞান) হাসিল করা। এর জন্য আপনাকে কুরান ও সুন্নাহ অনুযায়ী সহীহ আকীদার আলেমদের বই পত্র পড়তে হবে, তাদের ওয়াল লেকচার শুনতে হবে, সম্ভব হলে তাদের হালাকা ও দারসগুলোতে সরাসরি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে। এইভাবে আপনার “ইলম” বৃদ্ধি পেলে আপনার “ঈমান” মজবুত হবে। ঈমান বৃদ্ধি পেলে দুনিয়া, আখেরাত, জান্নাত-জাহান্নাম, পাপের কাজ পুণ্যের কাজ এই ব্যাপারগুলো আপনার কাছে পরিষ্কার হবে - অন্তর্দৃষ্টিতে এইগুলোর সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জিত হবে। এর ফলে আরো বেশি করে সতকর্মের দিকে আগ্রহী হবেন, পাপ কাজ সেটা যতই প্রিয় ও আকর্ষণীয় হোক - সেটা থেকে বাচার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
এখানে একটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে – বর্তমান অধিকাংশ মুসলিন নারী ও পুরুষেরা দ্বীন শেখার ব্যপারে অত্যন্ত গাফেল ও মারাত্মক রকমের অলস। সবাই দুনিয়ার পেছনের ছুটছে, গান-বাজনা, অবৈধ নারী পুরুষের পেছনে টাকা ও সময় নষ্ট করছে। একেতো দ্বীন শেখার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম খুবই কম, তার উপরে কেউ দ্বীন শিখতে আগ্রহী না। এ ধরণের মানুষগুলোই রাগের মাথায় বিবিকে ১০০ তালাক দিয়ে পরে এসে ফতোয়া জানতে চায় – কিভাবে বিবিকে হালাল করা যায়, “হিল্লার” মতো নিকৃষ্ট খবিস পথ খুজে বেড়ায়। এইভাবে অজ্ঞ থেকে সে নিজেকে ও তার আশেপাশের মানুষদেরকে বিপদে ফেলে।
যাইহোক, দ্বীন শেখার জন্য আপনাকে অনেক মেহনত করতে হবে। শুধু ফেইসবুক, টিভি এইরকম মাধ্যমগুলোর উপরে আপনারা নির্ভর করবেন না। বড় বড় আলেমদের লেখা “সহীহ কিতাব” পড়বেন, এইগুলো অধ্যায়ন করে এর থেকে দ্বীনের জ্ঞান আহরণ করবেন। এমন যাতে নাহয় কালকে ছেলের আকীকা দেবেন – আজকে এসে বলবেন, ইমার্জেন্সি আকীকার উপরে পোস্ট দেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে মুফতি মুহাদ্দিস সবসময় আপনার জন্য রেডী থাকবেনা – আপনার জন্য ফতোয়া দেওয়ার জন্য। আলেমরা আগে থেকেই তাদের দারসে এইগুলো শিক্ষা দিয়েছেন, এর উপরে সহীহ বই লিখে প্রকাশ করছেন। আপনি কোনদিন সেই বই কিনে পড়বেন না, ওয়াজ লেকচার শুনবেন না, আর আশা করবেন – আপনার জন্য কেউ না কেউ সবসময় রেডি থাকবে – চাহিবা মাত্রই ফতোয়া দেওয়ার জন্য? জান্নাতে যাওয়া কি শুধু হুজুরদেরই গরজ, আপনার দ্বীন সম্পর্কে জেনে তার উপর আমল করার কোন প্রয়োজন নেই?
আর সাবধান!
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরদাতা এখন আছে, মনগড়া ফতোয়াবাজি করে বেড়ায়, ইসলাম নাম দিয়ে মানুষকে শিরক-বেদাত শিক্ষা দিয়ে জাহান্নামে পাঠায়! কেয়ামতের আগে আমরা এখন সেই সময়ে বসবাস করছি – যখন প্রকৃত “ফকীহ” কম, আর “ওয়ায়েজ” বা বক্তার সংখ্যা বেশি! এইরকম বহু ওয়ায়েজ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে – যারা আলেম না থাকার কারণে মানুষ তাদেরকেই বড় আলেম মনে করে, আর সেই সমস্ত মূর্খ বক্তারা মনগড়া ফতোবাজি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত/পথভ্রষ্ট করছে…
আপনি যদি ইসলাম শেখার ব্যপারে সিরিয়াস ও সিনসিয়ার নাহন, খুব সহজেই এইসমস্ত এফএম মুফতিদের পাল্লায় পড়ে দ্বীনকে ধ্বংস করবেন (ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ)!
২. পাপ কাজ ও যাদেরকে সতর্ক করে দেওয়ার পরেও পাপ কাজে লিপ্ত থাকে তাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করাঃ
“পাপীকে নয় পাপ কাজকে ঘৃণা করো” – এই রকম কোন কথা কুরান হাদীসে নাই, বরং এর বিপরীত অনেক কথাই আছে।
যারা শিরক বেদাতে লিপ্ত থাকে, যারা প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে শয়তানের গোলামি করে বেড়ায়, এদের প্রতি অন্তরে ঘৃণা পোষণ করা - এটা আপনার “ঈমানী” দায়িত্ব। আপনি যদি একটা বেপর্দা মেয়েকে দেখে তার প্রতি ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা পোষণ করেন, তাহলে আপনার জন্য সহজ হবে তার সৃষ্ট ফেতনা থেকে নিজেকে বাচাতে। কিন্তু আপনি যদি তাদেরকে সহজ-স্বাভাবিকভাবে নেন, তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখেন – মোস্ট প্রবাবলি আপনার আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয় কমে যাবে, আপনি ঐ নারীর ফেতনায় ডুবে আপনার তাক্বওয়া, দ্বীনদারী ধ্বংস হয়ে যাবে।
এখানে একটা ব্যপার লক্ষণীয়, ঘৃণা পোষণ করার অর্থ এইনা যে, ব্যক্তিগতভাবে আপনি কাউকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন, অপমান করবেন। না, বরং পাপ কাজে লিপ্ত থাকে যারা তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন, সুন্দর করে বোঝানোর ও উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি তারা পাপকাজের প্রতি অনড় থাকে আর উপদেশ নাশুনে, তাহলে নিজেকে তাদের ফেতনা থেকে দূরে রাখবেন। কারণ পাপীদের সাথে উঠাবসা করা, তাদের পাপ কাজের প্রতি দুর্বল অবস্থান নেওয়া – আপনার নিজের ইমানের জন্যই ক্ষতিকারক।
এইরকম ক্ষেত্রে আপনাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর “সীরাত” (জীবনী) থেকে মধ্যমপন্থাকে বেছে নিতে হবে – মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে। আর সেইজন্য আপনাকে নির্ভরযোগ্য সীরাত গ্রন্থ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ জেনে নিতে হবে।
তবে এখানে উল্লেখ্য যে, সম্পর্ক রাখা বলতে গায়ের মাহরাম পুরুষ নারীর মাঝে উদ্দেশ্য না, গায়ের মাহরাম নারী-পুরুষের যোগাযোগ অনেক রেস্ট্রিক্টেড একটা ব্যাপার। অনেক ভাইদেরকে দেখা যায় ছেলে বন্ধুদের থেকে মেয়ে বন্ধুদের হেদায়েতের জন্য বেশি পরিশ্রম করে, এটা আসলে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ রাখা, কথা বলার একটা বাহানা।
৩. সবসময় ভালো কাজ দিয়ে অন্তরটাকে দখল করে রাখার জন্য চেষ্টা করা, যাতে করে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে না পারে, কোনো ফেতনা আপনাকে সহজেই গ্রাস করতে না পারে। ভালো কাজ করার জন্য ও খারাপ কাজ থেকে বেচে থাকার জন্য নিজের অন্তরের বিরুদ্ধে “মুজাহাদা” (কঠোর সংগ্রাম) করা। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে – যথাসম্ভব নেকের কাজে নিজেকে জড়ীত রাখা। হারাম থেকে বেচা থাকা, ফরয দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি নফল সালাত, নফল সাওম, যিকর-আযকার, দুয়া-দুরুদ, দান-সাদাকা, পরোপকার…
এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকারী হচ্ছে “যিকর” – বা আল্লাহকে স্বরণ করা। এটা আসলে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কার্যকরী একটা উপায়। যিকরের ফলে সবসময় আপনার অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয়, বিনয় ও ভালোবাসা, তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমার কথা জাগ্রত থাকবে। এমন অবস্থায় চরম ফাহেশা কোন মেয়েও যদি আসে, অথবা শয়তান আপনাকে বড় রকমের কোন পরীক্ষায় ফেলে সেটাকে উপেক্ষা করে আল্লাহর অনুগত থাকা আপনার জন্য সহজ হবে।
ঘুম থেকে উঠা থেকে নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখন কোন দুয়া পড়েছেন, কোন কাজটা কিভাবে করেছেন – এইগুলো মুখস্থ করতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এইগুলো সাধ্য অনুযায়ী আমল করার – এটাই হচ্ছে চূড়ান্ত সফলতার রাস্তা। সংক্ষেপে সুন্নাহ ও দুয়া জানার জন্য “১০০০ সুন্নত” ও “হিসনুল মুসলিম” এই বই দুইটা বারবার পড়বেন, কখনোই হাতছাড়া করবেন না। অবসর সময় পেলেই বইগুলো পড়বেন, দুয়াগুলো আস্তে আস্তে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন। আর “সুন্নাহ” বা জীবন আদর্শ জানার জন্য
৪. আর দুয়া করা – কারণ আমরা বলি লা হা’উলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাত ইল্লা বিল্লাহ – আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত পাপ কাজ থেকে বেচে থেকে নেকের কাজ করার জন্য আমাদের কোন সামর্থ্য বা শক্তি নাই। বেশি বেশি করে হেদায়েত, তাক্বওয়া, হায়াতে ত্বাইয়্যিবা, কবুল আমল এইগুলো চাইবেন। আর এ সম্পর্কিত কুরানে ও হাদীসে যেই দুয়াগুলো আছে সেইগুলো অর্থসহ আরবীতে মুখস্থ করবেন।
আরবীতে হৃদয়কে বলা হয় ক্বালব, যার একটা অর্থ হচ্ছে - যেই জিনিস খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়।
একারণে মানুষ আজকে যাকে ভালোবাসে, কাল তাকে ঘৃণা করে।
কেয়ামতের আগে এমন হবে মানুষ সকালে ঈমানদার থাকবে, সন্ধ্যা সময় কাফের হয়ে যাবে। আবার মানুষ সন্ধ্যা সময় ঈমানদার থাকবে, সকালে কাফের হয়ে যাবে।
এইজন্য হৃদয় যাতে পরিবর্তন না হয়ে যায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বার বার এই দুয়া করতেনঃ
يَـا مُـقَـلِّـبَ الْـقُـلُـوْبِ ثَـبِّـتْ قَـلْـبِـىْ عَـلَـى دِيْـنِـكَ
উচ্চারণঃ ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব! সাব্বিত ক্বালবী আ'লা দ্বীনিক।
অর্থঃ হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তন করার মালিক! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর অবিচলভাবে প্রতিষ্ঠিত রাখো।
সুনানে তিরমিযী।
اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোআ’ করতেনঃ
“আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়াল আ’ফা-ফা ওয়ালগি’না”।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েত, পরহেজগারি, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।
৫. পাপ কাজের মাধ্যম বা রাস্তাগুলো বন্ধ করা –
পাপাচারী, বেদ্বীন, দ্বীনের ব্যপারে উদাসীন, খারাপ কাজে লিপ্ত ও সেইদিকে দাওয়াত দেয় এমন বন্ধু/বান্ধবী, সম্প্রদায়, মাধ্যম, স্থান – এমন যাকিছু সমস্ত কিছুকে বর্জন করা, তাদেরকে বাধা দেওয়া বাতাদের সাথে বিরোধীতা করা। গায়ের মাহরাম নারীদের সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক ছিন্ন করলে আপনার প্রেম-ভালোবাসা, পরকীয়ার নোংরামি শেষ হবে, টিভি চ্যানেল, পত্রিকা বাদ দিলে অশ্লীলতা দূর হবে। এইরকম যেটা আপনাকে পাপ কাজের দিকে নিয়ে সেটা জায়েজ হলেও সেটাকে বাদ দিতে হবে।

জুম্মার নামাজের ফজিলত


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আজ আপনাদের সামনে জুম্মার ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিস তুলে ধরলাম ।ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি ।চলুন হাদীস গুলো এক পলক দেখে আসি। জুমু’আর দিনের মর্যাদা: হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, জুমু’আর দিন সকল দিনের সরদার। আল্লাহর নিকট সকল দিনের চেয়ে মর্যাদাবান। কোরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে বেশী মর্যাদাবান। আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমরা শেষে এসেছি কিন্তু কেয়ামতের দিন সকলের আগে থাকবো। যদিও অন্য সকল জাতিগুলো (ইহুদী ও খৃষ্টান) কে গ্রন্থ দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আমাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের পরে। অত:পর জেনে রাখো এই (জুমার) দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। আর অন্য লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের পিছনে আছে। ইহুদীরা জুমার পরের দিন (শনিবার) উদযাপন করে আর খৃষ্টানেরা তার পরের দিন (রবিবার) উদযাপন করে। (বর্ণনায়: বুখারী ও মুসলিম) আসুন আমরা জুম্মার দিনে আগে ভাগে মসজিদে যাই, আমি আপনি যদি একটু আগে ভাগে মসজিদে যাই তবে এর জন্য অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে আছে জুম্মার দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানী করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি জু’আর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০) যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুম’আর সালাত আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার সমান সওয়াব লিখা হয়। আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “জুমা’আর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮) আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন আমরা যখন মসজিদে যাই তখন সেখানে তিন ধরনের মানুষ দেখতে পাই, যা হুজুর (সা:) এর নিম্নোক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩) যে সকল মসলমান জুম’আর নামাজ অত্যন্ত আদবের প্রতি লক্ষ্য রেখে আদায় করে, সেই সকল আদায়কারীদের জন্য দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময় গুনাহের কাফফারা স্বরূপ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুম’আ থেকে পরবর্তী জুম’আ, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া সকল (সগীরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে, বান্দা কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে।” (মুসলিমঃ ২৩৩) জুমু’আর দিনে কিছু করণীয় কাজ নিচে দেয়া হলো: ১, ফজরের আগে গোসল করা। ২, ফজরের ফরজ নামাজ়ে সূরা সাজদা [সিজদা] ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা। ৩, উত্তম পোষাক পরিধান করা। ৪, সুগন্ধি লাগানো। ৫, প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে যাওয়া। ৬, সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা। ৭, মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকা’আত সুন্নত আদায় করা। ৮, ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা। ৯, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শোনা। খুৎবাহ চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের কোন কথা না বলা; এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে কথা বলতে বারণ করাও কথা বলার শামিল। ১০, দুই খুৎবাহর মাঝের সময়ে দু’আ করা। ১১, অন্য সময়ে দু’আ করা। কারণ এদিন দু’আ কবুল হয়। ১৩, রসূলের উপর সারাদিন বেশী বেশী দরূদ পাঠানো। জুমু’আর দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য: ১, এই দিনে আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। ২, এই দিনে আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আ:)-কে দুনিয়াতে নামিয়ে দিয়েছেন। ৩, এই দিনে আদম (আ:) মৃত্যুবরণ করেছেন। ৪, এই দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময়ে হারাম ছাড়া যে কোন জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা প্রদান করেন। ৫, এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। তাই আসমান, যমীন ও আল্লাহর সকল নৈকট্যশীল ফেরেশতা জুমু’আর দিনকে ভয় করে। (ইবনে মাজাহ্, মুসনাদে আহমদ) যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সাথে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করল তার জন্য দু\'টি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হল, ১. জাহান্নাম হতে ও ২. মুনাফিক্বী হতে (বুখারী ও মুসলিম মিশকাত ২১৭পৃষ্ঠা)। এবং \'যে ব্যক্তি জামায়াতের সাথে ইশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামাজ জামায়াতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) নামাজ পড়ল\" (মুসলিম)। তিনি আরো বলেন, \"যদি লোকে ইশা ও ফজরের নামাজের ফজীলত জানত, তাহলে তাদেরকে হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ঐ নামাজদ্বয়ে আসত (বুখারী, মুসলিম)। প্রসিদ্ধ তাবেঈ সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব (রহ.) ও কা\'ব আল আহবার (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! নিন্মোক্ত আয়াত তাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা নামাজ পড়তে জামায়াতে আসেনা।\' মহান আল্লাহ বলেন, (স্মরণ কর বিচার দিনের কথা) সেদিন পায়ের নলা উন্মোচন করা হবে এবং ওদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান করা হবে কিন্তু ওরা তা করতে সক্ষম হবে না, হীনতাগ্রস্থ হয়ে ওরা ওদের দৃষ্টি অবনত করবে, অথচ ওরা যখন নিরাপদ ছিল, তখন ওদের আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে (আল-কুরআন ৬৮/৪২-৪৩)। নামাজের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত হাসিল হয় যদি জামায়াতের সাথে আদায় করা হয়। কেননা জামায়াতে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বস্তুত নামাজের স্বভাব ও প্রকৃত দাবী হল জামায়াতের মাধ্যমেই তার স্বকীয় মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পারা। এজন্যই রসূলুল্লাহ (স.) এবং সাহাবাগণ জামায়াতের এতো বেশি যতœবান হতেন যেন জামায়াত নামাজের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমনকি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরবস্থায়ও তিনি দুইজনের কাঁধে ভর করে জামায়াতে হাজির হয়েছিলেন। আর সালফে সালেহীনগণ ইমামের সাথে প্রথম তাকবীর না পেলে ৩ দিন ও জামায়াত ছুটে গেলে ৭ দিন দুঃখ প্রকাশ করতেন (মির\'আত-৪/১০২)। জামায়াত ত্যাগ করার কারো অনুমতি থাকলে রণাঙ্গনে শত্রুর সম্মুখে ব্যুহবিন্যাসে দন্ডায়মান যুদ্ধাদেরকে সে অনুমতি দেওয়া হত। অন্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) নবী (স.)-এর কাছে ফরজ নামাজ বাড়িতে পড়ার অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, তুমি জামায়াতে উপস্থিত হবে, তোমার জন্য আমি কোন অনুমতি পাচ্ছিনা। পরনির্ভরশীল অন্ধের জন্য এই নির্দেশ হলে সুস্থ-সমর্থ চক্ষুষ্মান; যার কোন ওযর-অন্তরায় নেই তার জন্য কি নির্দেশ হতে পারে? মসজিদের সাথে অন্তরের সম্পর্ক স্থাপনকারীগণকে (জামা\'আতে নামাজ আদায়কারীকে) আল্লাহর (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দেয়া হবে। আসর ও ফজরের সালাত যথারীতি জামা\'আতের সাথে আদায়কারী জান্নাতী হবেন (মুসলিম)। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ জামায়াতের প্রথম কাতারের লোকদের ওপর বিশেষ রহমত নাজিল করে থাকেন। কথাটি তিনি ৩বার বললেন। অতঃপর বলেন, দ্বিতীয় কাতারের ওপরেও (আহমাদ,দারেমী ও সহীহুল জামে)। আমলের ক্ষেত্রে ফরজ ও সুন্নত নামাজকে একাকার করে রাখার কারণেই যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন জোহরের নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে ফরজ পূর্ব ৪রাকাআত+ফরজ ৪রাকাআত+ফরজ বাদ ২রাকাআত=এই মোট ১০রাকাআত নামাজ না পড়ে মসজিদ থেকে বের হতে পারবে না। অথচ শুধু ৪রাকাআত জামায়াতে ফরজ পড়ে বের হয়ে গেলেই সে নামাজ পরিত্যাগকারীর যাবতীয় শাস্তি, কুপরিণতি ও ক্ষতি থেকে মুক্ত হয়ে যেত। একা নামাজ পড়ার চেয়ে পাঞ্জেগানা ওয়াক্তিয়া মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়লে ২৫ থেকে ২৭ গুণ সওয়াব হয়। দু\'জনের নামাজ একাকীর চাইতে উত্তম। এভাবে জামায়াত যত বড় হয়, নেকী তত বেশী হয়। মদিনার মসজিদে নববীতে পড়লে একহাজার গুণ এবং কা\'বা গৃহে পড়লে একলক্ষ গুণ সওয়াব বেশী হয় (বুখারী,মুসলিম মিশকাত ৭২পৃষ্ঠা)। \"যে ব্যক্তি কোন ফরজ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে স্বগৃহ থেকে ওযু করে জামায়াতের জন্য (মসজিদের দিকে) বের হয় সেই ব্যক্তি ইহরাম বাঁধা হাজীর ন্যায় সওয়াবের অধিকারী হবেন (আবূদাউদ)। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, \'যে ব্যক্তি কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সাথে মুসলিম হয়ে সাক্ষাতের ইরাদা রাখে তার উচিত সুন্দরভাবে পবিত্রতা অর্জন (অযু) করে স্রেফ নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়া, তাহলে তার প্রতি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে, একটি করে মর্যাদার স্তর উন্নীত ও তার পাপ মোচন করা হবে। আমরা দেখেছি যে, বিদিত কপট (মুনাফিক) ছাড়া নামাজের জামায়াত থেকে কেউ পশ্চাতে থাকত না। রসূলুল্লাহ (স.) বলেন, মুনাফিদের ওপরে ফজর ও ইশার জামায়াতের চাইতে কঠিন কোন নামাজ নেই। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ) অথচ সে সময় মানুষকে দু\'টি লোকের কাঁধে ভর করে হাঁটিয়ে এনে কাতারে খাড়া করা হত (মুসলিম-৬৫৪)। তিনি বলেন, তোমরা সামনের কাঁতারের দিকে অগ্রসর হও। কেননা যারা সর্বদা পিছনে থাকবে, আল্লাহ তাদেরকে (স্বীয় রহমত থেকে) পিছনে রাখবেন (মুসলিম) অন্য বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নাম পর্যন্ত পিছিয়ে দেবেন (আবূদাউদ)।

পাগড়ি ফেরেশতাদের পোশাক ও তাঁদের পরিচিতি

হযরত ওবাদা ইবনে সামেত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পাগড়ি বাঁধ। কেননা পাগড়ি ফেরেশতাদের পোশাক ও তাঁদের পরিচিতি। আর পাগড়ির শামলা পিঠের দিকে ছেড়ে দিবে। (মেশকাত শরীফ ৩৭৭ পৃ.)
হযরত রোকানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুবলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাদের ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হল টুপির উপর পাগড়ি পরা। (তিরমিজী শরীফ ১খ. ৩০৮ পৃ.)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পাগড়ি পরতেন তখন শামলা পিঠের দিকে ছেড়ে দিতেন। (মেশকাত শরীফ ৩৭৪ পৃ.)
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মাথায় পাগড়ি বেঁধে একটা শামলা পিছন দিকে ছেড়ে দিলেন এবং অন্যটা সামনের দিকে ছেড়ে দিলেন। (মেশকাত শরীফ ৩৭৪ পৃ.)
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, পাগড়ি আরবদের মুকুট স্বরূপ ও তাদের সম্মানী পোশাক। যখন থেকে আরবরা পাগড়ি পরা ছেড়ে দিয়েছে তখন থেকে তাদের সম্মান চলে গেছে। (মেরকাত ৮ খ. ২১৫ পৃ.)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার উম্মত পরিপূর্ণভাবে দ্বীনের উপর ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ তাঁরা টুপির উপর পাগড়ি পরবে। (কানঝুল উম্মাল ১৫ খ. ৩০৮ পৃ.)
হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথায় কালো পাগড়ি ছিল। হযরত হুরাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, খোতবা দেওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কালো পাগড়ি পরা ছিল।

হস্ত-পদ চুম্বন কি বিদআত ও শিরক্ !!!


♬ তাহলে একটু কষ্ট করে
নিচের ঊদ্বৃতি গুলো
পড়ে দেখুন তোঃ
✔১. হযরত যারে (রা:) বলেন,
আমরা একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে মদিনা মুনাওয়ারায় এলাম:
" তখন আমরা
হুযুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাত ও পা চুম্বন করলাম। "
(সূএ: মিশকাত শরীফ;
পৃষ্টা -৪০২)
✔২. হযরত ওয়াযে ইবনে আমের (রা:) বলেন:
''একদা আমরা হুযুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর খেদমতে উপস্তিত হলাম:
তখন আমরা হুজুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর হাত ও পদদ্বয়কে চুম্বন করলাম ৷ ''
(সূএ: বুখারী ফিল আদাবিল
মুফরাদ; পৃষ্টা -১৪৪)
✔৩. হযরত সোহাইব (রা:) বলেন:
'' আমি হযরত আলী(রা:)কে দেখলাম যে, তিনি হযরত আববাস (রা:) এর হাতে ও পায়ে চুমু দিয়েছেন। ''
(সূএ: বুখারী ফিল আদাবিল
মুফরাদ; পৃষ্টা -১৪৪)
✔৪.হযরত ইবনে
জাদআন(রা:) বলেন,হযরত সাবিত,হযরত আনাস(রা:)কে বলেছেন:
''আপনি নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে আপনার হাত দিয়ে স্পর্শ করেছেন কী? তিনি ফরমালেন,হা! তখন তিনি তার হাতে চুমু দিলেন। ''
(সূএ: বুখারী ফিল আদাবিল
মুফরাদ; পৃষ্টা-১৪৪)
✔৫. হযরত বুরাইদা (রা:) বলেন:
' এক বেদুঈন হুযুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে মুজিযা চাইল।
হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমালেন, ঐ গাছটিকে বল -রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাকে ডাকছেন।
সে(বেদুঈন) যখন বলল- গাছটি তার ডানে,বামে,সামনে,পিছনে ঝুকল,তখন ওটার শিকড়গলুো ভেঙে যায়।অত:পর তা মাটি খোদায় করে, শিকড়গুলো টেনে ও বালি উড়িয়ে হুযুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সামনে এসে দাড়ালো এবং বলল -
'' আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)!
