রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজির - নাজির একটি পর্যালোচনা
রাসূলে পাকের হাজির-নাজির
হওয়াতে বড় বড় আলেমদের কোন দ্বিমত নেই । শাহ অলিউল্লাহ সাহেবও রাসূলে পাককে হাজির-নাজির বলে তার গ্রন্থ "ফয়জুল হারামাইনে" লিখেছেন, যদিও বর্তমানে কিছু মৌলভী নিজ নিজ
হটকারীতা ঠিক রাখার জন্য রাসূলের
হাজির-নাজির হওয়াকে শিরিক বিদাত
বলে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছে । এরা কোরআন- হাদিসের ভূল ব্যাখ্যা করে মুসলিম
বিশ্বে বিভেদের আগুন ছড়াচ্ছে । আশা করি মুসলমান ভাইয়েরা এদের
ভূয়া কথায় পড়ে ঈমান হারাবেন না ।
আমি ঈমান রক্ষার একটি নিয়ম লিখে দিচ্ছি, যেটা অনুসরণ করলে কোন
মুসলমান'ই ঈমানহারা হবেন না । প্রিয় রাসূলের প্রতি ভক্তি, বিশ্বাস,
শ্রদ্ধা দৃঢ় থাকার কারনে ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে আল্লাহওয়ালা হয়ে জীবন-যাপন করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ । কোন ভাল গুন সৃষ্টির যে কেউ পেয়েছে ঐ গুন প্রিয়
রাসূলকে খুব বেশী করে দান
করা হয়েছে । প্রিয় রাসূল হলেন মূল আর সৃষ্টি তার প্রতিবিম্ব । মৌলভী কাসেম নানাতুবী স্বীয় কিতাব তাহজীরুন্নাছে ৯২ পৃ: লিখেছেন; অন্যান্য যা' কিছু আছে তা' সব'ই মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ছায়া ও
প্রতিবিম্ব মাত্র | এক পলকে দেশ
দেশান্তরে যাওয়া বা এক স্থান
হতে সারা বিশ্ব অবলোকন করা বা ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে শক্তি ব্যবহার করা বা এক'ই সময়ে বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হওয়া একটি ভাল ও সৎ গুন | ফেরেশতা,অলি, অন্যান্য নবী ও জ্বীনদের মদ্ধ্যেও এই গুন পাওয়া যায় | যেমন
তফছীরে রুহুল বায়ান, খাজেন, কবীরের
অষ্টম পারায় মালাকুত মওত
সম্পর্কে লিখা হয়েছে যে, সারা বিশ্ব আজরাইল ফেরেশতার সামনে রাখা একটি বর্তনের মত; যেখান থেকে চায় সেখান থেকে নিতে ও ধরতে পারে | আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক আত্মাসমূহ তার জন্য হরণ করা কঠিন নয় । তফছীরে খাজেনে আছে যে, ঐ ফেরেশতা দৈনিক ২ বার সারা বিশ্বের মানুষের ঘরবাড়ীসমূহে আসা-
যাওয়া করে । মিশকাত শরীফে আজানের অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে যখন আজান দেওয়া হয় তখন শয়তান ৩৬ মাইল দূরে চলে যায় । আজান শেষ হলে আবার ফিরে আসে । ঘুমন্ত অবস্থায় অত্মা মানব দেহ হতে বাহির হয়ে অনেক দূরদূরান্তরে চলে যায় ফলে কেউ ঘুমের মদ্ধ্যে কাবা শরীফ দেখে, লন্ডন দেখে বা আরো কত কিছু দেখে । কিন্তু জাগ্রত হওয়ার সাথে সথে আত্মা আবার
ফিরে আসে । এভাবে বর্তমান যুগে ইন্টারনেট, টেলিভিশন, টেলিফোন,
ট্যালেক্স, ফ্যাক্স, ওয়্যারলেস, মোবাইল ইত্যাদি আরো বহু যন্ত্র আছে যা' দিয়ে স্বল্প সময়ের মদ্ধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবরাখবর নেয়া যায় ।
এছাড়া বিমান, নভোযান, রকেট সব'ই
গতিশীল । কিন্তু এদের গতি জিব্রিল
