NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

মা - বাবার ব্যপারে কুরআন ও সহি হাদিসের নির্দেশ ঃ


আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন,
‘রাবি্বর হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা।’ অর্থাৎ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মা-বাবাকে রহমত করুন। যেমনি শৈশবে তাঁরা আমাদের লালন-পালন করেছিলেন।’
(সুরা বনিইসরাইল, আয়াত ২৩-২৪)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
‘তোমরা আমার (আল্লাহর) শোকর করো এবং সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবারও।’ (সুরা লোকমান, আয়াত-১৪)
‘আর উপাসনা করো আল্লাহর, তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে শরিক করো না । মা-বাবার সঙ্গে সৎ ও সদয় ব্যবহার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত ৩৬)।
সৃষ্টিজগতের মধ্যে সর্বাধিক অনুগ্রহকারী ও রহমদিল করে সৃষ্টি করা হয়েছে মাকে। সে জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর মায়ের হক বা অধিকার বেশি। তা আমরা জানতে পারি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস থেকে।
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

‘এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমি সর্বাগ্রে কার সঙ্গে সদাচরণ করব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, তোমার মায়ের সঙ্গে, লোকটি আবার বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার ‘মা। লোকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? উত্তরে তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি আবার জিজ্ঞেস করল, অতঃপর কে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমার বাবা।’ (বোখারি-মুসলিম)।
উলি্লখিত হাদিসে তিনবার মায়ের কথা বলে চতুর্থবার বাবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে প্রতীয়মান হয় যে সন্তানের কাছে বাবার চেয়ে মায়ের গুরুত্ব তিন গুণ বেশি। একমাত্র ইসলামই মায়ের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করল, সন্তানের ওপর মা-বাবার হক কি? নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাঁরা উভয়েই তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।’
(ইবনে মাজাহ)।অর্থাৎ তাঁদের আনুগত্য ও সেবাযত্ন জান্নাতে নিয়ে যায় এবং তাঁদের সঙ্গে বেয়াদবি ও তাঁদের অসন্তুষ্টি জাহান্নামে পেঁৗছে দেয়। (তিরমিজি)।
আসমা (রা.) প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার মা মুশরিক ও বেদীন। তিনি আমার কাছে দেখা করতে আসেন। তাঁকে আদর-আপ্যায়ন করা যাবে কি? প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অবশ্যই তাঁকে আদর-আপ্যায়ন করবে।’ (বোখারি )