বেদুঈন বলল, আপনি তাকে আদেশ করুন -যেন এটা ওখানে ফিরে যায়। তাঁর হুকুমে ওটা ফিরে গেল এবং তার শিকড়গলুোর উপর গিয়ে সোজা দাড়িয়ে গেল।
বেদুঈন বলল, আমাকে অনুমতি দিন আমি আপনাকে সাজদাহ করব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমালেন,যদি কাউকে সাজদাহ করার হুকুম আমি কোনো মানুষকে দিতাম তাহলে নারীকে হুকুম দিতাম, সে যেন তার স্বামীকে সাজদাহ করে।
বেদুঈন আরজ করল, হুযুর! তাহলে আমাকে আপনার হাত ও পা চুম্বন করার অনুমতি দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন।
(সূএ:শিফা শরীফ,দালায়িলুননবুয়াহ, আবু নাঈম, পৃষ্টা-৩৩২)
**এতে বুঝা গেল-বুযার্গানে কিরামের হাত ও পা চুমু দেওয়া জায়যে বরং সুন্নত সম্মত।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম নুরে মোজাচ্ছাম

BISMILLAH HIR RAHMANIR RAHIM:::::::



Please Read and share::-----
RASUL(SAW) NOORE MOZASSAM (রাসুল(সাঃ) আপাদমস্তক এ নুরের নবী)::---
যারা বলে যে নবীজী(সা) আমাদের মত সাধারণ ও মাটির তৈরী এটা তাদের কুফরি আকিদার ই বহিপ্রকাশ কারণ ....
(((১ নং হল সে কুর্‌আন ও হাদীস অমান্য করায় কুফরি করল )))
(((২. হল হুজুর পাক (সা) এর সাথে বিয়াদ্দবি করায় কুফরি করল....
রাসূল(সা)এর সাথে বিয়াদ্দবি কুফরি
সুরা--
বাকারা ১০৪
সোয়াদ ৭৭
আহযাব ৫৭
হুজুরাত ২
তৌবাহ ৬১,৬৬)))
এই নুরের ওপমা হল যেমন আসমানের সুরযের আলো যমিনে পতিত হলে যমিনের আলো ও সুরজের আলো আবার এই আলো সরজের অংশ না তদ্রোপ একটা মুমবাতি বা প্রদিপ থেকে হাজার বাতি বা নুর জালালে ও একটা আরেক টার অংশ না ..তাই রাসুল(সাঃ) আল্লাহর নুরের তৈরি কিন্তু নূর-এ- মুহাম্মাদি(সা) নূর এ খোদা'র অংশ না বা আল্লাহর নুরকে খান্ডাংশ করে নবিজি(সাঃ) এর সৃষ্টি করেছেন এই ভাবে ও বলা বা ধারনা করা শিরিক কারন আল্লাহর কোন অংশ নাই..শরিক নাই।এ কথা বললেই শিরিক,কুফরি,বাত­িল।আর এটা খুব ই সুক্ষ ব্যাপার।
Reference~~
চতরদ্দশ শতাব্দির শ্রেস্ট মজাদ্দিদ ইমাম এ আহলে সুন্নত 'আ'লা হযরত বেরলভি (রহঃ))
............ ..........
বলুন ," আমি ও তোমাদের মত মানুষ (কিন্তু তোমরা আমার
মত না) ..আমার নিকট ওহী আসে যে তোমাদের ইলাহ এ এক মাত্র
ইলাহ।"
----হামীম- সিজদাহ ৬
----কাহাফ -১১০
" তাদের পয়গাম্বর গণ বললেন,"আমরা ও তোমাদের মতই
মানুষ ...."
----ইব্রাহীম -১১
---------------­--------~~­~~~~~----------­----------
""ওরা বললো," তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ..দয়া ময়
আল্লাহ্‌ তো কিছুই অবতীর্ণ করেন নি..."
ইয়াছিন ১৫
ইব্রাহীম ১০
soyara- ১৮৬
হুদ ২৭
---------------­----~~~~~~~~~~-­-------------­----
" যদি তোমরা তোমাদের মতই এক জনের আনুগত্য কর তবে
নিশ্চিত রুপেই তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে..."
মুমিনুন ৩৪
---------------­-------~~~~~~-----------­-----------
""" তিনি- পুরা- মাটির মত শুকনো মাটি দারা মানুষ কে সৃষ্টি
করেছেন "
আর-রাহমান ১৪
" কাদা -মাটি-থেকে তিনি মানুষ কে সৃষ্টি করেছেন "
আস-সিজদাহ ৭
---------------­----~~~~~~~~~~~­---------
((" ওয়া খালাক তো মুহাম্মাদান মীন নুরী ওয়াযহিয়া " অর্থাৎ " আমি আমার হাবীব কে আমার নিজ নূর থেকে সৃষ্টি করেছি ")))
-----হাদিস-এ-কু­দসি
---------------­------~~~~~~~~~­~~~~----------
হযরত মুহাম্মাদ(সা:) বলেন ,"
তোমাদের কে আছো আমার মত ?"
---------------­------------~~~­~~~~-----------­------
"আমি তোমাদের কারো মত না ! "
---------------­----~~~~~~~~~~~­-----------------
" তোমাদের কেহ আমার অনুরূপ( সাদ্রিস,শামিল,এ­ক রকম) না,
আমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্‌ আমাকে আহার করান এবং পান করান "
---------------­----~~~~~~~~~~~­---------------­--
Referance:::::-­-------
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.183
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.182
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.188
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.185
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.184
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.187
~~Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 348
~~Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 347
---------------­~~~~~~~~~~~----­---------------­--
overall points of নূর তত্ত .......
এক নজরে কুর্‌আন হাদীস এ
অল্লেখিত নোর.........
------(((( ইসলাম-নূর
.... ইসলামের
জন্য যার বক্ষ কে উন্মুক্ত করেছে সে আল্লাহর
নূর এ পরিচালিত....আল-­কুর্‌আন
-----((((( আল্লাহ্‌ -নোর
.....আল্লাহ্‌-আসমান -যমীনের নূর
-sura নূর ৩৫ ))))
-----(((( আল-কুর্‌আন­ নূর
....আহযাব ৪৬
....সোরা ৫২
....আন-নিসা ১৭৫ ))))
------(((( Nabowat নূর
....Mayedah ১৫
....আহযাব ৪৬ ))))
--------(((( হযরত
মুহাম্মাদ(সা:)
আল্লাহর জাতি নূর
.....noor ৩৫
......shaf ৮
.....towbah ৩২
......Mayedah ১৫ )))
---------(((( নেক কাজ নূর ))))
------ (((( অজু-নূর
(অজুর ওপরে অজু করা নূরের ওপর নূর ))))
---------------­-------
Explaination of নূর-এ-মুজাসসাম হযরত মুহাম্মাদ(সাল্ল­াল লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম)
PROOF 1::
সুরা নূর--৩৫ -আয়াত
নিয়ে আব্বাস(রা:) ক'আব-এ-আহবার(রা­: ) কে বলেন,'এই ayiater বর্ণনা কর?"
~~(কা'আব -
এ- আহবার(রা:),
হাযরত ইবনে উমর(রা:),
মুহাম্মাদ ইবনে কা'আব-ক'আরাদি(র­া:) ৩ টি হাদিস বর্ণনা করেন,
~~~"দীপাধার '
মানে"হুজুর(সা:)­ এর 'বক্ষ মোবারক।
'ফানুস' মানে হুজুর(সা:) এর 'হৃদয় মোবারক'
ঃর 'নূরের ওপর নূর' মানে 'নোরে mohammodi(সা:) noore ibrahim
(আ:) এর ওপর!'.
::::: Sura nur35 ayiat ar bekkhay :::
Refferance:::
►Ibn Jarir al-Tabari in his Tafsir (18:95),
►Suyuti in al-Durr al-manthur (5:49),
►Zarqani in Sharh al-mawahib (3:171),
►al-Khafaji in Nasim al-riyad (1:110, 2:449),
►al-Nisaburi in Ghara'ib al-Qur'an (18:93)Tanwir al Miqbas, Min Tafsir Ibn Abbas, Page No. 376, Published by Maktaba al Asriyyah, Beirut, Lebanon]
►Tafsir at-Tabri, under 24:35
►Tafsir Ibn Kathir, Volume No.3, Page No. 490, under 24:35
►Ash-Shifa bi Tarif al Haquq al Mustafa, Page No 6
~~~~(কাঞ্জুল-ঈম­ান,
খাজিন,সূরা নূর ৩৫ এর তাফসির)~~~
_______________
PROOF 2::
" নিশ্চই তোমাদের নিকট স্পষ্ট কিতাব(আল-কুর্‌আ­ন) ও
মহা সম্মানিত নূর [হযরত মুহাম্মাদ (সা)] এসেছেন "
মায়েদাহ ১৫
The scholars who said Mohammad(Durod) is Nur in this ayiah........
►Suyuti in Tafsir al-Jalalayn,
►Fayruzabadi in the Tafsir Ibn `Abbas entitled Tanwir al-miqbas (p. 72)
►Shaykh al-Islam, Imam Fakhr al-Din al-Razi, the Mujaddid of the sixth century, in his Tafsir al-kabir (11:189)
►Imam al-Shirbini in his Tafsir entitled al-Siraj al-munir(p. 360), the author of Tafsir Abi Sa`ud (4:36)
►Thana'ullah Pani Patti in his Tafsir al-mazhari, (3:67)
To see the prove of these recitation go to the link.....
https://m.facebook.com/photo.php?fbid=482229818544398&id=100002721537813&st=14&_rdr
_____________
PROOF 3::
" তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূর কে নির্ভাপিত করতে কিন্তু আল্লাহ্‌ অবশ্যই তার নূরের পূর্ণ তা বিধান করবে যদি ও কাফির রা তা অপ্রীতিকর মনে করে "
sura at towbah 32
shaf 8
PROOF 4::
সুরা তাওবার আয়াত নং - ১২৮ এ অল্লাহ্ বলেন " তোমাদের নিকট এক মহান রাসূলের আগমন হয়েছে" এই আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে নবী করিম (সাঃ আঃ)কোথা হতে আসলেন - সে সম্পর্কে
HADITH::
وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب-
অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা জিব্রাঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেসা করলেন, ওহে জিব্রাঈল! তোমার বয়স কত? উত্তরে জিব্রাঈল বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সঠিক জানি না। তবে এতটুকু বলতে পারি ( সৃষ্টি জগত সৃষ্টির পূর্বে) আল্লাহ তায়’লা নূরানী আযমতের পর্দা সমূহের চতুর্খ পর্দায় একটি নূরানী তারকা সত্তর হাজার বছর পরপর উদিত হত। আমি আমার জীবনে সেই নূরানী তারকা বাহাত্তর হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। অতঃপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ইরশাদ করলেন মহান রাব্বুল আলামীনের ইজ্জতের কসম করে বলছি, সেই অত্যুজ্জ্বল নূরানীতারকা আমিই ছিলাম।
(সীরাতে হালাভীয়া পৃষ্ঠা ৪৯, তাফসীরে রুহুল বয়ান পৃষ্ঠা ৫৪৩)
PROOF 5::
لم يكن له صلى الله عليه و سلم ظل في شمس و لا قمر لانه كان نورا-
অর্থ : “সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপদমস্তক নূর”। (যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০)।
PROOF 6::
ইমাম হাফেজ আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা) বলেন-
و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم منالله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া’লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্‌ মুনীর। যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন, আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাজের ও নাজেররূপে, আল্লাহর অনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না. না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীল ও পোশাক মোবারকেমাছি বসত না। (শিফা শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২)।
PROOF 7::
اخرج ابن ابي عمر العدني فى مسنده عن ابن عباس ان قريشا كانتنورا بين يدي الله تعالى قبل ان يخلق ادم بالفى عام يسبح ذالك النور و تسبح الملائكة بتسيحه فلما خلق الله ادم القي ذالك النور فى صلب قال رسول الله صل اله عليه و سلم فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم (عليه السلام) و جعلنى فى صلب نوح عليه السلام و ق ف بى فى صلب ابرهيم عليه السلام ثم لم يزل الله ينقلبى من الصلاب الكريمة و الارحام الطاهؤة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط-
অর্থ : হযরত ইবনে আলী ওমর আল-আদানী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন,হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে তাঁর সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্যটুকুও দেখাতে লাগলেন। তিনি ( আদম আলাইহিস সালাম ) তাদের মধ্যে শেষপ্রান্তে একটা উজ্জ্বল নূর দেখাতে পেলেন। তখন তিনি
বললেন,” হে রব! ইনি কে? ( যাকে সবার মধ্যে প্রজ্জ্বলিত নূর হিসাবে দেখতে পাচ্ছি?) উত্তরে মহান রব্বুল আলামীন ইরশাদ করলেন,” ইনি হলেন তোমার পুত্র-সন্তান হযরত আহমদ মুজ্‌তবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি হবেন আমার দরবারে প্রথম সুপারিশকারী (ক্বিয়ামতেরদিনে)। ( আল-খাসাইসুল কুবরা ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯)
PROOF 8::
মাওলানা আব্দুল আউয়াল জৌনপুরী সাহেব তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন - "নবী করিম (সাঃ আঃ) মায়ের গর্ভেই যে নূর ছিলেন - এর দলীল হচ্ছে যাকারিয়ার বর্ণিতহাদীস" - নবী করিম (সাঃআঃ) ৯ মাস মাতৃগর্ভে ছিলেন,এ সময়ে বিবি আমেনা (রাঃ আঃ)কোন ব্যথা বেদনা অনুভব করেননি বা কোন রোগে আক্রান্ত হননি এবং গর্ভবতী অন্যান্য মহিলাদের মত কোন আলামতও তাঁর ছিলনা। হুযুর (সাঃ আঃ)এর দেহ মাতৃগর্ভে নূর ছিল।হযরত ওসমান (জ্বীন্ নূরাইন) দয়াল নবীর দুই কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, একজন কন্যার মৃত্যুর পর আর তাই তো হযরত ওসমানকে বলা হয় (দ্বীল্লুল নূরাইন) বাংলায় শব্দটি সঠিক হচ্ছে না এটা উচ্চরন হতে পারে (জ্বীন্ নূরাইন) অর্থাৎ দুই নূরের অধীকারী। (সুবহান-অল্লাহ্ )
__________
বায়তুল্লাহ = আল্লাহর ঘর
Kitabullah = আল্লাহর কিতাব
Ruhullah = আল্লাহর রুহ
এ গুলোর কোনো কিছুই আল্লাহর অংশ নয়...
