NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

149. হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) দৌড়ে ঘরে যাওয়ার আগেই রাসূল (দঃ) এর দোআ কবুল হয়ে গেলঃ

#
=(সময় থাকলে একবার পড়ে দেখুন)=
----------------------------------------

# একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (দ:) এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (দ:) জিজ্ঞেস
করলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবু হোরায়রা বললেন, আমার মা আমাকে মেরেছেন।

রাসুল (দ:) বললেন, কেন তুমিকি কোন বেয়াদবী করেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতে আমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার
মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (দ:)
এর দরবার ছাড়বি।

আমি বললাম, ও আমার মা। তুমি বয়স্ক মানুষ। তোমার গায়ে যত
শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে করে দাও।
তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।

তখন রাসূল (দ:) বলেছেন, তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে এসেছ? হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন,
হে রাসূল (দ:) আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসি নাই। রাসুল (দঃ) বললেন, তাহলে কেন এসেছ? আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী।
আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন,
যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।

আর তখনই সাথে সাথে রাসুল (দ:) হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন,
হে আল্লাহ! আমি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত দান করুন।”
রাসুল (দ:) দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন।
পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা!
তুমি দৌড়াচ্ছ কেন? তখন আবু
হোরায়রা বললেন, ওহে সাহাবীগণ তোমরা আমার জামা ছেড়ে দাও।
আমাকে দৌড়াতে দাও।
আমি দৌড়াইয়া বাড়িতে গিয়ে দেখতে চাই আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আগে পৌঁছে গেছে।
হযরত আবু হোরায়রা দরজায় ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হোরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে।

তখন মা আমাকে বললেন,
হে আবু হোরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি,অনুশোচনা করেছি।
মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলে তো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম?
আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে। হে আবু হোরায়রা! আমি গোসল করেছি।
আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল (দ:) এর দরবারে নিয়ে চল। আর তখনই সাথে সাথে আবু
হোরায়রা তার মাকে রাসুল (দ:) এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মা সেখানেই কালেমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলেন।

"পিতা মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট
করে ফেলতে পারো,নতুবা তা রক্ষা করতে পারো।"

[সহীহ তিরমিজি ]
A.S.N

148. সৌদি সরকার বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র জন্মস্থানের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনাটি ধ্বংসের পরিকল্পনা করছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি:https://www.facebook.com/MuslimOnlineNews
 সৌদি সরকার বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র জন্মস্থানের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনাটি ধ্বংসের পরিকল্পনা করছে।
পবিত্র কাবা-ঘর সংলগ্ন মসজিদুল হারামের পাশে একটি উঁচু ভূমি বা পাহাড়ি জমিতে বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের পবিত্র স্থানটির ওপরে রয়েছে একটি লাইব্রেরি বা পাঠাগার। এই পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়েছিল এমন একটি ঘরের ওপর যেখানে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী (সা.)।

সৌদি ওয়াহাবি শাসকগোষ্ঠী এমন পবিত্র স্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বার বার নানা অজুহাতে এই পবিত্র স্থানের স্মৃতি বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। 

সম্প্রতি নানা সূত্রে খবর এসেছে যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ এই পবিত্র স্থান ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছে। কয়েকটি আকাশচুম্বী হোটেল নির্মাণ ও মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণের অজুহাতে ধ্বংস করা হবে বিশ্বনবী(সা.)’র জন্মস্থান। 

সৌদি আরবের ‘বিন লাদেন’ নামের একটি নির্মাণ-কোম্পানি এই পবিত্র স্থান ধ্বংসের কাজ শিগগিরই শুরু করতে চায় বলে জানা গেছে।

এই উদ্যোগের ফলে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে হজযাত্রীরাসহ বিশ্বের সচেতন মুসলমানরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সৌদি আরবের ওয়াহাবি গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ মক্কার ইসলামী ঐতিহ্যের নিদর্শন বা স্থাপনাগুলো ধ্বংসের উদ্যোগকে সমর্থন জানান এবং তা করা  জরুরি বলেও দাবি করেন।

এর আগে ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী সৌদি সরকার গুড়িয়ে দিয়েছে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের অবশিষ্ট ঐতিহাসিক নিদর্শন। মসজিদুল হারামেই রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর। এই কাবা ঘর মুসলমানদের কিবলা বা এই ঘরের দিকে মুখ করেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন।

ব্রিটেনের দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী সৌদি কর্তৃপক্ষ সেই স্তম্ভটি গুড়িয়ে দিয়েছে যেখান থেকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পবিত্র মে’রাজ বা ঊর্ধ্বাকাশ সফরের প্রাক্কালে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বা আলকুদস অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন। সৌদি ওয়াহাবি পুলিশ এই ধ্বংসযজ্ঞকে উৎসব (!) হিসেবে পালন করেছে বলে দৈনিকটি খবর দিয়েছিল।

ওদিকে বিশ্বনবী (সা.)'র মে’রাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বা মুসলমানদের প্রথম কিবলার নিদর্শন তথা আল-আকসা মসজিদও ইসরাইলি দখলদারদের মাধ্যমে হুমকির মুখে রয়েছে।

লন্ডন-ভিত্তিক হিজাজের ঐতিহাসিক নিদর্শন বিষয়ক আন্তর্জাতিক গ্রুপ জানিয়েছিল, সৌদি আরবে ইসলামী নিদর্শনগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগই ধ্বংস করে ফেলেছে ওয়াহাবিরা। ইসলামের দুই প্রধান কেন্দ্র তথা মক্কা ও মদিনায় ইসলামের প্রধান নিদর্শনগুলোর বেশির ভাগই ধ্বংস করে ফেলেছে তারা। অথচ ওয়াহাবিরা হিজাজে তথা সৌদি আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিদর্শনগুলো রক্ষা করছে! এটা খুবই বিস্ময়কর ও লক্ষণীয় বিষয়। যেমন, খায়বরের মারহাব দুর্গ রক্ষা করছে তারা। মারহাব ছিল মদিনার অন্যতম ইহুদি গোত্র-প্রধান ও পালোয়ান যে হযরত আলী (আ.)’র সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। এমনকি ওয়াহাবিদের প্রথম শাসনামলের দিকে নির্মিত খ্রিস্টানদের একটি গির্জাকে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে রক্ষা করছে ওয়াহাবিরা। অথচ বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র স্মৃতি-বিজড়িত নিদর্শনগুলো ধ্বংস করছে তারা।

বিভিন্ন দলিল প্রমাণে দেখা গেছে ওয়াহাবিরা সৌদি আরবে, বিশেষ করে, মক্কা ও মদিনায় অলি-আওলিয়ার মাজার বা কবর ধ্বংসের পাশাপাশি তাদের অবমাননার জঘন্য ও দুঃখজনক পদক্ষেপও নিয়েছে। যেমন, ওয়াহাবিরা মক্কায় বিশ্বনবী (সা.)’এর স্ত্রী ও প্রথম মুসলমান উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহার) বাসভবনটিকে ধ্বংস করে সেখানে টয়লেট নির্মাণ করেছে।তারা ‘মৌলুদুন্নবি’ নামে খ্যাত বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের স্থানটিকে পশু রাখার স্থানে পরিণত করেছিল!

ওয়াহাবিদের এ ধরনের তাণ্ডবের প্রেক্ষাপটে মক্কা ও মদীনার মত পবিত্র শহরগুলো পরিচালনার দায়িত্ব থেকে ওয়াহাবিদের সরিয়ে দিয়ে তা মুসলমানদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করার দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে।

কেউ কেউ বলে থাকেন যে সৌদি রাজ-পরিবার আসলে “দোমনেহ” নামের বিভ্রান্ত ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর বংশধর। এই গোষ্ঠী ভণ্ড  ইহুদিবাদী নবী ‘শাব্বিটি জিভি’র অনুসারী। তারা প্রকাশ্যে ইসলামের অনুসারী বলে দাবি করত। কিন্তু তারা বাস্তবে মদ্যপ ও নির্বিচার যৌনাচার বা যৌন অনাচারসহ নানা ঘৃণ্য কাজে অভ্যস্ত ছিল।

বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন এই ওয়েব সাইটের (রেডিও তেহরানের) নির্বাচিত প্রবন্ধ: “ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংসে সৌদি-ইসরাইলি তাণ্ডব : সৌদ বংশ ইহুদিবাদী?” , রাজনীতি শীর্ষক অংশে ‘সৌদি-আরব’ নামের উতস ও ইসরাইল গঠনে সৌদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ এবং আরো দেখুন এই সাইটের 'সমাজ সংস্কৃতি' অংশে প্রকাশিত প্রবন্ধ: 'ইসলামী নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিদর্শনগুলো রক্ষা করছে ওয়াহাবিরা'।  #

উৎস:রেডিও তেহরান২৪ ফেব্রুয়ারি:
সৌদি সরকার বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র জন্মস্থানের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনাটি ধ্বংসের পরিকল্পনা করছে।
পবিত্র কাবা-ঘর সংলগ্ন মসজিদুল হারামের পাশে একটি উঁচু ভূমি বা পাহাড়ি জমিতে বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের পবিত্র স্থানটির ওপরে রয়েছে একটি লাইব্রেরি বা পাঠাগার। এই পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়েছিল এমন একটি ঘরের ওপর যেখানে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী (সা.)।

সৌদি ওয়াহাবি শাসকগোষ্ঠী এমন পবিত্র স্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বার বার নানা অজুহাতে এই পবিত্র স্থানের স্মৃতি বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

সম্প্রতি নানা সূত্রে খবর এসেছে যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ এই পবিত্র স্থান ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছে। কয়েকটি আকাশচুম্বী হোটেল নির্মাণ ও মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণের অজুহাতে ধ্বংস করা হবে বিশ্বনবী(সা.)’র জন্মস্থান।

সৌদি আরবের ‘বিন লাদেন’ নামের একটি নির্মাণ-কোম্পানি এই পবিত্র স্থান ধ্বংসের কাজ শিগগিরই শুরু করতে চায় বলে জানা গেছে।

এই উদ্যোগের ফলে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে হজযাত্রীরাসহ বিশ্বের সচেতন মুসলমানরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সৌদি আরবের ওয়াহাবি গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ মক্কার ইসলামী ঐতিহ্যের নিদর্শন বা স্থাপনাগুলো ধ্বংসের উদ্যোগকে সমর্থন জানান এবং তা করা জরুরি বলেও দাবি করেন।

এর আগে ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী সৌদি সরকার গুড়িয়ে দিয়েছে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের অবশিষ্ট ঐতিহাসিক নিদর্শন। মসজিদুল হারামেই রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর। এই কাবা ঘর মুসলমানদের কিবলা বা এই ঘরের দিকে মুখ করেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন।

ব্রিটেনের দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী সৌদি কর্তৃপক্ষ সেই স্তম্ভটি গুড়িয়ে দিয়েছে যেখান থেকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পবিত্র মে’রাজ বা ঊর্ধ্বাকাশ সফরের প্রাক্কালে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বা আলকুদস অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন। সৌদি ওয়াহাবি পুলিশ এই ধ্বংসযজ্ঞকে উৎসব (!) হিসেবে পালন করেছে বলে দৈনিকটি খবর দিয়েছিল।

ওদিকে বিশ্বনবী (সা.)'র মে’রাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বা মুসলমানদের প্রথম কিবলার নিদর্শন তথা আল-আকসা মসজিদও ইসরাইলি দখলদারদের মাধ্যমে হুমকির মুখে রয়েছে।

লন্ডন-ভিত্তিক হিজাজের ঐতিহাসিক নিদর্শন বিষয়ক আন্তর্জাতিক গ্রুপ জানিয়েছিল, সৌদি আরবে ইসলামী নিদর্শনগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগই ধ্বংস করে ফেলেছে ওয়াহাবিরা। ইসলামের দুই প্রধান কেন্দ্র তথা মক্কা ও মদিনায় ইসলামের প্রধান নিদর্শনগুলোর বেশির ভাগই ধ্বংস করে ফেলেছে তারা। অথচ ওয়াহাবিরা হিজাজে তথা সৌদি আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিদর্শনগুলো রক্ষা করছে! এটা খুবই বিস্ময়কর ও লক্ষণীয় বিষয়। যেমন, খায়বরের মারহাব দুর্গ রক্ষা করছে তারা। মারহাব ছিল মদিনার অন্যতম ইহুদি গোত্র-প্রধান ও পালোয়ান যে হযরত আলী (আ.)’র সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। এমনকি ওয়াহাবিদের প্রথম শাসনামলের দিকে নির্মিত খ্রিস্টানদের একটি গির্জাকে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে রক্ষা করছে ওয়াহাবিরা। অথচ বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র স্মৃতি-বিজড়িত নিদর্শনগুলো ধ্বংস করছে তারা।

বিভিন্ন দলিল প্রমাণে দেখা গেছে ওয়াহাবিরা সৌদি আরবে, বিশেষ করে, মক্কা ও মদিনায় অলি-আওলিয়ার মাজার বা কবর ধ্বংসের পাশাপাশি তাদের অবমাননার জঘন্য ও দুঃখজনক পদক্ষেপও নিয়েছে। যেমন, ওয়াহাবিরা মক্কায় বিশ্বনবী (সা.)’এর স্ত্রী ও প্রথম মুসলমান উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহার) বাসভবনটিকে ধ্বংস করে সেখানে টয়লেট নির্মাণ করেছে।তারা ‘মৌলুদুন্নবি’ নামে খ্যাত বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের স্থানটিকে পশু রাখার স্থানে পরিণত করেছিল!

