NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

মাজার শরীফ কবর নয়



-----------------=======----------------
--> মাজার শরীফ একটি পবিত্র স্থান। মাজার শরীফ কবর নয়। মাজার শরীফ এবং কবরের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়েছে। মৃত মানুষের জন্য কবর। জীবিতের জন্য নয়। অথচ সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাথে যিনি ফানা তথা নির্বাণপ্রাপ্ত হয়েছেন ইসলাম তাঁকে সর্বসময়ে জীবিত বলে ঘোষণা করেছে। সুতরাং যিনি সর্বসময়ে জীবিত তাঁর আস্তানাকে কবর না বলে মাজার বলা হয়। আসুন কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করি।

ইলমে গায়েবে

Zobair's photo.
আস-সালামু ’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু …।
ইলমে গায়েবের মাসয়ালাটি খুবই সূক্ষ্ম, ঝুঁকিপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। বুঝলে পানির মতোই সহজ – নইলে, পাথরের

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপদ মস্তক ছিল নূর


একদল চরম বাতিলপন্থী মুসলমান নামধারী মুনাফেক যারা আমার নূর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুরা কাহাফের ১১০ নং আয়াত দিয়ে আমাদের মত মাটির তৈরী সাধারণ মানুষ বলে প্রমান করতে চায় ( নাউজুবিল্লাহ ) | কিন্তু হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন নূরে মুজাস্সাম , নূরুন আলা নূর | নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপদ মস্তক ছিল নূর | সে জন্যই আমার নূর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জিসিম মোবারকের ছায়া ছিল না | এই প্রসঙ্গে আপনাদের খেদমতে সংক্ষেপে কিছু দলিল উপস্থাপন করছি |

* সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম * সবাই শেয়ার করুন *


রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ তায়ালা পূর্বের ও পরের গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন।
তিনি বলেন, চাচা ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন । ( বুখারী শরীফ- ৩৪২৩ - ইবনে মাজা শরীফ - ১৭৩ )

* সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম *
সালাতুল তাসবিহ নামাজ চার রকাত ।
প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হয়।
‪#‎তাসবীহটি‬ হল:- ( সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।)
* নিয়ম:-

হাসরের ময়দানে ঘটবে ১২টি ভয়ংকর ঘটনা

ইসলাম ডেস্ক: হাসরের ময়দানে আল্লাহ পাক মানুষদের অবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। হাসরের দিনটি মূলত এখনকার মতো এতো ছোট হবে না। সে দিনের সময় সীমা হবে ৫০ হাজার বছরের সমান। [মুসলিম, মিশকাত হা: ১৭৭৩]। তবে ঐ দিন মুমিনের জন্য একটি ফরজ সালাত আদায়ের সময়ের ন্যায় মনে হবে। [বায়হ্বাকী, মিশকাত হা:৫৫৬৩]। হাশরে ময়দানের অবস্থা সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোচনাগুলো নিম্ন সংক্ষিপ্তাকারে উল্লেখ করা হলো-
১. সেদিন সকলে একত্রিত হবে। [সূরা আনআম : ২২]
২. দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যায়।[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫২৯৮]
৩. মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন সমবেত হবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০২]
৪. কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ পাবে না। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০২]
৫. কাফেরদেরকে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৩]
৬. ঐদিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমনকি ঘাম তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬, ৫৩০৮]
৭ .সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং মানুষের আমল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬, ৫৩০৮]
৮. দুনিয়াতে যারা আল্লাহর জন্য সিজদাহ করে নাই কিংবা লোক দেখানোর জন্য সিজদাহ করেছে তারা সেদিন আল্লাহকে সিজদাহ দিতে পারবে না। [সূরা কালাম : ৪২-৪৩; মিশকাত: ৫৩০৮]
৯. মুমিনদের হিসাব হবে মুখোমুখি। [মিশকাত: ৫৩১৫]
১০. যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করে হবে সে ধ্বংস হবে। [মিশকাত: ৫৩১৫]
১১. ঐদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে। [সূরা ইয়াসীন: ৬৫]
১২. হাত, পা, কান, চক্ষু এবং চামড়া মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। [সূরা নূর: ২৪; হা- মীম সাজদাহ: ২০]