কেউ কি বলতে পারবে যে রুহোল্লাহ--
আল্লাহর পার্ট/অংশ?
তাহলে এটা কত বড় শিরিক হবে....?
__________
PROOF 9 ::
ইমাম বদরউদ্দিন আঈনি (রঃ) বলেনঃ
روى أحمد والترمذي مصححا من حديث عبادة بن الصامت مرفوعاً أول ما خلق الله القلم ثم قال أكتب فجرى بما هو كائن إلى يوم القيامة واختاره الحسن وعطاء ومجاهد وإليه ذهب إبن جرير وابن الجوزي وحكى ابن جرير عن محمد بن إسحاق أنه قال أول ما خلق الله تعالى النور والظلمة ثم ميز بينهما فجعل الظلمة ليلاً أسود مظلماً وجعل النور نهاراً أبيض مبصراً وقيل أو ما خلق الله تعالى نور محمد قلت التوفيق بين هذه الروايات بأن الأولية نسبي وكل شيء قيل فيه إنه أول فهو بالنسبة إلى ما بعدها
ইমাম আহমদ এবং ইমাম তিরমিজি (রঃ) মারফু হাদিস সহিহ সনদ সহ ইবাদা বিন সামিত থেকে বর্ননা করে প্রমাণ করেন যে," ," আল্লাহ্‌ সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন এবং একে বলল, লিখ এবং এটা বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত সবকিছু লিখল।হাসান,আতা,­ মুজাহিদ ও এটা অবলম্বন করেছেন। ইবন জারির এবং ইবন জাউজির ও এমন মাজহাব ছিল। যেখানে ইবন জারির, মুহাম্মদ বিন ইসহাক থেকে বর্ননা করেন যে,"আল্লাহ সবকিছুর পূর্বে আলো (নূর) এবং আঁধার সৃষ্টি করেছেন। তারপর তাদের মদ্ধে পৃথকীকরণ করেন।এখানে আরও বলা আছে যে,"আল্লাহ্‌ সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সঃ) এর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন। "
[Umdat ul Qari, Sharh Sahih Bukhari, Volume No. 15, Page No. 109]
>>>>>>>>
PROOF 10::
Hadith:::::::
حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟ حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان، جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔
হযরত জাবির(রা:) আরজ করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ(সা)­ আমার
পিতা-মাতা আপনার কদম মোবারক এ কোরবানি হোক,আপনি বলে দিন যে আল্লাহ্‌
সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?
হুজুর(সা:) বললেন"
হে জাবের,নিশ্চই আল্লাহ্‌ সর্ব প্রথম নিজ নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন!!"
তারপর সেই নূর আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায় ভ্রমণ রত ছিল...
কেননা ঐ সময় লাঅহ কলম ...
জান্নাত - জাহান্নাম
ফেরেশতা
আসমান-জমিন
চন্দ্র-সূর্য
জ্বিন-ইনসান
বলতে কিছুই ছিল না .....
তারপর আল্লাহ্‌ মাখলক সৃষ্টি
করার ইচ্ছা করলেন..
তখন আমার এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন..
১নং ভাগ দিয়ে কলম;
২ নোং
ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ;
৩ নং
ভাগ দিয়ে আরশ সৃষ্টি করলেন;
৪ নং ভাগ কে
আবার ৪ ভাগ করে
১নং ভাগ দিয়ে আরশ বহন কারী ফেরেশতা
২নং ভাগ দিয়ে কুরসী
৩নং ভাগ অন্যান ফেরেশতা
সেই ৪ নং ভাগ কে আবার ৪ ভাগ করে
১স্ত ভাগ দিয়ে আসমান
২ন্ড ভাগ দিয়ে জমিন
৩রড ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোযখ
অবশিষ্ট ১ ভাগ দিয়ে গোটা সৃষ্টি জগৎ সৃষ্টি করেন.... """"""
Referance::::::­:
Chain of this hadtih
(1) Abdur Razzaq
(2) Ma'mar Bin Rashid
(3)Muhammad bin Munkdar
(4) Jabir Bin Abdullah (Radi ALLAH Ta'ala 'Anhu)
The missing 18 chapter of Musannaf where abdur razzak ibn Humam(RAH).......
http://sunnah.org/sources/musannaf/musannaf_f.htm
References
From : 'Abdur Razzaq
Book : Al Musannaf (Juz Al Mafqood min Juz Al Awwal
min Musannaf)
Volume : 1
Hadith number : 18
From : Qustalani
Book : Mawahib Al Laduniyah
Volume : 1
Page : 71
Imam Qustulani nain farmaya:
"Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni
Sanad say Hazrat Jabir Bin Abdullah R.A say rawayat
kiya hay."
From : 'Ajluni (Isma`il ibn Muhammad d. 1162)
Book : Kashaf Al Khifa
Volume : 1
Page : 311
Hadith number : 827
Imam 'Ajluni nain farmaya:
"Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni
Sanad say rawayat kiya hay."
From : 'Iydarusi
Book : Tarekh An Nur as Saafir
Volume : 1
Page : 8
Imam 'Iydarusi nain farmaya:
"Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni
Sanad say rawayat kiya hay."
From : Halabi
Book : As Sirah
Volume : 1
Page : 50
From : Muhaddith 'Abdur Haq Dihlavi
Book : Madarij al-Nubuwwa
He declared this Hadeeth Sound and Authentic
From : Ahmad al-Shami Son of Ibn e `Abidin
Book : commentary on Ibn Hajar al-Haytami's poem al-
Ni`mat al-kubra `ala al-`alamin
From : Nabhani
Book : Jawahir Al Bihar
Volume : 3
Page : 354
From : Ashraf Ali Thanwi
Book : Nashr At tayyib
Volume : 1
Page : 13.
*****************************
আসুন এবার আমরা হাদীসটির সনদ যাচাই করে দেখি।
১. আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলে মুসলিম উম্মাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ। যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও daif ba দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন না। তাই "হাদীসটি জাল" কথাটি ভুল প্রমাণীত হল।
২. হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম>>জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়্যাল্লাহু আনহু>>মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি>>মা'মার বিন রাশীদ>>আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
এবার দেখা যাক মুহাদ্দীগণের মন্তব্য
(ক) মুহাদ্দীস আব্দুল হক দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুবিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ 'মাদারিজ নব্যুওত' গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।
(খ) আহমাদ ইবন সালীহ (রঃ) বলেন, "আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাকের থেকে আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) বলেন, না"।
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ২/৩৩১]
(গ) হাদীসটির একটি রাবী হলেন মা'মার বিন রাশীদ।
উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে মা'মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর আসকলানী (রঃ) উনাকে দক্ষ মুখস্তবীদ, নির্ভরযোগ্য বলেন।
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫]
মা'মার বিন রাশীদ সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০
(ঘ) হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার।
ইমাম হুমায়দি বলেন, মুকদার একজন হাফিজ
ইমাম জারাহ তাদীল ইবন মা'ঈন বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ভলি ০৯/১১০৪৮]
মুকদার থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম শারীফে ২২টি।
(ঙ) আর জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।
সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস বর্ণিত আছে।
PROOF 11::
Hadith:::::::
হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত যে দিন রাসুলুল্লাহ (সা:)
মদিনাতুল মুনাউউারাহ পৌছালেন মদিনাতুল মুনাওয়ারার সব কিছু ওনার নূর এ আলোকিত হয়ে গিয়েছিল.."
- (তিরমিযী শারীফ;ইবনে মাজাহ)
PROOF 12::
Haadith:::::
عن كعب الخبار رضى الله عنه قال : لما الله ان يخلق المخلوقات بسط الارض وقع السماء وقبض قبضة من نوره و قال لها كونى محمدا فصارت عمودا من نوره فعلا حتى انتهى الى حجب العظمة فسجد و قال فى سجوده الحمد لله فقال الله سبحانه و تعالى لهذا خلقتك و سميتك محمد صلى الله عليه و سلم منك ابدا الخلق و بك اختم الرسل-
অর্থ : হযরত কাব আহবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন যখন সৃষ্টি জগত সৃজন করার ইচ্ছা করলেন তখন মাটিকে সস্প্রসারিত করলেন, আকাশকে
উঁচু করলেন এবং আপন নূও হতে এক মুষ্ঠি নূর গ্রহন করলেন। তারপর উক্ত নূরকে নির্দেশ দিলেন’ তুমি মুহাম্ম্‌দ হয়ে যাও।’ অতএব সে নূও স্তম্ভের ন্যায় উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং মহত্বের পর্দা পর্যন্ত পৈাছে সিজদায় পরে বলল,’আলহামদুলিল ্লাহ্‌’ তখন আল্লাহ্‌ পাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ হল,এজন্যই তোমাকে সৃষ্টি করেছি আর তোমার নাম মুহাম্ম্‌দ রেখেছি। তোমার হতেই সৃষ্টি কাজ শুরু করব এবং তোমাতেই রিসালাতের ধারা সমাপ্ত করব। (সিরাতুল হালাভিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০)।
PROOF 13::
Hadith:::::::
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন,"আমার জন্মের সময় সিরিয়
প্রাসাদ গুলো আলোকিত হয়েছিলো"
~~আলি কারি(রাহঃ) এর মিরকাত শরহে মিশকাত......
PROOF 14::
Hadith:::::::
The Prophet - Peace be upon him said): My mother saw such a Light (Nur) coming out from her body that it lit the castles of Syria.
Reference:::
►Bayhaqi, Dala’il un Nubuwwah, Volume 001, Page No. 83 Click here for Scanned Page ( 34 (
►Imam Ibn Kathir (rah) narrated it in his Tafsir (4:360).
►It is also narrated by al-Hakim in his Mustadrak (2:616-617)
►Ahmad in his Musnad (4:184)
►Bayhaqi again in Dala'il al-nubuwwa (1:110, 2:8).
►Ibn al-Jawzi cites it in al-Wafa' (p. 91, ch. 21 of Bidayat nabiyyina sallallahu `alayhi wa sallam
►Haythami cites it in Majma` al-zawa'id (8:221) and said Tabarani and Ahmad narrated it, and Ahmad's chain is fair (hasan). See for Ahmad's complete text Bisharatu `Isa (#454)
PROOF 15::.
Hadith:::::::
عن عائشة رضي الله عنها قالت : كنت في الشجر ثوبا لرسول الله صلي عليه و سلم فانطفا المصباح و سقطت الابرة من يدي فدخل علي رسول الله صلي الله عليه و سلم فاضاء من نور وجهه فجدت الابرة-
অর্থ : “হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় মোবারক সেলাই করেছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুচটি হারিয়ে ফেললাম। এরপরই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুচটি খুজে পেলাম”। (ইমাম ইবনে হায়তামী (রাঃ) এর আন-নে’মাতুল কোবরা আলার আলম গ্রন্থে ৪১ পৃষ্ঠা)।
PROOF 16::
Hadith:::;;::
রাসূল(সা:) বলেন ''
আমি হচ্ছি হযরত ইব্রাহীম(আ:) এর দোয়া আর হযরত ঈসা (আ:) এর তার জাতি কে দেয়া সুসংবাদ।আমার আম্মাজানের দেখা সেই নূর যা তার দেহ থেকে বেরিয়ে সিরিয়ার প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল.. "
referance::::::­:::
1. Imam Byhaqi~~[Al Haakim, Al mustadrak, Volume
002, Page No. 705]
References of Hadith number 4233
#1
From : Ibn e Sa'd
Book : Tabqaat Al Kubra
Volume : 1
Page : 150
#2
From : Bayhaqi
Book : Dalaeel un Nubuwwah
Volume : 1
Page : 83
#3
From : Ibn e 'Asakir
Book : Tareekh Madeenat Damishq
Volume/page : 1/170 and 3/393
# 4
From : Qurtabi
Book : Jami' Al Ahkaam Al quran
Volume : 2
Page : 131
# 5
From : Tabari
Book : jami' Al Bayan
Volume : 1
Page : 556
#6
From : Ibn e Katheer
Book : Tafseer Al Quran Al Azeem
Volume : 4
Page : 361
#7
From : Samarqani
Book : Tafseer
Volume : 3
Page : 421
# 8
From : Tabarai
Book : Tareekh Al Umam wal Mulook
Volume : 1
Page : 458
#9
From : Ibn e Ishaaq
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 28
# 10
From : Ibn e Hisham
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 302
#11
From : Halabi
Book : Seerat Al Halabiyyah
Volume : 1
Page : 77
[Al Haakim, Al mustadrak, Volume 002, Page No. 724]
***************­ ***************
***************­ ***************
PROOF 17::
Hadith:::::::
Hazrat Ali bin Al-Hussain (Zainul Abdeen) narrated from ''''''his father Hazrat Hussain (رضی اللہ عنہ) '''''''and he narrated from ''''''his father (Hazrat Aliرضی اللہ عنہ)''''''' that the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) said:
"""আদম(আ:) সৃষ্টির
40,000 বছর পূর্বে আমার প্রভুর সামনে আমি ছিলাম একটা নূর ..""".
