NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

$$বুখারী শারীফের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল দেওবন্দী/কাওমী/হিফাজতিরা$$



দেওবন্দী/কাওমী/হেফাজতিদের গুরু জুনায়েদ বাবু নগরী তার মিলাদ বিরোধী লিখায় সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারী’ এর লেখক আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে একজন মিলাদ বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে লিখে
///আল্লামা হাফেজ ইব্নে হাজার আসক্বালানী শাফী (রাহ্.)কে প্রশ্ন করা হয়, মীলাদ অনুষ্ঠান কি বিদ্আত? না শরীয়তে এর কোন ভিত্তি আছে? জবাবে তিনি বলেন, “মীলাদ অনুষ্ঠান মলতঃ বিদ্আত। তিন পবিত্র যুগের সালফে সালিহীনের আমলে এর অস্তিত্ব ছিল না।” (হিওয়ার মাআল মালিকী-১৭৭ পৃষ্ঠা)।///

আসুন এবার ইমাম ইবন হাজর আসকলানী (রঃ) সম্পূর্ণ মন্তব্য দেখা যাক আরবী বই এর স্ক্যান কপিসহ

শায়খুল ইসলাম ও মুহাদ্দীস ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে মহানবী (দ:)-এর মীলাদ দিবস উদযাপন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি লিখিতভাবে যে উত্তর দেন তা নিম্নরূপ: “মীলাদুন্নবী (দ:) উদযাপনের উৎস বলতে এটি এমন এক বেদআত (উদ্ভাবন) যা প্রথম তিন শতকের সালাফ আস্ সালেহীন (পুণ্যাত্মাবৃন্দ) কর্তৃক আমাদেরকে জ্ঞাত করানো হয় নি, যদিও এতে প্রশংসনীয় ও প্রশংসনীয় নয় উভয় দিকই বিদ্যমান। কেউ প্রশংসনীয় দিকগুলো গ্রহণ করে প্রশংসনীয় নয় এমন দিকগুলো বর্জন করায় যত্নবান হলে তা বেদআতে হাসানা তথা কল্যাণময় নতুন প্রথা হবে। আর তা না হলে এর উল্টো হবে। এ বিষয়ের বৈধতা প্রতীয়মানকারী একটি নির্ভরযোগ্য শরীয়তের দলিল আমার সামনে এসেছে, আর তা হলো বুখারী ও মুসলিম শরীফে উদ্ধৃত সহীহ হাদীস যা’তে বর্ণিত হয়েছে যে মহানবী (দ:) মদীনা মোনাওয়ারায় হিজরত করে দেখতে পান সেখানকার ইহুদীরা ১০ই মহররম (আশুরা) তারিখে রোযা রাখেন। এমতাবস্থায় তিনি তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তর দেন, ‘এই দিনে আল্লাহতা’লা ফেরাউনকে পানিতে ডুবিয়ে মূসা (আ:)-কে রক্ষা করেন। তাই আমরা মহান প্রভুর দরবারে এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে রোযা রেখে থাকি।’ এই ঘটনা পরিস্ফুট করে যে আল্লাহতা’লার রহমত অবতরণের কিংবা বালা-মসীবত দূর হওয়ার কোনো বিশেষ দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, সেই উদ্দেশ্যে বার্ষিকী হিসেবে তা উদযাপনের সময় নামায, রোযা, দান-সদকাহ বা কুরআন তেলাওয়াতের মতো বিভিন্ন এবাদত-বন্দেগী পালন করা শরীয়তে জায়েয। আর রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর মীলাদের (ধরণীতে শুভাগমন দিবসের) চেয়ে আল্লাহর বড় রহমত কী-ই বা হতে পারে? এরই আলোকে প্রত্যেকের উচিত হযরত মূসা (আ:) ও ১০ই মহররমের ঘটনার (দালিলিক ভিত্তির) সাথে সঙ্গতি রেখে মীলাদুন্নবী (দ:) দিবস উদযাপন করা; তবে যাঁরা এটি বিবেচনায় নেন না, তাঁরা (রবিউল আউয়াল) মাসের যে কোনো দিন তা উদযাপনে আপত্তি করেন না; অপর দিকে কেউ কেউ সারা বছরের যে কোনো সময় (দিন/ক্ষণ) তা উদযাপনকে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই বৈধ জেনেছেন। ”আমি মওলিদের বৈধতার দলিল সুন্নাহ’র আরেকটি উৎস থেকে পেয়েছি (আশুরার হাদীস থেকে বের করা সিদ্ধান্তের বাইরে)। এই হাদীস ইমাম বায়হাকী (রহ:) হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন: ‘হুযূর পাক (দ:) নবুয়্যত প্রাপ্তির পর নিজের নামে আকিকাহ করেন; অথচ তাঁর দাদা আবদুল মোত্তালিব তাঁরই বেলাদতের সপ্তম দিবসে তাঁর নামে আকিকাহ করেছিলেন, আর আকিকাহ দু’বার করা যায় না। অতএব, রাসূলে খোদা (দ:) বিশ্বজগতে আল্লাহর রহমত হিসেবে প্রেরিত হওয়ায় মহান প্রভুর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে এটি করেছিলেন, তাঁর উম্মতকে সম্মানিত করার জন্যেও, যেমনিভাবে তিনি নিজের ওসীলা দিয়ে দোয়া করতেন। তাই আমাদের জন্যেও এটি করা উত্তম হবে যে আমরা মীলাদুন্নবী (দ:) দিবসে কৃতজ্ঞতাসূচক খুশি প্রকাশার্থে আমাদের দ্বীনী ভাইদের সাথে সমবেত হই, মানুষদেরকে খাবার পরিবেশন করি এবং অন্যান্য সওয়াবদায়ক আমল পালন করি।’ এই হাদীস পূর্বোক্ত মহানবী (দ:)-এর দ্বারা মীলাদ ও নবুয়্যত-প্রাপ্তির দিবস পালনার্থে সোমবার রোযা রাখার হাদীসকে সমর্থন দেয়।”
[হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, পৃষ্ঠা ৬৩-৬৫]
এবার মূল আরবী কিতাবের স্ক্যান কপি দেখুনঃ
১. http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=56
২. http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=57
৩. http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=58

এছাড়াও নিচের ভিডিও দেখুন ২২ মিনিট থেকে
http://www.youtube.com/watch?v=gd_zCvmQaeM

বর্তমান দেওবন্দীরা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নামে আংশিক বক্তব্য উপস্থাপন করলে কি হবে? দেওবন্দীদের অতীতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য আলেম মাওলানা হাফিজ মুহাম্মদ আব্দুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর স্বরচিত বিখ্যাত কিতাব “আদ-দুরুল মুনাজ্জাম ফি হুকুমে আমলে মাওলাদিন নাবীয়্যিল আযম” গ্রন্থের ২৪৭-২৪৮ পৃষ্ঠায় হুবুহু তাই বলেছেন যা আমরা উপরে বলেছি। কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে নিচের লিঙ্ক থেকে এই কিতাবটি ডাউনলোড করে নিজেই পড়ে দেখুন
http://www.mediafire.com/view/za2ghxgbsc6645l/Milader+Hukum-Abdul+Hoque+Muhajire+Makki.pdf

দেওবন্দীরা মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীকার করে না দেখে তারা তা পালন করে না। এদের পালন করতে কে বলেছে? কিন্তু তাই বলে এদের এভাবে জালিয়াতির কারণ কি? আসুন হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবু নগরীর মত ব্যক্তিদের আমরা কিছু না বলি। এদের ভার পরকালে আল্লাহ এর উপরেই ন্যস্ত করি। আল্লাহ তা’আলা ই নিজে উনার বিচার করবেন।

আল্লাহ তা'আলা এর কাছে দু'আ করি তিনি যেন আমাদের এদের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁরই হাবীবে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উসিয়া জান্নাত দান করে। আমীন! সুম্মা আমীন!!
91Like · ·