আবু যর গিফরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন, 'বান্দা (ছালাতরত অবস্থায়) যতক্ষণ পর্যন্ত আশেপাশে দৃষ্টিপাত না করে, আল্লাহ তার প্রতি মনোনিবেশ করে থাকেন। যখন আশেপাশে তাকায় তখন আল্লাহ দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন।' (আবু দাউদ)।
তিনি আরো বলেন, 'ছালাত আদায়ের সময় তোমরা আশেপাশে দৃষ্টিপাত কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ছালাতের সময় বান্দার মুখের দিকে স্বীয় দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন,যতক্ষণ না সে আশেপাশে দৃষ্টিপাত করে।' (তিরমিজী হা-২৮৬৩)।
ছালাতরত অবস্থায় এদিক-ওদিক তাকানো সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'এটা শয়তানের এমন এক লুটতরাজি, যার মাধ্যমে সে বান্দার ছালাতের নেকী লুট করে নেয়।' (বুখারী)।
পরিশষে বলা যায়, ছালাত ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। 'খূশূ-খূযূ' ছালাতের প্রাণ। 'খূশূ-খূযূ' বিহীন ছালাত প্রানবিহীন দেহের মত। আল্লাহর রহমতে আজকের সমাজে নিয়মিত ছালাত আদায়কারীর সংখ্যা খুব কম নয়, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ছালাতের প্রকৃত হক আদায় করে ছালাত আদায়কারীর সংখ্যা অতি অল্পই। সে কারণে ছালাতের মৌলিক উদ্দেশ্য যেমন আদায় হচ্ছে না, তেমনি ছালাতের বাস্তব ফলাফল আমাদেক জীবনে সেভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। সুতরাং ছালাতকে অর্থবহ ও মহান আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ছালাতের বাস্তব প্রভা লাভ কতে হলে 'খূশূ-খূযূ' ছালাত আদায়ের বিকল্প নেই। আর এজন্য প্রয়োজন নিয়তের খুলূছিয়াত, আল্লাহভীতি, কঠোর অধ্যবসায়, সর্বোপরি আল্লাহর সাহায্য। আল্লাহ আমাদেরকে এসব বৈশিষ্ট অর্জনের তাওফীক দান করুক। আমীন।।
প্লিজ শেয়ার করুন।