Reference:: Ashraf Ali Thanwi---has mentioned this Hadith in his book نشر الطیب فی ذکر النبی الحبیب صلی اللہ علیہ وسلم
PROOF 18::
"এ কথা সবাই জানে যে আমাদের হুজুর(সা) এর দেহ মোবারক এর কোনো ছায়া ছিল
না,কেননা ওনার(সা) আপাদ-মস্তক নূরের"
(আশরাফ আলী থানভী~শোকরে নিয়ামত পি ৩৯)
PROOF 19::
এছাড়াও উনার বিখ্যাত কিতাব “Nashr ut Teeb fi Dhikr il Nabbiyal Habeeb” এও নবী কারীম(সাঃ) এর নূরের কথা লিখেছেন। স্ক্যান কপিসহ দেখুনঃ
http://salafiaqeedah.blogspot.com/2012/05/deobandi-fabrication-in-nashr-ut-teeb.html
PROOF 20::
ঈমাম-এ-আজম হযরত আবু হানিফা (রাহ:) বলেন...
" ইয়া রাসূলাল্লাহ(সা:­) আপনে হলেন এমন নূর যার আলোতে একটা পূর্ণ চন্দ্র আলোকিত হয় & আপনার সুন্দর্য ও মার্জিত ভাবের দারা আপনে একটা আলোকিত সূর্য.."
(Qasidaul Nu'maan.}
PROOF 21::
Hadith:::::::
لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ وَلَمَّا نَفَضْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَيْدِي وَإِنَّا لَفِيدَفْنِهِ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا
Sayyidina Anas ibn Maalik (RA) narrated: The day when Allah’s Messenger entered Madinah, everything in it was illuminated. Then, the day when he died everything in it became dark. And we had barely dusted off our hands after burying him when our hearts changed.
References::::
►Trimidhi Hadith No: 3638
►Musnad Ahmad Hadith No: 13311
►Ibne Majah Hadith No: 1613
►Muwahibul ladaniyah pg 68 vol 1
►Mustadrik pg 12 vol 3
PROOF 22::
Imam Tirmidhi wrote that when Prophet (May Allah bless him and grant him peace) smiled, it seemed as if Noor was coming from his teeth.
(Chap on Shamaa’il Tirmidhi)
PROOF 23::
Mullah Ali Qari (rah) beautifully said:
الأوّل الحقيقي هو النور المحمدي على ما بينته في المورد للمولد
Translation: The first reality is the “NUR-AL-MUHAMMADI” as I have mentioned in my book Al-Mawrid lil-Mawlid.
Reference:::
[Mullah Ali Qari in Mirqat, Sharh al Mishqaat (1/289), Published by Dar ul Fikr, Beirut, Lebanon]
PROOF 24::
Hadith:::::::
Prophet (Peacebe upon him) said: “The First thing which Allah created was my Nur” and It has also come in another report that It was his “RUH” and both of them “HAVE SAME MEANING BECAUSE SPIRITS ARE CREATED FROM NUR
Reference:::
[Mullah Ali Qari in Mirqat, Sharh al-Mishqaat (1/290), Published
by Dar ul Fikr, Beirut, Lebanon
PROOF 25::
Sheikh Abdul Qadir al Jilani (Rahimuhullah) said in his book Sirr-al-Asrar:
سر الأسرار إلى عبد القادر الجيلاني ، معي الآن مقطع منه فيمايتعلق بهذه الفقرة، يقول: ' اعلم وفقك الله لما يحب ويرضى،لقد خلق الله تعالى روح محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَأولاً: من نوره وجماله،
Allah created the Ruh of Muhammad (Peace be upon him) from his Nur of beauty [Al-Sirr al Israr]
PROOF 26::
Hadith:::::::
مجتمعات فقالت امرأة منهن يا نساء قريش أيتكن تتزوج هذا الفتى فتصطاد النور الذي بين عينيه وإن بين عينيه نوراً قال فتزوجته آمنة بنت وهب بن عبد مناف بن زهرةفجامعها فحملت برسول الله
al-Zuhri narrated: `Abd Allah ibn `Abd al-Muttalib wasthe most handsome man that had ever been seen among the Quraysh. One day he went out and was seen by a an assembly of the women of Quraysh. One of them said: "O women of the Quraysh, which among you will marry this youth and catch thereby the light that is between his eyes?" For verily there was a light between his eyes. Thereafter Amina bint Wahb ibn `Abd Manaf ibn Zuhra married him, and after he joined her she carried Allah's Messenger.
References
►al-Bayhaqi narrated it in Dala'il al-nubuwwa (1:87)
► Tabari in his Tarikh (2:243)
►Ibn al-Jawzi in al-Wafa' (p. 82-83, ch. 16 of Abwab bidayati nabiyyina)
PROOF 27::
Hadith:::::::
Sayyiduna Ali Murtuza (radi Allahu anhu) said that when the Beloved of Allah (sallal laahu alaihi wasallam) spoke, Noor (light) used to be seen emerging from between his blessed teeth.
(Imam kastalani(rah) in Muwahibul Laduniya; Anwaarul Muhammadiyah)
PROOF 28::
Ibn-al-Jawzi narrates that the Noor of the Prophet Sallallahu ‘alaihi wa sallam would overcome the light of both the sun and the lamp.
[Al-wafa Ibn Jawzi Chapter Al Wilaada]
PROOF 29::
Hadith:::::::
أخبرنا أبو الحسن علي بن أحمد بن سيماء المقرئ ، قدم علينا حاجا ، حدثنا أبو سعيد الخليل بن أحمد بن الخليل القاضي السجزي ، أنبأنا أبو العباس محمد بن إسحاق الثقفي ، حدثنا أبو عبيد الله يحيى بن محمد بن السكن ، حدثنا حبان بن هلال ، حدثنا مبارك بن فضالة ، حدثنا عبيد الله بن عمر ، عن خبيب بن عبد الرحمن ، عن حفص بن عاصم ، عن أبي هريرة ، عن النبيصلى الله عليه وسلم قال: «لما خلق الله عز وجل آدم خير لآدم بنيه، فجعل يرى فضائل بعضهم على بعض، قال: فرآني نورا ساطعا في أسفلهم ، فقال: يا رب من هذا؟ قال: هذا ابنك أحمد صلى الله عليه وسلم هو الأول والآخر وهو أول شافع «
Translation : Abu Hurraira (ra) narrates from the Messenger of Allah (May Peace be upon him) that he said: When Allah created Adam (Peace be upon him) He informed him of his descendants, at this Adam (Peace be upon him) saw superiority of some over others, then he saw me towards the end in form of an “ILLUMINATING NUR” (i.e. first to be created from Nur but sent in last), he (Adam) said: O my Lord who is this? The Lord replied: This is your son Ahmed who is the first and the last and (on the Day of Judgment) he will be first to do intercession. [Imam Bayhaqi in his Dalail an Nabuwwah: Volume 005, Page No. 483]
PROOF 30::
Hadith:::::::
Hadrat Sayyida Halima Sa'adiya (radi Allahu anha) who was the one responsible for feeding milk to the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) The one before whom the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) used to eat and drink, even she believed that the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) was Noor and this hasbeen explained by Allama Muhadith Ibn Jauzi and QaziThanaullah Paani Pati (rahmatuallah aleh) as follows: "When I used to feed milk to the Holy Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم) then I never felt the need for a light in my house. Thus one day Umme Khula Sa'diya said,"O Halima ! Do you leave the fire burning for the entirenight in your house? and I answered by saying, "No! I swear by Almighty Allah that I do not keep the fire burning at all. T his Noor and brightness is that of Sayidduna Rasoolullah Prophet (صلى الله عليه وآله وسلم)
Reference
►Bayaanul Miladun Nabwi pg 54 - Tafseere Mazhari
PROOF 31::
Hadith:::::::
ইবন তায়্যিমিয়ার ছাত্র ইবনুল কায়্যিউমও নবী কারীম(সাঃ) এর নূরের কথা লিখেছেনঃ
we read that al-‘Abbas, may Allah be pleased with him, said to him: O Messenger of Allah (may Allah bless him and grant him peace) I wish to praise you. The Messenger of Allah (may Allah bless him and grant him peace) replied: “Go ahead – may Allah adorn your mouth with silver!” He said a poem that ended with these lines: “And then, when you were born, a light rose over the earth until it illuminated the horizon with its radiance. We are in that illumination and that original light and those paths of guidance – and thanks to them pierce through.”
[Ibn al-Qayyim in Zad al-ma ‘ad]
PROOF 32::
"norim min noorallahi"
মানে "যিনি আল্লাহ্‌ পাকের উজ্জ্বল
জ্যোতি/আলো/নোর"
~~~~~~দুরুদে তাজ~~~~~.
