১। জুম’আর দিন গোসল করা। যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল (সাঃ) ওয়াজিব করেছেন। [বুখারীঃ ৮৭৭]
২। জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। [বুখারীঃ ৮৮০]
৩। মিস্ওয়াক করা। [বুখারীঃ ৮৮৭]
৪। গায়ে তেল ব্যবহার করা। [বুখারীঃ ৮৮৩]
৫। উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। [ইবনে মাজাহঃ ১০৯৭]
৬। মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। [তিরমিযীঃ ৫০৯]
৭। মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। [বুখারীঃ ৯৩৪]
৮। আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। [বুখারীঃ ৮৮১]
৯। সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন। [আবু দাউদঃ ৩৪৫]
১০। জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। [আবু দাউদঃ ১০৪৭]
১১। নিজের সব কিছু চেয়ে এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। [বুখারীঃ ৯৩৫]
১২। খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা। [বুখারীঃ ৯৩০]
১৩। কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা। [বুখারীঃ ৯৩৪]
১৪। মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। [বুখারীঃ ৮৫৩]
১৫। ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। [ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪]
১৬। খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। কোনো ব্যাক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হয়, কিন্তু, ইচ্ছা করে জুমুয়ার নামাজে ইমাম থেকে দূরে বসে, তবে সে বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [আবু দাউদঃ ১১০৮]
১৭। সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা [আবু দাউদঃ৮৬২] অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।
১৮। এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। [আবু দাউদঃ ১৩৩২]
১৯। খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার মার্জিত ভাবে সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। [বুখারীঃ ১০২৯