"উসিলা তালাশ করা যদি শিরিক হয়ে থাকে, হযরত আদম (আঃ) কি শিরিক করেছিলেন? নাউজুবিল্লাহহ, ,
নামদারি আহলে হাদিস, লা-মাযহাবীরা আজ মানুষদেরকে কোর-আন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করছে, তাই আমাদের,এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ,,,
দেখুন হাদিস শরিফ কি বলে,,,,
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ:-
হযরত ওমর বিন কাত্তব (রাঃ) থেকে বর্নিত,
-রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম (আঃ) থেকে পদস্খলন সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি একবার আসমানের দিকে মুখ করলেন, আর বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ﷺ) এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়-মুহাম্মদ কে? [যার অসীলা দিয়ে তুমি দুআ করছো?] তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তখন আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, মুহাম্মদ (ﷺ) এর চেয়ে সর্বোচ্চতর ব্যক্তিত্ব কেউ নেই যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।
★★
এ হাদীসের উপর উত্থাপিত দুটি প্রশ্নঃ-
১. বর্ননায় দুর্বল বরং মওজু তথা জাল।
২. এ হাদিসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত।
কারণ কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত আদম আঃ কে আল্লাহ তাআলা কিছু বাক্য শিখিয়েছিলেন, যখন তিনি তা পড়েছেন, তখন আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেছেন।
আল্লাহ তাআলার বাণী-
فَتَلَقَّىٰ آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
٢:٣٧
অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। {সূরা বাকারা, আয়াত নং-৩৭}
অথচ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলায় দুআ করেছেন, তারপর তার তওবা কবুল হয়, তাহলেতো এ হাদীস কুরআনের বিপরীত। তাই এ হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয়।
★★★
এ দু’টি অভিযোগের জবাবঃ-
★১ম অভিযোগের জবাবঃ-
এ বর্ণনাটি জাল। একথা আমরা কিছুতেই মানি না। তবে একথা মানি যে, এটা দুর্বল বর্ণনা। তবে এটা এমন দুর্বল হাদীস নয় যে, এটাকে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দলিল হিসেবে পেশ করা যাবে না। বরং তা ফাযায়েলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় পর্যায়ের দুর্বল হাদীস। নিম্ন বর্ণিত ওলামায়ে কেরাম উক্ত হাদীসটিকে দলিলযোগ্য বলে মত ব্যক্ত করেছেন-
১-আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ {আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ-২/৫২৫}
২-ইমাম বায়হাকী রহঃ {দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ}
৩-ইমাম হাকেম রহঃ {মুসতাদরাকে হাকেম}
৪-আল্লামা সুবকী রহঃ {শেফাউস সিকাম}
***
যেসব কিতাবে এ হাদীসটি বর্ণিত
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫০২, আল মুজামুস সগীর লিত তাবরানী, হাদীস নং-৯৯২,
***
এছাড়া আরও রয়েছে আবু নুআইম রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, ইমাম বায়হাকী রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, আদ দুরার কিতাবে ইবনে আসাকীর রহঃ, এবং রয়েছে মাযমাউজ যাওয়ায়েদ কিতাবে।
★★
এ হাদীসের মূল বক্তব্যের উপর আরো দু’টি হাদীস রয়েছে। যথা-
عن عبد الله بن شقيق ؛ أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم : متى كنت نبيا ؟ قال : كنت نبيا وآدم بين الروح والجسد (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب المغازى، ما جاء في مبعث النبي صلى الله عليه وسلم، رقم الحديث-৩৭৭০৮)
অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন শাকিক থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) কে এক লোক প্রশ্ন করল-আপনি কখন থেকে নবী? তিনি বললেন-আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আঃ রুহ ও শরীরের মাঝামাঝি ছিলেন।
সুত্র:-
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৭৭০৮,
মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদীস নং-৫২২২,
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৩১৯১৭,
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১৫৮৩৫}