দয়া করে সুরা কাহাফ ১১০ নং হামীম- সিজদাহ- ৬ ও এরকম আয়াতের ব্যাখ্যা
এখানে দেখুন০০
https://m.facebook.com/photo.php?fbid=462043240563056&id=100002721537813&st=14
বিষয়টি বুঝার সুবিধার জন্য ব্যাখ্যাসহকারে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিনঃ
http://www.sunnibarta2.files.wordpress.com/2007/10/noor_nabi_complete.pdf
ইংরেজীতে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রমাণের জন্য আরবী বই এর স্ক্যান কপিসহ দেখুনঃ
http://wajahat-hussain.blogspot.com/2011/12/hadeeth-e-nur-of-jabir-bin-abdullah.html
http://salafiaqeedah.blogspot.com

মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন ,

*
وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্যে এবং রুকু সেজদাকারীদের জন্যে (সূরা হজ্জ-২৬) |

* আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন "
وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু সেজদাকারীদের জন্যে পবিত্র রাখ।” (সূরা বাকারা-১২৫) |

* উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ইবাদতের ঘরকে নামাজ, ইতিকাফ তথা ইবাদতের জন্য পবিত্র রাখতে হবে | কেননা প্রত্যেকটি মসজিদ হলো খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি | আবাসিক হোটেল বানিয়ে তার পবিত্রতা নষ্ট করা উচিত নয় |

* ফতোয়া আলমগীরীতে উল্লেখ আছে, “মসজিদে না ঘুমানই উত্তম |” নবীজি (সা.) তিন মসজিদ ব্যতিরেকে অন্য কোন মসজিদে সফর করতে নিষেধ করেছেন | হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تشد الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد المسجد الحرام ومسجد الرسول صلى الله عليه و سلم ومسجد الأقصى
অর্থাৎ ‘তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে সফর করা যাবে না | মসজিদে হারাম (মক্কা), আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে আল আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস)”| ( বুখারী শরীফ - ১১২৩ , মুসলিম শরীফ -৩৪৫০ )

* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ,
" قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ينبغي للمطي أن تشد رحاله إلى مسجد يبتغى فيه الصلاة غير المسجد الحرام والمسجد الأقصى ومسجدي هذا
অর্থাৎ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, “মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববী ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করা কোন মুসাফিরের জন্য সঙ্গত নয় | (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১১৬০৯) |

* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ," হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আকরাম (রা.) হতে বর্ণিত হুযুর আকরাম (সা.) এরশাদ করেন, “তোমরা মসজিদকে ঘুমাবার স্থান বানাইও না | ” (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৫ম খন্ড, ৪৪৬ পৃষ্ঠা) |

একমাত্র ইতেকাফকারির জন্যই কেবল মসজিদে খাওয়া দাওয়া নিদ্রা ও বসবাস ইত্যাদির অনুমতি শরিয়তে রয়েছে তাই বলে পাইকারি হারে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা মসজিদকে বাসস্থান হিসেবে ব্যাবহার করা নিজের ঘরের ন্যায় এটা কোন ক্রমেই শরিয়ত সমর্থিত হতে পারেনা মসজিদের আদব সম্পর্কে গ্য়াত অগাত বালেগ নাবালেগ যুব বৃদ্ধ নির্বেশেষে সর্বস্তরের লোক দু এক কথা আলোচনা করত নির্দ্বিধায় মসজিদে অবস্তান করত পার্থিব কথা বার্তা পানাহার উঠা বসা ও নিদ্রা ইত্যাদি কাজগুলো করায় মসজিদের ইজ্জত হুরমত বিনষ্ট হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই এ খানে উল্লেখ যে শরিয়ী ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত,চাই ওয়াজীব ইতেকাফ হোক বা নফল হোক*
ইতেকাফের অর্থ হলো,ইতেকাফের নিয়তে রোজা রাখা অবস্তায় মসজিদে অবস্তান করা*ইতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য হানাফি মাজহাব মতে রোজা রাখা শর্ত তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতে শর্ত নয় আমাদের ইমামগনের মতে ওয়াজীব ইতেকাফ রোজা ব্যতীত সহীহ হবে না,এমনকি নফল ইতেকাফ রোযা ব্যতীত ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মতে সহীহ হবেব এ মতটি ইমাম হাসান আবু হানিফা রহঃ হতে বর্ননা করেছেন জাহের রেওয়াতে রোজা রাখা ব্যতিত ইতেকাফ শুদ্ধ নয় এমতের ভিত্ততে একদিনের কম কোন ইতেকাফ শরিয়তের গ্রহনযোগ্য নয়*ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর মতে কম পখে এক ঘন্টায় ইতেকাফ হবে কিন্তু তার এ মত গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারন হলো এ কওলের সমার্থনে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীস নেই*

please visit
http://salafiaqeedah.blogspot.com/2011/06/conversation-between-mr-h-and-mr-y-part.html
153Like · ·

$$বুখারী শারীফের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল দেওবন্দী/কাওমী/হিফাজতিরা$$



দেওবন্দী/কাওমী/হেফাজতিদের গুরু জুনায়েদ বাবু নগরী তার মিলাদ বিরোধী লিখায় সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারী’ এর লেখক আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে একজন মিলাদ বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে লিখে
///আল্লামা হাফেজ ইব্নে হাজার আসক্বালানী শাফী (রাহ্.)কে প্রশ্ন করা হয়, মীলাদ অনুষ্ঠান কি বিদ্আত? না শরীয়তে এর কোন ভিত্তি আছে? জবাবে তিনি বলেন, “মীলাদ অনুষ্ঠান মলতঃ বিদ্আত। তিন পবিত্র যুগের সালফে সালিহীনের আমলে এর অস্তিত্ব ছিল না।” (হিওয়ার মাআল মালিকী-১৭৭ পৃষ্ঠা)।///

আসুন এবার ইমাম ইবন হাজর আসকলানী (রঃ) সম্পূর্ণ মন্তব্য দেখা যাক আরবী বই এর স্ক্যান কপিসহ

শায়খুল ইসলাম ও মুহাদ্দীস ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে মহানবী (দ:)-এর মীলাদ দিবস উদযাপন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি লিখিতভাবে যে উত্তর দেন তা নিম্নরূপ: “মীলাদুন্নবী (দ:) উদযাপনের উৎস বলতে এটি এমন এক বেদআত (উদ্ভাবন) যা প্রথম তিন শতকের সালাফ আস্ সালেহীন (পুণ্যাত্মাবৃন্দ) কর্তৃক আমাদেরকে জ্ঞাত করানো হয় নি, যদিও এতে প্রশংসনীয় ও প্রশংসনীয় নয় উভয় দিকই বিদ্যমান। কেউ প্রশংসনীয় দিকগুলো গ্রহণ করে প্রশংসনীয় নয় এমন দিকগুলো বর্জন করায় যত্নবান হলে তা বেদআতে হাসানা তথা কল্যাণময় নতুন প্রথা হবে। আর তা না হলে এর উল্টো হবে। এ বিষয়ের বৈধতা প্রতীয়মানকারী একটি নির্ভরযোগ্য শরীয়তের দলিল আমার সামনে এসেছে, আর তা হলো বুখারী ও মুসলিম শরীফে উদ্ধৃত সহীহ হাদীস যা’তে বর্ণিত হয়েছে যে মহানবী (দ:) মদীনা মোনাওয়ারায় হিজরত করে দেখতে পান সেখানকার ইহুদীরা ১০ই মহররম (আশুরা) তারিখে রোযা রাখেন। এমতাবস্থায় তিনি তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তর দেন, ‘এই দিনে আল্লাহতা’লা ফেরাউনকে পানিতে ডুবিয়ে মূসা (আ:)-কে রক্ষা করেন। তাই আমরা মহান প্রভুর দরবারে এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে রোযা রেখে থাকি।’ এই ঘটনা পরিস্ফুট করে যে আল্লাহতা’লার রহমত অবতরণের কিংবা বালা-মসীবত দূর হওয়ার কোনো বিশেষ দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, সেই উদ্দেশ্যে বার্ষিকী হিসেবে তা উদযাপনের সময় নামায, রোযা, দান-সদকাহ বা কুরআন তেলাওয়াতের মতো বিভিন্ন এবাদত-বন্দেগী পালন করা শরীয়তে জায়েয। আর রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর মীলাদের (ধরণীতে শুভাগমন দিবসের) চেয়ে আল্লাহর বড় রহমত কী-ই বা হতে পারে? এরই আলোকে প্রত্যেকের উচিত হযরত মূসা (আ:) ও ১০ই মহররমের ঘটনার (দালিলিক ভিত্তির) সাথে সঙ্গতি রেখে মীলাদুন্নবী (দ:) দিবস উদযাপন করা; তবে যাঁরা এটি বিবেচনায় নেন না, তাঁরা (রবিউল আউয়াল) মাসের যে কোনো দিন তা উদযাপনে আপত্তি করেন না; অপর দিকে কেউ কেউ সারা বছরের যে কোনো সময় (দিন/ক্ষণ) তা উদযাপনকে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই বৈধ জেনেছেন। ”আমি মওলিদের বৈধতার দলিল সুন্নাহ’র আরেকটি উৎস থেকে পেয়েছি (আশুরার হাদীস থেকে বের করা সিদ্ধান্তের বাইরে)। এই হাদীস ইমাম বায়হাকী (রহ:) হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন: ‘হুযূর পাক (দ:) নবুয়্যত প্রাপ্তির পর নিজের নামে আকিকাহ করেন; অথচ তাঁর দাদা আবদুল মোত্তালিব তাঁরই বেলাদতের সপ্তম দিবসে তাঁর নামে আকিকাহ করেছিলেন, আর আকিকাহ দু’বার করা যায় না। অতএব, রাসূলে খোদা (দ:) বিশ্বজগতে আল্লাহর রহমত হিসেবে প্রেরিত হওয়ায় মহান প্রভুর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে এটি করেছিলেন, তাঁর উম্মতকে সম্মানিত করার জন্যেও, যেমনিভাবে তিনি নিজের ওসীলা দিয়ে দোয়া করতেন। তাই আমাদের জন্যেও এটি করা উত্তম হবে যে আমরা মীলাদুন্নবী (দ:) দিবসে কৃতজ্ঞতাসূচক খুশি প্রকাশার্থে আমাদের দ্বীনী ভাইদের সাথে সমবেত হই, মানুষদেরকে খাবার পরিবেশন করি এবং অন্যান্য সওয়াবদায়ক আমল পালন করি।’ এই হাদীস পূর্বোক্ত মহানবী (দ:)-এর দ্বারা মীলাদ ও নবুয়্যত-প্রাপ্তির দিবস পালনার্থে সোমবার রোযা রাখার হাদীসকে সমর্থন দেয়।”
[হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, পৃষ্ঠা ৬৩-৬৫]
এবার মূল আরবী কিতাবের স্ক্যান কপি দেখুনঃ
১. http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=56
২. http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=57
৩. http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=58

এছাড়াও নিচের ভিডিও দেখুন ২২ মিনিট থেকে
http://www.youtube.com/watch?v=gd_zCvmQaeM

বর্তমান দেওবন্দীরা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নামে আংশিক বক্তব্য উপস্থাপন করলে কি হবে? দেওবন্দীদের অতীতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য আলেম মাওলানা হাফিজ মুহাম্মদ আব্দুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর স্বরচিত বিখ্যাত কিতাব “আদ-দুরুল মুনাজ্জাম ফি হুকুমে আমলে মাওলাদিন নাবীয়্যিল আযম” গ্রন্থের ২৪৭-২৪৮ পৃষ্ঠায় হুবুহু তাই বলেছেন যা আমরা উপরে বলেছি। কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে নিচের লিঙ্ক থেকে এই কিতাবটি ডাউনলোড করে নিজেই পড়ে দেখুন
http://www.mediafire.com/view/za2ghxgbsc6645l/Milader+Hukum-Abdul+Hoque+Muhajire+Makki.pdf

দেওবন্দীরা মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীকার করে না দেখে তারা তা পালন করে না। এদের পালন করতে কে বলেছে? কিন্তু তাই বলে এদের এভাবে জালিয়াতির কারণ কি? আসুন হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবু নগরীর মত ব্যক্তিদের আমরা কিছু না বলি। এদের ভার পরকালে আল্লাহ এর উপরেই ন্যস্ত করি। আল্লাহ তা’আলা ই নিজে উনার বিচার করবেন।

আল্লাহ তা'আলা এর কাছে দু'আ করি তিনি যেন আমাদের এদের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁরই হাবীবে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উসিয়া জান্নাত দান করে। আমীন! সুম্মা আমীন!!
91Like · ·

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে খোলাফায়ে রাশেদিন (রাদ্বিয়ল্লাহু আনহু)-দের মন্তব্য৳৳


Photo: ‎৳৳পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে খোলাফায়ে রাশেদিন (রাদ্বিয়ল্লাহু আনহু)-দের মন্তব্য৳৳

হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে--
عن العرباض بن سارية رضي الله عنه قال قال رسول صلي الله عليه و سلم عليكم بسنتي و سنة الخلفاء الراشدين المهدين تمسكوا بها و عضوا عليها بالنواجذ
অর্থ : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুন উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয় ! তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো !
[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস শরীফ নং ৪২; তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং ২৬৭৬; আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং ৪৬০৭; মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪/১২৬]

হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা নিজেরা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন , এবং আমল করার ফযীলত বর্ণনা করেছেন ! মীলাদ শরীফ সম্পর্কে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের বর্ণনা করা হাদীস শরীফ উল্লেখ করা হলো

১। সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ مَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَرَفِيْقِى فىِ الجَنّةِ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]

২। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন -
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَخْيَا الاسْالاَمُ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]

৩। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) বলেন -
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قرأة مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ فَكَا نَّمَا ثَهِيد غَزُوَةِ بَدَر رَوحُنَيْنُ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]

৪। চুতর্থ খলিফা হযরত আলি মুরতাদ্বার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَحْرُمُ مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]

আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে হাদীসের সনদসমূহ সহীহ। তিনি তাঁর ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উপরে উল্লিখিত বর্ণনা উপস্থাপন করে বলেছেন যে, আমার উপরোক্ত হাদীস সমূহের সনদ জানা রয়েছে। কিন্তু কিতাব বড় হয়ে যাবার আশংকায় আমি সেগুলো অত্র কিতাবে উল্লেখ করিনি।

আল্লামা ইবন হাজর হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নির্ভরতা প্রশ্নাতীত। তাঁর উক্ত কিতাবের উপর বহু শরাহ লিখা হয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা দাউদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আল্লামা সাইয়িদ আহমদ আবেদীন দামেস্কি রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। উনার রিওয়াতকৃত উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণীত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী চালু ছিল এবং তারাও এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।

উক্ত সহীহ হাদীস শরীফ সমুহ থেকে মীলাদ শরীফ পাঠ করা যে কত গুরুত্বপূর্ণ এবং খলিফাগণের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খাস সুন্নত তা দিবালোক এর ন্যায় প্রমান হলো !

আরও বিস্তারিত তথ্য প্রমাণের জন্য দেখুন
https://www.facebook.com/media/set/?set=a.664596280257614
.‎

হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে--
عن العرباض بن سارية رضي الله عنه قال قال رسول صلي الله عليه و سلم عليكم بسنتي و سنة الخلفاء الراشدين المهدين تمسكوا بها و عضوا عليها بالنواجذ
অর্থ : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুন উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয় ! তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো !
[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস শরীফ নং ৪২; তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং ২৬৭৬; আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং ৪৬০৭; মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪/১২৬]

হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা নিজেরা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন , এবং আমল করার ফযীলত বর্ণনা করেছেন ! মীলাদ শরীফ সম্পর্কে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের বর্ণনা করা হাদীস শরীফ উল্লেখ করা হলো

১। সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ مَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَرَفِيْقِى فىِ الجَنّةِ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]

২। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন -
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَخْيَا الاسْالاَمُ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]

৩। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) বলেন -
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قرأة مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ فَكَا نَّمَا ثَهِيد غَزُوَةِ بَدَر رَوحُنَيْنُ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]

৪। চুতর্থ খলিফা হযরত আলি মুরতাদ্বার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَحْرُمُ مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]

আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে হাদীসের সনদসমূহ সহীহ। তিনি তাঁর ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উপরে উল্লিখিত বর্ণনা উপস্থাপন করে বলেছেন যে, আমার উপরোক্ত হাদীস সমূহের সনদ জানা রয়েছে। কিন্তু কিতাব বড় হয়ে যাবার আশংকায় আমি সেগুলো অত্র কিতাবে উল্লেখ করিনি।

আল্লামা ইবন হাজর হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নির্ভরতা প্রশ্নাতীত। তাঁর উক্ত কিতাবের উপর বহু শরাহ লিখা হয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা দাউদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আল্লামা সাইয়িদ আহমদ আবেদীন দামেস্কি রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। উনার রিওয়াতকৃত উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণীত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী চালু ছিল এবং তারাও এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।

উক্ত সহীহ হাদীস শরীফ সমুহ থেকে মীলাদ শরীফ পাঠ করা যে কত গুরুত্বপূর্ণ এবং খলিফাগণের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খাস সুন্নত তা দিবালোক এর ন্যায় প্রমান হলো !