ফেরেশতার গতি অপেক্ষা অনেক কম । হযরত সোলাইমান আলাইহিচ্ছালামের উজির আছফ বিন বরকিয়া চোখের পলকে ইয়ামন থেকে বিলকিছ রানীর বিরাট সিংহাসন সূদূর সিরিয়া পর্যন্ত পৌছালেন চোখের পলকে, যার বর্ননা পবিত্র কোরআনে ১৯ পারা সুরা নমলে দেয়া হয়েছে । এমনিভাবে বোরাকের গতি কত বেশী ছিল তা অনুমেয় । কিন্তু মেরাজের সময় বোরাক যাবার পথে হযরত মুসা আলাইহিচ্ছালামের
সাথে স্বাক্ষাত্ হল তখন হযরত
মুসা আলাইহিচ্ছালাম স্বীয়
রওজাতে নামাজরত ছিলেন । আবার
বোরাক বাইতুল মোকাদ্দাসে পৌছানোর আগে হযরত মুসা আলাইহিচ্ছালাম বাইতুল মোকাদ্দাসে উপস্থিত হন । সেখানে প্রিয়নবীকে সাদর অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন । এতে বোঝা যায়
সবচাইতে দ্রুতগতিসম্পন্ন হচ্ছেন
নবীদের শরীর মোবারক | যেমন হাদীস শরীফে আছে, নবীদের শরীর মোবারক ফেরেশতা ও বেহেশতীদের শরীরের ন্যায় গঠিত । প্রমানিত হল, প্রিয় রাসূলের মত এত অধিক গতিসম্পন্ন সৃষ্টিকুলের মদ্ধ্যে কোন কিছুই নেই । কেননা আমাদের মহান বিশ্বনবী সর্বাঙ্গ নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম
সৃষ্টিজগতে স্বত্ত্বা, গুন, চরিত্রে অতুলনীয় । বরং প্রিয় রাসূল সব
সৃষ্টির মূল । প্রিয় রাসূলের মত এমন আর কেউ সৃষ্টিজগতে নেই, হতে পারেনা । প্রিয় নবী সোনার মদীনায় থেকেও আপন ক্ষমতা চালাতে পারেন । সোনার মদীনা থেকেই সারা বিশ্বকে অবলোকন করতে পারেন । মক্কার বুকে বসেই প্রিয় রাসূল চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছিলেন; অস্ত যাওয়া সূর্যকে আসর সময় পর্যন্ত আকাশে উদিত করেছেন; সোনার মদীনায় বসে রোম যুদ্ধের খবরাখবর প্রদান করেছেন । এক
মূহুর্তে সবাইকে কবরে দেখা দিচ্ছেন ।
এর'ই নাম হাজির-নাজির । প্রিয়নবীজি মহান আল্লাহর গুনে বিশেষভাবে গুনান্বিত । আল্লাহর
গুনে গুনান্বিত হওয়ার নাম শিরিক নয় । আল্লাহর নাম রাহীম, প্রিয়নবীর নামও রাহীম । আল্লাহর নাম রাউফ,
প্রিয়নবীর নামও রাউফ । এমনিভাবে মহান আল্লাহর সত্তরটি নাম নবী পাককে দেওয়া হয়েছে (মাদারেজান নাবুয়্যাত দ্রষ্টব্য) ।
আল্লাহপাকের বিশেষ খোদায়ী গুন - যেমন : ওয়াজিব, কাদীম, খালেক ব্যতীত অন্যান্য গুনের প্রতিবিম্বের স্থান হল প্রিয়নবী । প্রিয়নবীর মাধ্যমে অন্যান্য নবী, অলি,
ফেরেশতা ও বিভিন্ন সৃষ্টির
মধ্যে আল্লাহর গুনের প্রতিফলন
ঘটেছে । তাই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সৃষ্টি জগতের সবচাইতে জ্ঞানে-গুনে ও চরিত্রে মহান অতুলনীয় । তাই রাসূলে পাকের শরীর মোবারকও সুক্ষতম সুক্ষ হওয়ার কারনে একস্থান থেকে সারা বিশ্ব দেখা বা এক'ই পলকে সারা বিশ্ব ভ্রমন করা অথবা এক'ই সময়ে বিভিন্ন স্থানে প্রিয় রাসূলের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন কাজ কারবার সম্পাদন করা প্রিয়নবীর জন্য সাধারন
ব্যাপার । প্রিয় রাসূলের উম্মতগনও
এমন কাজ কারবার দেখিয়েছেন । হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনা শরীফের মসজিদে খোতবা পাঠের সময় পারস্য দেশে জিহাদরত সেনাপতি ছারীয়াকে পাহাড়ের দিক থেকে শত্রু সৈন্য আসছে বলে সতর্ক করলেন, এটাই হাজির-নাজির । যে যতটুকু চোখ দিয়ে দেখে সে ততদূর নাজির । যার যতদূর ক্ষমতা চলে ততদূর সে হাজির । প্রমানিত হল প্রিয় রাসূলের হাজির-নাজির হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।