উসমান(রা)যখন কবরের কাছে দাড়াতেন

শিরক-বিদা'আত ছাড়ুন, কোরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরুন's photo.
উসমান(রা)যখন কবরের কাছে দাড়াতেন তখন তিনি কাদতেন,এমনকি তার দাড়ী ভিজে যেতো।তাই তাকে বলা হলো,আপনি জান্নাত ও জাহান্নামের কথা স্মরণ করেন,কিন্তু কাদেন না,আর এ ব্যাপারে কাদেন!তিনি বললেন,নিশ্চয়ই আল্লহর রসূল(স)বলেছেন,নিশ্চয়ই কবর হলো পরকালের প্রথম স্তর।তাই কেউ যদি এখান থেকে নাজাত(মুক্তি)পায়,তাহলে তার পরবর্তিগুলো এর চাইতে সহজ হবে।আর সে যদি এখান থেকে মুক্তি না পায়,তাহলে তার পরবর্তিগুলো এর চাইতে কঠিণ হবে।আর রসূল(স)(আরো)বলেন,আমি কবর ছাড়া সবচাইতে ভয়ংকর দৃশ্য কখনো দেখিনি।(ইবনে মাজাহ-৪২৬৭,তিরমিযী-২৩০৮)

যারা মারা গেল অথচ বায়াত হলোনা সে যেন জাহিলদের মতো মারা গেল।

ইমামুল হক's photo.
"তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ পাক উনার ও উনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার, আর যদি তোমরা তা থেকে বিমূখ হও তাহলে জেনে রেখ আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের ভালোবেসেন না। "(সূরা -আল ইমরান : আয়াত শরীফ ৩২)
.
আর হাদীস শরিফে আছে [মান লাম ইয়া'রিফ ইমামা জামানিহী ফাক্বাদ মাতা মিতাতাল জাহেলিয়্যা]
অর্থঃ যে ব্যাক্তি তাঁর জামানার ইমাম বা মোজাদ্দেদকে চিনতে পারেনি আর এ অবস্থায় সে মৃত্যু বরণ করলো, তবে তার মৃত্যু জাহেলদের মতো হলো। (আবু দাউদ শরীফ ও মেশকাত শরীফ)।
.
পবিত্র হাদিস শরিফের অন্য বর্ননায় উল্লেখ আছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেন "যারা মারা গেল অথচ বায়াত হলোনা সে যেন জাহিলদের মতো মারা গেল। (মুসলীম শরিফ ও মেসকাত শরীফ ৭ম খন্ড, ২৩৪, পৃঃ)
.

যার ছায়া যমীনে পড়তো না

ইসলামী জীবন's photo.

====================
সংকলনঃ মুহাম্মদ মহিউদ্দীন
[الحمد لله رب العلمين - والصلاه والسلام على رسوله الكريم]
স্রষ্টার সৃষ্টিজগতের মাঝে তাঁর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন, আমাদের আক্বা, সাইয়্যেদুল মুরসালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন হুজুর পুরনূর হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه واله وسلم। পৃথিবী নামক ধরায় ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করতে তিনি প্রকাশিত হন শেষ নবী হিসেবে সকল নবীগণের শেষে। তাঁর অসংখ্য অগণিত মু’জিযার সমারোহ ঘটেছিল সেদিন পৃথিবীর বুঁকে। যা কিনা তাঁর প্রতি খোদা তায়ালা’র প্রদত্ত নবুওয়তেরই প্রমাণ বহন করে। এমন এমন সব মু’জিযা’র ধারক এবং বাহক ছিলেন তিনি, যা কিনা পূর্ববর্তী কোন আম্বিয়ায়ে আলাইহিমুস সালামকে দান করা হয়নি। এমন অজস্র মু’জিযার মধ্যে অন্যতম মু’জিযা ছিল, নবীজী صلى الله عليه واله وسلم’র কোন ছায়া ছিল না। যমীনে যখন হাটতেন, সূর্য বা চন্দ্র যা কিছুই হোক না কেন, কোন কিছুতেই তাঁর ছায়া পড়তো না। কারণ তিনি ছিলেন ‘নূর’। আর নূরের তো কোন ছায়া থাকে না। এ যেন কুর’আনের সেই আয়াতেরই বাস্তব প্রতিফলন, যেখানে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন,
অর্থাৎ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে। (সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫)