আমাদের সমাজের অনেকেই নূরে মুজাস্সাম নুরুন আলা নূর হাবীবুল্লাহ হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের মত সাধারণ মাটির তৈরী মানুষ বলে প্রমান করতে সুরা কাহাফের নিম্মের এই আয়াত কপি-পেষ্ট করে সব সময়
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
110
অর্থঃ বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
এখন এই আয়াতে কারিমার জাহেরী ও বাতেনি অর্থের উপর ভিত্তি করে এর উপর অতি সংক্ষেপে কিছু তাত্ত্বিক আলোচনা করবো আর এই আয়াতের শব্দগুলোর তাত্ত্বিক আলোচনা পরবর্তী পোস্টগুলোতে করবো ইন শাহ আল্লাহুল আজিজ | আর প্রমান করে ছাড়বো বাতিল পন্থীরা যে এই আয়াতের মর্ম উপলব্ধি করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যার্থ হয়েছে ইন শাহ আল্লাহ |
পবিত্র কোরআনের আয়াতে কারিমার অর্থগুলো ২ প্রকার | একটা জাহেরী আর আরেকটা বাতেনী অর্থ প্রকাশ করে | যারা কোরআনের জাহেরী অর্থ ছেড়ে শুধু বাতেনী অর্থ তালাশ করে তারা জিন্দিক ফাসেক আর যারা বাতেনী অর্থ ছেড়ে শুধু জাহেরী অর্থ তালাশ করে তাদের পরিচয়ও কিন্তু জিন্দিক ফাসেক | কোরআনের একটা আয়াত দিয়ে কখনো কোন কিছুর সঠিক ফায়সালা করাটা একটু কঠিনই বটে | কেননা কোরআনের একটি আয়াতের সাথে আরেকটি আয়াতের অর্থ ও প্রেক্ষাপট গভীরভাবে সম্পর্কিত | তাই একটি আয়াতকে দলিল হিসেবে গ্রহণ করতে হলে এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য আয়াত বা সামনে পিছনের আয়াতের তাত্ত্বিক বিশ্লেষনিক অর্থের প্রতি খেয়াল রাখাটা অতীব জরুরি |
বলুন আমিও তোমাদের মত মানুষ এই আয়াত যদিও জাহেরী অর্থে সম্পূর্ণ সঠিক কিন্তু এই আয়াতের বাতেনী অর্থের হাকীকত বুঝতে হলে আরো গভীরে প্রবেশ করতে হবে | প্রথমত এই আয়াতের বাতেনী অর্থ হলো মানুষ যেহেতু সৃষ্ঠির সেরা জীব তাই মানুষের মর্যাদাকে সুউচ্চ করার জন্য আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় হাবিবকে মানব সুরতে মানুষের পরিচয় দিয়েছেন যদিও হাকিকতে আমার নবীজি সম্পূর্ণ নূরে মুজাস্সাম | দিতীয়ত কাফেরদেরকে ডেকে বলেছেন তিনি মানুষ এর কারণ হলো কাফেররা যেন উনাকে আল্লাহর সমকক্ষ না ভাবে আর শিরকে লিপ্ত না হয় | তৃতীয়ত আল্লাহ বলেছেন আমি কুরআনকে আরবী ভাষায় (আরবের মানুষের ভাষা আরবী) নাজিল করেছি যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পারো | তাই এখানে অর্থের সরল প্রানটাই ফুটে উঠেছে | চতুর্থত ক্কুল বা বলুন দ্বারা যেহেতু এটা আল্লাহ পাকের কথা তাই এই কথা দ্বারা রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষকে হেদায়াতের পথে আহবানকারী বলা হয়েছে |
উক্ত আয়াতে কারিমায় মিসলুকুম শব্দ ব্যবহার করার মাধ্যমে মূলত একটি গভীর রহস্য রেখে দিয়েছেন | মিসাল (উপমা) মূলত একটি দৃষ্টান্ত মূলক শব্দ, অনেক ক্ষেত্রে রূপক অর্থেই ব্যবহার হয় | মূল কথা হল, যে সব আয়াতে مثلكم (মিসলুকুম) শব্দটি এসেছে সে সব আয়াত মুতাসাবিহাতের পর্যায়ে পড়ে যায় যার প্রকৃত অর্থ আল্লাহ তা’আলা ছাড়া আর কেউই জানেন না। যেমনটি বলে গেছেন আগেরকার যুগের প্রায় সকল আলেমগণঃ-
** আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী (মাদারিজুন নবুওত) কিতাবে প্রথম খন্ডের এজালাতুশ সুবহাত অধ্যায়ে বলেন :قل انماانابشرمثلكم
ও কোরানে এইরূপ যতগুলি আয়াত এসেছে, এইগুলি আয়াতে মুতাসাবিহাতের আওতাভুক্ত।
** আল্লামা জালালুদ্দিন "সুঅতি"আল এত্কান কি উলুমুল কোরান" ২খন্ড ২য ও ৩য পৃষ্টা তে বলেন আল কোরআনে যে সমস্ত আয়াতেمثلكم শব্দটি এসেছে, এইগুলি আয়াতে মতাসাবিহাতের আওতাভুক্ত।
মতাসাবিহাত এর অর্থ আল্লাহ এবং রাসুল ছাড়া কেও জানেনা, তাই সর্বসন্মতিক্রমে এই আয়াত দ্বারা কোনো দলিল হতে পারেনা।
আল্লাহ তায়ালা মতাসাবিহাত আয়াত সম্পর্কে বলেন :-"যাদের অন্তরে কপটতা রযেছে, তারাই কেবল মতাসাবিহাত এর দলিল গ্রহণ করেন "আল কোরান "
** জালালউদ্দিন রুমী মসনবী সরীফে বলেন-
কাফিররাই হজরত আহমদ (দ) কে বশর বলেছিল ,কিন্তু তারা দেখে না যে, তিনি চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছিল, তারা বলেছিল "আমরা যেমন বশর নবীও আমাদের মত বশর" যেমন-ঘুমাই, পানাহার করে, তারা অগাত ছিল যে, আমাদের এবং নবীদের মধ্য বেশুরম পার্তক্য রযেছে।
সুতরাং, যারা কথায় কথায় এই আয়াতকেই দলীল হিসেবে ব্যবহার করছেন তাদের নিজেদের আসল অবস্থান কোথায় সেটা তারাই ভেবে দেখবেন।
তবে আমার নিকট ওহী আসে এই কথা দ্বারা সাধারণ মানুষ হতে রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ মনোনীত একজন রাসুল হিসেবে পৃথক করা হয়েছে | কেননা একজন রাসুল আর একজন মানুষের মর্যাদা কখনই সমান হতে পারেনা | রাসুল আর মানুষের মর্যাদা যদি সমান না হয় তাহলে উনি আপনার আমার মত সাধারণ মানুষ হবেন কেমনে ? সুতরাং এখানে প্রত্যক্ষভাবে একজন রাসুলকে উদ্দেশ্য করে কাফেরদেরকে আহবান করে তাদের প্রতি সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে |
একমাত্র কাফিরদের স্বভাব ছিল নবী-রাসূলদের আলাইহিস সালাম সাধারণ মানুষ মনে করতে। দলীল
১. হযরত শু'আইব আলাইহিস সালাম দাওয়াত দিতে গেলে বলা হয়েছিল
وَمَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
186
অর্থঃ তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
[সূরা আশ-শো’আরা ১৮৬]
২. নূহ আলাইহিস সালাম যখন তার কাওমের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে গেল তখন মুশরিকরা বলত
فَقَالَ الْمَلأُ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قِوْمِهِ مَا نَرَاكَ إِلاَّ بَشَرًا مِّثْلَنَا وَمَا نَرَاكَ اتَّبَعَكَ إِلاَّ الَّذِينَ هُمْ أَرَاذِلُنَا بَادِيَ الرَّأْيِ وَمَا نَرَى لَكُمْ عَلَيْنَا مِن فَضْلٍ بَلْ نَظُنُّكُمْ كَاذِبِينَ
27
অর্থঃ তখন তাঁর কওমের কাফের প্রধানরা বলল আমরা তো আপনাকে আমাদের মত একজন মানুষ ব্যতীত আর কিছু মনে করি না; আর আমাদের মধ্যে যারা ইতর ও স্থুল-বুদ্ধিসম্পন্ন তারা ব্যতীত কাউকে তো আপনার আনুগত্য করতে দেখি না এবং আমাদের উপর আপনাদের কেন প্রাধান্য দেখি না, বরং আপনারা সবাই মিথ্যাবাদী বলে আমারা মনে করি।
[সূরা হুদ ২৭]