ওয়াহাবিদের এ ধরনের তাণ্ডবের প্রেক্ষাপটে মক্কা ও মদীনার মত পবিত্র শহরগুলো পরিচালনার দায়িত্ব থেকে ওয়াহাবিদের সরিয়ে দিয়ে তা মুসলমানদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের কাছে অর্পণ করার দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে।

কেউ কেউ বলে থাকেন যে সৌদি রাজ-পরিবার আসলে “দোমনেহ” নামের বিভ্রান্ত ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর বংশধর। এই গোষ্ঠী ভণ্ড ইহুদিবাদী নবী ‘শাব্বিটি জিভি’র অনুসারী। তারা প্রকাশ্যে ইসলামের অনুসারী বলে দাবি করত। কিন্তু তারা বাস্তবে মদ্যপ ও নির্বিচার যৌনাচার বা যৌন অনাচারসহ নানা ঘৃণ্য কাজে অভ্যস্ত ছিল।

বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন এই ওয়েব সাইটের (রেডিও তেহরানের) নির্বাচিত প্রবন্ধ: “ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংসে সৌদি-ইসরাইলি তাণ্ডব : সৌদ বংশ ইহুদিবাদী?” , রাজনীতি শীর্ষক অংশে ‘সৌদি-আরব’ নামের উতস ও ইসরাইল গঠনে সৌদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ এবং আরো দেখুন এই সাইটের 'সমাজ সংস্কৃতি' অংশে প্রকাশিত প্রবন্ধ: 'ইসলামী নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিদর্শনগুলো রক্ষা করছে ওয়াহাবিরা'। #

উৎস:রেডিও তেহরান

147. হযরত আমানত শাহ (রহঃ)

হযরত আমানত শাহ (রহঃ)

তিনি ছিলেন একজন জজ সাহেবের
সামান্য পিওন, বা হাত পাখা
বাতাশ কারী মোহরি!
এক সময় এক গরীব ব্যাক্তির
সম্পত্তি অবৈধ ভাবে নিয়ে যাওয়ার
থেকে তার সম্পদ উদ্ধার করতে
গিয়ে, তিনি যে আল্লাহর ওলী, তা সম্পুর্ন
রুপে প্রকাশ পায়......... (চলবে)

146. দুনিয়ার কর্মই জীব আত্তার ফল

**কবর-৪**
দুনিয়ার কর্মই জীব আত্তার ফল। তাই সকল নবী রাসূল গাউস কুতুব বলে থাকেন ''সহজ মানুষ ভজিলে আবার ভবে মানুষ হবি''। কবরের আজাব অবশ্যই হবে, কিন্তু তা আপনার দেহের নয়। হবে আত্তার।
যদি মানুষের সাথে মানুষের মত ব্যবহার করেন তবেই, মানুষ হবেন। সুধু তাই নয় কোরআনে বিভিন্ন স্থানে নিজের আত্তাকে ও নফসকে পরিশুদ্ধ তা করতে বলেছেন। অতএব যদি ত্রান ও শান্তি পেতেচান, তবে অবশ্যই সরল মানুষ ভজিতে হবে। কেননা তারাই তাসাউফের পথ প্রদর্শক।
তবে সেই আত্তার বিচার নাই, যে আত্তা পাকে নাপাকে সর্বদা তার সোষ্টা তথা আপন প্রভুর নাম জপিবে।
আর ঐ পর্যন্ত কোন আত্তাই তার প্রভুর নাম জপিতে পারে না, যে পর্যন্ত একজন আল্লাহ্‌ ওলী বা কামেল পীর, ঐ আত্তাকে সুধ্য তথা পবিত্র না করে দিবে।
তাই মুরিদে তরেনেবালা বর্তমান জামানার মোজাদ্দেদ গদীনশীন পীর শাহ্‌ চন্দ্রপুরী আত্তা শূধ্য, দিল জিন্দা, নামাজে হুজুরী এই তিনটি পব্দতি শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
তাই সময় থাকা সত্তে সাধন যোজ্ঞে বসুন।
-----------------সমাপ্ত-----------------------

145. মৃত্যুটা সকলের জন্য কেয়ামত

মৃত্যুটা সকলের জন্য কেয়ামত। কোরানে পাপী লোকের কেয়ামতকে ‘সায়াত’ (ধ্বংসাত্মক মৃত্যু) বলা হয়েছে। দেহের মধ্যে শিংগায় ফুঁৎকার উঠবে। কম্পনে কম্পিত হবে দেহ। আপন কর্মকান্ডর বোঝা বের হয়ে পড়বে। রবের আদেশে তার কর্মকান্ড বর্ণনা করা হবে। মনে হবে অন্ধকার হচ্ছে চন্দ্রের আলো। বাহ্যদৃষ্টি স্থির, হতভম্ব। তোমার কার্যক্রমের হবে সমাপ্ত। সেসময়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগে যাহা পাঠিয়েছিলে, ফেলিয়া আসিল এখন যাহা। মানুষ হয়ে যায় দ্রষ্টা নিজের নফসের উপর। তখন নিজের ওজর আপত্তি পেশ করতে থাকে। অন্তর্ভূ
ক্ত হয়ে যায় নিজের দলে। অপেক্ষায় থোকবে পুনরুথ্থানের।
কিন্তু পূণ্যবান লোকদের দেহে কম্পন উঠবে না। তারা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করবে না। তারা লা-মোকামে অবস্থান করবে। পরবর্তীতে নির্দেশিত হয়ে দুনিয়াতে আসবেন মানুষকে হেদায়েত করার জন্য।

144. কোরানে উল্লেখিত আজাব ও জাহান্নামের আয়াতগুলি পর্যালোচনা

কোরানে উল্লেখিত আজাব ও জাহান্নামের আয়াতগুলি পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে যে আজাব ও জাহান্নামগুলি সব দুনিয়াতে বাস্তব মন/মস্তিষ্কে ও দেহের মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। সব জাহান্নাম ও আজাবগুলি বুঝতে পুনরুথ্থান সম্বন্ধে পূর্ণ ধারণা থাকা দরকার। প্রচলিত অনুবাদে ও ব্যাখ্যা দ্বারা সব আজাব ও জাহান্নামগুলিকে অবাস্তব ও কাল্পনিক ভাবে দেখানো হয়েছে। প্রকৃত অনুবাদ ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে বুঝা যাবে যে আজাব ও জাহান্নাম বাস্তব। অন্যায় করেছে দেহ (মানুষের স্থূল অস্তিত্ব) এবং মন (সূক্ষ্ম অস্তিত্ব)। শাস্তি ভোগ করবে উক্ত দু্টি অস্তিত্ব। অজাগতিক অবস্থায় মন থাকে গুটানো (বন্দি) অবস্থায় (আয়াত (আম্বিয়া:১০৪)। আমাদের আপন রব থাকে মুক্ত অবস্থায় আয়াত (মোদাচ্ছের:১১)। আয়াত (মোদাচ্ছের:১৭) শীঘ্র আমি (আপন রব) তাহার সঙ্গে মিলিত হব (দু:খের) পাহাড়ের চূড়ায়। দূ:খের পাহাড়ের চূড়ায় বলতে দুনিয়াতে পাহাড় সমান দু:খকে বুঝান হয়েছে। উক্ত আজাবটা কাদের জন্য ভেবে দেখুন। প্রচলিত অনুবাদে যা বুঝানো হয়েছে তা হাস্যকর। তারা লিখেছে ‘ছাউদ’ একটি পাহাড়, যেখানে শাস্তিপ্রাপ্তকে চড়িতে বাধ্য করা হবে। কাল্পনিক জগতে কোথায় পাগাড়ে চড়িতে বাধ্য করা হবে। মনে রাখা উচিত শাস্তি সংশোদনমূলক, প্রতিশোধকমূলক নয়। স্মরণ করুন, আদম (আ:)কে শাস্তি ভোগ করার জন্য দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্য করুন সূরা হুমাযায় বলা হয়েছে,যারা নিন্দা করে এবং সম্পদ গননা করে এবং মনে করে অর্থ ও সম্পদ তাকে অমর করে রাখবে। তাদের জন্য ‘হুতামা’ যা প্রজ্বলিত হুতাশন (হায়,হুতাশ) হৃদয়কে গ্রাস করবে। অজাগতিক অবস্থায় হৃদয় কোথায়? কোরানের প্রত্যেকটি আজাব ও জাহান্নাম সম্বন্ধীয় আয়াতগুলি পর্যালোচনা করে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব যে আজাব ও জাহান্নাম দুনিয়াতে সংঘটিত হচ্ছে।

143. রসুলের প্রকৃত সুন্নত

রসুলের প্রকৃত সুন্নত:-- সত্য বলা, মিথ্যা না বলা, ঘুষ না খাওয়া, চুরি না করা, অধিক মুনাফা না করা, নীতিহীন ভোগী না হওয়া, মোনাফেকি না করা, শিরিক না করা, লোভী (অর্থলোভী, সম্পদলোভী, যৌনলোভী, ক্ষমতালোভী) না হওয়া, অহংকারী না হওয়া, মোহমুক্ত হওয়া, অন্যের সম্পদ লুট না করা, অন্যকে না ঠকানো, হিংসা না করা, অন্যকে ঘৃণা না করা, অন্যের সাথে শত্রুতা না করা, মানুষের উপকার করা, বিপদে আপদে অন্যকে সাহায্য করা, ব্যভিচারী না হওয়া, সৎ উপদেশ দেওয়া, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সম্মান করা,অন্যের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য অন্ন দেওয়া, দাস মুক্ত করা, এতিম ও অসহায়কে সাহায্য করা, আমিত্ব ত্যাগ করা, ওয়াদা ও আমানত রক্ষা করা। এগুলি পালন করলে সবার জীবন সুন্দর সুখময় হয়ে উঠবে। সমাজে শান্তি বিরাজ করবে। সমাজে মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে এবং বলতে পারবে আমরা মুসলিম জাতি গুণে জ্ঞানে সমৃদ্ধ।
কোরানে উক্ত কর্মের ব্যাপারে বিভিন্নভাবে দৃষ্টান্ত সহকারে বুঝানো হয়েছে।
কিন্তু অধিকাংশ লোক সত্য বলে না, মিথ্যা বলে, অনেক লোক ঘুষখোর,চোর, অধিক মুনাফাখোর, নীতিহীন ভোগী, মোনাফেক, শিরিককারী, লোভী (অর্থলোভী, সম্পদলোভী, যৌনলোভী, ক্ষমতালোভী) হয়, অহংকারী হয়, মোহযুক্ত হয়,অন্যের সম্পদ লুট করার চেষ্টা করে, ওয়াদা ও আমানতের খেযানত করে ্ত্যাদি অপকর্মগুলির জন্য প্রতিযোগিতা করতে থাকে। এতে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ও আতঙ্ক বিরাজ করে। জাতি হিসাবে নিম্নগতি প্রাপ্ত হয়।

142. আধিক্য তোমাকে ধ্বংস করে যতক্ষণ তোমরা কবরের সহিত মিলিত হয়ে থাক।

দুটি অনুবাদের পার্থক্য লক্ষ্য করুন:-
প্রচলিত অনুবাদ:- আয়াত (১০২:১-২) ‘প্রাচুর্যের আধিক্য তোমাকে মোহাচ্ছন্ন করে,যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও।’
অন্য অনুবাদ: ‘ আধিক্য তোমাকে ধ্বংস করে যতক্ষণ তোমরা কবরের সহিত মিলিত হয়ে থাক।
প্রচলিত অনুবাদে ‘ না’ পেল কোথায়? ‘মোহাচ্ছন্ন শব্দ আরবীতে আছে কি?
প্রচলিত অনুবাদ:আয়াত (১০২:৫-৭) ‘সাবধান! নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্য তোমরা মোহাচ্ছন্ন হতে না। তোমরা তো জাহান্নম দেখবে। আবার বলি, তোমরা তো উহা দেখবে চাক্ষুষ প্রত্যয়ে।’
অন্য অনুবাদ: েআয়াত (১০২:৫-৭) ‘তাহা নহে! যদি জ্ঞানের একিনে (নিশ্চিত বিশ্বাসে) তোমরা জানতে। অবশ্য জাহান্নামের আগুন দেখতে পেতে, অত:পর একে নিশ্চিত বিশ্বাসের চোখে দেখতে পেতে,’
প্রচলিত অনুবাদে ‘মোহাচ্ছন্ন হতে না।’ আরবীতে আছে কি?
তারপরও তাদের অর্থ ভেবে দেখুন। মোহাচ্ছন্ন হয় আসক্তিযুক্ত মানুষ দুনিয়ার মধ্যে।
মন্তব্য: দেহ কবরে অর্থাৎ দেহ মনে আবদ্ধ থাকলে মানুষ আসক্তিযুক্ত হয়। রবের সাথে অর্থাৎ রবের গুণের সাথে থাকলে মানুষ আসক্তিমুক্ত থাকে। তারা দুনিয়ার জাহান্নামের আগুন দেখে বলে তারা আসক্তিমুক্ত থাকার চেষ্টায় থাকে। এটা এ আয়াতের শিক্ষা। কোরানের জ্ঞান গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানানো হল।

141. লা-ঈলাহা ঈল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ।

লা-ঈলাহা ঈল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ। এঈ কলেমাতে লা-ঈলাহা অর্থ নাঈ উপাস্য। কোন উপস্যকে নাঈ বলতে বলা হয়েছে। শুধু কি মটির মূর্তিকে নাঈ বলতে বলা হয়েছে? মনের মধ্যে অনেক লোক যে মূর্তি ধারণ করে আছে তাদেরকে কি নাঈ বলতে বলা হয় নি? কোরানে আছে ‘তোমরা তাহার সহিত কোন বস্তুর শরীক করিও না।’ ‘তোমরা তাহার সহিত আহাদের শরীক করিও না।’ অর্থাৎ কোন বস্তু লাভের জন্য কোন আহাদের উপাসনা করিও না।
(২৫:৪৩) ‘ (হে মানুষ) তুমি কি দেখ না তাহাকে যে স্বীয় প্রবৃত্তিকে আপন ঈলাহরূপে (উপাস্যরূপে) গ্রহন করে?’ (৪৫:২৩) ‘ তুমি কি তাহাকে দেখতেছ না, যে তাহার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহন করে এবং (ফলত:) আল্লাহ একটা জ্ঞানের উপর বিভ্রান্তি দেন এবং তাহার কানের উপর এবং অন্তরের উপর সীলমোহর করেন এবং তাহার দৃষ্টির উপর উপর আবরণ ফেলেন।........।’
মাটির মূর্তি ছাড়া আসক্তিযুক্ত লোকেরা কোন্ কোন্ মূর্তির (প্রবৃত্তির) উপাসনা করে। উপাসনা করে ১) অর্থের ২) সম্পদের ৩) বিপরীত লিঙ্গের ৪) পুত্রের ৫) স্তূপীকৃত স্বর্ণরৌপ্যের ৬) মিথ্যার ৭) রিয়ার( ভন্ডামীর/ লোক দেখানোর) ৮) শত্রুতার ৯) হিংসার ১০) বখিলীর ১১) লোভের ১২) গীবতের ১৩) তাকাব্বরীর ১৪) ওজরের ১৫) অস্থিরতার। সপ্ত ঈন্দ্রিয়ের উপরোক্ত চাহিদাগুলোকে অন্যায়ভাবে অর্জনকে/ নিজের জীবনে ‘লা’ বলতে পারলে অর্থাৎ নিজ চরিত্রে ধারণ করতে পারলে আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য হিসাবে গ্রহন করতে সক্ষম হওয়া যাবে। তখন মুহাম্মদ (স:)কে আল্লাহর রসুল বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে

140. রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লাম ছিলেন নূরে মোজাস্সমঃ



  হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লাম ছিল মনি মুক্তার মতো, যখন পথ চলতেন পূর্ণ তারুন্যের সাথে চলতেন । আমি নবীজীর হাতের তালুর মতো কোমল না কোনো মোটা রেশমী কাপড় দেখেছি না কোনো পাতলা । আর আমি এমন
কোনো মেশক আম্বরের খুশবো দেখিনি যা তার শরীর মোবারকের সুগন্ধির চাইতে অধিক খুশবো ।

{ বুখারী শরীফ ১ম খন্ড, ২৬৪ পৃঃ, মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ২৫৭ পৃঃ, মাসাবীহুস সুন্নাহ
৪র্থ খন্ড, ৪৮ পৃঃ }

139. ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে কিছু কথা :



আসছে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, সারা পৃথিবী মাতবে বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতায়। তারা এ দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করবে। বেগানা পুরুষ মহিলা বেলেল্লেপনার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিবে।
নাউযুবিল্লাহ !!
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সারা পৃথিবীর অসংখ্য মুসলমান নামধারী কিছু পাবলিক বিধর্মীদের এই অশ্লীল হুজুগেও গা ভাসিয়ে দিবে। অনেকে হারাবে তার সতীত্ব, পরিশেষে সবাই হারাবে ঈমান।

এই ভ্যালেন্টাইন ডে কি মুসলমানদের কোন ঐতিহ্য ??
এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আদৌ কোন ইসলামিক বিষয় নয়। কিন্তু হুজুগে মাতা বাঙ্গালী হুজুগে মেতে নিজেদের ঈমান আমল উভয়ই অকাতরে বিসর্জন দিচ্ছে।

আসুন আমরা ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে ইতিহাসে কি আছে সেটা অবলোকন করি।

The new Encyclopedia Britannica এবং Encyclopedia Americana সহ আরো অনেক গ্রন্থে জানা যায়,-

" রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রী নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিল অভিজ্ঞ। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসে আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দী ছিল তখন তরুন-তরুনীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানার জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দী অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। এসময় মেয়েটির সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে- " from your Valentine"। অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে" হিসেবে ঘোষণা দেয়।

আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস যুদ্ধের জন্য ভালো সৈন্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করে। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম করে, পরে আইন ভেঙ্গে বিয়ে করে। ফলে তাদের মৃত্যুদন্ড হয়।

মূলত এরও বহু আগে থেকে রোমানদের দুটি প্রথা বা অনুষ্ঠান চালু ছিলো।
১. প্রেম এবং বিয়ে।
২. পুরুষের পুরুষত্ব ও মেয়েদের মেয়েলীত্ব ক্ষমতা বিষয়ে উৎসব।

লুপারকালিয়া এসব উৎসবের অন্যতম। এই অনুষ্ঠান হতো ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি তরুন-তরুনীরা লটারীর মাধ্যমে নাচের পার্টনার নির্বাচন করতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অনেকে মনে করতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাখিরা তাদের সঙ্গী বেছে নেয়।

এদিনটা পালনের ক্ষেত্রে রোমানরা লটারী করে তাদের পছন্দনীয় পুরুষ এবং মহিলা নির্বাচন করতো। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ রমনীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষদের নাম লিখে পানিতে ছুড়ে মারত কাদামাটি মিশিয়ে। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠতো সেই হতো প্রকৃত প্রেমিক।
ষোড়শ শতাব্দীর থেকে কাগজের কার্ড বিনিময় শুরু হয়। ১৮০০ সাল থেকে তামার প্লেটে একই ডিজাইনের অনেক কার্ড ছাপা হয়। এভাবেই এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।

মূলত এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আমাদের বাঙ্গালী কোন সাংস্কৃতি ন, এবং মুসলমানদের সাংস্কৃতিতো অবশ্যই না।
কিন্তু তারপরও এই অশ্লীল ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে খুব দ্রুত ছিড়িয়ে পরেছে। পশ্চিমাদের পা চাটা কুত্তা নাস্তিক এজেন্ট শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো বেশি প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙ্গালীদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে এবং বাহবা কুড়ানোর আশায় ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক "যায়যায় দিন" পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। শুধু শফিক রেহমানই নয়, এর পিছনে আরো অনেক ইসলাম বিদ্বেষী মহলের কার্যক্রম জড়িয়ে আছে।

সম্মানিত মুসলমান সমাজ !! এই হলো ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডের ইতিহাস এবং আমাদের দেশে এই অপসাংস্কিতি বিস্তারের পটভূমি।
এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন, এই অশ্লীল বেহায়াপনার সাংস্কৃতি কি আমরা পালন করতে পারি ?
আমরা কি এই বিধর্মী দের বল্গাহীন জীবনের স্রোতে গাভাসিয়ে দিতে পারি ?

কখনোই না। কারন আমরা মুসলমান, আমরা ইসলাম বহির্ভূত কোন কাজ করতে পারি না।
আমরা বিধর্মী দের বেহায়াপনায় গাভাসিয়ে দিতে পারি না।
ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত কোন প্রেম ভালবেসা সমর্থন করে না। এ ধরনের সকল প্রেম ভালোবাসা জিনার সামিল।

মূলত, বিধর্মীদের এসব কোন বাছবিচার নেই, তারা শত শত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। তারা অসংখ্য অবৈধ সন্তান প্রতিনিয়ত জন্ম দিচ্ছে। পরকীয়া প্রেম তাদের নিত্তনতুন ব্যাপার। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ভালবেসা নেই। ভালবাসার বন্ধন নেই, প্রতিমাসে তারা স্বামী বা স্ত্রী পরিবর্তন করে। তারা বিভিন্ন অশান্তিতে লিপ্ত..।
আর এসব থেকে উত্তরন লাভের জন্য বিধর্মীরা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।

অথচ, ইসলামের প্রতিটা দিনই হচ্ছে, স্বামী- স্ত্রীরা অগাধ ভালোবাসার দিন। হাদীস শরীফে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রেরন দিয়ে বর্নিত আছে, তোমাদের মধ্যে ঐ লোক উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।"
আবার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রেরন দিয়ে বলা হয়েছে- আল্লাহ পাক ছাড়া যদি কাউকে সিজদা করা জায়িয হতো, তবে আমি স্ত্রী দের বলতাম যেন স্বামীদের সিজদা করে। "

এরকম, স্ত্রীরা হাসিমুখে কথা বলা, হাসি মুখে তাকানো, স্ত্রীকে সাহায্য করা, অপর দিকে স্বামীর খেদমত, ভালোবাসা, সম্মান ইত্যাদি সম্পর্কে হাদীস শরীফে বিস্তারিত তাগিদ দেয়া হয়েছে ।

সূতরাং, পবিত্র ইসলামের সুন্দর বিধান বাদ দিয়ে বিধর্মী দের প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে জাতীর হারাম কুফরী দিবসে মুসলমানদের অংশগ্রহণ জায়িয নেই। কারন তথাকথিত ভালোবাসার দিবসের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, নির্লজ্জ উৎসব হচ্ছে শয়তানের ধোঁকা এবং নফসের ওয়সওয়াসা। যা ভয়াবহ গুনাহ এবং ঈমান হারানোর কারন। ইসলামের বিধান বাদ দিয়ে এধরনের হারম কুফরী বিধান পালন করলে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে এবং জাহান্নামী হতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের এসকল হারাম নাজায়িয পথ থেকে হিফাযত করুন।
আমীন! আমীন ! আমীন !!



138. হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন-

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন-
من راني في المنام فقد راني فان الشيطان لا يتمثل في صورتي

অর্থ: যে আমাকে স্বপ্নে দেখলো সে সত্যি আমাকে দেখলো। কারন শয়তান আমার আকৃতি ধারন করতে পারে না।"

দলীল-
√ মুসলিম শরীফ- স্বপ্ন অধ্যায়।

137. "ক্বাছীদায়ে নু'মান" শেষ পর্ব।

  1. "ক্বাছীদায়ে নু'মান" শেষ পর্ব।
    (৪৬-৫৩ পংক্তি)

    ইমামে আযম,ইমাম আবু হানাফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত একিতাব ক্বাছীদায়ে নু'মান শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেশুমার ছানা-সিফত করেছেন।

    এবং ক্বাছীদা শরীফের শেষ পংক্তিগুলোতে তিনি সরাসরি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কিছু ফরিয়াদ করেছেন।

    শেষ পর্ব----->>>

    يا ما لكي كن شافعي في فاقتي
    اني فقير في الوري لغناك

    অর্থ: হে আমার মালিক ! আমার প্রয়োজন কালে আপনি আমার জন্য সুপারিশ করুন। পৃথিবীতে আমি শুধু আপনারই ঐশ্বর্যের মুখাপেক্ষী।

    يااكرم الثقلين يا كنز الوري
    جد لي بجودك و ارضني بر ضاك

    অর্থ: হে জ্বীন-ইনসানের সবচাইতে সম্মানিত। হে সমগ্র মখলুকাতের ধনভান্ডার! আমাকে আপনার দানে ধন্য করুন। আপনার সন্তুষ্টি দিয়ে খুশি করুন।

    انا طامع بالجود منك و ام يكن
    لابي حنيفة في الانام سواك

    অর্থ: আমি আপনার করুনার প্রত্যাশী। আপনি ছাড়া সারা জাহানে আবু হানীফার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি ) কেউ নেই।

    فعساك تشفع فيه عند حسابه
    فلقد غدا متمسك بعراك

    অর্থ: একটাই আশা, হিসাবের দিনে আপনি আমার জন্য সুপারিশ করবেন। কারন আমিতো আপনারই রশি আঁকড়ে ধরেছি।

    فلانت اكرم شافع و مشفع
    ومن التجي بحماك نال رضاك

    অর্থ: সবচাইতে মহান সুপারিশকারী সেতো একমাত্র আপনি। যে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করেছে সে আপনার সন্তুষ্টি লাভ করেছে ।

    فاجعل قراك سفاعة لي في غد
    فعسي اري في الحشر تحت لواك

    অর্থ: আপনার মেহমানদারীকে আমার জন্য কাল সুপারিশে পরিনত করুন। যাতে হাশরের ময়দানে আমি আপনারই ঝন্ডাতলে শামিল হতে পারি।

    صلي عليك الله ياعلم الهدي
    ما حن مشتاق الي مشواك

    অর্থ: হে সমগ্র জগতের হিদায়েতের প্রতিক ! আপনার প্রতি আল্লাহ পাক উনার বেশুমার ছলাত, যতক্ষন কোন আশেক আপনার আশ্রয়ের প্রত্যাশী থাকে ।

    وعلي صحابتك الكرام جميعهم
    والتا بعين و كل من وا لاك

    অর্থ: আপনার সম্মানিত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, উনাদের অনুসারী, আর যারা আপনাকে মুহব্বত করেছেন সকলের প্রতি বেশুমার ছলাত। "

    সুবহানাল্লাহ্ !!

    মহান আল্লাহ পাক ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই মহান দোয়ায় আমাদেরও শরিক হওয়ার তৌফিক দান করুন।

    আমীন !!!

136. ১০০টি কবিরা গুনাহের তালিকা দিলাম।

বন্ধুরা আপনাদের অবগতির জন্য
১০০টি কবিরা গুনাহের তালিকা দিলাম।
আসুন আমরা সবাই এগুলো থেকে বেচে থাকি।
একশতটি কবীরা গুনাহ:
1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
2. নামায পরিত্যাগ করা
3. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
4. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
5. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
6. যাদু-টোনা করা
7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
8. জিহাদের ময়দান
থেকে থেকে পলায়ন
9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর
প্রতি অপবাদ
10. রোযা না রাখা
11. যাকাত আদায় না করা
12. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায়
না করা
13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
14. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
15. অহংকার করা
16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর
উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের
নিকট লাগোনো)
17. আত্মহত্যা করা
18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
20. উপকার করে খোটা দান করা
21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
23. জুয়া খেলা
24. তকদীর অস্বীকার করা
25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
26. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের
কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
28. রাসূল (সা:)এর নামে মিথ্যা হাদীস
বর্ণনা করা
29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
30. মিথ্যা কথা বলা
31. মিথ্যা কসম খাওয়া
32. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়
করা
33. জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
34. সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
35. মানুষের গোপন
কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
36. হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক
বিয়ে করা।
37. যার জন্যে হিলা করা হয়
38. মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
39. মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
40. মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
41. মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার
সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
42. খেলার ছলে কোন
প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের
লক্ষ্য বস্তু বানানো
43. কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
44. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু
জবেহ করা
45. ওজনে কম দেয়া
46. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল
ভাষা প্রয়োগ করা
47. ইসলামী আইনানুসারে বিচার
বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
48. জমিনের সীমানা পরিবর্তন
করা বা পরের জমি জবর দখল করা
49. গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ
চর্চা করা
50. দাঁত চিকন করা
51. সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল
তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
52. অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
53. পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
54. নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
55. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার
দৃষ্টিতে তাকানো
56. কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
57. পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত
পানি থাকার পরেও না দেয়া
58. পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক
পরিধান করা
59. মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত
বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
60. ডাকাতি করা
61. চুরি করা
62. সুদ লেন-দেন করা, সুদ
লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
63. ঘুষ লেন-দেন করা
64. গনিমত তথা জিহাদের
মাধ্যমে কাফেরদের নিকট
থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের
পূর্বে আত্মসাৎ করা
65. স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
66. জুলুম-অত্যাচার করা
67. অস্ত্র দ্বারা ভয়
দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত
করা
68. প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
69. রিয়া বা লোক দেখানোর
উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
70. স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র
ব্যবহার করা
71. পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও
রৌপ্য পরিধান করা
72. সাহাবীদের গালি দেয়া
73. নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির
সামনে দিয়ে গমন করা
74. মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের
পলায়ন
75. ভ্রান্ত মতবাদ
জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের
প্রতি আহবান করা
76. পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম
বা দুষ্কৃতি করা
77. কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
78. আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার
চর্চা করা
79. বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
80. যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
81. স্বামীর অবাধ্য হওয়া
82. স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার
করা
83. স্বামী-স্ত্রীর মিলনের
কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
84. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ
সৃষ্টি করা
85. বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
86. বিশ্বাস ঘাতকতা করা
87. অঙ্গীকার পূরণ না করা
88. আমানতের খিয়ানত করা
89. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
90. ঋণ পরিশোধ না করা
91. বদ মেজাজি ও এমন
অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
92. তাবিজ-কবজ, রিং,
সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
93. পরীক্ষায় নকল করা
94. ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
95. ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায়
বিচার করা
96. আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-
ফয়সালা করা
97. দুনিয়া কামানোর
উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
98. কোন ইলম
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও
তা গোপন করা
99. নিজের
পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
100. আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া

135. পর নারী থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখার উপায়ঃ




একদিন এক যুবক একজন আলেমের কাছে এসে বললঃ "হুযুর, আমি একজন তরুণ যুবক। কিন্তু সমস্যা হল, আমার মাঝে মাঝে প্রবল খায়েশ কাজ করে । আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি, তখন আমি মেয়েদের দিকে না তাকিয়ে পারি না ।
আমি এখন কি করতে পারি ?" তখন ঐ আলেম কিছুক্ষন চিন্তা করলেন । চিন্তা করার পর
তাকে একটা দুধ ভর্তি গ্লাস দিলেন । গ্লাস পুরোটায় দুধে কানায় কানায় পরিপুর্ণ ছিল ।
অতঃপর ঐ আলেম তাকে বললেনঃ "আমি তোমাকে বাজারের একটি ঠিকানা দিচ্ছি, তুমি এই দুধটুকু সোজা সেখানে পৌছিয়ে দিয়ে আসবে । ঐ
আলেম তাকে আরও নির্দেশ দিলেন যে, গ্লাস থেকে এক ফোঁটা দুধও যাতে না পরে । অতঃপর
ঐ আলেম, উনার এক ছাত্রকে ঐ যুবকের সহযোগী করে আদেশ দিলেনঃ "তুমি এই যুবকের
সাথে বাজারে যাও এবং সে যদি যাওয়ার সময় এই গ্লাস থেকে এক ফোঁটা দুধও ফেলে দেয়, তাহলে তুমি তাকে চরমভাবে পিটাতে থাকবে ।
ঐ যুবকটি সহজেই দুধটুকু বাজারে পৌছিয়ে দিল এবং এই সংবাদ হুযুরকে জানানোর জন্য দৌড়ে ছুটে আসল । হুযুর
জিজ্ঞাসা করলেনঃ "তুমি যাওয়ার সময় কয়টি মেয়ের চেহারা দেখেছ?"
যুবকটি সবিস্ময়ে বললঃ "হুযুর,
আমি তো বুঝতেই পারি নি আমার চারপাশে কি চলছিল । আমি তো এই ভয়েই তটস্থ ছিলাম যে, আমি যদি দুধ ফেলে দিই
তবে রাস্তায় সমবেত সকল মানুষের সামনে আমাকে মারা হবে।
হুযুর হাসলেন এবং বললেনঃ "মুমিনরা ঠিক এভাবেই আল্লাহকে ভয় করে । এবং মুমিনরা সবসময়
চিন্তা করে, যদি সে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ঐ দুধের ন্যায় ছিটকে ফেলে তবে তিনি সুবহানাহু
ওয়া তায়ালা কিয়ামত দিবসে সমগ্র সৃষ্টিজগতের সামনে তাকে অপমানিত করবেন । এভাবে সর্বদাই বিচার দিবসের চিন্তা,
মুমিনদের গুনাহ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে ।"
=============== ­

