NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

আম্বিয়া আউলিয়াগণের জন্য নজর-নেয়াজ, খানাপিনা, আসবাবপত্র ও রসদ ইত্যাদি

আম্বিয়া আউলিয়াগণের জন্য নজর-নেয়াজ, খানাপিনা, আসবাবপত্র ও রসদ ইত্যাদি উৎসর্গরূপে বিতরণ করে তাঁদের রূহ মোবারকের ওপর যে সওয়াব রেসানি হয় এবং খানাপিনা, রুটি ইত্যাদি সামনে রেখে সূরা ফাতেহা এবং দোয়াদরুদ পাঠ করা হয় ও তাঁর ওপর ফুঁক দেওয়া হয়, উহা কী? এবং লোকদের দাওয়াত করে তা খাওয়ানোর তাৎপর্যই বা কী?
উত্তর : ফাতেহা প্রভৃতি অনুষ্ঠানে খানা ও সিন্নি সামনে রেখে দোয়া দরুদ পাঠ করলে বরকত হয়। এজন্য খাওয়ার শুরুতে বিস্মিল্লাহ পাঠ করতে হয় এবং এটা কোরান এবং ফাতেহা ও নেয়াজের অনুষ্ঠানে যাদেরকে মিলনের আহ্বান জানানো হয় তাঁরা গুপ্ত রহস্যের পথে টেলিফোনের মতো সমগ্র পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের রূহসমূহ দাওয়াত ও উৎসর্গ গ্রহণ করেন। আর খাদ্যে ফুঁক দিলে তাতে বিষ বা ক্ষতিকর কিছু থাকলে নষ্ট হয়ে যায় এজন্য রসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগীদের পানি ইত্যাদি ফুঁক দিয়ে পান করাতেন। এতে তাঁরা খুশি হন, কারণ তাঁরাও তা খান এবং আরাম অনুভব করেন। আল্লাহ বলেন,
لاتحسبن الذين قتلوا فى سبيل الله امواتا ط بل احياء عند ربهم يرزقون * فرحين *
“লা তাহসাবান্নাললাজিনা কুতিল ফিসাবিলিল্লাহি আমওয়াতান বাল আহ্ ইয়ায়ু ইনদা রাব্বিহিম ইয়ারজুকুনা। ফারীহিন।”
“আল্লাহর পথে শহীদদের তোমরা মৃত মনে করো না, তাঁরা জীবিত তাঁদের প্রভুর নিকটে তাঁরা আহার করেন এবং আরামে আছেন।”
মোট কথা, শহীদগণ মৃত নন। অর্থাৎ আম্বিয়া আউলিয়াগণ জীবিত। তাঁরা আহার করেন এবং আরাম করেন। এখানে আরাম কথাটি ব্যাপক। প্রথমত এর অর্থ হতে পারে তাঁদের সত্তার মধ্যেই সান্ত্বনা রয়েছে, তা থেকে খুশি প্রকাশিত হয় এবং তদ্বারাই তাদের রূহ আরাম উপভোগ করে। দ্বিতীয়ত এর অর্থ এও হতে পারে যে, অন্য বস্তু যথা পানাহার বা উপঢৌকন ইত্যাদির কারণে তাঁরা আরাম বোধ করেন। যিনি আরামে আছেন পানাহার ও উপহার উপঢৌকনে তাঁর আরও আরাম হয়। আর যিনি কষ্টে আছেন তাতে তাঁর কষ্ট দূর হয়। কারও যদি খাদ্যের অভাব থাকে আর কেউ যদি তাকে খাদ্য দান করে সে খুশি হয়। শুধু তাই নয়, খাদ্যের অভাবে যে মরার পথে খাদ্য পেলে সে বেঁচে যায়। এটা চাট্টিখানি কথা নয়।
উল্লেখ্য, দান করা সব সময় সুন্নত অর্থাৎ উত্তম ধর্মীয় নীতি। কিন্তু অভুক্ত ব্যক্তিকে আহার করানো ফরজ অর্থাৎ বাধ্যতামলূক। এভাবে এহ্সান অর্থাৎ যে কোনো শুভ কাজ যা ঐচ্ছিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তা ফরজ ও ওয়াজেবরূপেও গুরুত্ব লাভ করে, এর কারণও মূলেই নিহিত।