عن العرباض بن سارية الفزاري قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ( إني عند الله مكتوب بخاتم النبيين وإن آدم لمنجدل في طينته (صحيح ابن حبان، كتاب التاريخ، باب من صفته صلى الله عليه و سلم وأخباره، رقم الحديث-৬৪০৪)
অনুবাদ-হযরত ইরবায বিন সারিয়্যা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-নিশ্চয় আমি আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বশেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলাম তখন, যখন আদম আঃ মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন।
সুত্র:-
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৪০৪,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৬৩,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪১৯৯,
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১৪৫৫,
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২২২,
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং-৫৭৫৯,
আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৩১}
সুতরাং এ বর্ণনাটিকে জাল বলাটা বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।
★ ২য় অভিযোগের জবাবঃ-
রাসূল (ﷺ) এর হাদিস আল্লাহ তাআলার বাণীরই ব্যাখ্যা হয়ে থাকে। আমরা কুরআনের ব্যাখ্যা সর্ব প্রথম রাসূল (ﷺ) এর হাদীস দ্বারাই গ্রহণ করে থাকি।
কুরআনে কারীমে একথা রয়েছে যে, হযরত আদম আঃ কে কিছু কালিমা আল্লাহ তাআলা শিক্ষা দিয়েছেন, যা পড়ার দরূন তার তওবা কবুল হয়েছে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হযরত আদম ( আঃ কে তওবার ওসীলা কালিমা শিক্ষা দেয়াটা ছিল একটি নেয়ামত। আর নেয়ামত সাধারণত কোন নেক আমলের কারণে পাওয়া যায়। হযরত আদম আঃ এর পাওয়া তওবার অসীলা সেসব কালিমা শিখতে পাওয়ার নেয়ামত কোন নেক আমলের কারণে পেয়েছিলেন? তা কুরআনে বর্ণিত নেই।
হাদীসের মাঝে সেই নেক আমলের কথাটি বর্ণনা করা হয়েছে। সেই নেক আমলটি হল, হযরত আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন। সুতরাং এ হাদীসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত অর্থবোধক রইল কিভাবে?
দেখুন- শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ প্রণীত তাফসীরে ফাতহুল আজীজ-১/১
নামদারি আহলে হাদিস, লা-মাযহাবীরা আজ মানুষদেরকে কোর-আন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করছে, তাই আমাদের,এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ,,,
দেখুন হাদিস শরিফ কি বলে,,,,
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ:-
হযরত ওমর বিন কাত্তব (রাঃ) থেকে বর্নিত,
-রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম (আঃ) থেকে পদস্খলন সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি একবার আসমানের দিকে মুখ করলেন, আর বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ﷺ) এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়-মুহাম্মদ কে? [যার অসীলা দিয়ে তুমি দুআ করছো?] তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তখন আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, মুহাম্মদ (ﷺ) এর চেয়ে সর্বোচ্চতর ব্যক্তিত্ব কেউ নেই যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।
★★
এ হাদীসের উপর উত্থাপিত দুটি প্রশ্নঃ-
১. বর্ননায় দুর্বল বরং মওজু তথা জাল।
২. এ হাদিসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত।
কারণ কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত আদম আঃ কে আল্লাহ তাআলা কিছু বাক্য শিখিয়েছিলেন, যখন তিনি তা পড়েছেন, তখন আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেছেন।
আল্লাহ তাআলার বাণী-
فَتَلَقَّىٰ آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
٢:٣٧
অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। {সূরা বাকারা, আয়াত নং-৩৭}
অথচ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলায় দুআ করেছেন, তারপর তার তওবা কবুল হয়, তাহলেতো এ হাদীস কুরআনের বিপরীত। তাই এ হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয়।
★★★
এ দু’টি অভিযোগের জবাবঃ-
★১ম অভিযোগের জবাবঃ-