আরও বিস্তারিত তথ্য প্রমাণের জন্য দেখুন
https://www.facebook.com/media/set/?set=a.664596280257614
.

সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফযীলত

Photo: সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফযীলত

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা এবং হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মূল, দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী, জান্নাতী মহিলা উনাদের সাইয়্যিদা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সবচেয়ে আদরের কন্যা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ, উনার কলিজা মুবারক উনার টুকরা মুবারক, নয়নের মণি এবং অন্যতমা মহিলা ছাহাবী হলেন উম্মু আবীহা, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। উনার বেমছাল ও ওয়ারাউল ওয়ারা ফযীলত মুবারক উনার অতি ক্ষুদ্র বর্ণনা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার গোশত মুবারক উনার একখানা টুকরা মুবারক। সুতরাং যে উনাকে ক্ষুব্ধ করলো সে আমাকে ক্ষুব্ধ করলো। যা উনাকে ব্যথিত করে, তা আমাকে ব্যথিত করে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম! আপনি কী জান্নাতী নারীদের সাইয়্যিদা হলে আনন্দিত হবেন না?” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হলেন সকল জান্নাতী নারী উনাদের সাইয়্যিদা।”

উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম।” (তিরমিযী শরীফ)

উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে বলেন, “হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার চেয়ে সত্যবাদী উনার পিতা ব্যতীত আমি আর কাউকে দেখিনি।”

মূলত, উনার ফাযায়িল-ফযীলত বেমেছাল ওয়ারাউল ওয়ারা, যা সৃষ্টি জগতে কারো পক্ষে ব্যক্ত করা আদৌ সম্ভব নয়। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে উনার ফাযায়িল-ফযীলত বেশি বেশি আলোচনা মুবারক করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

পোষ্ট লেখেছেনঃ Areefur Rahman

হযরত মা ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর জীবনী বিষয়ক একটি চমৎকার গ্রন্থ "নবী নন্দিনী"।
ডাউনলোড লিঙ্ক:
http://www.mediafire.com/view/my0od2qstj499d3/A_life_sketch_of_Hazrat_Fatema_Johora_%28Ra%29.pdf
মাত্র ৬৪০ কে.বি.
.
.


হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা এবং হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মূল, দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী, জান্নাতী মহিলা উনাদের সাইয়্যিদা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সবচেয়ে আদরের কন্যা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ, উনার কলিজা মুবারক উনার টুকরা মুবারক, নয়নের মণি এবং অন্যতমা মহিলা ছাহাবী হলেন উম্মু আবীহা, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। উনার বেমছাল ও ওয়ারাউল ওয়ারা ফযীলত মুবারক উনার অতি ক্ষুদ্র বর্ণনা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার গোশত মুবারক উনার একখানা টুকরা মুবারক। সুতরাং যে উনাকে ক্ষুব্ধ করলো সে আমাকে ক্ষুব্ধ করলো। যা উনাকে ব্যথিত করে, তা আমাকে ব্যথিত করে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম! আপনি কী জান্নাতী নারীদের সাইয়্যিদা হলে আনন্দিত হবেন না?” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হলেন সকল জান্নাতী নারী উনাদের সাইয়্যিদা।”

উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম।” (তিরমিযী শরীফ)

উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে বলেন, “হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার চেয়ে সত্যবাদী উনার পিতা ব্যতীত আমি আর কাউকে দেখিনি।”

মূলত, উনার ফাযায়িল-ফযীলত বেমেছাল ওয়ারাউল ওয়ারা, যা সৃষ্টি জগতে কারো পক্ষে ব্যক্ত করা আদৌ সম্ভব নয়। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে উনার ফাযায়িল-ফযীলত বেশি বেশি আলোচনা মুবারক করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

পোষ্ট লেখেছেনঃ Areefur Rahman

হযরত মা ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর জীবনী বিষয়ক একটি চমৎকার গ্রন্থ "নবী নন্দিনী"।
ডাউনলোড লিঙ্ক:
http://www.mediafire.com/view/my0od2qstj499d3/A_life_sketch_of_Hazrat_Fatema_Johora_%28Ra%29.pdf
মাত্র ৬৪০ কে.বি.
.
.

সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস (পূর্ণাঙ্গ)

[১. মিশরের মুরসি সরকারের পতনের পর সৌদি সরকারের ভূমিকায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই দালাল রাজপরিবারের ইতিহাস তাই মুসলিম উম্মাহর জেনে রাখা প্রয়োজন। বিশেষত বাংলাদেশে যেসব গণতন্ত্রবাদী কথিত ইসলামপন্থী বাস্তবে সৌদি রাজপরিবারের গুণমুগ্ধ ও মার্কিন দূতাবাসে নিয়মিত হাজিরাদানকারী হয়েও মুরসি ও মুসলিম উম্মাহর ভক্ত সেজে ব্লগে-ফেসবুকে মায়াকান্না করেন, তাদের এই দালাল রাজপরিবারের গোড়ার কাহিনি জানা বেশি প্রয়োজন।

২. সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনাকে ওয়াহাবী মতবাদের সমালোচনা হিসেবে ভেবে যারা ক্ষুব্ধ হন, তারা লক্ষ করুন - এই নোটে কোথাও ওয়াহাবী মতবাদের প্রশংসা/সমালোচনা করা হয়নি - এটা এখানে প্রাসঙ্গিকও নয়। এখানে স্রেফ বলা হয়েছে - সৌদ পরিবার মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক উসমানিয়া খিলাফত ভাঙতে ওয়াহাবী মতবাদকে ব্যবহার করেছিল। আর সৌদ পরিবার জেনে-বুঝে দালালি করেছে তত্কালীন বিশ্বমোড়ল ও খিলাফতের শত্রু ব্রিটেনের।

৩. মাজারকেন্দ্রিক শিরকের চর্চা আর কবর জিয়ারত এক কথা নয়। মাজারকেন্দ্রিক শিরক পরিত্যাজ্য, কিন্তু কবর জিয়ারত একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ।

৪. এই নোটে বহু বই থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে - তবে তথ্যগুলো এতই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, কম-বেশি সব তথ্যই Wikipedia-য় আছে। এমন কি, সৌদি দূতাবাসের ওয়েব সাইটেও আছে [অবশ্যই ব্রিটিশদের দালালির বিষয়টি বাদ দিয়ে]: http://www.saudiembassy.net/about/country-information/history.aspx

৫. যারা সৌদি আরবের ইতিহাস সামগ্রিকভাবে একটি বই থেকেই জানতে চান, তারা Cambridge University Press থেকে ২০০২ সালে প্রকাশিত Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia বইটি পড়তে পারেন। আমি এই বই থেকে সাহায্য নিয়েছি।

৬. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত ২২ পৃষ্ঠার নিবন্ধ/বুকলেট "The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud" এ-বিষয়ে একটি অনবদ্য রচনা। সময়ের অভাবে আমি এটা অনুবাদ করতে পারছি না। কেউ যদি অনুবাদ করে দেন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।]

                                                              *****************

সৌদি আরব হলো কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ। অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

রিয়াদের নিকটস্থ দিরিয়া নামের একটি কৃষিবসতির প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ বিন সৌদ। এই উচ্চাভিলাষী মরুযোদ্ধা ১৭৪৪ সালে আরবের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ বিন ওয়াহাব [ওয়াহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা]-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি করে "দিরিয়া আমিরাত" গঠন করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে শিরক-বিদাত পালনের অভিযোগে এই দুজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। ওই "দিরিয়া আমিরাত"-ই বিশ্বের প্রথম সৌদি রাজ্য/আমিরাত। মুহাম্মদ বিন সৌদ তার পুত্র আবদুল আজিজের সাথে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মেয়ের বিয়ে দেন। এভাবেই সৌদ পরিবার ও ওয়াহাবী মতবাদের মিলনযাত্রা শুরু হয়।

১৭৬৫ সালে মুহাম্মদ বিন সৌদ-এর মৃত্যু হলে তার ছেলে আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়। এই আবদুল আজিজ তত্কালীন বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী মোড়ল ব্রিটেনের সাথে হাত মিলিয়ে তুরস্কের খলিফাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে থাকে। শ্বশুর ইবনে ওয়াহাবের ধর্মীয় মতবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে ব্রিটিশদের সাথে তুর্কি খিলাফত ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয় আবদুল আজিজ।

১৭৯২ সালে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মৃত্যু হয়। ১৮০১/২ সালে আবদুল আজিজ তুর্কি খিলাফতের কাছ থেকে ইরাক দখল করে হজরত আলী (রা.) ও হজরত হুসেন (রা.)-এর মাজার শরিফ ভেঙে ফেলে। এর প্রেক্ষিতে ১৮০৩ সালে একজন শিয়া মুসলিম আজিজকে দিরিয়ায় আসরের নামাজরত অবস্থায় হত্যা করে।

এর পর আবদুল আজিজের ছেলে সৌদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে তুর্কিদের পরাজিত করে ১৮০৩ সালে মক্কা ও ১৮০৪ সালে মদিনা দখল করে নেয়। দুই পবিত্র নগরী দখল করে তারা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। তারা মক্কা-মদিনার বহু মুসলিমকে হত্যা করে। সবই করা হয় সেই শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে! ওয়াহাবী মতবাদের ধর্মীয় শুদ্ধি অভিযানের অজুহাতে তারা বহু সাহাবীর কবরস্থান ধ্বংস করে। এমনকি খোদ মহানবী (সা.)-এর পবিত্র কবরে ছায়াদানকারী মিম্বরগুলোও এরা ভেঙে ফেলে! মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজাকে তুর্কি খলিফারা যেসব মণি-মুক্তায় সাজিয়েছিলেন, শুদ্ধি অভিযানের নামে সেসবও তুলে ফেলে সৌদ-এর বাহিনী। এসবই চলে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে।

ইরাক-মক্কা-মদিনায় সৌদিদের এই ধ্বংসযজ্ঞে তত্কালীন তুর্কি খলিফাগণ ভীষণ রুষ্ট হন। ১৮০৮ সালে খলিফা ২য় মাহমুদ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদিদের দমনে শক্তিশালী সেনাদল পাঠান। ব্রিটিশ বাবারা এবার আর সৌদিদের বাঁচাতে পারেনি। ১৮১৮ সালে সৌদের ছেলে, তত্কালীন সৌদি শাসক আবদুল্লাহ বিন সৌদ তুর্কিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

আবদুল্লাহ বিন সৌদ
আবদুল্লাহ বিন সৌদ

আবদুল্লাহ বিন সৌদকে বন্দী করে ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই পবিত্র নগরী ও বহু মসজিদ ধ্বংসের শাস্তি হিসেবে খলিফা ২য় মাহমুদ-এর নির্দেশে আবদুল্লাহ বিন সৌদ ও তার দুই ছেলেকে ইস্তাম্বুলে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হয়।

খলিফা ২য় মাহমুদ
খলিফা ২য় মাহমুদ

এভাবেই প্রথম সৌদি আমিরাত (১৭৪৪-১৮১৮)-এর পতন হয় ও পবিত্র মক্কা-মদিনাসহ আরবে উসমানিয়া খিলাফতের শাসনকর্তৃত্ব ফিরে আসে।

সৌদ পরিবারের দিরিয়ার আখড়া ১৮১৮ সালে ধ্বংস হয়ে গেলে প্রথম সৌদি আমিরাতের শেষ আমীর আবদুল্লাহর তুর্কি নামের এক পুত্র মরুভূমিতে পালিয়ে যায়। এই তুর্কি বিন আবদুল্লাহ পালিয়ে বনু তামিম গোত্রে আশ্রয় নেয়। পরে ১৮২১ সালে সে আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

১৮২৪ সালে তুর্কি বিন আবদুল্লাহ উসমানিয়াদের নিয়োজিত মিশরীয়দের হটিয়ে দিরিয়া ও রিয়াদ দখল করে নেয়। রিয়াদকে রাজধানী করে গঠিত এই "নজদ আমিরাত" ইতিহাসে দ্বিতীয় সৌদি রাজ্য নামে পরিচিত। দ্বিতীয় সৌদি রাজ্যটি অবশ্য খুব কম এলাকাই দখলে নিতে পেরেছিল। এটি বেশিদিন টিকেওনি। এই নজদ আমিরাতের প্রধানকে "ইমাম" বলা হত এবং ওয়াহাবী মতাবলম্বীরাই ধর্মীয় বিষয়ে কর্তৃত্বশীল ছিল।

তবে এবার সৌদ পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কথিত ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহকে তাঁর এক জ্ঞাতি ভাই মুশারি বিন আবদুর রহমান বিদ্রোহ করে ১৮৩৪ সালে হত্যা করে। তবে ক্ষমতা পায়নি মুশারি। তুর্কির ছেলে ফয়সাল এরপর নজদ আমিরাতের ইমাম হয়।

সৌদ পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। অবশেষে ১৮৯১ সালে মুলায়দার যুদ্ধে উসমানিয়াদের অনুগত রাশিদী বাহিনীর হাতে দ্বিতীয় সৌদি আমিরাতের পতন ঘটে। সৌদিদের শেষ ইমাম আবদুর রহমান বিন ফয়সাল তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ পালিয়ে যায়।

আবদুর রহমান বিন ফয়সাল
আবদুর রহমান বিন ফয়সাল