134. হযরত আবু বকর রাঃ এর অপূর্ব তাকওয়াঃ



=>একবার আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর (রাঃ) এর স্ত্রীর মিষ্টি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হল।
তিনি স্বামীকে মিষ্টি কিনে আনতে বললেন। সারা মুসলিম জাহানের আমীর আবু বকর জানালেন
তার মিষ্টি কেনার সামর্থ নেই। আমীরুল মুমিনীনের স্ত্রী এরপর প্রত্যেক দিনের খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে জমা করা শুরু করলেন। কিছু অর্থ জমা হওয়ার পর তা স্বামীকে দিয়ে বললেন
মিষ্টি কিনে আনতে। হযরত আবু বকর রাঃ জিজ্ঞেস করলেন এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে। স্ত্রী বললেন, প্রতিদিনের খরচ থেকে বাঁচিয়ে তিনি এই অর্থ জমা করেছেন। আবুবকর (রাঃ) তখন বললেন, এই পরিমাণ অর্থ তাহলে আমি রাষ্ট্রীয় কোষাগার
থেকে অতিরিক্ত নিচ্ছি ?! এটার তো তাহলে আমার আর দরকার নেই! এরপর তিনি সেই অর্থ স্ত্রীর
জন্য মিষ্টি কেনার বদলে রাষ্ট্রীয়
কোষাগারে জমা দিয়ে আসেন।

আল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর।

133. এক ব্যাক্তির দিনারের থলে হারিয়ে গিয়েছিল


এক ব্যাক্তির দিনারের থলে হারিয়ে গিয়েছিল। সে ইমাম জাফর সাদেক রাঃ কে ধরে বললো, আমার থলে আপনিই নিয়েছেন। ইমাম জাফর বললেন, আপনার থলেতে কত দিনার ছিল? সে বললো এক হাজার দিনার। তিনি ওকে ঘরে নিয়ে গেলেন এবং এক হাজার দিনার দিয়ে দিলেন। পরের দিন লোকটি সে হারানো থলেটি পেয়ে গেল । সে ইমাম জাফর সাদেক রাঃ এর কাছে আসলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে দিনারগুলো ফেরত দিলেন। তিনি ফেরত নিলেন না এবং বললেন, এ দিনার তোমার হয়ে গেছে। আমি প্রদত্ত জিনিস ফেরত লইনা। পরে লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারল যে ইনি ইমাম জাফর সাদেক রাঃ তখন লোকটি খুবই লজ্জিত হলো।
[তাজকিরাতুল আউলীয়া ১৭ পৃষ্ঠা]

আল্লাহ ওয়ালাগণ দুনিয়াকে একেবারে নগন্য মনে করেন। তারা দুনিয়ার প্রতি কোন আকর্ষণ পোষণ করেন না।

132. সতী স্ত্রী বা সত্‍ স্বামী পেতে চাইলে-


আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
" ব্যভিচারী ( যেনা কারী) পুরুষ, কেবল ব্যভিচারিণী ( যেনা কারী) নারী, অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে, এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে। "
[সুরা নুর: ৩]

অতএব, সাবধান !! আল্লাহপাকের এই কালাম থেকে বুঝতে পারা যায়, সতী স্ত্রী বা সত্‍ স্বামী পেতে নিজের চরিত্রের দিকেই খেয়াল রাখতে হবে ।

131. মক্কা ও মদীনা শরীফে, দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এমন কোনো ভূখণ্ড নেই, যা দাজ্জালের পদভারে মথিত হবে না। তবে মক্কা ও মদীনা শরীফে সে প্রবেশ করতে পারবে না। সে কোনো দিক দিয়ে মক্কা ও মদীনা শরীফে যাওয়ার সুযোগ পাবে না। যেদিকেই যাবে সেদিকেই ফেরেশতাগণকে সারিবদ্ধভাবে মক্কা ও মদীনা শরীফের হেফাযতে প্রহরারত থাকবেন।

[সহীহ বুখারী ১/২৫৩; ৭১২৪; ফাযাইলুল মদীনা ১/২৫৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৪২; মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৬৬০]
- সুবহানাল্লাহ -

130. নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ভূমিষ্ঠ হন -----



নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা যখন ভূমিষ্ঠ হন-তখন এমন কতিপয় আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিল-যা সচরাচর দেখা যায় না।প্রথম ঘটনাটি স্বয়ং বিবি আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন এভাবে-
“যখন আমার প্রসব ব্যাথা শুরু হয়-তখন ঘরে আমি প্রায় একা ছিলাম এবং আমার শশুর আব্দুল মোত্তালিব ছিলেন কা’বা ঘরে তাওয়াফরত।আমি দেখতে পেলাম,একটি সাদা পাখির ডানা আমার কলিজায় কি যেন মালিশ করে দিচ্ছে।” এতে আমার ভয়ভীতি ও ব্যাথা বেদনা দূরিভূত হয়ে গেল।এরপর দেখেতে পেলাম এক গ্লাস শ্বেতশুভ্র শরবত আমার সামনে।আমি ঐ শরবতটুকু পান করে ফেললাম।অতঃপর একটি উর্দ্ধগামী নূর আমাকে আচ্ছাদিত করে ফেললো।এ অবস্থায় দেখতে পেলাম-আবদে মানাফ(কোরাইশ) বংশের মহিলাদের চেহারা বিশিষ্ট এবং খেজুর বৃক্ষের ন্যায় দীর্ঘাঙ্গিনী অনেক মহিলা আমাকে বেষ্টন করে বসে আছে।আমি সাহাজ্যের জন্য ‘ওয়া গাওয়াসা’ বলে তাদের উদ্দেশ্যে বললাম-আপনারা কোথা হতে আমার বিষয়ে অবগত হলেন?
উত্তরে ,তাঁদের একজন বললেন-আমি ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া।আরেকজন বলেন,আমি ইমরান তনয়া বিবি মরিয়ম।এবং আমাদের সঙ্গীনীগণ হচ্ছেন বেহেস্তি হুর। আমি আরো দেখতে পেলাম-অনেক পুরুষবেশীলোক শূন্যে দন্ডায়মান রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের হাতে রয়েছে রুপার পাত্র। আরো দেখতে পেলাম-একদল পাখি আমার ঘরের কোঠা ঢেকে ফেলেছে। আল্লাহ তায়ালা আমার চোখের সামনের সকল পর্দা অপসারণ করে দিলেন এবং আমি পৃথিবীর পূ্র্ব থেকে পশ্চিম সব দেখতে পেলাম।আরো দেখতে পেলাম-তিনটি পতাকা। একটি পৃথিবীর পূর্বে প্রান্তে স্থাপিত,অন্যটি পশ্চিম প্রান্তে এবং তৃতীয়টি কাবা ঘরের ছাদে। এমতাবস্থায় প্রসব বেদনার চূরান্ত পর্যায় আমার প্রিয় সন্তান হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ভূমিষ্ঠ হলেন”- (হযরত ইবনে আব্বাস সূত্রে মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া) খাছায়েছুল ক্বুবরা ও তারিখুল খামিছ গ্রন্থে যথাক্রমে আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আবু বকর দিয়ারবিকরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি-বিবি আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর একটি বর্ণনা এভাবে লিপিবদ্ধ করেছেনঃ
বিবি আমেনা বলেন- “যখন আমার প্রিয় পূত্র ভূমিষ্ঠ হলেন,তখন আমি দেখতে পেলাম-তিনি সিজদায় পড়ে আছেন।তারপর মাথা উর্দ্ধগামী করে শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করে বিশুদ্ধ আরবী ভাষা পাঠ করছেন আশহাদু আললা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্নি রাসূলুল্লাহ”(যিকরে জামীল সূত্রে)
উপরোক্ত বর্ণনায় কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হলোঃ
(১) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর পবিত্র বেলাদত উপলক্ষে বেহেস্ত ও আকাশ হতে পবিত্র নারী ও হুর-ফিরিস্তাগন জুলুস করে বিবি আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর কুটিরে আগমন করেছিলেন এবং নবীজির সম্মানা্র্থে দন্ডায়মান হয়ে ক্বিয়াম করেছিলেন।আর ফিরিস্তাদের হয়ে এই জুলুস ছিল আকাশ ছোয়া জুলুস।তাই আমরাও নবীজির সম্মানে ক্বিয়াম করি ও জুলুস করি।
(২) নবী করীম সাল্লালালহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর-নূরের আলোতে বিবি আমেনা রাদিয়াল্লাহু আনহা পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত অবলোকন করেছিলেন।যাদের অন্তরে নবীজীর নূর মুবারক বিদ্যমান,সেসব অলীগনের দিব্যদৃষ্টি খুলে যায়।তাঁরা লাওহে মাহফুযও দেখতে পান (মসনবী শরীফ)
(৩) নবী করীম সাল্লালালহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর জন্ম উপলক্ষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থান আলো ও পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা উত্তম।ইহা আল্লাহ ও ফিরিস্তাদের সুন্নাত।
(৪) কোরআন নাযিলের ৪০ বৎসর পূর্বেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি আদর্শ-‘কলেমা ও নামাজ’ বাস্তবায়ন করেছিলেন।মূলতঃথিউরিটিক্যাল কোরআন নাজিলের পূর্বেই প্রাকটিক্যাল কোরআন(নবী)নাযিল হয়েছিলেন।কোরআন হলো হাদিয়া-আর নবী হলেন সেই হাদিয়ার মালিক।হাদিয়া ও তাঁর মালিকের মধ্যে যে সম্পর্ক তা সর্বজন বিদিত।

(৫)পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা উপলক্ষে জুলুস এবং শুকরিয়ার আনন্দ মিছিল বের করা ফিরিস্তাদেরই অনুকরণ(আনোয়ারে আফতাবে সাদাকাত)।
মাওয়াহেব গ্রন্থের বর্ণনায় আকাশ হতে জমীন পর্যন্ত ফেরেস্তাদের জুলুস বা মিছিল পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে।আল্লাহপাক বলেন-“তোমরা আল্লাহর ফযল ও রহমতস্বরুপ(নবীকে)পেয়ে আনন্দ উল্লাস করো।”(সূরা ইউনূস৫৮ আয়াতের তাফসীর তাফসীরে রুহুল মায়ানী দেখুন।)জালালুদ্দীন সুয়ূতী তাঁর আল হাভী লিল ফাতাওয়া গ্রন্থে ঈদে মিলাদুন্নাবীর সাল্লালালহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা দিনে সব রকমের আনন্দ-উল্লাসকে বৈধ বলে উল্লেখ করেছেন।(অর্থাৎ,হারাম ব্যতিত সকল ধরনের উল্লাস)
পূর্ব যুগের জুলুস
প্রাচীনকালে ১০৯৫-১১২১ খৃষ্টাব্দের মিশরে ঈদে মিলাদুনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা উপলক্ষে ধর্মীয় জুলুস বের করা হতো।গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এতে অংশগ্রহন করতেন।উযির আফযলের যুগে এ আনন্দ মিছিল বের করা হতো।এ সময় রাজপথসমূহ লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত।পরবর্তীতে এ উৎসবের প্রসার ঘটে আফ্রিকার অন্যান্য শহরে,ইউরোপের স্পেনে ও ভারতবর্ষে।(মাকরিজী,ইবনে খাল্লেকান)।
সুতরাং যারা জশনে জুলুসকে নূতন প্রথা,শিরক ও বিদয়াত বলে-তারা অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এবং ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে মূর্খ।নবীবিদ্বেষ তাদেরকে অন্ধ করে রেখেছে।(বিস্তারিত জানার জন্য দৈনিক জনকন্ঠ ৩০শে আগস্ট’৯৬ ‘মিলাদের ইতিকথা’ পড়ুন)।জশনে জুলুস বের করা কোরআনী আয়াত দ্বারাই প্রমাণিত।

129. মহান আল্লাহর বাণী; “জাহান্নামের সাতটি দরজা থাকবে”

মহান আল্লাহর বাণী; “জাহান্নামের সাতটি দরজা থাকবে” – এ আয়াতের তাফসীরে হযরত আতা (রহ) বলেন, “ এ সাতটি দরজার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত, সবচেয়ে বেশি দুঃখে পরিপূর্ণ ও সবচেয়ে ভয়ংকর দরজা হবে যারা জেনে-শুনে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের দরজা”।

ইমাম মাকহুল দামেস্কী (রহ) বলেনঃ জাহান্নামবাসীদের নাকে একটা উৎকট দুর্গন্ধ ভেসে আসবে। তারা বলবে এমন দুর্গন্ধ আমরা ইতিপূর্বে আর কখনো অনুভব করিনি। তখন তাদেরকে বলা হবে, এ হচ্ছে ব্যভিচারীদের জননেন্দ্রিয় থেকে বেরিয়ে আসা দুর্গন্ধ। তাফসীরের বিশিষ্ট ইমাম ইবনে যায়েদ (রহ) বলেন, ব্যভীচারীদের জননেন্দ্রিয়ের দুর্গন্ধ জাহান্নামবাসীর জন্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বয়ে আনবে।

128. যেনা - ব্যভিচার


উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী ﷺ -কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কোন গুনাহ আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড়? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য সমকক্ষ দাঁড়ান করান। অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এতো সত্যি বড় গুনাহ। আমি বললাম, তারপর কোন গুনাহ? তিনি উত্তর দিলেন, তুমি তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করবে যে সে তোমার সাথে আহার করবে। আমি আরয করলাম, এরপর কেনটি? তিনি উত্তর দিলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার ব্যভিচার করা।
(সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪১২৫)

127. জমজম কূপ সম্মন্ধে কিছু তথ্য:



১) আল্লাহ তা'লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।
২) ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায়।
৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।
৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক'য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।
৭) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।
৮) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।
৯) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

126. আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই। [সূরা বাকারা, আয়াত-১০৭]

কুরআন মাজীদে কিছু শব্দ আল্লাহ পাকের জন্য ব্যবহার করার অর্থ এটা নয় যে, ঐ শব্দগুলো গায়রুল্লাহর জন্য ব্যবহার করলে শিরক হবে। যেমনঃ বন্ধু, সাহায্যকারী ইত্যাদি।

আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।
[সূরা বাকারা, আয়াত-১০৭]

আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ঠ আর সাহায্যকারী হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ঠ। [সূরা নিসা, আয়াত-৪৫]

আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। [সূরা আনফাল, আয়াত-১০]

আপনার প্রতিপালকই সঠিক পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট।
[সূরা ফুরকান, আয়াত-৩১]

মুমিন পুরুষ এবং মহিলা পরস্পরে একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং অন্যায় কাজ থেকে (মানুষদেরকে) বিরত রাখে।
[সূরা তাওবাহ, আয়াত-৭১]

যদি তোমরা নবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে একে অন্যকে সাহায্য করো, তবে জেনে রেখা যে, আল্লাহই তার বন্ধু এবং জিবরাঈল (আঃ) ও সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণও, উপরন্তু অন্যান্য ফেরেশতাগণও তার সাহায্যকারী।
[সূরা তাহরীম, আয়াত-৪]

তোমাদের বন্ধুতো আল্লাহ, তার রাসূল এবং মুমিনবৃন্দ।
[সূরা মায়িদাহ, আয়াত-৫৫]

তোমরা আমাকে (হযরত যুলকারনাইন) শ্রম দিয়ে সাহায্য করো।
[সূরা কাহাফ, আয়াত-৯৫]

125. জাহান্নামের পরিচিতিঃ

জাহান্নামের পরিচিতিঃ

[-] জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ থেকে একটি পাথরফেলে দিলে জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে ।

[-] বিচারের দিন জাহান্নামকে ৭০ হাজার শিকলদ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজারফেরেশতা বহন করবেন ।

[-] জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আরজাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে ।[-] জাহান্নামবাসীর শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরুকরে দেওয়া হবে যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয় ।

তাদেরশরীরে আরও থাকবে তিল যার এক একটি হবে উহুদ পাহাড়ের সমান। আর জাহান্নামবাসীর বসারজায়গা হবে মক্কাথেকে মদীনা পর্যন্ত দূরত্বের সমান ।

[-] প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্রআর ভয়াবহ করা হবে ।

[-] জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটাযুক্তগাছ আর পানীয় হবে ফুটন্তপানি, পুঁজ, পুঁজও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল । এরপরওজাহান্নামবাসীর পিপাসা এত বেশি হবে হবে যে তারা এই পানীয়পান করতে থাকবে ।

[-] জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্ত কালধরে চলতে থাকবে । জাহান্নামবাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামেরদেয়াল টপকিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহহাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে l

জাহান্নাম থেকে মুক্তির দু'আ ।
اللهم أجرني من النار
আল্লাহুম - মা আজিরনী মিনান্না -র ।

হে আল্লাহ আমাদের জাহান্নাম এর আজাব থেকে মুক্তি দান করুন।

124. দুআ ও যিকির---পর্ব ১



প্রশ্নঃ নিদ্রা যাওয়ার সময় কোন দুআ পাঠ করতে হবে?
উত্তরঃ بِاسْمِكَ اللهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণঃ বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমূতু ওয়া আহইয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার নামে মৃত্যু বরণ করছি, তোমার নামেই জীবিত হব।

প্রশ্নঃ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে কোন দুআ পাঠ করতে হবে?
উত্তরঃ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী আহইয়ানা বাদা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন্নুশূর।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর জীবিত করেছেন। আর তার কাছেই আমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

প্রশ্নঃ আযানের শেষে পঠিতব্য দুআটি কি?
উত্তরঃ

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ্‌ দওয়াতিত্‌ তাম্মাহ ওয়াস্‌ সালাওয়াতিল কায়িমাহ আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতি ওয়াল ফযীলাহ ওয়াবআছহু মাকামাম্মাহমূদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।

(হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান এবং এই প্রতিতি নামাযের তুমিই প্রভূ। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে দান কর সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত কর প্রশংসিত স্থানে যার অঙ্গিকার তুমি তাঁকে দিয়েছো।)

প্রশ্নঃ ওযুর শুরুতে কি পাঠ করতে হবে?

