NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

67. ইলমে গায়েব, হাজির নাজির,

>=>> আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াতের কেউ যদি ইলমে গায়েব, হাজির নাজির, আল্লাহ ওয়ালাদের কাছে সাহায্য চাওয়ার কথা বলে তখন কাট্টা ওহাবী বিদয়াতি দেওবন্দী তাবলীগিরা তখন সেই সুন্নী আক্বীদার মানুষটির উপর ঝাঁপিয়ে পরে।
তাকে কাফের মুনাফিক ভন্ড মাজার পূজারী ইত্যাদি বিশেষনে বিশেষিত করে।

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই দেওবন্দী দের সর্বোচ্চ মুরুব্বী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী কিন্তু নিজেই তার
অনুসারীদের পীরকে হাজির নাজির, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা, পীরের ধ্যান ইত্যাদির তালীম দিয়ে গিয়েছে।
দেখুন গাঙ্গুহী তার কিতাবে কি লিখেছে -->

ﻫﻢ ﻣﺮﻳﺪ ﺑﻴﻘﻴﻦ ﺩﺍﻧﺪ ﻛﻪ ﺭﻭﺡ ﺷﻴﺦ ﺑﻴﻚ
ﻣﻜﺎﻥ ﻧﻴﺴﻦ ﭘﺲ ﻫﺮ ﺟﺎﻛﻪ ﻣﺮﻳﺪ ﺑﺎﺷﺪ
ﻗﺮﻳﺐ ﻳﺎﺑﻌﻴﺪ ﺍﮔﺮﭼﻪ ﺍﺯﺷﻴﺦ ﺩﻭﺭ ﺍﺳﺖ
ﺍﻣﺎ ﺭﻭﺣﺎﻧﻴﺖ ﺍﻭ ﺩﻭﺭ ﻧﻴﺴﺖ ﭼﻮﯼ ﺍﯾﯽ
ﺍﻣﺮ ﻣﺤﻜﻢ ﺩﺍﺭﺩﻫﺮ ﻭﻓﺖ ﺷﻴﺦ ﺯﺑﻴﺎﺩ
ﺩﺍﺭﺩﻭ ﺭﺑﻂ ﻗﻠﺐ ﭘﻴﺪﺍ ﺍﻳﺪ ﻭ ﻫﺮﺩﻡ
ﻣﺴﺘﻔﻴﺪ ﺑﻮﺩ ﻣﺮﻳﺪ ﺩﺭﺣﺎﻝ ﻭ ﺍﻗﻌﻪ
ﻣﺤﺘﺎﺝ ﺷﻴﺦ ﺑﻮﺩ ﺷﻴﺦ ﺭﺍ ﺑﻘﻠﺐ ﺣﺎﺿﺮ
ﺍﻭﺭﺩﻩ ﺑﻠﺴﺎﻥ ﺣﺎﻝ ﺳﻮﺍﻝ ﻛﻨﺪ ﺍﻟﺒﺘﻪ ﺭﻭﺡ
ﺷﻴﺦ ﺑﺎﺫﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﻟﻘﺎﺀ ﺧﻮﺍﻫﺪ ﻛﺮﺩ
ﻣﮕﺮ ﺭﺑﻂ ﺗﺎﻡ ﺷﺮﻁ ﺍﺳﺖ ﻭﺑﺴﺒﺐ ﺭﺑﻂ
ﻗﻠﺐ ﺷﻴﺦ ﺭﺍ ﻟﺴﺎﻥ ﻗﻠﺐ ﻧﺎﻃﻖ ﻣﻲ ﺷﻮﺩ
ﻭﺑﺴﻮﺀﮮ ﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺭﺍﻩ ﻣﻲ ﻛﺸﺎﻳﺪ
ﻭﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﻭﺭﺍ ﻣﺤﺪﺙ ﻣﻲ ﻛﻨﺪ

> অর্থ : মুরীদের এও দৃঢ়
ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, পীরের রূহ এক জায়গায় আবদ্ধ নয়। মুরীদ দূর বা নিকট যেখানেই হোক না কেন, এমনকি পীর সাহেবের শরীর থেকে দূরে হলেও পীরের
রূহানীয়ত কিন্তু দূরে নয়। যখন এধারনা বদ্ধমূল হয়ে গেলো,
তখন পীর সাহেবকে সবসময় স্মরন করতে হবে, যাতে উনার
সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে এবং মুরীদ এর উপকারীতা লাভে ধন্য হয় হতে থাকে। মুরীদ যে অবস্থার সম্মুখীন হয়,
সে অবস্থায় স্বীয় পীর সাহেবের মুখাপেক্ষী থাকে। পীরকে আপন
অন্তরে হাজির করে স্বীয় অবস্থার মাধ্যমে পীর সাহেবের নিকট লক্ষ্য বস্তুর প্রার্থী হতে হবে, আল্লাহর হুকুমে পীর সাহেবের রূহ
পার্থিব বিষয়টি মুরীদের অন্তরে উদয় ঘটাবেন। কিন্তু এর জন্য শর্ত হচ্ছে, পীর সাহেবের সাথে পূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখা। পীর সাহেবের সাথে সম্পর্কের কারনে অন্তর বাক্যময় হয়ে ওঠে, আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য লাভের পথ উদঘাটিত হয়। আল্লাহ তাঁকে ইলহাম প্রাপ্তির যোগ্যতা সম্পন্ন করে দেন। "

-{ইমদাদুস সুলুক ১০ নং পৃষ্ঠা।}