রাসূলে পাকের হাজির-নাজির
হওয়াতে বড় বড় আলেমদের কোন দ্বিমত নেই । শাহ অলিউল্লাহ সাহেবও রাসূলে পাককে হাজির-নাজির বলে তার গ্রন্থ "ফয়জুল হারামাইনে" লিখেছেন, যদিও বর্তমানে কিছু মৌলভী নিজ নিজ
হটকারীতা ঠিক রাখার জন্য রাসূলের
হাজির-নাজির হওয়াকে শিরিক বিদাত
বলে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছে । এরা কোরআন- হাদিসের ভূল ব্যাখ্যা করে মুসলিম
বিশ্বে বিভেদের আগুন ছড়াচ্ছে । আশা করি মুসলমান ভাইয়েরা এদের
ভূয়া কথায় পড়ে ঈমান হারাবেন না ।
আমি ঈমান রক্ষার একটি নিয়ম লিখে দিচ্ছি, যেটা অনুসরণ করলে কোন
মুসলমান'ই ঈমানহারা হবেন না । প্রিয় রাসূলের প্রতি ভক্তি, বিশ্বাস,
শ্রদ্ধা দৃঢ় থাকার কারনে ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে আল্লাহওয়ালা হয়ে জীবন-যাপন করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ । কোন ভাল গুন সৃষ্টির যে কেউ পেয়েছে ঐ গুন প্রিয়
রাসূলকে খুব বেশী করে দান
করা হয়েছে । প্রিয় রাসূল হলেন মূল আর সৃষ্টি তার প্রতিবিম্ব । মৌলভী কাসেম নানাতুবী স্বীয় কিতাব তাহজীরুন্নাছে ৯২ পৃ: লিখেছেন; অন্যান্য যা' কিছু আছে তা' সব'ই মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ছায়া ও
প্রতিবিম্ব মাত্র | এক পলকে দেশ
দেশান্তরে যাওয়া বা এক স্থান
হতে সারা বিশ্ব অবলোকন করা বা ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে শক্তি ব্যবহার করা বা এক'ই সময়ে বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হওয়া একটি ভাল ও সৎ গুন | ফেরেশতা,অলি, অন্যান্য নবী ও জ্বীনদের মদ্ধ্যেও এই গুন পাওয়া যায় | যেমন
তফছীরে রুহুল বায়ান, খাজেন, কবীরের
অষ্টম পারায় মালাকুত মওত
সম্পর্কে লিখা হয়েছে যে, সারা বিশ্ব আজরাইল ফেরেশতার সামনে রাখা একটি বর্তনের মত; যেখান থেকে চায় সেখান থেকে নিতে ও ধরতে পারে | আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক আত্মাসমূহ তার জন্য হরণ করা কঠিন নয় । তফছীরে খাজেনে আছে যে, ঐ ফেরেশতা দৈনিক ২ বার সারা বিশ্বের মানুষের ঘরবাড়ীসমূহে আসা-
যাওয়া করে । মিশকাত শরীফে আজানের অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে যখন আজান দেওয়া হয় তখন শয়তান ৩৬ মাইল দূরে চলে যায় । আজান শেষ হলে আবার ফিরে আসে । ঘুমন্ত অবস্থায় অত্মা মানব দেহ হতে বাহির হয়ে অনেক দূরদূরান্তরে চলে যায় ফলে কেউ ঘুমের মদ্ধ্যে কাবা শরীফ দেখে, লন্ডন দেখে বা আরো কত কিছু দেখে । কিন্তু জাগ্রত হওয়ার সাথে সথে আত্মা আবার
ফিরে আসে । এভাবে বর্তমান যুগে ইন্টারনেট, টেলিভিশন, টেলিফোন,
ট্যালেক্স, ফ্যাক্স, ওয়্যারলেস, মোবাইল ইত্যাদি আরো বহু যন্ত্র আছে যা' দিয়ে স্বল্প সময়ের মদ্ধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবরাখবর নেয়া যায় ।
এছাড়া বিমান, নভোযান, রকেট সব'ই
গতিশীল । কিন্তু এদের গতি জিব্রিল