উত্তরঃ بسم الله বিসমিল্লাহ। এছাড়া অন্য কোন দুআ পড়া বিদআত।

প্রশ্নঃ ওযুর শেষে কোন দুআ পাঠ করলে বেহেস্তের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে?
উত্তরঃ
أشْهَدُ أنْ لإَاِلَهَ إلاَّاللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًاعَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণঃআশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।

প্রশ্নঃ মসজিদে প্রবেশের দুআ কি?
উত্তরঃ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَউচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা।
(হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ উম্মুক্ত করে দাও।)

প্রশ্নঃ মসজিদ থেকে বের হওয়ার দুআ কি?
উত্তরঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাযলিকা।
(হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার অনুগ্রহ প্রর্থনা করছি।)

প্রশ্নঃ টয়লেটে প্রবেশের দুআ কি?
উত্তরঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ আল্লাহম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি- যাবতীয় দুষ্ট জিন ও জিন্নী থেকে।

প্রশ্নঃ টয়লেট থেকে বের হওয়ার দুআ কি?
উত্তরঃ غُفْرَانَكَ(গুফরানাকা) (তোমার ক্ষমা চাই হে প্রভু!)

প্রশ্নঃ পানাহারের সময় কি দুআ বলতে হয়?
উত্তর: بسم الله বিসমিল্লাহ

প্রশ্নঃ পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে কি করবে?
উত্তরঃ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ
বিসমিল্লাহি ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি।

প্রশ্নঃ পানাহার শেষ করে পাঠ করার দুআ কি?
উত্তরঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاقُوَّةٍ
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত্বআমানী হাযা ওয়া রাযাকানীহে মিন গাইরি হাওলিন মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন।
(সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাকে ইহা খাইয়েছেন ও রিযিক হিসেবে দান করেছেন। যাতে আমার শক্তি ও সামর্থ কিছুই ছিল না।)

123. মুনাফিকদের চরিত্র:

 মুনাফিকদের চরিত্র:

মুনাফিকদের চরিত্র হল, আল্লাহকে ধোঁকা দেয়া ও ইবাদতে অলসতা করা:
মুনাফিকরা তাদের ধারণা অনুযায়ী আল্লাহকে ধোঁকা দেয় এবং সালাতে তারা অলসতা করে। তাদের সালাত হল, লোক দেখানো। তারা আল্লাহর ভয়ে ইবাদত করে না। তারা ইবাদত করে মানুষের ভয়ে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, " নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়। অথচ তিনি তাদের ধোঁকা (-এর জবাব) দান কারী। আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায় তখন অলস-ভাবে দাঁড়ায়, তারা লোকদেরকে দেখায় এবং তারা আল্লাহকে কমই স্মরণ করে।" [সূরা নিসা: ১৪২]

122. পুলসিরাত

 পুলসিরাত

>> উম্মুল মু'মিনীন হযরতে সায়্যিদাতুনা আয়িশা সিদ্দীক্বা রাঃ হুজুরে করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
ফরমায়েছেন,

"জাহান্নামের উপর একটি পুল আছে, যা চুলের চেয়েও অধিক সূক্ষ্ন আর তরবারীর চেয়েও অধিক ধারালো ।
তার উপর লোহার শিকল ও কাঁটা থাকবে । আল্লাহ তা'আলা যাকে ইচ্ছা সে-ই উহা ধরবে । মানুষ
উহার উপর দিয়েই গমন করবে। কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ বায়ুবেগে আর কেউ
উত্তম ঘোড়া ও উটের গতিতে পুলসিরাত পার হবে । আর
ফিরিস্তারা বলতে থাকবে 'হে প্রভূ!
সহিসালামতে অতিক্রম করাও, হে প্রভূ! সহিসালামতে পার করাও।' কোন কোন মুসলমান নাজাত পাবে, কেউ আহত হবে, কেউ
উপুড় হয়ে যাবে আর কেউ
অধঃমুখী হয়ে জাহান্নামে পড়ে যাবে ।"

{মুসনাদে ইমাম আহমদ, হাদীস নং-২৪৮৪৭, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৪১৫}

121. মৃগী ৱোগ থেকে ৱক্ষা¤¤¤¤¤ এক ব্যাক্তি শায়খেৱ (গাউসে পাকেৱ)

মৃগী ৱোগ
থেকে ৱক্ষা¤¤¤¤¤
এক ব্যাক্তি শায়খেৱ
(গাউসে পাকেৱ)
দৱবাৱে আসলো।আৱ
বলতে লাগলো,আমি ইসফাহানেৱ
অধিবাসী।আমাৱ এক
স্ত্রী আছে;বেশিৱ ভাগ
সময় তাকে মৃগী ৱোগ
আক্রমন কৱে।তাবিজ-
মন্ত্ র
দ্বাৱা চিকিত্সাকাৱীদে
ৱকে তাৱ
বিষয়টি অপাৱগকৱে দিয়েছে।
শায়খ
বললেন,"এটা একটা জিন্,যা সিংহল
দ্বীপে থাকে।তাৱ নাম
'খানিস'।(ভবিষ্য
তে)তোমাৱ
স্ত্রীকে মৃগী আক্রমন
কৱলে তাৱ
কানে বলে দিও,হে খানিস!
তোমাকে শায়খ আবদুল
ক্বাদুৱ,যিনি বাগদাদে থাকেন,বলেছেন
যেন আৱ কখনো আসো।আৱ
যদি এ নিষেধ
না মানো তবে ধ্বংস
হয়ে যাবে।"তখন
লোকটি চলে গেলো এবং দীর্ঘ
দশ বছৱ যাবত্ আসেনি।
তাৱপৱ
সে আসলো এবং আমৱা তাকে এ
ব্যাপাৱে জিজ্ঞাসা কৱলাম।
সে বললো,"আমি শায়খেৱ
নির্দেশ
অনুসাৱে তাকে বলে দিয়েছিলাম।
সুতৱা ং এ পর্যন্ত তাৱ
(স্ত্রীৱ) উপৱ মৃগীৱ
প্রভাব পড়েনি।"
তাঁৱা আৱো বলেন,তাবিজ-
মন্ত ্র কাৱীদেৱ
সৱদাৱগণ বলেছেন
যে শায়খ আবদুল
ক্বাদিৱেৱ জীবদ্দশায়
দীর্ঘ চল্লিশ বছৱ
যাবত্
বাগদাদে কাৱো উপৱ
মৃগী ৱোগেৱ প্রভাব
পড়েনি।যখন তাঁৱ
ইনতিকাল হল,তথন
থেকে মৃগীৱ প্রভাব
পড়েছিল।
(বাহজাতুল
আসৱাৱ,পৃ:২৪৭-২৪ ৮)
‪#‎বাতিলের_আতঙ্ক‬

120. মহানবী (সঃ) ইন্তেকালের পরে বেলাল (রাঃ) এর কাহিনী

 মহানবী (সঃ) ইন্তেকালের

পরে বেলাল (রাঃ) এর কাহিনী ↓↓↓

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর
ইন্তেকালের পরের ঘটনাঃ

হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর
ইন্তেকালে বেলাল (রাঃ) প্রায় পাগলের
মতো হয়ে গেলেন ।
তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন । সাহাবীরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা
করলে তিনি বলেন :-
"যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই,
আমি সেখানে থাকবো না"।

এরপর তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান ।
কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ)
সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ)
তাকে বলছেন,
"হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে
দেখতে আসো না কেন ''?

এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ)
এর রওজা মুবারক দেখতে
মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।

বেলাল (রাঃ) এর আগমনের
খবরে মদীনাবাসী আনন্দে
আত্মহারা হয়ে যায় ।
বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ)
এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন ।

মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর
বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি ।
তার কন্ঠে আযান শুনতে
সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন ।

তারা তাকে আযান দিতে বললে
তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না ।
অনেক জোর করে তাকে বললে
তিনি উত্তরে বলেন,
"আমাকে অযান দিতে বলো না ।
কারণ এটা আমি পারবো না ।

আমি যখন আযান দিই তখন
'আল্লাহু আকবর' বলার
সময় আমি ঠিক থাকি ।
'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
বলার সময়ও ঠিক থাকি।
'আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে
তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) বসে আছেন ।

কিন্তু যখন
মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখবো না,
তখন সহ্য করতে পারবো না।"
কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো ।

অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ)
এসে তাকে জোর করলে তিনি রাজী হন ।
তার আযান শুনে সকল সাহাবীর
চোখে পানি এসে যায় ।

কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ)
বেহুশ হয়ে পরে যান ।
তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান ।

পরে জ্ঞান ফিরার পর তিনি সকলকে বলেন,
"আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন
'আল্লাহু আকবর' বলার
সময় আমি ঠিক ছিলাম ।
'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
বলার সময়ও ঠিক ছিলাম । কিন্তু 'আশহাদুঅন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ'
বলার সময় মসজিদের মিম্বারের
দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ)
আজ সেখান বসে নেই ।

এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না।
তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।"

"জাহান্নামে যাওয়া অসম্ভব"


"জাহান্নামে যাওয়া অসম্ভব"

''যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তার জাহান্নামে যাওয়া অসম্ভব, যেমন গাভীর বাট থেকে দুধ বের হওয়ার পর পুনরায় ভিতরে ঢুকানো অসম্ভব।

[তিরমিযী, মিশকাত ,হাদীস-৩৮২৮

.সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চান

সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চান 
মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

“হে ইমানদারগণ ! সবর (ধৈর্য) ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও । নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সাথে রয়েছেন ।”

[সূরা বাক্বারা; আয়াত ১৫৩, পারা ২,অনুবাদঃ কানযুল ইমান ৫৭ পৃষ্ঠা ]

রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নারীর
প্রতি সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার স্বামীর, আর পুরুষের উপর
সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার মায়ের।

-(কানযুল উম্মালঃ ৪৪৭৭১,
মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ২৫৪)

নবী যেদিকে চেয়েছেন ক্বিবলার দিক আল্লাহ সেদিকে পরিবর্তন করেছেন


মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

“আমি লক্ষ্য করছি বারবার আপনার আসমানের দিকে তাকানো। সুতরাং অবশ্যই আমি ফিরিয়ে দেবো সেই ক্বিবলার দিকে, যাতে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে । এখনই আপন মূখ ফিরিয়ে নিন মসজিদে হারামের দিকে ;এবং হে মুসলমানগণ ! তোমরা যেখানেই থাকো স্বীয় মূখ সেটার দিকে ফিরাও । আর যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তারা নিশ্চয় জানে যে, এটা তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্য এবং আল্লাহ তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনবহিত নন ।”

[সূরা বাক্বারা; আয়াত ১৪৪, পারা ২,অনুবাদঃ কানযুল ইমান ৫৪-৫৫ পৃষ্ঠা ]

"উসিলা তালাশ করা যদি শিরিক হয়ে থাকে, হযরত আদম (আঃ) কি শিরিক করেছিলেন? নাউজুবিল্লাহহ, ,

"উসিলা তালাশ করা যদি শিরিক হয়ে থাকে, হযরত আদম (আঃ) কি শিরিক করেছিলেন? নাউজুবিল্লাহহ, ,

নামদারি আহলে হাদিস, লা-মাযহাবীরা আজ মানুষদেরকে কোর-আন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করছে, তাই আমাদের,এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ,,,
দেখুন হাদিস শরিফ কি বলে,,,,

عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ:-

হযরত ওমর বিন কাত্তব (রাঃ) থেকে বর্নিত,
-রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম (আঃ) থেকে পদস্খলন সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি একবার আসমানের দিকে মুখ করলেন, আর বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ﷺ) এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়-মুহাম্মদ কে? [যার অসীলা দিয়ে তুমি দুআ করছো?] তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তখন আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, মুহাম্মদ (ﷺ) এর চেয়ে সর্বোচ্চতর ব্যক্তিত্ব কেউ নেই যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।

★★
এ হাদীসের উপর উত্থাপিত দুটি প্রশ্নঃ-

১. বর্ননায় দুর্বল বরং মওজু তথা জাল।
২. এ হাদিসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত।

কারণ কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত আদম আঃ কে আল্লাহ তাআলা কিছু বাক্য শিখিয়েছিলেন, যখন তিনি তা পড়েছেন, তখন আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেছেন।
আল্লাহ তাআলার বাণী-
فَتَلَقَّىٰ آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
٢:٣٧
অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। {সূরা বাকারা, আয়াত নং-৩৭}

অথচ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলায় দুআ করেছেন, তারপর তার তওবা কবুল হয়, তাহলেতো এ হাদীস কুরআনের বিপরীত। তাই এ হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয়।

★★★
এ দু’টি অভিযোগের জবাবঃ- 

★১ম অভিযোগের জবাবঃ-

এ বর্ণনাটি জাল। একথা আমরা কিছুতেই মানি না। তবে একথা মানি যে, এটা দুর্বল বর্ণনা। তবে এটা এমন দুর্বল হাদীস নয় যে, এটাকে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দলিল হিসেবে পেশ করা যাবে না। বরং তা ফাযায়েলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় পর্যায়ের দুর্বল হাদীস। নিম্ন বর্ণিত ওলামায়ে কেরাম উক্ত হাদীসটিকে দলিলযোগ্য বলে মত ব্যক্ত করেছেন-
১-আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ {আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ-২/৫২৫}
২-ইমাম বায়হাকী রহঃ {দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ}
৩-ইমাম হাকেম রহঃ {মুসতাদরাকে হাকেম}
৪-আল্লামা সুবকী রহঃ {শেফাউস সিকাম}

