NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------
কিছু কিছু মানুষের কাছে আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র মক্কার কাবা ঘরে। তাই তারা সে দিকেই করে দোয়া মোনাজাত করতে অভ্যাস্ত।
আমরা নামাজের নিয়তে বলে থাকি "মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবা" আমি কিবলার দিকে মুখ করলাম। অর্থাৎ কাবা হচ্ছে নামাজের দিক। এক সময় জেরুজালেমের দিকে মুখ করে নামায পড়া হতো। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার কাবা কেই অধিক পছন্দ করতেন। আর তাই কিবলা পরিবর্তন মাহবুব-এ খুদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়েছে।
" আমি আপনাকে আসমানের দিকে বার বার মুখ ফিরাতে দেখি, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন, এখন আপনি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করুন।"
আল-কুরআন, বাকারা- ২:১৪৪।
কাবা একটা দিক মাত্র, তাই কাবাকে দিক জেনে নামায আদায় করতে হয়। কাবা কে স্রস্টা জেনে সিজদা করলে শিরক হবে। আল্লাহ শুধু মক্কার কাবাতেই থাকেন না।তাফসীরে রুহুল বয়ান এ উল্লেখ আছে, মুমিনের কলব হলো খোদার আরশ মোয়াল্লা। আর তাই মসজিদ এ ইমাম সাহেব মুসল্লিদের দিকে ফিরেই দোয়া করেন। অতএব সাধারন অবস্থায় নামায ই কাবার দিকে পড়তে হবে দোয়া মোনাজাতের নির্দিষ্ট দিক নেই।
ইমাম মালেক রহঃ, ইমাম আবু হানিফা রহঃ, মোল্লা আলী এবং দেওবন্দ মাশায়িখ গণের আমল হচ্ছে, কোন শর্ত ছাড়াই সর্বাবস্থায় কবর যিয়ারত ও দোয়া কবরের দিকে মুখ করে দাঁড়ানোই উত্তম।(আল বাছায়েল)
ইমাম মালেক রহঃ আব্বাসিয় খলিফা আল মনসুর এর প্রশ্নের জবাবে বলেন, "হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওযা মোবারক খানায়ে কাবা -এমন কি আরশ মুয়াল্লা থেকেও উত্তম। সুতরাং আপনি রওজা মোবারকের দিকে মুখ করেই মুনাজাত করুন।"
বাহারে শরীয়ত, তরিকুল ইসলাম, আল বাছায়েল গ্রন্থ গুলো দেখতে পারেন।