ফেরেশতার গতি অপেক্ষা অনেক কম । হযরত সোলাইমান আলাইহিচ্ছালামের উজির আছফ বিন বরকিয়া চোখের পলকে ইয়ামন থেকে বিলকিছ রানীর বিরাট সিংহাসন সূদূর সিরিয়া পর্যন্ত পৌছালেন চোখের পলকে, যার বর্ননা পবিত্র কোরআনে ১৯ পারা সুরা নমলে দেয়া হয়েছে । এমনিভাবে বোরাকের গতি কত বেশী ছিল তা অনুমেয় । কিন্তু মেরাজের সময় বোরাক যাবার পথে হযরত মুসা আলাইহিচ্ছালামের
সাথে স্বাক্ষাত্ হল তখন হযরত
মুসা আলাইহিচ্ছালাম স্বীয়
রওজাতে নামাজরত ছিলেন । আবার
বোরাক বাইতুল মোকাদ্দাসে পৌছানোর আগে হযরত মুসা আলাইহিচ্ছালাম বাইতুল মোকাদ্দাসে উপস্থিত হন । সেখানে প্রিয়নবীকে সাদর অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন । এতে বোঝা যায়
সবচাইতে দ্রুতগতিসম্পন্ন হচ্ছেন
নবীদের শরীর মোবারক | যেমন হাদীস শরীফে আছে, নবীদের শরীর মোবারক ফেরেশতা ও বেহেশতীদের শরীরের ন্যায় গঠিত । প্রমানিত হল, প্রিয় রাসূলের মত এত অধিক গতিসম্পন্ন সৃষ্টিকুলের মদ্ধ্যে কোন কিছুই নেই । কেননা আমাদের মহান বিশ্বনবী সর্বাঙ্গ নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম
সৃষ্টিজগতে স্বত্ত্বা, গুন, চরিত্রে অতুলনীয় । বরং প্রিয় রাসূল সব
সৃষ্টির মূল । প্রিয় রাসূলের মত এমন আর কেউ সৃষ্টিজগতে নেই, হতে পারেনা । প্রিয় নবী সোনার মদীনায় থেকেও আপন ক্ষমতা চালাতে পারেন । সোনার মদীনা থেকেই সারা বিশ্বকে অবলোকন করতে পারেন । মক্কার বুকে বসেই প্রিয় রাসূল চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছিলেন; অস্ত যাওয়া সূর্যকে আসর সময় পর্যন্ত আকাশে উদিত করেছেন; সোনার মদীনায় বসে রোম যুদ্ধের খবরাখবর প্রদান করেছেন । এক
মূহুর্তে সবাইকে কবরে দেখা দিচ্ছেন ।
এর'ই নাম হাজির-নাজির । প্রিয়নবীজি মহান আল্লাহর গুনে বিশেষভাবে গুনান্বিত । আল্লাহর
গুনে গুনান্বিত হওয়ার নাম শিরিক নয় । আল্লাহর নাম রাহীম, প্রিয়নবীর নামও রাহীম । আল্লাহর নাম রাউফ,
প্রিয়নবীর নামও রাউফ । এমনিভাবে মহান আল্লাহর সত্তরটি নাম নবী পাককে দেওয়া হয়েছে (মাদারেজান নাবুয়্যাত দ্রষ্টব্য) ।
আল্লাহপাকের বিশেষ খোদায়ী গুন - যেমন : ওয়াজিব, কাদীম, খালেক ব্যতীত অন্যান্য গুনের প্রতিবিম্বের স্থান হল প্রিয়নবী । প্রিয়নবীর মাধ্যমে অন্যান্য নবী, অলি,
ফেরেশতা ও বিভিন্ন সৃষ্টির
মধ্যে আল্লাহর গুনের প্রতিফলন
ঘটেছে । তাই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সৃষ্টি জগতের সবচাইতে জ্ঞানে-গুনে ও চরিত্রে মহান অতুলনীয় । তাই রাসূলে পাকের শরীর মোবারকও সুক্ষতম সুক্ষ হওয়ার কারনে একস্থান থেকে সারা বিশ্ব দেখা বা এক'ই পলকে সারা বিশ্ব ভ্রমন করা অথবা এক'ই সময়ে বিভিন্ন স্থানে প্রিয় রাসূলের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন কাজ কারবার সম্পাদন করা প্রিয়নবীর জন্য সাধারন
ব্যাপার । প্রিয় রাসূলের উম্মতগনও
এমন কাজ কারবার দেখিয়েছেন । হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনা শরীফের মসজিদে খোতবা পাঠের সময় পারস্য দেশে জিহাদরত সেনাপতি ছারীয়াকে পাহাড়ের দিক থেকে শত্রু সৈন্য আসছে বলে সতর্ক করলেন, এটাই হাজির-নাজির । যে যতটুকু চোখ দিয়ে দেখে সে ততদূর নাজির । যার যতদূর ক্ষমতা চলে ততদূর সে হাজির । প্রমানিত হল প্রিয় রাসূলের হাজির-নাজির হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।