***
যেসব কিতাবে এ হাদীসটি বর্ণিত
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫০২, আল মুজামুস সগীর লিত তাবরানী, হাদীস নং-৯৯২,
***
এছাড়া আরও রয়েছে আবু নুআইম রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, ইমাম বায়হাকী রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, আদ দুরার কিতাবে ইবনে আসাকীর রহঃ, এবং রয়েছে মাযমাউজ যাওয়ায়েদ কিতাবে।
★★
এ হাদীসের মূল বক্তব্যের উপর আরো দু’টি হাদীস রয়েছে। যথা-
عن عبد الله بن شقيق ؛ أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم : متى كنت نبيا ؟ قال : كنت نبيا وآدم بين الروح والجسد (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب المغازى، ما جاء في مبعث النبي صلى الله عليه وسلم، رقم الحديث-৩৭৭০৮)
অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন শাকিক থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) কে এক লোক প্রশ্ন করল-আপনি কখন থেকে নবী? তিনি বললেন-আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আঃ রুহ ও শরীরের মাঝামাঝি ছিলেন।
সুত্র:-
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৭৭০৮,
মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদীস নং-৫২২২,
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৩১৯১৭,
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১৫৮৩৫}

عن العرباض بن سارية الفزاري قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ( إني عند الله مكتوب بخاتم النبيين وإن آدم لمنجدل في طينته (صحيح ابن حبان، كتاب التاريخ، باب من صفته صلى الله عليه و سلم وأخباره، رقم الحديث-৬৪০৪)
অনুবাদ-হযরত ইরবায বিন সারিয়্যা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-নিশ্চয় আমি আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বশেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলাম তখন, যখন আদম আঃ মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন।
সুত্র:-
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৪০৪,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৬৩,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪১৯৯,
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১৪৫৫,
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২২২,
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং-৫৭৫৯,
আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৩১}
সুতরাং এ বর্ণনাটিকে জাল বলাটা বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।

★ ২য় অভিযোগের জবাবঃ-

রাসূল (ﷺ) এর হাদিস আল্লাহ তাআলার বাণীরই ব্যাখ্যা হয়ে থাকে। আমরা কুরআনের ব্যাখ্যা সর্ব প্রথম রাসূল (ﷺ) এর হাদীস দ্বারাই গ্রহণ করে থাকি।
কুরআনে কারীমে একথা রয়েছে যে, হযরত আদম আঃ কে কিছু কালিমা আল্লাহ তাআলা শিক্ষা দিয়েছেন, যা পড়ার দরূন তার তওবা কবুল হয়েছে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হযরত আদম ( আঃ কে তওবার ওসীলা কালিমা শিক্ষা দেয়াটা ছিল একটি নেয়ামত। আর নেয়ামত সাধারণত কোন নেক আমলের কারণে পাওয়া যায়। হযরত আদম আঃ এর পাওয়া তওবার অসীলা সেসব কালিমা শিখতে পাওয়ার নেয়ামত কোন নেক আমলের কারণে পেয়েছিলেন? তা কুরআনে বর্ণিত নেই।
হাদীসের মাঝে সেই নেক আমলের কথাটি বর্ণনা করা হয়েছে। সেই নেক আমলটি হল, হযরত আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন। সুতরাং এ হাদীসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত অর্থবোধক রইল কিভাবে?

দেখুন- শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ প্রণীত তাফসীরে ফাতহুল আজীজ-১/১৮৩।

#Ahmed
"উসিলা তালাশ করা যদি শিরিক হয়ে থাকে, হযরত আদম (আঃ) কি শিরিক করেছিলেন? নাউজুবিল্লাহহ, ,

নামদারি আহলে হাদিস, লা-মাযহাবীরা আজ মানুষদেরকে কোর-আন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করছে, তাই আমাদের,এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ,,,
দেখুন হাদিস শরিফ কি বলে,,,,

عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ:-

হযরত ওমর বিন কাত্তব (রাঃ) থেকে বর্নিত,
-রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম (আঃ) থেকে পদস্খলন সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি একবার আসমানের দিকে মুখ করলেন, আর বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ﷺ) এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়-মুহাম্মদ কে? [যার অসীলা দিয়ে তুমি দুআ করছো?] তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তখন আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, মুহাম্মদ (ﷺ) এর চেয়ে সর্বোচ্চতর ব্যক্তিত্ব কেউ নেই যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।

★★
এ হাদীসের উপর উত্থাপিত দুটি প্রশ্নঃ-

১. বর্ননায় দুর্বল বরং মওজু তথা জাল।
২. এ হাদিসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত।

কারণ কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত আদম আঃ কে আল্লাহ তাআলা কিছু বাক্য শিখিয়েছিলেন, যখন তিনি তা পড়েছেন, তখন আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেছেন।
আল্লাহ তাআলার বাণী-
فَتَلَقَّىٰ آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
٢:٣٧
অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। {সূরা বাকারা, আয়াত নং-৩৭}

অথচ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলায় দুআ করেছেন, তারপর তার তওবা কবুল হয়, তাহলেতো এ হাদীস কুরআনের বিপরীত। তাই এ হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয়।

★★★
এ দু’টি অভিযোগের জবাবঃ-

★১ম অভিযোগের জবাবঃ-

এ বর্ণনাটি জাল। একথা আমরা কিছুতেই মানি না। তবে একথা মানি যে, এটা দুর্বল বর্ণনা। তবে এটা এমন দুর্বল হাদীস নয় যে, এটাকে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দলিল হিসেবে পেশ করা যাবে না। বরং তা ফাযায়েলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় পর্যায়ের দুর্বল হাদীস। নিম্ন বর্ণিত ওলামায়ে কেরাম উক্ত হাদীসটিকে দলিলযোগ্য বলে মত ব্যক্ত করেছেন-
১-আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ {আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ-২/৫২৫}
২-ইমাম বায়হাকী রহঃ {দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ}
৩-ইমাম হাকেম রহঃ {মুসতাদরাকে হাকেম}
৪-আল্লামা সুবকী রহঃ {শেফাউস সিকাম}

***
যেসব কিতাবে এ হাদীসটি বর্ণিত
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫০২, আল মুজামুস সগীর লিত তাবরানী, হাদীস নং-৯৯২,
***
এছাড়া আরও রয়েছে আবু নুআইম রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, ইমাম বায়হাকী রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, আদ দুরার কিতাবে ইবনে আসাকীর রহঃ, এবং রয়েছে মাযমাউজ যাওয়ায়েদ কিতাবে।
★★
এ হাদীসের মূল বক্তব্যের উপর আরো দু’টি হাদীস রয়েছে। যথা-
عن عبد الله بن شقيق ؛ أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم : متى كنت نبيا ؟ قال : كنت نبيا وآدم بين الروح والجسد (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب المغازى، ما جاء في مبعث النبي صلى الله عليه وسلم، رقم الحديث-৩৭৭০৮)
অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন শাকিক থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) কে এক লোক প্রশ্ন করল-আপনি কখন থেকে নবী? তিনি বললেন-আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আঃ রুহ ও শরীরের মাঝামাঝি ছিলেন।
সুত্র:-
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৭৭০৮,
মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদীস নং-৫২২২,
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৩১৯১৭,
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১৫৮৩৫}

عن العرباض بن سارية الفزاري قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ( إني عند الله مكتوب بخاتم النبيين وإن آدم لمنجدل في طينته (صحيح ابن حبان، كتاب التاريخ، باب من صفته صلى الله عليه و سلم وأخباره، رقم الحديث-৬৪০৪)
অনুবাদ-হযরত ইরবায বিন সারিয়্যা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-নিশ্চয় আমি আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বশেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলাম তখন, যখন আদম আঃ মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন।
সুত্র:-
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৪০৪,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৬৩,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪১৯৯,
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১৪৫৫,
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২২২,
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং-৫৭৫৯,
আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৩১}
সুতরাং এ বর্ণনাটিকে জাল বলাটা বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।

★ ২য় অভিযোগের জবাবঃ-

রাসূল (ﷺ) এর হাদিস আল্লাহ তাআলার বাণীরই ব্যাখ্যা হয়ে থাকে। আমরা কুরআনের ব্যাখ্যা সর্ব প্রথম রাসূল (ﷺ) এর হাদীস দ্বারাই গ্রহণ করে থাকি।
কুরআনে কারীমে একথা রয়েছে যে, হযরত আদম আঃ কে কিছু কালিমা আল্লাহ তাআলা শিক্ষা দিয়েছেন, যা পড়ার দরূন তার তওবা কবুল হয়েছে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হযরত আদম ( আঃ কে তওবার ওসীলা কালিমা শিক্ষা দেয়াটা ছিল একটি নেয়ামত। আর নেয়ামত সাধারণত কোন নেক আমলের কারণে পাওয়া যায়। হযরত আদম আঃ এর পাওয়া তওবার অসীলা সেসব কালিমা শিখতে পাওয়ার নেয়ামত কোন নেক আমলের কারণে পেয়েছিলেন? তা কুরআনে বর্ণিত নেই।
হাদীসের মাঝে সেই নেক আমলের কথাটি বর্ণনা করা হয়েছে। সেই নেক আমলটি হল, হযরত আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন। সুতরাং এ হাদীসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত অর্থবোধক রইল কিভাবে?

দেখুন- শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ প্রণীত তাফসীরে ফাতহুল আজীজ-১/১

114.হাকীম তিরমিজি, নাওয়াদিরুল উসুল

নবী করীম (ﷺ) বলেন: যে আমার রওজা জিয়ারত করবে, কিয়ামতের দিনে তাঁর জন্যে আমার শাফায়াত অবধারিত।
সুত্র:
1. দারুল কুতনী, আল সুনান 2: 278)
2। বায়হাকি, শোহবুল ঈমান 3: 490, এবং 4159 এবং 4160)

3 হাকীম তিরমিজি, নাওয়াদিরুল উসুল 2: 67)

.আল্লাহপাক জাহান্নামীদের দেহকে বড় করে দিবেন, যাতে কষ্ট বেশি হয়ঃ



=> আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামীদের দেহকে জাহান্নামে বড় করে দেবেন যাতে তাদের কষ্ট বেশি হয় ।
যেমন হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,

“একজন কাফেরের কাঁধ একজন
দ্রূতগামী আরোহীর তিন দিনের রাস্তার সমান চওড়া ।"

[বুখারি হাদিস নং: ৬৫৫২,
মুসলিম হাদিস নং: ২৮৫২]

প্রিয় নবীজির হাদিস মোবারক


_________________________
হযরত আবূ সাঈদ রাঃ হতে বর্ণিত, রাসুল দঃ এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক আছেন যারা তাদের সকল সমর্থক ও অনুসারীদের জন্য সুপারিশ করবে । আর কিছু লোক আছেন যারা একটি দলের জন্য সুপারিশ করবে । আর কিছু লোক আছে যারা এক এক জনের জন্য সুপারিশ করবে । এভাবে তারা সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে ।
(তিরমীযি খন্ড,২ পৃঃ ৬৭, হাদিস নং ২৪৪০)

সংগ্রহীত : বাগদাদ

দেওবন্দী ৫ শির্ষ উলামা মাশায়েখ,গনের মিলাদ ও ক্বিয়ামের ওভিমত দলিল

,(১) মাওলানা হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রাঃ তিনি বলেন আমার নীতি হচ্ছে আমি মিলাদ শরীফের মাহফিলে যোগদান করি বরং একে বরকতের ওসীলা মনে করে আমি নিজেই প্রতি বছর এর আয়োজন করে থাকি এবং কিয়ামে আনন্দ ও তৃপ্তি পেয়ে থাকি, (ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়ালা")(২) আল্লামা আহমদ আলী শাহারানপুরী রাঃ তিনি বলেন যে, মিলাদ শরীফ পুন্যময়, মুস্তাহাব যিকিরের অন্তর্ভুক্ত, আমাদের জানামতে কোন মুসলমান মিলাদ শরীফ শরিয়ত সম্মত নয় বা বিদয়াত বলে ফতওয়া দিতে পারেনা, (আল মুহান্নাদ, পৃষ্টা ৪৭-৪৮)(৩) দেওবন্দের প্রতিষ্টাতাদের অন্যতম, আলেম কুল শ্রেষ্ট মাওলানা কাসেম নানুতুবি রাঃ তিনি বলেন মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াকুব সাহেব (প্রধান শিক্ষক মাদরাসায়ে আরাবিয়া দেওবন্দ) স্বয়ং দেওবন্দে বহুবার মিলাদ মাহফিলে শরিক হয়েছেন সবাই কেয়াম করার সময় তিনিও কেয়াম করেছেন, তথাপি হুজুর সাঃ জন্ম আলোচনার সম্মানার্থে সারা মজলিস যখন দাড়িয়ে যাবে তখন কেউ না দাড়িয়ে বসে থাকা বেয়াদবী মুক্ত নয়, ( মুকাদ্দামায়ে দুররুল মুনাজ্জাম)(৪) মাওলানা রশিদ আহমদ গাংগুহী রাঃ তিনি, স্পষ্টভাবে স্বিকার করেছেন যে ফয়্সালাতে হাফতে মাসায়েলে শাইখুল আরব ওয়াল আজম হাজি এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি রাঃ এর রিসালাতে মৌলুদ, ইসালে সাওয়াব ও ওরস এ তিন মাসায়েলাতে যা তিনি লিখেছেন তার সাথে আমিও একমত (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, পৃষ্টা, ১৪৯-৫০)(৫) মাওলানা আশরাফ আলী থাবী রাঃ তিনি বলেন, রাসুল সাঃ এর শানে আহবান বোধক শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং অন্যান্য যাবতীয় দোস ত্রুটি থেকে এ মাহফিল সম্পুর্ন মুক্ত থাকে এ আদত শরিয়ত বিরোধী নয় এমন সব কার্যকলাপ, যেমন-শিরনী বিতরন, কিয়াম করা আতর ব্যবহার বসার জন্য বিছানা বিচানো ইত্যাদিও পালন করা, এ জাতীয় মাহফিলে খুব কমি দৃষ্টিগোচর হয়, এ জাতীয় মাহফিলে যোগদান করা প্রথম প্রকারের নায় নির্ভেজাল জায়েয অথবা দ্বিতীয় প্রকারের ন্যায় নাজায়েয ও নয়, (ইসলাহুর রুসুম-১০০)

বর্তমানে প্রচলিত ইলিয়াস মেওয়াতির স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ হচ্ছে, হাদীস শরীফে বর্নিত খারীজি ফির্কা তার প্রমান

বর্তমানে সকলের পরিচিত এবং তথাকথিত বড় দল হচ্ছে ইলিয়াস মেওয়াতির স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ। এ দলের লোকেরা সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কথামালার বেড়াজালে আবদ্ধ করে নিজেদের দল ভারী করার চেস্টা করে। এবং সাধারণ মানুষও এদের কথা শুনে এবং ফায়দা ফযিলতের কথা শুনে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এই তাবলিগ জামাতের কুফরী আক্বীদা সম্পর্কে অবগত নয়। সাধারন লোকজন এদের আক্বীদা সম্পর্কে না জেনে শুধু এদের দাওয়াতী কাজে যোগ দিয়ে নবীওয়ালা কাম করছে বলে গর্ববোধ করে।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজী ফির্কা।

আসুন আমরা উক্ত খারেজী ফির্কা সম্পর্কে বর্নিত আলামত সমৃদ্ধ হাদীস শরীফ খানা দেখি--

" সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে। এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত। তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না। তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না। তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না। এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।""

দলীল-
√ ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা ।

√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা ।

এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হদস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা " রহমানী পয়গাম" এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭
নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে।

এখন জানার বিষয় হচ্ছে উল্লিখিত হাদীস শরীফে বর্নিত আলামত বা লক্ষন সমূহ তাবলিগীদের মধ্যে আছে কিনা ?