বিশাল বালুকাময় রুব আল খালি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে আবদুর রহমান তার পুত্র আবদুল আজিজকে [একে মনে রাখুন - পরবর্তী গাদ্দার] নিয়ে দক্ষিণপূর্বে মুররা বেদুইন গোত্রে গিয়ে পালায়। সেখান থেকে তারা বাহরাইনের রাজপরিবারের কাছে গিয়ে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। তার পর ১৮৯৩ সালে আবদুর রহমান ও তার পুত্র শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ দালাল কুয়েতি আল-সাবাহ রাজপরিবারের আশ্রয় পায়।

কুয়েতি রাজপরিবারের সহায়তায় সৌদিরা উসমানিয়া খিলাফতের কর্তৃত্বাধীন নজদে একের পর এক চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। ওয়াহাবী মতবাদের আলোকে পরিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে এসব হামলা চলতে থাকে। কিন্তু এসব হামলায় সৌদিরা তেমন কোনো বড় সাফল্য পায়নি। ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আবদুর রহমান তার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধারের সব উদ্যম হারায়।

১৮৯৯ সালের জানুয়ারিতে কুয়েতের আমির মুবারক আল সাবাহ ব্রিটেনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করে কুয়েতকে ব্রিটেনের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের প্রভাবের বিরুদ্ধেই কুয়েত এই চুক্তি করে ব্রিটেনের সাথে।

সৌদ পরিবারের লড়াইটিও ছিল উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধেই। তাই ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে পিতা আবদুর রহমান হতোদ্যম হলেও পুত্র আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ আবারও আশার আলো দেখে। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯০১ সালের শেষের দিকে কুয়েতের আমির মুবারকের কাছে উসমানিয়াদের নিয়ন্ত্রিত রিয়াদ আক্রমণের জন্য সাহায্য চায়। ব্রিটিশ মদদপুষ্ট কুয়েত সানন্দে ইবনে সৌদকে ঘোড়া ও অস্ত্র সরবরাহ করে।

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ - বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ - বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা

১৯০২ সালের ১৩ জানুয়ারি ইবনে সৌদ সৈন্যসহ রিয়াদের মাসমাক দুর্গ আক্রমণ করে। মাসমাকের উসমানিয়া অনুগত রাশিদী প্রশাসক ইবনে আজলানকে হত্যা করে সৌদিরা। ইবনে সৌদ যুদ্ধজয় শেষে ইবনে আজলানের ছিন্নমস্তকটি নিয়ে দুর্গশীর্ষে আসে এবং নিচে সমবেত উদ্বিগ্ন রিয়াদবাসীর দিকে ছুঁড়ে মারে।

https://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_Riyadh_(1902)

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের রিয়াদ আমিরাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইতিহাসে তৃতীয় সৌদি রাজ্যের সূচনা হয়।

এর পর সৌদিরা একে একে রাশিদীদের নজদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হটিয়ে দিতে থাকে। ১৯০৭ সালের মধ্যে সৌদিরা নজদের বিরাট এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।

১৯০৯ সালে ব্রিটিশরা সামরিক অফিসার William Henry Irvine Shakespear-কে কুয়েতে নিয়োগ দিলে সৌদ পরিবার আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। শেক্সপিয়ারকে ইবনে সৌদ সামরিক উপদেষ্টা বানিয়ে নেয়।

https://en.wikipedia.org/wiki/William_Henry_Irvine_Shakespear

William Henry Irvine Shakespear
William Henry Irvine Shakespear

১৯১৩ সালে সৌদিরা উসমানিয়া সৈন্যদের কাছ থেকে পূর্ব আরবের গুরুত্বপূর্ণ মরুদ্যান হাসা শহর দখল করে নেয়। এর পর পার্শ্ববর্তী কাতিফ শহরও সৌদিরা দখলে নেয়।

পরের বছর ১৯১৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তি জার্মানি-উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। রিয়াদে ব্রিটিশরা শেক্সপিয়ারের মাধ্যমে সৌদিদের সাথে উসমানিয়া অনুগত রাশিদীদের যুদ্ধ লাগায়।

https://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_Jarrab

১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সংঘটিত এই যুদ্ধে রাশিদীরা জয়ী হয় ও শেক্সপিয়ারকে হত্যা করে। রাশিদীরা শেক্সপিয়ারের শিরশ্ছেদ করে ও তার হেলমেট উসমানিয়াদের কাছে হস্তান্তর করে। উসমানিয়ারা সৌদিদের সাথে ব্রিটিশদের সম্পর্কের প্রমাণস্বরূপ শেক্সপিয়ারের হেলমেট মদিনার প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেখায়।

শেক্সপিয়ারকে হারিয়ে বিপর্যস্ত ইবনে সৌদ ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশদের সাথে দারিন চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রিটিশদের পক্ষে ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্য প্রধান মেজর জেনারেল স্যার পার্সি কক্স ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি মোতাবেক সৌদি রাজত্ব ব্রিটিশদের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত হয়।

https://en.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Darin

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জার্মান-উসমানিয়া খিলাফতের দুর্বল অবস্থা ও আল-সৌদ পরিবারের সাথে ব্রিটিশদের সখ্য দেখে চিন্তিত হয়ে ওঠেন মক্কার উসমানিয়া সমর্থিত শাসক হুসাইন বিন আলী।

হুসাইন বিন আলী
হুসাইন বিন আলী

১৯১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে হুসাইন মিশরের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার হেনরি ম্যাকম্যাহনের গোপনে পত্র যোগাযোগ শুরু করেন। ৩০ জানুয়ারি ১৯১৬ পর্যন্ত এই পত্র আদান-প্রদান চলতে থাকে। উসমানিয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত বিশাল আরব ভূ-খণ্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা মতবিনিময় করে।

https://en.wikipedia.org/wiki/Hussein-McMahon_Correspondence


ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মদদে মক্কার শাসক সেই হুসাইন বিন আলী উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ তৈরি করে। ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্সের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় বিশ্বাসঘাতক হুসাইন মিডল-ইস্টার্ন ফ্রন্টে উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুরু করলে বহু উসমানিয়া সৈন্য বন্দী হয় ও অবশেষে উসমানিয়ারা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়।

ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্স - আরববিশ্বে আরব জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা - হলিউডের বিখ্যাত "Lawrence of Arabia" (১৯৬২) মুভিটি একে নিয়েই নির্মিত
ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্স - আরববিশ্বে আরব জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা - হলিউডের বিখ্যাত "Lawrence of Arabia" (১৯৬২) মুভিটি একে নিয়েই নির্মিত


১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।

পুরস্কার হিসেবে ব্রিটিশরা ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর হুসাইন বিন আলীর দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল্লাহকে জর্ডানের রাজত্ব ও তৃতীয় ছেলে ফয়সালকে ইরাকের রাজত্ব দেয়। হুসাইনকে রাখা হয় হেজাজ (পবিত্র মক্কা-মদিনা ও তাবুক অঞ্চল)-এর শাসক হিসেবে।

এভাবে ১ম বিশ্বযুদ্ধ আল-সৌদ পরিবারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে। কেননা ব্রিটিশদের পা-চাটার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিপক্ষ হুসাইন পরিবার এগিয়ে যায় এবং যুদ্ধ শেষে হুসাইন ও তার দুই ছেলে মিলে তিন দেশের রাজত্ব পায়। তবে নজদ (রিয়াদ ও তদসংলগ্ন অঞ্চল)-এর শাসক সৌদিরাই থেকে যায়।

দারিন চুক্তির আওতায় আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ব্রিটিশদের কাছ থেকে বহু অস্ত্র ও মাসে ৫,০০০ পাউন্ড ভাতা (দালালির পুরস্কার) পেতে থাকে।

তথ্যসূত্র: Abdullah Mohammad Sindi, "The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud"

যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ইবনে সৌদকে ১ম বিশ্বযুদ্ধের উদ্বৃত্ত বিপুল গোলাবারুদ দিয়ে দেয়। ওই ব্রিটিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদের সম্ভার নিয়ে সৌদিরা ক্রমধ্বংসমান উসমানিয়া খিলাফতের অনুগত রাশিদীদের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম আরব অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে। ১৯২০ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত লড়ে রাশিদীরা শেষ পর্যন্ত সৌদিদের হাতে পুরোপুরি পরাজিত হয়। ফলে আরবে আল-সৌদ পরিবার নিয়ন্ত্রিত ভূ-খণ্ডের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। ইরাকে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত Percy Cox-এর মধ্যস্থতায় ১৯২২ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত Uqair Protocol-এর আওতায় ওই বিশাল অঞ্চলে সৌদি রাজত্ব স্বীকৃতি লাভ করে।

http://en.wikipedia.org/wiki/Uqair_Protocol_of_1922

এ-সময় পর্যন্ত আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কখনোই ব্রিটিশ অনুগত হেজাজের শাসক হুসাইনের সাথে সংঘাতে জড়ায়নি।

১৯২৪ সালের ৩ মার্চ আরেক ব্রিটিশ দালাল মুস্তাফা কামাল পাশা তুরস্কে অফিসিয়ালি খিলাফত বিলুপ্ত করে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে মক্কার হুসাইন বিন আলীও মহানবী (সা.) আমল থেকে ১৩০০ বছর পর্যন্ত চলমান মুসলিমদের রাষ্ট্র খিলাফতের পতনে ব্যথিত হন। পৃথিবী থেকে খিলাফত মুছে গেছে, এটা হুসাইনের চেতনায় আঘাত করে। ব্রিটিশদের ক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও ৫ মার্চ হুসাইন নিজেকে মুসলিমদের খলিফা ঘোষণা করেন।

ব্যস, এ-সুযোগটিই কাজে লাগায় খিলাফতের দীর্ঘদিনের শত্রু আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ। ব্রিটিশরা স্বাভাবিকভাবেই হুসাইনের নিজেকে খলিফা ঘোষণা করা মেনে নেয়নি এবং হেজাজের শাসক হিসেবে হুসাইনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কালবিলম্ব না করে হেজাজ আক্রমণ করে এবং ১৯২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরো হেজাজ দখলে নিয়ে নেয়। ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ মক্কা-মদিনা-জেদ্দার গোত্রীয় নেতাদের সমর্থনে নিজেকে হেজাজের "সুলতান" ঘোষণা করে। ১৯২৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ইবনে সৌদ আগের নজদ ও বর্তমান হেজাজ মিলিয়ে Kingdom of Nejd and Hejaz ঘোষণা করে। ৪ মাস পর সেই বছরের ২৭ মে জেদ্দা চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশরা Kingdom of Nejd and Hejaz-কে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

http://en.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Jeddah_(1927)#1927


নতুন জেদ্দা চুক্তি, ১৯২৭-এর মাধ্যমে ব্রিটিশ-সৌদের "Protectorate" স্ট্যাটাসের দারিন চুক্তি, ১৯১৫-এর সমাপ্তি ঘটে।

পরবর্তী ৫ বছর আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে আলাদা রেখেই শাসন করে। অবশেষে ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে একত্রিত করে তার নিজের ও বংশের পদবি অনুসারে দেশের নাম "Kingdom of Saudi Arabia" (আরবি: المملكة العربية السعودية‎ al-Mamlakah al-‘Arabiyyah as-Su‘ūdiyyah) ঘোষণা করে।


এভাবেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উসমানিয়া খিলাফতবিরোধী নীতির প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবে, পদে পদে ব্রিটিশদের মদদ নিয়ে, দালাল আল-সৌদ পরিবার ১৯৩২ সাল থেকে Kingdom of Saudi Arabia নামে মুসলিমদের পবিত্র ভূমি দখলে রেখে শাসন করে যাচ্ছে।

                              ...................      .....................          .....................

আরো পড়ুন:

১. সৌদিদের ভণ্ডামি: https://www.facebook.com/meghnawa/posts/218599681623127

২. Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia:
https://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=3&ved=0CDgQFjAC&url=http%3A%2F%2Fcatdir.loc.gov%2Fcatdir%2Fsamples%2Fcam033%2F2001043609.pdf&ei=zKEXUuTtJIGSiQKp_YCADQ&usg=AFQjCNEX9HJNqVDrSc41cDnmuMio4U0Wgw&bvm=bv.51156542,d.bmk&cad=rja

৩. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত "The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud":
https://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=1&ved=0CCgQFjAA&url=http%3A%2F%2Fwww.social-sciences-and-humanities.com%2FPDF%2Fhouse_of_saud.pdf&ei=TaEXUq2dFsmLiALim4GIDw&usg=AFQjCNEQ7aDtX2Y8iqWswFaDmeqmHfAmPA&bvm=bv.51156542,d.bmk&cad=rja