ইমাম হাফেজ আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা)
বলেন- ﻭ ﻗﺪ ﺳﻤﺎﻩ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻓﻰ ﻭ ﺳﺮﺍﺟﺎ ﻣﻨﻴﺮﺍ ﻓﻘﺎﻝ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻭ ﻗﺎﻝ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺍﻧﺎ ﺍﺭﺳﻠﻨﺎﻙ ﺷﺎﻫﺪﺍ ﻭ ﻣﺒﺸﻴﺮﺍ ﻭ ﻧﺬﻳﺮﺍ ﻭ ﺩﺍﻋﻴﺎﺍﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺎﺫﻧﻪ ﻭ ﺳﺮﺍﺟﺎ ﻣﻨﻴﺮﺍ ﻭ ﻗﺎﻝ ﻓﻰ ﻏﻴﺮ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻤﻮﺿﻊ ﺍﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻻﻇﻞ ﻟﺸﺨﺼﻪ ﻓﻲ ﺷﻤﺲ ﻭ ﻻ ﻗﻤﺮ ﻻﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﺍ ﺍﻟﺬﺑﺎﺏ ﻛﺎﻥ ﻻ ﻳﻘﻊ ﻋﻠﻰ ﺟﺴﺪﻩ ﻭ ﻻ ﺛﻴﺎﺑﻪ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া’লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্ মুনীর | যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট
কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন,
আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরূপে , আল্লাহরঅনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে | নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না , না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর | তাঁর
শরীর ও পোশাক মোবারকে মাছি বসত না | (শিফা শরীফ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২) |
ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻇﻞ ﻓﻲ ﺷﻤﺲ ﻭ ﻻ ﻗﻤﺮ ﻻﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﺍ - অর্থ : “সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা | কেননা তিনি ছিলেন ছিলেন আপদমস্তক নূর | (যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০) |
প্রসিদ্ধ “নাওয়াদেরুল উছূল” কিতাবে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে যে, হযরত হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত জাকওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বলেন ," নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতে হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মোবারক দেখা যেত না |
“শরহে মাওয়াহেবুল লাদুন্নীয়া শরীফে”
উল্লেখ আছে, “চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক ছিল না | কেননা তিনি নূর ছিলেন |আর নূরের কোন ছায়া থাকে না |
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত , হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের “ছায়া মুবারক” ছিল না |তাঁর নূরের
উজ্জলতা সূর্য ও বাতির আলোর উপর প্রাধান্য লাভ
করতো | নবীজির নূর সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে যেতো | (জামিউল ওসায়েল ফি শরহে শামায়েল ২১৭ পৃ মাওয়াহেবুল লাদুন্নীয়া ১০৫ পৃষ্ঠা )
এছাড়াও আরো অনেক প্রসিদ্ধ কিতাবগুলোতে হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূর ও উনার নূরের যে ছায়া মোবারক ছিলনা তা সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে | এত শত শত সহি দলিলের পরেও কি বাতিলরা বলবে হুজুর মাটির মানুষ ? ( নাউজুবিল্লাহ )