এর জবাবে বলতে হয়- উল্লিখিত হাদীস শরীফে খারেজী ফির্কার যতগুলা লক্ষন বর্নিত আছে তার সবগুলাই তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিরাজমান। আসুন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি-

প্রথমত বলা হয়েছে, " পূর্ব দেশ গুলির মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর থেকে একটি দল বের হবে। "

→ দেখুন, প্রচলিত এই ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ এর উৎপত্তি পূর্ব দেশ থেকে । অর্থাৎ ১৩৪৫ হিজরী সনে পূর্ব দেশ ভারতের মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী 'তাবলীগ জামাত' নামক এই ছয় উছুলী তাবলিগ প্রবর্তন করে। বর্তমানেও ভারতের নিজামুদ্দিন বস্তিতে তাদের মূল মারকায বা ঘাটি রয়েছে । সূতরাং দিবালোকের মত প্রমান হলো যে, প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত নামক দলটি পূর্ব দেশ থেকেই বের হয়েছে ।

দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, " এই দলের সদস্য গন হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।"

→ দেখুন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীদের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে মূর্খ। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুজাতে মূর্খ শ্রেণীর লোক দ্বারা দল ভারী করার কথা বলে গিয়েছে। আর মজার ব্যাপার এদের দলে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও ধীরে ধীরে মূর্খে পরিনত হয়। এরা ফাজায়েলে আমল ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দেখতেও চায় না,পড়তেও চায় না। এবং ছয় উছুলের বাইরে অন্যকিছু তারা আলোচনাও করে না। তাই কোন শিক্ষিত লোক সেখানে গেলে পূর্ন ইলিম চর্চার অভাবে মূর্খে পরিনত হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই চিল্লাওয়ালা তাবলিগিরা আলিমদের চাইতে মূর্খদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
যা তাদের মুরুব্বী দের বক্তব্য
দ্বারা প্রমানিত।

যেমন- তাবলীগিদের বিশিষ্ট
মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন
দেওবন্দী তার কিতাবে লিখেছে--

"অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত
হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও
বিপদে পড়িয়াছিলেন,তাই
অনেক স্থানে বিরাটলআলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।"

দলীল-
√তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু
দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা ।

সবাই একটু লক্ষ্য করুন তাবলীগ
মৌলবী নিজেই স্বীকার করলো তাবলীগি দের অধিকাংশ মূর্খ। কারন তার কিতাবে মূর্খগন
দ্বারা তাবলীগিদের বুঝিয়েছে।

শুধু তাই নয়, তাবলীগি দের
কিতাবে আরো আছে--

" মূর্খ লোক আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লা যথেষ্ট । আর আলেম
দের জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লা।"

দলীল-
√ তের দফা ৭ পৃষ্ঠা ।

তারা আরো বলে থাকে-
"দ্বীন প্রচার শুধু আলেম দের
মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে দ্বীন ধ্বংস
হয়ে যেত এবং যাবে। অর্থাৎ জাহেল লোক তাবলিগ করার কারনে দ্বন টিকে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। "

দলীল-
√ তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও উহার সদুত্তর ৯৫ পৃষ্ঠা ।
মূল : শা : আ: জাকারিয়া। অনুবাদ- মুহিববুর রহমান আহমদ।

এবার আপনারাই বিচার করুন
হাদীস শরীফে বর্নিত দ্বিতীয় লক্ষল
মিলে গেলো কিনা??

তৃতীয়ত বলা হয়েছে, " তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।"

→ এ কথা সারা দুনিয়াবাসীর জানা যে, প্রচলিত এই চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা তাদের বয়ানে শুধু ফজিলতের কথাই বলে। তাদের প্রতিটা সদস্যদের একটাই বুলি- " দ্বীনের রাস্তায় সময় লাগান, বহু ফায়দা হবে, তিন চিল্লা মারেন বহু ফায়দা হবে, গাস্ত করেন বহু ফায়দা হবে!!!""
এই বহু ফায়াদা হবে এটা তাবলীগিদের একটা কমন ডায়ালগ। সেটাই কিন্তু হাদীস শরীফে বলা হয়েছে- তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের বা ফায়দার।"
যেমন কিরকম ফযীলতের কথা এরা বলে একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। এরা সাধারণ মানুষকে মসজিদে ডেকে নিয়ে বুঝায়- " গাশত কারীরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সে রাস্তায় যে ঘাস হয়, সে ঘাস যে গরু খায়, সে গরুর দুধ বা গোশত যারা খাবে তারাও বেহেশতে যাবে, এতো ফায়দা হবে।"

তাদের বক্তব্যে আরো শোনা গেছে- " কিছু সময় গাশতে বের হওয়া শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে হাজরে আসওয়াদকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতেও উত্তম।"

এবার চিন্তা করুন, হাদীস শরীফে বর্নিত লক্ষম এদের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা।
আর এসকল কথার সত্যতা তাদের মুরুব্বী দের কিতাবেই পাওয়া যায়।
তাবলীগ জামায়াত এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতি তার মালফুযাতে লিখেছে-
" ফাযায়েলের মর্যাদা মাসায়েলের চাইতে বেশি।"

দলীল-
√ মলফুযাত ১২৮ পৃষ্ঠা ২০১ নং মালফুজ।

√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০১ পৃষ্ঠা ।

তাদের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা নোমান আহমদ লিখেছে-

" সারা বছর প্রতি মাসে তিন দিন করে লাগালে পুরা বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো হয়েছে বলে গন্য হবে। কারন প্রতি নেক কাজে দশগুন সাওয়াব হিসেবে একদিনের কাজে ত্রিশ দিনের সাওয়াব পাওয়া যাবে।"

দলীল-
√ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ১৩ পৃষ্ঠা ।

তারা ফায়দার কথা বলতে গিয়ে আরো বলে-
" প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। তাতে যার উঠলো তারা নাজাত পেয়ে গেলো।"

দলীল-
√ তাবলীগ কা মুকিম কাম ৩৯ পৃষ্ঠা ।

সূতরাং উপরোক্ত বিষয় গুলা থেকে এটাও প্রমান হলো, তারা ফযীলতের কথা বেশি বলে ।
শুধু তাই নয়, এরা ফযীলত নিয়ে একের পর এক কিতাবও লিখে, যেমন- ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে ছদাকাত, ফাযায়েলে তাবলীগ ইত্যাদি আরো অনেক।

সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত তৃতীয় লক্ষনও এদের মধ্যে পূর্নমাত্রায় বিরাজমান এটা প্রমান হলো।

চতুর্থত যেটা বলা হয়েছে, " তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। "

→ এরা জবাবে বলতে হয়, আপনারা একটু ভালো করে এদের আমল গুলা খেয়াল করবেন। দেখবে লোকদেখানোর জন্য এমন ভাবে নামাজ পড়তেছে যে, সিজদায় গেলে যেনো আর উঠতেই চায় না, রুরুতে গেলে আর উঠতেই চায় না..... সাধারন পাবলিক তখন ভাবে, আহা ! কতই না উত্তম ভাবে নামাজ পড়তেছে। এদের প্রায় সবার কপালে কালো দাগ হয়ে গেছে। এরা বুঝাতে চায় তারা এতো নামাজ পড়ে যে কপালে দাগ পরে যায়। ( মূলত সঠিক ভাবে নামাজ পড়লে ওই রকম দাগ কোন দিনও হবে না, এরা এই দাগ মাটিতে কপাল ঘষে বানায়।) এবং এরা লোক দেখানোর জন্য এবং দলে ভিরানোর জন্য এরা এমন বিনয় প্রদর্শন করে, মানুষ মনে করে না জানি এরা কত ভালো।

আর এথায় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-" তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। "
সূতরাং হাদীস থেকে খারেজীদের চতুর্থ লক্ষন তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান প্রমান হলো।

পঞ্চমত বলা হয়েছে--" তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।'"

→ এর প্রমানও এদের মধ্যে বিদ্যমান । এরা কুরআন শরীফের কোন হুকুম প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করে না। এদের একটাই কাজ সেটা হচ্ছে, গাট্টিবস্তা নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘোরা ফেরা করা আর মসজিদের মুসল্লিদের দাওয়াত দেয়া। অথচ অসংখ্য বেনামাজি আছে, সুদ খোর আছে, দূর্নিতিবাজ আছে এদের বুঝাইতে যায় না। এরা নিজেরাই হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল।
শুধু তাই নয়, দুনিয়াতে খিলাফত কায়েম হোক এ ব্যাপারে তাদের কোন প্রচেষ্টা নেই। বরং খিলফতের ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে।
যেমন তাদের কিতাবে বর্নিত আছে--
" প্রচলিত তাবলিগ জামায়ে জিহাদ পূর্নমাত্রায় বিদ্যমান বা ছয় উছুলী তাবলীগ হচ্ছে জিহাদে আকবর!"

দলীল-
√ তাবলীগে দাওয়াত কি এবং কেন ৭৫ পৃষ্ঠা

√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০৯ পৃষ্ঠা ।

√ তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা ও তার জবাব ৮৮ পৃষ্ঠা ।

অর্থাৎ এই মসজিদে মসজিদে পিকনিক করাকে তারা জিহাদে আকবর বলে। এভাবে ইসলাম কায়েমের দিক থেকে কৌশলে তারা মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে।
আর তাছাড়া তাদের নেসাব ছাড়া তারা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের কোন আলোচনাই করে না।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত- "
তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।" এই লক্ষনও তাবলীগ জামায়াতের মাঝে বিদ্যমান সেটা প্রমান হলো।

পরিশেষে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-" এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।""

অর্থাৎ এরা দিন ইসলাম থেকে খারীজ হয়ে গিয়েছে, চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদের দলে বা এদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে ।

উপরোক্ত হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজীদের যাবতীয় লক্ষন চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো।


এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরাই হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত জাহান্নামী মুরতাদ খারেজী ফির্কা। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফ বর্নিত আরো কিছু অকাট্য প্রমান :


হাদীস শরীফ-

" হযরত শারীক ইবনে শিহাব রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার প্রবল ইচ্ছে ছিলো যে, যদি আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাহাবীর সাক্ষাত পাই তবে উনাকে " খারেজীদের" সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবো। সৌভাগ্যবশত এক ঈদের দিন হযরত আবু বারযাতুল আসলামী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার সাথে উনার কতক বন্ধু সমেত সাক্ষাৎ হলো। তখন আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কখনো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে "খারেজীদের" সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি আমার দুকানে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি এবং নিজ চোখে তাকে দেখেছি। একদা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে কিছু মাল আসলো। তিনি তা বন্টন করে দিলেন। যে উনার ডানে ছিলো তাকেও দিলেন এবং যে উনার বামে ছিলো তাকেও দিলেন। কিন্তু যে উনার পিছনে ছিলো তাকে কিছুই দিলেন না। তখন এক ব্যক্তি পিছন থেকে দাঁড়িয়ে বললো, হে মুহম্মদ ! (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাল বন্টনে আপনি ইনসাফ করছেন না। ( নাউযুবিল্লাহ)
লোকটি ছিলো কালো বর্নের নেড়ে মাথা, গায়ে ছিলো সাদা রং এর দুখানা কাপড়। তার কথা শুনে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভীষন রাগান্বিত হলেন এবং বললেন, আল্লাহ পাক উনার কসম! তোমরা আমার পরে আর কোন ব্যক্তিকেই আমার চাইতে বেশি ইনসাফ কারী পাবে না। অতঃপর বললেন, শেষ জামানায় এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে এ লোকটি তাদের একজন। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের কন্ঠনালীর নিচে নামবে না। অর্থাৎ অন্তরে বসবে না। তারা ইসলাম থেকে এরুপ বের হয়ে যাবে যেরুপ নিক্ষিপ্ত তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। তাদের পরিচয় হলো তারা হবে ন্যাড়া মাথা। অর্থাৎ সর্বদা মাথা মুন্ডন করবে। ""

দলীল-
√ নাসাঈ শরীফ

√ মিশকাত শরীফ ১ম খন্ড, কিতাবুল কিসাস, মুরতাদ দের হত্যা সংক্রান্ত অধ্যায় ।

হাদীসে আরো বর্নিত আছে--

" হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, শেষ যামানায় এমন এক দলের আবির্ভাব হবে ( যে দলের সদস্যরা) বয়সে যুবক নির্বোধ ও মূর্খ হবে। তার বয়ানে শ্রেষ্ঠতম কথা গুলোই বলবে। "

দলীল-
√ বুখারী শরীফ

মাহবুবে সুবহানী, ইমামে রব্বানী, শায়েখ মুহিউদদ্দিন আব্দুর কাদীর জ্বিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি খারেজীদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন বলেন-

" খারেজীদের আরেকটি দলের নাম হারুরীয়া। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার দল ছেড়ে কুফা হতে বের হয়ে হারুরা নামক স্থানে অবস্থান নিয়েছিল।তাই এদের হারুরীয়া বলা হয়। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, এরা দ্বীন হতে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যেমন ধনুক হতে তীর বের হয়ে যায়। এরা কখনোই দ্বীনে ফিরে আসবে না। সত্যি এরা দ্বীন ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। সত্য পথ পরিহার করেছে। ইসলামী খিলাফতের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে এবং মুসলমান দের জান মাল হালাল মনে করেছে। এরা তাদের দলভুক্ত নয় এমন লোকদের কাফির মনে করে থাকে। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় ছাহাবীগনের উপর জুলুম ও নির্যাতন করেছে এবং ছাহবীগনের হত্যা বা সমালোচনা বৈধ মনে করে। "

দলীল-
√ গুনিয়াতুত তলেবীন ৮৮ পৃষ্ঠা ।

উপরোক্ত হাদীস শরীফ সমূহের বর্ননা দ্বারা খারেজীদের আক্বীদা, আমাল ও বৈশিষ্ট্য থেকে যে সকল বিষয় পাওয়া যায় তা হলো-

(১) নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বদ ধারনা অর্থাৎ নবী রসূল আলাইহিস সালাম গন ভুল করেছেন বা গুনাহ করেছেন বলে মনে করা।

(২) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনের প্রতি বদ ধারনা। অর্থাৎ খারেজীরা হযরত সাহাবায়ে কিরাম গনের সমালোচনা করা বৈধ মনে করে।

(৩) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নত বাবরী চুলের বিরোধিতা করে মাথা ন্যাড়া করা বা মুন্ডন করা পছন্দ করে।

(৪) অধিকাংশ সদস্য নির্বোধ ও জাহিল হওয়া।

(৫) তাদের বয়ান গুলো চমকপ্রদ হওয়া।

(৬) এরা এদের দলভুক্ত ব্যতীত অন্য সবাইকে কাফির মনে করে।

এবার আসুন দেখা যাক উল্লেখিত আক্বীদা, আমল, বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রচলিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামায়াত এর মধ্যে আছে কিনা !!

