হযরত খাজা গরীব নওয়াযের বয়স তখন ৫২ বছর । হজ্জ্বের
মানাসিক আদায় করে তিনি রাসূল দঃ এর রওয়া এ আক্বদছে হাযির হয়ে সালাম আরয করেন । রাসূল দঃ সালামের জওয়াবও দেন এবং তা গরীব নওয়ায স্পষ্ট শুনতে পান ।
এরপর রাসূল দঃ এরশাদ করেন-"তুমি আমার ধর্মের মুঈন (সাহায্যকারী) । মনে প্রাণে একাজে আত্মনিয়োগ করো । এবার আমি তোমাকে হিন্দুস্থানের বেলায়েত প্রদান করলাম। হিন্দুস্থান অনাচার কদাচারে ও
অন্ধকারাচ্ছন্ন ও কলুষিত অবস্থায় নিপতিত রয়েছে । নিশ্চয় তোমার দ্বারা সেখানকার যুগযুগ ধরে পুন্জিভূত অন্ধকার দূরীভূত
হবে এবং পবিত্র ইসলাম প্রসারিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে ।"
হযরত গরীব নওয়ায এই নির্দেশ পেয়ে খুশি হয়ে হিন্দুস্থান গমনের
জন্য প্রস্তুতি নিলেন । কিন্তু এই অজানা জায়গাটা কোথায় তা ভাবতে ভাবতে রওজা পাকের
পাশে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যান । তখন তিনি স্বপ্নে রসূল দঃ এর দীদার লাভে ধন্য হলেন । হুযুরএ আকরাম তাঁকে আজমীর শহরের নকশা, অবস্থান ও পথ-ঘাটসমূহ দেখিয়ে দিলেন ।
বর্ণিত আছে রাসূল দঃ তাঁকে বেহেশ্তের একটি আনারও দান করেন এবং আল্লাহপাকের উপর
ভরসা করে হিন্দুস্থানের দিকে রওয়ানা হওয়ার নির্দেশ দেন ।
হযরত গরীব নওয়ায রহঃ রওয়ানা হয়ে পথে আপন মুর্শিদ
কেবলার আদেশে হযরত গাউসে আযম জিলানী রাঃ এর দরবারে তশরীফ নিয়ে গেলেন । সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর তাঁকে বললেন, ইরাকতো সোহরাওয়ার্দীকে প্রদান করা হয়েছে, আপনাকে হিন্দুস্থান রাজ্য
প্রদান করা হচ্ছে । সুবহানাল্লাহ !
[ সূত্রঃ তাফরীহুল খাত্বীর ]