وَقَالَ الْمَلَأُ مِن قَوْمِهِ الَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِلِقَاء الْآخِرَةِ وَأَتْرَفْنَاهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يَأْكُلُ مِمَّا تَأْكُلُونَ مِنْهُ وَيَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُونَ
অর্থঃ
তাঁর সম্প্রদায়ের প্রধানরা যারা কাফের ছিল, পরকালের সাক্ষাতকে মিথ্যা বলত এবং যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম, তারা বললঃ এতো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায় এবং তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।
[সূরা আল মুমিনূন ৩৩]
পরের আয়াতেই বলা আছে সাধারণ মানুষের আনুগত্য করলে ধবংস হয়ে যাওয়ার কথা
وَلَئِنْ أَطَعْتُم بَشَرًا مِثْلَكُمْ إِنَّكُمْ إِذًا لَّخَاسِرُونَ
অর্থঃ যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা নিশ্চিতরূপেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
[সূরা আল মুমিনূন ৩৪]
ভালমত খেয়াল করুন এখানেও মুশরিকরা নবী-রাসূলদের আলাইহিস সালাম بَشَرٌ (বাশার) বলত। আর ১৪০০ বছর পর এসে আজ এই ফিতনা-ফাসাদের যুগে এসে নবী-রাসূলদের আলাইহিস সালাম বাশার বলা শুরু হয়েছে। তবুও আমরা তাদের কাফির বলছি না। আল্লাহ তা'আলা এদের হিদায়াত দান করুন। আমীন
আয়াতের আরবী শব্দ بَشَرٌ (বাশার) দ্বারা অনেকেই শুধুমাত্র মানুষ বুঝাতে চায়। অথচ সূরা মরিয়মের আয়াত - ১৭ তে بَشَرً (বাশার) দ্বারা ফেরেস্তাকেও বুঝানো হয়েছে। দেখুন মূল আরবী রেওয়াত সহ
فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
অর্থঃ আমি আমার রুহ (হযরত জিব্রাইল আঃ) কে তাঁর (হযরত মরিয়ম) প্রতি প্রেরণ করেছি, অতঃপর সে (জিব্রাঈল আঃ) তাঁর সামনে একজন পূনাঙ্গ সুঠোম \"বাশার\" বা মানুষ এর আকৃতিতে আত্ম প্রকাশ করেছেন।
ওহাবীরা কি এখন বলবে ফেরেস্তারা (হযরত জীব্রাইল আলাইহিস সালাম) আমাদের মত মানুষ? কখনও নয়।
সুতরাং, এর দ্বারা বুঝা গেল بَشَرٌ (বাশার) শব্দ দ্বারা সাধারণ মানুষ বুঝায় না বরং মনুষ্য আকৃতি বুঝায় অথবা মানুষ কিন্তু সবার থেকে আলাদা।
বাশার শব্দের অর্থ হলো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট বহনকারী একটি প্রজাতির নাম | বাশার শব্দের আরো কিছু অর্থ আছে যেমন দৃষ্যমানরূপ বা প্রকাশিতরূপ, প্রশংশিতরূপ ইত্যাদি | আর এই আয়াতে করিমে সেই অর্থই ফুটে উঠেছে | যেমন মানুষের হাত, পা, চোখ, কান, নাক, ত্বক আছে তেমনি হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন মানব সুরতে ও মানব বৈশিষ্ট দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন | উল্লেখ্য এই বাশার শব্দটি শুধু মাত্রই নবী রাসুলদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে | যত নবী রাসুলকে আল্লাহ পাক পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাদের সবাইকেই বাশার হিসেবে পাঠিয়েছেন | এখন যারা বলে বাশার মানে আমাদের মত সাধারণ মাটির মানুষ তাদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কি পৃথিবীর কোন অভিধানে দেখাতে পারবেন যে বাশার মানে রক্তে মাংসে গড়া একজন সাধারণ মানুষ ? জানি পারবেন না !
