NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

রাসুল (ﷺ) কি বলেগেছেন,,,



  1. হুজুরে পুরনূর (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এ মর্মে লাইসেন্স দিয়েছেন যে, তাঁর ওফাতের পরে, তাঁর উম্মতের শিরক করার কোনো আশঙ্কা নেই। সুতরাং এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

    লাইসেন্স নং (১) মিশকাত শরীফের “রাসূলুল্লাহর (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওফাত সংক্রান্ত বর্ণনা” অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে, বুখারী শরীফের “জানাজা” অধ্যায়ের “শহীদগণের জন্যে জানাজার নামাজ” পরিচ্ছেদে ও “হাউজ” অধ্যায়ে এবং মুসলিম শরীফের “ফাযাইল” অধ্যায়ের “আমাদের নবীজীর ((সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্যে হাউজ প্রমাণিত হওয়া এবং তাঁর গুণাবলী” পরিচ্ছেদে রয়েছে, হযরত উকবা ইবনে আমির (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, সায়্যিদুনা রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আট বছর পরে একদিন ওহুদের যুদ্ধের শহীদগণের (জানাজার) নামাজ আদায় করলেন। তখন মনে হলো, তিনি যেন জীবিত ও মৃতদের বিদায় জানাচ্ছেন। তারপর, তিনি মিম্বরে তশরীফ নিয়ে ফরমালেন: “আমি তোমাদের অগ্রণী ও সাক্ষী; আর তোমাদের সাথে আমার সাক্ষাতের জায়গা হচ্ছে, হাউজে কাওছার। আমি এখন এখান থেকেই হাউজে কাওছার দেখছি। তদুপরি, পৃথিবীর বা পৃথিবীর ভান্ডারগুলোর চাবিগুচ্ছ আমাকে দান করা হয়েছে। আমার (ইন্তেকালের) পরে তোমরা শেরেক করবে - এ আশঙ্কা আমি করি না; কিন্তু তোমরা দুনিয়াদার হয়ে হবে - আমি এ আশঙ্কা করি বৈকি।” কোন কোন বর্ণনায় অতিরিক্ত আরো রয়েছে, “এরপর তোমরা একে-অপরের সাথে খুনোখুনি করবে এবং তোমাদের আগেকার উম্মতদের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে”

    (মিশকাত শরীফ: ৫৭০৬, বুখারী শরীফ: ১২৬৩ ও ৬০২৬ এবং মুসলিম শরীফ: ৫৭৭৪ নং হাদীছ শরীফ)।

    এ হাদীছ শরীফে পরিষ্কারভাবে রয়েছে যে, নবীজীর (’আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম) ইন্তেকালের পরে তাঁর উম্মত শেরেক করবে না মর্মে তিনি শঙ্কামুক্ত;

    অথচ আপনারা শঙ্কামুক্ত নন! এতে প্রমাণিত হয় যে, শেরেক থেকে নিরাপত্তার প্রশ্নে রাহমাতুল্লিল আলামীনের (’আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম) প্রতি আপনাদের কোনোই আস্থা নেই - যা আপনাদের মুরতাদ হওয়ার প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট।

    কেননা, আপনারা অহরহ শেরেকের ফতোয়া দিয়ে নবীজীর (’আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম) ঐ বক্তব্যকেই মূলত চ্যালেঞ্জ করেন।

    লাইসেন্স নং (২) মিশকাত শরীফের “রিয়া ও সুমু’য়া” অধ্যায়ের তৃতীয় পরিচ্ছেদে রয়েছে, হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, একদিন তিনি কাঁদছিলেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো যে, কেন তিনি কাঁদছেন? তিনি বললেন: আল্লাহ’র রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ কথাটি আমায় কাঁদাচ্ছে; আমি তাঁকে বলতে শুনেছি: “আমার উম্মতের ব্যাপারে আমি (ছোট) শিরক ও রিপুর তাড়নার আশঙ্কা করছি!”

    আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম: “ওগো আল্লাহর রাসূল! (ﷺ) আপনার (ইন্তেকালের) পরে আপনার উম্মত কি শেরেক করবে?

    তিনি ফরমালেন: হাঁ। তবে, তারা সূর্য, চাঁদ, পাথর ও মূর্তির (ওছানা) পূজা করবে না, বরং তারা নিজেদের আমল মানুষকে দেখানোর নিয়ত (রিয়া) করবে। আর রিপুর তাড়না হচ্ছে, তাদের কেউ রোজা রেখে ভোর হওয়ার পরে, মনের খায়েশে রোজা ভেঙে ফেলবে”

    (মিশকাত: ৫১০০, মুসনাদে আহমাদ ও শুয়াবুল ঈমান)

    এ হাদীস শরিফে পরিষ্কারভাবেই রয়েছে যে, নবীজীর (’আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম) ইন্তেকালের পরে তাঁর উম্মত (আমরা) কখনো কোন গায়রুল্লাহর পূজা করবে না;

    অথচ আপনারা সারাজীবন আমাদেরকে কবরপূজা, মাজারপূজা, পীরপূজা, গায়রুল্লাহর সাহায্য চাইলেই শেরেক হয় ইত্যাদি যত্তোসব উদ্ভট কথা ইনিয়ে-বিনিয়ে শুনিয়ে আসছেন এবং মুসলিম উম্মাহকে গোমরাহ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    তদুপরি, তিনি পরিষ্কার করেই ইরশাদ করেছেন যে, তাঁর ওফাতের পরে তাঁর উম্মত লোক দেখনো ইবাদত তথা রিয়া করবে ও প্রবৃত্তির আনুগত্য করবে। কিন্তু শিরকে আকবার করবে না - আপনারা অহরহ যেটার অপবাদ দেন।

    আরও বিস্তারিত জানতে ডাউনলোড করে পড়ুন বিখ্যাত কিতাব "কালেমার হাক্বীকত"
    http://www.mediafire.com/download/z5mb8ykbssbz991/kalemar_haqiqat.pdf