উত্তর : উসিলা হিসেবে জমিন ও অন্যান্য নেয়ামত যা আল্লাহর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে তা থেকে জমিন ও অন্যান্য জিনিস আপন বংশধরকে দেওয়া যায়। এটা জমিনের মালিকানা। এ প্রক্রিয়ায় দুনিয়ার সমস্ত বস্তুতে মালিক মহাজনের অধিকার নীতি চালু রয়েছে। এভাবে ইহলৌকিক সমস্ত কিছুরই দ্বিতীয় পর্যায়ের মালিক জমিন অতঃপর জমিন যাকে যা দিয়েছে সে তার তৃতীয় পর্যায়ের মালিক। এভাবে ক্রমান্বয়ে স্তরে স্তরে মালিকানা হস্তান্তরিত হয়। এমনি যে ব্যক্তি যে বস্তুর মালিক হয়, প্রয়োজনে তার নিকট সে বস্তু চাওয়া ওয়াজেব। এর অন্যথা করা হারাম ও নিষেধ। সুতরাং যাকে যে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে তাঁর কাছে তা চাওয়া জরুরি। উদাহরণস্বরূপ মানুষকে সংশোধন করার বিদ্যা আল্লাহ মুর্শিদকে দান করেছেন। সুতরাং এর সাথে সম্পৃক্ত সব কিছু মুর্শিদের কাছে চাওয়া ফরজ।
উল্লেখ্য, চাওয়া দু প্রকার। প্রকৃত ও বাহ্যিক। বাহ্যিক চাওয়া যেমন বিপদ মুক্তির জন্য আছহাবে কাহাফের নাম লেখা, জপ করা, ডাকা। বস্তুত র্শিক স্থানীয় হলেও এগুলো র্শিক নয়। বরং তাতে আল্লাহরই কাছে দয়া ও আরাম প্রার্থনা করা হয়। এমনকি আছহাবে কাহাফের নামে সব রকম বিপদ দূর হয়। এ কথা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। লক্ষণীয় যে, আল্লাহর নামের বর্তমানেও আছহাবে কাহাফের নামের তাবিজ এবং অজিফাতে পুণ্য ও কল্যাণ এবং সাফল্য লাভ হয়।
অনুরূপ তাদের ডাকলেও পুণ্য ও বিপদ মুক্ত হয়। তাই বুজুর্গ পীর মুর্শিদকে পবিত্র উদ্দেশে ডাকলেও পুণ্য ও কল্যাণ লাভ হয়। কারণ তাঁরা আল্লাহ তায়ালার ফায়েজ, রহমত ও নেয়ামতের অধিকারী। এজন্যই কোরানে বলা হয়েছেÑ
وابتغوا اليه الوسيلة *
“ওয়াবতাগু ইলাইহীল অসিলাতি।”
অর্থাৎ, “তোমরা উসিলা অšে¦ষণ করো।” এ আয়াতের মর্মার্থ মোতাবেক, নবী, অলিগণ জীবিত অথবা পরলোকগত। তাঁদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা ওয়াজেব। কারণ প্রকৃত অর্থে তাঁদের জীবন ও মৃত্যু সমার্থবোধক। নিম্নে উল্লিখিত কোরানের আয়াত দ্বারা তাই বোঝা যায়Ñ
لاتحسبن الذين قتلوا فى سبيل الله امواتا ط بل احياء عند ربهم يرزقون * فرحين *
“লা তাহসাবান্নাল্লাযিনা কুতিলু ফি সাবি লিল্লাহি আম ওয়াতান বাল আহইয়াউ ইনদা রাব্বি হিম ইউর জাকুন। ফারেহিন।”
অর্থাৎ, “শহীদদেরকে তোমরা মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত; এবং খেয়ে দেয়ে আরামে আছেন।” (সূরা আল ইমরান-১৬৯)