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে কোথাও কিন্তু আল্লাহ পাক মানুষকে বাশার বলে ডাকেন নি | এই শব্দটি শুধুই নবী রাসুল আর ফেরেস্তার জন্য বরাদ্দ একটি রূপক ভাববাচক শব্দ ছিল | আবার নবী রাসুল কাউকেও কিন্তু আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন ইনসান বলে ডাকেন নি | এটা শুধুই আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ | পবিত্র কুরআন শরীফের মধ্যে এমন একটা আয়াত দেখাতে পারবেন না যেখানে আল্লাহ পাক আমাদেরকে ”ইয়া আয়ূহাল মুসলিমিনা” বলে সম্বোধন করেছেন ! কিন্ত আমাদের পরিচয় তুলে ধরতে গয়ে বারংবার বরং “ই’য়া আ’য়ুহাল ইনসানা” বলেছেন অর্থাৎ এই শব্দ দিয়েই মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন | আবার কোরআনের কোথাও কিন্তু “ইয়া আয়ুহাল বাশারুন” ^ ব্যবহার করেন নি | তাহলে বাশার মানে কেমনে সাধারণ মানুষ হয় ? ইয়াকুত যদিও একটি পাথর কিন্তু রেল লাইনের পাথরের সাথে কি এর তুলনা বা মূল্যায়ন চলে ?
সুরা কাহাফের এই আয়াত টি ﻗﻞ ﺍﻧﻤﺎ ﺍﻧﺎ ﺑﺸﺮ ﻣﺸﻠﻜﻢ ﻳﻮﺣﻲ ﺍﻟﻲ কিন্তু হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের বলা কথা নয় | এই কথাটি স্বয়ং আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন | হাদিস শরীফ প্রমান হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরের পবিত্র জবান মোবারক দিয়ে বহুবার তিনি বলেছেন “আনা খালাকাল্লাহু নূরী" | তারপর বলেছেন " আনা রাহমাতুল্লিল আলামিন " | লক্ষ্য করুন আল্লাহ হচ্ছেন জগতসমূহের রব (রাব্বুল আলামিন) আর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন জগতসমূহের রহমত (ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লাহ রাহমাতুল্লিল আলামিন) এখানে উভয় ক্ষেত্রেই কিন্তু বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে | এখন চিন্তা করুন জগতসমূহের রহমত কি করে সাধারণ মানুষ হবেন ? কেননা মানুষতো এই জগতেরই একটি সাধারণ প্রাণী মাত্র |
সুতরাং এটা দিবালোকের মত পরিস্কার যে বাশার আর ইনসানের মধ্যে আকাশ আর পাতাল পার্থক্য | তাই বাশার অর্থ কখনই সাধারণ মানুষ হতে পারে না , এটা সম্পূর্ণ রূপক ও ভাববাচক শব্দ | যা শুধু ক্ষেত্র বিশেষে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন ব্যবহার করে থাকেন |
এবার নিম্মোক্ত লিঙ্খে দেখে আসুন নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নুরের মানুষ তার প্রমান
http://goo.gl/IJukiM
আল্লাহ তা’আলা আমাদের বিষয়টি বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন। সুম্মা আমীন।