(১) খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীরাও হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সুধারনা রাখে না। বরং তাবলীগিদের আক্বীদা হচ্ছে- নবী-রসূল গন ভুল করেছেন, উনার গুনাহ করেছেন ইত্যাদি ।

আসুন আমারা প্রমাণ গুলা দেখি-

তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুযাতের মধ্যে লিখেছে--

" যখন তাঁহারা ( নবী-রসূল আলাইহিস সালাম ) সেই তালীম ও হেদায়েতের জন্য সাধারণ তবকার লোকদের সহিত মেলামেশা করিতেন তখন তাঁহাদের মোবারক ও নূরানী অম্তর সমূহে সেই সাধারণ লোকদের অন্তরের ময়লা ও আবর্জনা প্রতিফলিত হইত। অতঃপর নির্জনে বসিয়া জিকির ফিকিরের দ্বারা সেই আবর্জনা ধৌত করিয়া ফেলিতেন।"

দলীল-
√ মলফুজাত ১১১ নং মলফুজ।

তাবলীগিদের মুরুব্বী দের দ্বারা লিখিত কিতাবে আছে--

" হযরত আদম আলাইহিস সালাম গন্দম খেয়ে ভুল করেছেন।"

দলীল-
√ মলফুযাতে শায়খুল হাদীস ২৩১ পৃষ্ঠা ।

তাবলীগের অন্যতম গুরু ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী লিখেছে--

" দাওয়াত বন্ধ করার কারনে আল্লাহ হযরত ইউনুছ আলাইহিস সালামকে অবশ্য গযবে ফেললেন। হযরত ইউনুছ আলাইহিস সালাম মাছের পেটে চল্লিশ দিন আবদ্ধ থেকে নিজ ভুল ত্রুটি স্বীকার করে তওবা করার কারনে বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেন।"
নাউযুবিল্লাহ !!

দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৬২ ও ৮৯ পৃষ্ঠা ।

এই খারেজী তাবলিগী মৌলবী আরো লিখেছে--

" হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চল্লিশ দিন পর্যন্ত গারে হেরা পর্বতে থেকে আল্লাহ পাকের ধ্যান ও যিকিরের চিল্লা দিলেন, যার ফলে তিনি কুরআন ও নবুওয়াত প্রাপ্ত হলেন।"
নাউযুবিল্লাহ !!

দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৮৯ পৃষ্ঠা ।

উক্ত খারেজী ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী তার কিতাবে আরো লিখেছে--

" হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘকাল পর্যন্ত ঈমানের তাবলীগ করে প্রথমে ঈমান পরিপোক্ত করিয়াছেন।"

দলীল-
√ তবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৭০ পৃষ্ঠা ।

উপরোক্ত দলীল দ্বার অকাট্যভাবে প্রমানিত হলো খারেজীদের প্রথম বৈশিষ্ট্য নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের অবজ্ঞা এবং সমালোচনা করার এই বৈশিষ্ট্য তাবলীগিদের মাঝে শতভাগ বিদ্যমান।

(২) এরপর দ্বিতীয় যে বৈশিষ্ট্য সেটা হচ্ছে, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের প্রতি বদ ধারনা করা এবং উনাদের সমালোচনা করা। খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরাও সাহাবায়ে কিরাম গনের সমালোচনা ও বদ ধারনা করে থাকে। এর কিছু প্রমান দেয়া হলো--

চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের অন্যতম মুরুব্বী ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখেছে--

"লক্ষাধিক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনের মধ্যে অধিকাংশই মূর্খ ছিলেন।"
নাউযুবিল্লাহ !!

দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৯৩ পৃষ্ঠা ।

√ শরীয়তের দৃষ্টিতে তাবলীগী নেছাব ।

√ তাবলীগ জামায়াতের প্রধান তর্ক ও ইচ্ছা।

প্রচলিত তাবলীগিদের বিশ্ব আমীরের বয়ান সম্বিলিত কিতাবে লিখেছে--

" কিছু ছাহাবী উহুদ যুদ্ধে ভুলের স্বীকার হয়ে চীজ আসবাব (গনীমতের মাল) এর দিকে দৃষ্টি দিয়ে গিরিপথ থেকে সরে এসে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশ অমান্য করায় উহুদ যুদ্ধে পরাজয় বরন করতে হয়েছে ।"

দলীল-
√ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ৫৩-৫৫

খারেজী ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখেছে-

" হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনের ঈমান দীর্ঘকাল তাবলিগ করার কারনেই পরিপোক্ত বা মজবুত হয়েছে ।"

দলীল-
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ৭০ পৃষ্ঠা ।

উপরোক্ত দলীদ দিয়ে দেখা গেলো প্রচলিত তাবলীগিরা খারেজীদের মত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম গনের সমালোচনা করে এবং তাদের অপনান সূচক কথা বলে। অতএব এ বৈশিষ্ট্যও তাবলিগীদের মধ্যে রয়েছে এটা প্রমান হলো।

(৩) এরপর তৃতীয়ত যেটা বলা হয়েছে, এরা সুন্নতী বাবরী চুল না রেখে সর্বদা মাথা ন্যাড়া বা মুন্ডন করবে। এটা খুবই মজার ব্যাপার এটা যাচাই করতে আপনারা ঢাকা কাকরাই আসেন, দেখবেন ন্যাড়া মাথার অনেক খারেজী ঘোড়াফেরা করতেছে। এবং আমি নিজেও অসংখ্য বার তাবলিগী দের সেলুনে মাথা মুন্ডন করতে দেখেছি।
বাংলাদেশের তাবলিগী খারেজীদের অন্যতম মৃত শায়খুল হদস আজিজুল হক এর "রহমানী পয়গাম" এবং হাটহাজারীর আহম্মক শফীর "মাসিক মঈনুল ইসলাম" পত্রিকায় যতবার চুল রাখা সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে ততবার এরা উত্তর লিখেছে, মাথা মুন্ডন কারা সুন্নত!"

দলীল-
√ মঈনুল ইসলাম মার্চ/২০০২ সংখ্যা।

অথচ সিয়া ছিত্তার হাদীসে শতশত হাদীস শরীফ আছে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাবরী চুল রাখতেন।

কিতাবে বর্নিত আছে--

ان المصطفي كان لايحلق شعره لغير نسك

অর্থ: প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্ব ব্যাতীত অন্য কোন সময় উনার মাথা মুন্ডন করেন নাই।"

দলীল-
√ জামিউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ১/৯৯

ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৯ম খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠায় আছে-" মাথা মুন্ডন সুন্নত নয়।"

অথচ এই তাবলিগীরা মাথা মুন্ডন করে চকচকে করে রাখে। কারন মাথা মুন্ডন করাই হচ্ছে খারেজীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খারেজীদের লক্ষন বর্ননা করে বলেন--
سيما هم التحليق

অর্থ: মাথা মুন্ডন হচ্ছে এদের বিশেষ চিহ্ন ।"

দলীল-
√ মিশকাত শরীফ কিতাবুল কিসাস

সূতরাং খারেজীদের অন্যতম লক্ষন বা বৈশিষ্ট্য মাথা মুন্ডন বা ন্যাড়া করা তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান । অতএব এ তৃতীয় বৈশিষ্ট্যও প্রমানিত হলো।

(৪) চতুর্থত যে বৈশিষ্ট্য, অধিকাংশ লোক নির্বোধ, মূর্খ, জাহিল হওয়া। এবিষয়ে এই নোটের প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দেয়া হয়েছে । ওইখানে দেখুন....

(৫) পঞ্চমত যেটা বলা হয়েছে, এদের বক্তব্য হবে বহুগুনের ফযীলতে বা চমকপ্রদ। এ বিষয়েও এই নোটে প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দিয়ে প্রমান করা হয়েছে । সেখানে আবার দেখুন.......

(৬) ষষ্ঠত যেটা বলা হয়েছে, এরা নিজেদের ব্যতীত অন্য সবাইকে কাফির মনে করবে। খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা নিজেদের ব্যতীত সবাইকে অমুসলিম মনে করে। এদের ধরনা শুধু এরাই মুসলিম আর সবাই কাফির।
এর প্রমান স্বয়ং তাবলিগীদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতির মালফুজাতে আছে। সে লিখেছে-

" মুসলমান দুই প্রকার। একদল তাবলীগের জন্য হিজরত করবে । দ্বিতীয় দল নুছরত বা সাহায্য করবে। এ দু'দলই মুসলমান ।"

দলীল-
√ মালফুজাত ৪৩ পৃষ্ঠা ৪২ নং মালফুজ।

√ দাওয়াত ও তাবলীগ কি ও কেন ২১ পৃষ্ঠা ।

√ হযরতজীর কয়েকটি সম্মরনীয় বয়ান ২/১১

√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১৭৪ পৃষ্ঠা ।

উক্ত তাবলীগ প্রতিষ্ঠাতা স্পষ্ট বলেই দিলো, যারা তার স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগি করবে এবং একাজে সাহায্য করবে তারাই মুসলমান। আর যারা করবে না তারা মুসলমান না।

শুধু তাই নয়, তাবলীগ গুরু আম্বর আলী লিখেছে-

" ছয় উছুল ভিত্তিক এবং তরতীব মোতাবেক সকল স্থানের সকল লোককে দাওয়াত দেয়া ফরজ বা জরুরী এবং এ দাওয়াত না দেওয়ার কারনে যারা ঈমানহারা হয়ে মারা যাবে, তাদের জন্য যারা দাওয়াতের কাজ করবে না অথবা জড়িত থাকবে না, তাদেরকে আল্লাহ পাকের কাছে জবাবদীহি করতে হবে এবং তারা পাকড়াও হবে।"

দলীল-
√ দাওয়াতে তাবলীগ ৪৯ পৃষ্ঠা ।

উক্ত দলীল থেকে দেখা যাচ্ছে, তাদের ভাষ্যমতে যারা তাদের স্বপ্নে প্রাপ্ত চিল্লাওয়ালা ছয় উছুলী তাবলীগ করবে না তারা ঈমানহারা হবে, জাহান্নামী হবে , মুসলমান হতে পারবেনা ইত্যাদি ।
আর এরকম আক্বীদা একমাত্র খারেজী ফির্কাই পোষন করে।
খারেজীরাই বলে থাকে তাদের দলভুক্ত না হলে সবাই কাফির। এবিষয়টি আমরা তাবলীগিদের মধ্যেও দেখতে পেলাম।

সম্মানিত মুসলমান ভাই ও বোনেরা, আমরা অত্যম্ত সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ দিয়ে বুঝতে পারলাম খারেজী ফির্কা সংক্রান্ত যে হাদীস শরীফ বর্নিত হয়েছে, সেখানে খারেজীদের যে লক্ষন বলা হয়েছে সে লক্ষন সমূহ প্রচলিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামায়াতের মধ্যে পরিপূর্ণ বিদ্যমান রয়েছে । আর খারেজীদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত।
এবং এই খারেজীদের ব্যাপারে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন--->>

لءن ادر كتهم لا قتلنهم قتل عاد

অর্থ: যদি আমি তাদের পেতাম, আদ গোত্রের মত হত্যা করতাম।"

দলীল-
√ মিশকাত শরীফ- মুজিজা অধ্যায়- ১ম পরিচ্ছেদ ।

এবার চিন্তা করুন কত কঠোর বানী উচ্চির হয়েছে খারেজীদের ব্যাপারে। তাবলীগিরা যেহেতু খারেজী তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য, এই তাবলিগীদের প্রতিহত করা, এদের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা, সালাম না দেয়া, সালামের জবাব না দেয়া, ছেলে-মেয়ে বিয়ে শাদী না দেয়া, এদের সাথে খাদ্য না খাওয়া,মারা গেলে জানাজা না পড়া, মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়া।
এইটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ফতোয়া।
আল্লাহ পাক আমাদের এই খারেজী তাবলীগি ফির্কা থেকে হিফাজত করুন।
আমীন !!!!

[ সবাই বেশি করে শেয়ার করুন, মানুষের ঈমান আমল হিফাজতে সাহায্য করুন]

109. ‘ইসলামের বাস্তব কাহিনী’ হযরত ছিদ্দিকে আকবর (রাঃ)- এর স্বপ্ন



মূলঃ আল্লামা আবুল নূর বশীর
অনুবাদ- অধ্যাপক লুৎফুর রহমান

হযরত ছিদ্দিকে আকবর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ইসলাম গ্রহণ করার আগে বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। একবার তিনি ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া গিয়েছিলেন। তথায় একরাত্রে তিনি স্বপ্ন দেখলেন যে, আসমান থেকে চাঁদ ও সূর্য নেমে এসে তাঁর কোলের উপর আশ্রয় নিল। তিনি (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উভয়টাকে ধরে বুকে টেনে নিলেন এবং স্বীয় চাদর খানা উপরে জড়ায়ে দিলেন। ভোরে যখন জাগ্রত হলেন, তখন এ দুর্লভ স্বপ্নের তাবীর জানার আগ্রহে এক পাদরীর কাছে গেলেন। পাদরী পুরা স্বপ্নটা শুনে ওনাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নাম কি, কোথাকার অধিবাসী এবং কোন গোত্রের? হযরত ছিদ্দিকে আকবার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ফরমালেন, আমার নাম আবু বকর, মক্কার অধিবাসী এবং বনী হাশেম গোত্রের অন্তর্ভূক্ত। পাদরী পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, আপনি সৌভাগ্যবান, মক্কার বনী হাশিম গোত্র হতে শেষ নবীর আবির্ভাব হচ্ছে। এ পবিত্র নবী না এলে, আল্লাহ তায়ালা আসমান জমীন সৃষ্টি করতেন না। তিনি সমস্ত নবী রাসূলগণের সরদার হবেন, সবাই তাঁকে ‘মুহাম্মাদুল আমীন’ নামে স্মরণ করব্।ে হে আবু বকর! এ স্বপ্নের তাবীর হচ্ছে আপনি ওনার ধর্ম গ্রহণ করবেন এবং তাঁর প্রথম খলিফা হবেন। হে আবু বকর! আমি সেই পবিত্র নবীর সম্পর্কে তৌরাত কিতাবে পড়েছি। ইনজিল ও যবুর কিতাবেও তাঁর প্রশংসা বর্ণিত আছে। আমি তাঁর উপর ঈমান এনেছি এবং তাঁর ধর্ম গ্রহণ করেছি। তবে ইয়াহুদীদের ভয়ে স্বীয় ঈমান গোপন রেখেছি। আজ আপনাকে আসল কথা বলে দিলাম।
হযরত ছিদ্দিকে আকবার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এ
তাবীর শুনে ভীষণ প্রভাবান্বিত হলেন, তাঁর মনের মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসে গেল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর সাক্ষাত লাভের আগ্রহে অস্থির হয়ে পড়লেন। কালবিলম্ব না করে মক্কায় ফিরে আসলেন এবং নবীজীর খেদমতে উপস্থিত হয়ে নবীজীকে দেখে পরম তৃপ্তি বোধ করলেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বকরকে দেখে মুচকি হাসলেন এবং ফরমালেন, হে আবু বকর! তাড়াতাড়ি কালেমা পাঠ করে আমার ধর্মে দাখিল হয়ে যাও। হযরত ছিদ্দিকে আকবর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আরয করলেন, হুযুর! কোন মুজেযা দেখার কি প্রত্যাশা করতে পারি? হুযুর মুচকি হেসে বললেন, সিরিয়ায় যে স্বপ্ন দেখে এসেছ এবং পাদরী থেকে যে তাবীর শুনেছ, সেটাতো আমার মুজেজা। একথা শুনার সাথে সাথে ছিদ্দিক আকবর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উচ্চস্বরে বলে উঠলেন_ আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। (জামেউল মুজেহাত ৪ পৃঃ, নুজহাতুল মাজালিস ৩০২ পৃঃ)।

শিক্ষণীয় বিষয়ঃ হযরত ছিদ্দিক আকবর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) প্রথম খলিফা হওয়াটা আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। তৌরাত ও ইঞ্জিল বিশারদগণও এ ব্যাপারে অবহিত ছিলেন। এরপরও যারা তাঁর খেলাফতকে অস্বীকার করে, তারা বড় অজ্ঞ। আমাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগ-পরের
এবং দিন-রাতের সব বিষয় জানতেন, তাঁর কাছে কোন বিষয় অদৃশ্য ছিল না।
#»a‹›u‹›n«