NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

144. কোরানে উল্লেখিত আজাব ও জাহান্নামের আয়াতগুলি পর্যালোচনা

কোরানে উল্লেখিত আজাব ও জাহান্নামের আয়াতগুলি পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে যে আজাব ও জাহান্নামগুলি সব দুনিয়াতে বাস্তব মন/মস্তিষ্কে ও দেহের মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। সব জাহান্নাম ও আজাবগুলি বুঝতে পুনরুথ্থান সম্বন্ধে পূর্ণ ধারণা থাকা দরকার। প্রচলিত অনুবাদে ও ব্যাখ্যা দ্বারা সব আজাব ও জাহান্নামগুলিকে অবাস্তব ও কাল্পনিক ভাবে দেখানো হয়েছে। প্রকৃত অনুবাদ ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে বুঝা যাবে যে আজাব ও জাহান্নাম বাস্তব। অন্যায় করেছে দেহ (মানুষের স্থূল অস্তিত্ব) এবং মন (সূক্ষ্ম অস্তিত্ব)। শাস্তি ভোগ করবে উক্ত দু্টি অস্তিত্ব। অজাগতিক অবস্থায় মন থাকে গুটানো (বন্দি) অবস্থায় (আয়াত (আম্বিয়া:১০৪)। আমাদের আপন রব থাকে মুক্ত অবস্থায় আয়াত (মোদাচ্ছের:১১)। আয়াত (মোদাচ্ছের:১৭) শীঘ্র আমি (আপন রব) তাহার সঙ্গে মিলিত হব (দু:খের) পাহাড়ের চূড়ায়। দূ:খের পাহাড়ের চূড়ায় বলতে দুনিয়াতে পাহাড় সমান দু:খকে বুঝান হয়েছে। উক্ত আজাবটা কাদের জন্য ভেবে দেখুন। প্রচলিত অনুবাদে যা বুঝানো হয়েছে তা হাস্যকর। তারা লিখেছে ‘ছাউদ’ একটি পাহাড়, যেখানে শাস্তিপ্রাপ্তকে চড়িতে বাধ্য করা হবে। কাল্পনিক জগতে কোথায় পাগাড়ে চড়িতে বাধ্য করা হবে। মনে রাখা উচিত শাস্তি সংশোদনমূলক, প্রতিশোধকমূলক নয়। স্মরণ করুন, আদম (আ:)কে শাস্তি ভোগ করার জন্য দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্য করুন সূরা হুমাযায় বলা হয়েছে,যারা নিন্দা করে এবং সম্পদ গননা করে এবং মনে করে অর্থ ও সম্পদ তাকে অমর করে রাখবে। তাদের জন্য ‘হুতামা’ যা প্রজ্বলিত হুতাশন (হায়,হুতাশ) হৃদয়কে গ্রাস করবে। অজাগতিক অবস্থায় হৃদয় কোথায়? কোরানের প্রত্যেকটি আজাব ও জাহান্নাম সম্বন্ধীয় আয়াতগুলি পর্যালোচনা করে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব যে আজাব ও জাহান্নাম দুনিয়াতে সংঘটিত হচ্ছে।