এ বর্ণনাটি জাল। একথা আমরা কিছুতেই মানি না। তবে একথা মানি যে, এটা দুর্বল বর্ণনা। তবে এটা এমন দুর্বল হাদীস নয় যে, এটাকে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দলিল হিসেবে পেশ করা যাবে না। বরং তা ফাযায়েলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় পর্যায়ের দুর্বল হাদীস। নিম্ন বর্ণিত ওলামায়ে কেরাম উক্ত হাদীসটিকে দলিলযোগ্য বলে মত ব্যক্ত করেছেন-
১-আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ {আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ-২/৫২৫}
২-ইমাম বায়হাকী রহঃ {দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ}
৩-ইমাম হাকেম রহঃ {মুসতাদরাকে হাকেম}
৪-আল্লামা সুবকী রহঃ {শেফাউস সিকাম}
***
যেসব কিতাবে এ হাদীসটি বর্ণিত
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫০২, আল মুজামুস সগীর লিত তাবরানী, হাদীস নং-৯৯২,
***
এছাড়া আরও রয়েছে আবু নুআইম রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, ইমাম বায়হাকী রহঃ এর দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, আদ দুরার কিতাবে ইবনে আসাকীর রহঃ, এবং রয়েছে মাযমাউজ যাওয়ায়েদ কিতাবে।
★★
এ হাদীসের মূল বক্তব্যের উপর আরো দু’টি হাদীস রয়েছে। যথা-
عن عبد الله بن شقيق ؛ أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم : متى كنت نبيا ؟ قال : كنت نبيا وآدم بين الروح والجسد (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب المغازى، ما جاء في مبعث النبي صلى الله عليه وسلم، رقم الحديث-৩৭৭০৮)
অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন শাকিক থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) কে এক লোক প্রশ্ন করল-আপনি কখন থেকে নবী? তিনি বললেন-আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আঃ রুহ ও শরীরের মাঝামাঝি ছিলেন।
সুত্র:-
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৭৭০৮,
মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদীস নং-৫২২২,
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-৩১৯১৭,
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১৫৮৩৫}
عن العرباض بن سارية الفزاري قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ( إني عند الله مكتوب بخاتم النبيين وإن آدم لمنجدل في طينته (صحيح ابن حبان، كتاب التاريخ، باب من صفته صلى الله عليه و سلم وأخباره، رقم الحديث-৬৪০৪)
অনুবাদ-হযরত ইরবায বিন সারিয়্যা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-নিশ্চয় আমি আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বশেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলাম তখন, যখন আদম আঃ মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন।
সুত্র:-
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৪০৪,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৬৩,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪১৯৯,
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১৪৫৫,
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২২২,
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং-৫৭৫৯,
আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৩১}
সুতরাং এ বর্ণনাটিকে জাল বলাটা বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।
★ ২য় অভিযোগের জবাবঃ-
রাসূল (ﷺ) এর হাদিস আল্লাহ তাআলার বাণীরই ব্যাখ্যা হয়ে থাকে। আমরা কুরআনের ব্যাখ্যা সর্ব প্রথম রাসূল (ﷺ) এর হাদীস দ্বারাই গ্রহণ করে থাকি।
কুরআনে কারীমে একথা রয়েছে যে, হযরত আদম আঃ কে কিছু কালিমা আল্লাহ তাআলা শিক্ষা দিয়েছেন, যা পড়ার দরূন তার তওবা কবুল হয়েছে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হযরত আদম ( আঃ কে তওবার ওসীলা কালিমা শিক্ষা দেয়াটা ছিল একটি নেয়ামত। আর নেয়ামত সাধারণত কোন নেক আমলের কারণে পাওয়া যায়। হযরত আদম আঃ এর পাওয়া তওবার অসীলা সেসব কালিমা শিখতে পাওয়ার নেয়ামত কোন নেক আমলের কারণে পেয়েছিলেন? তা কুরআনে বর্ণিত নেই।
হাদীসের মাঝে সেই নেক আমলের কথাটি বর্ণনা করা হয়েছে। সেই নেক আমলটি হল, হযরত আদম আঃ রাসূল (ﷺ) এর ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন। সুতরাং এ হাদীসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত অর্থবোধক রইল কিভাবে?
দেখুন- শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ প্রণীত তাফসীরে ফাতহুল আজীজ-১/১