NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

পীরের আবশ্যকতাঃ-

আহলে বায়াত's photo.
==> দীদারে এলাহী
দেহের রিপুসমূহ ও শয়তান সর্বদাই চায় মানুষকে
কুপথে, কুকর্মে নিতে ও জড়িয়ে রাখতে, যাতে মানুষ
আল্লাহ ও নবী করিম (সাঃ)’র আনুগত্য ত্যাগ
করে চলে । রিপুর (নফসের)সঙ্গে জেহাদকে নবি
করিম (সাঃ) বলেছেনঃ-“জেহাদে আকবর” ।
অর্থাৎ বড় যুদ্ধ । তরীকতের আরিফিনদের (পীরে
কামেলদের) সাহায্য ছাড়া এযুদ্ধে সাফল্য লাভ ও
কলবকে সজীব করার উপায় নাই ।
হযরত বড়পীর শেখ আব্দুর কাদের জিলানী (রহঃ)
“ছবরুল আছবারে” লিখেছেনঃ- “কলব জিন্দা
করবার জন্য যাবতীয় কুরিপু হতে দেলকে
(অন্তরকে) পবিত্র করার জন্য মারেফতপন্থী
পীরে কামেলের অন্বেষণ করা প্রত্যেক নর-নারীর
উপর ফরজ”।
পীরের সাহায্য সহায়তা ব্যাতীত কলবকে
প্রানবন্ত করে তোলা ও রিপুসমূহকে নিজ
আয়ত্তাধীনে আনা সুঃসাধ্য ব্যাপার । নিজের একা
চেষ্টায় তরীকতের পথে আত্মউন্নতির কোন
সম্ভাবনা নাই বলেই পীরের একান্ত প্রয়োজন ।
কামেল পীরের আশ্রয় রিপুসমূহকে আয়ত্তাধীন
দাসবৎ করে রাখতে ও কলবকে কলুষমুক্ত করে
আল্লাহ প্রাপ্তিতে অনন্যসাধারণ সাহায্য প্রদান
করে । তাছাওফের কিতাব পাঠে জ্ঞান লাভ করা
যায় বটে, কিন্তু কিছুই হাসেল করা যায় না ।
কাজেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান (মারেফত) হাসেলের
জন্য “ওছিলার” দরকার । পীর “ওছিলা” বটে ।
তফছিরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছেঃ-“পীরে কামেল
আল্লাহ পাওয়ার ওছিলা ।” বিখ্যাত ‘ছেরাতে
মুস্তাকিম’ নামক কেতাবে লিপিবদ্ধ আছেঃ-“খোদা
প্রাপ্তির ‘ওছিলা’ হচ্ছে মুর্শীদ বা পীর ।
পীরেরদেওয়া দীক্ষাই সৌঅই পীরের শরণাপন্ন হতে
হয় এবং এতে ক্রমান্বয়ে অন্তরে আল্লাহর প্রতি
মহব্বত সৃষ্টি হয় । এমহব্বতই (ঐশীপ্রেমই)
আল্লাহর পরিচয় ঘটায় ও আল্লাহর সান্নিধ্য
বাস্তবায়িত করে । পীরে কামেল আল্লাহর
ছায়াস্বরূপ ।
মৌলানা রুমী (রহঃ) বলেছেনঃ-“পীরে কামেল যখন
আল্লাহর ছায়া মাত্র এবং আল্লাহর নৈকট্য
লাভের প্রধান উপায় (ওছিলা), তখন তাদের
ওছিলার জাতে পাকের (আল্লাহর) মহব্বত হাসেল
কর ।”
পীর মুরীদের পশুবৃত্তিকে দমিয়ে আত্মায় ঐশীভাব
জাগিয়র তোলে মুরীদকে আল্লাহর রাস্তায় আনয়ন
করে । কোরানে পীর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ
হয়েছে । আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও মুক্তির
উদ্দ্যেশ্যই পশুবৃত্তির ও কলুষরুপ ব্যাধি হতে
আত্মাকে সুস্থ রাখার জন্য পীর খুঁজে নিতে বলা
হয়েছে । এখানে উল্লেখ্য যে, শিক্ষাজনিত
আত্মগৌরব বিস্মৃত হয়ে পীরের সমীপে আসতে
হবে, যাতে মনের গর্বভাব না থাকে । কামেল
পীরের সাহায্য ব্যাতীত অন্তরকে সুস্থ রাখা
যেকোন মানুষের পক্ষেই খুব কঠিন ব্যাপার ।
মওলানা রুমী (রহঃ) বলেছেনঃ-“অন্তরের রোগের
প্রতিকারের জন্য প্রত্যেকের উচিত কামেল
পীরের অন্বেষণ করা । কামেল ব্যাতীত কেউ
অন্তরকে সুস্থ রাখতে পারে না ।”