কুখ্যাত ওহাবী/দেওবন্দী/খারেজী/তাবলিগী/সালাফী/জামাতি ইত্যাদি বাতিল
ফির্কার লোকেরা প্রচার করে থাকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি নাকি মাটির সৃষ্টি।
নাউযুবিল্লাহ !!
এ কথার প্রেক্ষিতে তারা কুরআন শরীফ থেকে কিছু আয়াত শরীফ পেশ করে। যে আয়াত শরীফকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করে তারা বলে থাকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাটির মানুষ।
নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক !!
কুরআন শরীফ অনুসন্ধান করে ১৪ খানা আয়াত শরীফ পাওয়া গেছে, যে আয়াত শরীফগুলোতে বলা হয়েছে, মানুষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।"
উক্ত আয়াত শরীফ সমূহের তাফসীরে শতশত তাফসীরের কিতাব অনুসন্ধান করে দেখা গেছে "মানুষ মাটির তৈরী" যাতীয় যত আয়াত শরীফ বর্নিত হয়েছে সবগুলোতেই শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।
অথচ মুনাফিক ওহাবী দেওবন্দী গং সেই আয়াতগুলার তাফসীরে বিররায় বা, মনগড়া তাফসীর করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির মানুষ বলার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে । ইতিপূর্বে আমি চারখানা আয়াত শরীফ এবং নির্ভরযোগ্য অসংখ্য তাফসীরের কিতাব থেকে দেখিয়েছি মানুষ মাটির সৃষ্টি বলতে শুধু মাত্র আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।
বিগত পর্বের লিংক-->
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=1465925753626469&id=100006271751511&set=a.1381446318741080.1073741825.100006271751511&refid=18&_ft_
আজকের পোস্টেও আমরা দুইখানা আয়াত শরীফ এবং উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীর দলীল স্বরূপ পেশ করে প্রমান করে দেখাবো মাটির সৃষ্টি মানুষ বলতে আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।
(৫) পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
قال له صاحبه وهو يحاوره اكفرت بالذي خلقك من تراب ثم من نطفة ثم سواك رجلا
অর্থ: তাঁর সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললো, তুমি তাকে অস্বীকার করছো যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে অতঃপর পূর্নাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে।"
[ সূরায়ে কাহাফ ৩৭ নং আয়াত শরীফ ]
উক্ত আয়াত শরীফে 'খলাক্কা মিন তুরাব" বা সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, এখানে মাটি থেকে কাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সে প্রসঙ্গে মুফাসসিরিনে কিরাম গনের অভিমত উল্লেখ করা হচ্ছে--->
→ মুহিয়্যুস সুন্নাহ, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহীম বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে লিখেন-
(خلقك من تراب) اي خلق اصلك من تراب لان خلق اصله يبب في خلقه
অর্থ: (তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল ( হযরত আদম আলাইহিস সালাম ) উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা উনার আছলের সৃষ্টি উনার সৃষ্টির কারন।"
দলীল-
√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা।
→ তাজুল মুফসসিরিন, আল্লামা আবুল ফজল শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমুদ আলুসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন-
(خلقك من تراب) اي في ضمن خلق اصلك منه وهو ادم عليه السلام
অর্থ: (তিনি তোমাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল আর তিনি হলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম, উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল মায়ানী ৮ম খন্ড ২৭৬ পৃষ্ঠা।
→ বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন-
(خلقك من تراب) لانه اصل ماد تك اومادة اصلك ادم عليه السلام
অর্থ: ( তিনি তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) কেননা তোমার মাদ্দার আছল অথবা তোমার আছলের মাদ্দাহ হলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম।"
দলীল-
√ তাফসীরে মাযহারী ৬ষ্ঠ খন্ড ৩৫ পৃষ্ঠা।
→ শাইখুল মুফাসসিরিন আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার তাফসীর গ্রন্থে লিখেছেন-
( قال له صاحبه) اي اخاه المسلم (وهو يحاوره) اي يكلمه ويعظه في الله تعالي (اكفرت بالذي خلقك من تراب) يعني ادم عليه اسلام
অর্থ: ( তাঁকে তার সাথী বললেন) অর্থাৎ তার মুসলমান ভাই বলেন। তিনি তার সাথে আল্লাহ পাক সম্পর্কে নসীহত করেছিলেন। যিনি তোমাকে অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে সামারকান্দী ২য় খন্ড ২৯৯ পৃষ্ঠা।
→তাজুল মুফাসসিরিন, আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--
(بالذي خلقك) اي ضمن خلق اصلك ادم عليه السلام (من تراب)
অর্থ: ( যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল বয়ান ৫ম খন্ড ২৪৭ পৃষ্ঠা।
"সুরায়ে কাহাফের" এর উক্ত আয়াত শরীফ ও তফসীর দ্বারা প্রমানিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাই মুফাসসিরিনে কিরামগন আয়াত শরীফে বর্নিত خلقك "তোমাকে সৃষ্টি করেছেন" এ বাক্যের অর্থ করেছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, যেহেতু শুধুমাত্র আদম আলাইহিস সালাম মাটির সৃষ্টি ।
===============================
(৬) মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
الذي احسن كل شءي خلقه وبدأ خلق الانسان من طين
অর্থ: যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।"
[ সূরায়ে সিজদাহ ৭ নং আয়াত শরীফ]
উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে মুফাসসিরিনে কিরামগনের অভিমত উল্লেখ করা হলো-
→ বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان من طين) يعني خلق ادم عليه السلام من طين من ادم الارض
অর্থ: ( তিনি কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে জমিনের কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ২৯ পৃষ্ঠা।
→ বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان) يعني ادم عليه السلام من طين
অর্থ: আল্লাহ পাক কাদামাটি দ্বারা মানুষ অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি শুরু করেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে মাযহারী ৭ম খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা।
→ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسن من طين) يعني ادم عليه السلام
অর্থ: তিনি কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেন অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টির সূচনা করেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা।
→বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان من طين) يعني ادم عليه السلام
অর্থ: ( তিনি কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করা শুরু করেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে কুরতুবী ৭ম খন্ড ৯০ পৃষ্ঠা।
→ আল্লামা আলুসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان) ادم عليه السلام (من طين)
অর্থ: ( তিনি মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করা শুরু করেন কাদামাটি থেকে।"
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল মায়ানী ১১ তম খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা।
এছাড়া উক্ত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পৃথিবীর সকল তাফসীরের কিতাবে "কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেন" বলতে আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টির কথাই বুঝানো হয়েছে।
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১১১ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে কাদেরী ২য় খন্ড ২৩৬ পৃষ্ঠা।
সূরাতুস সিজদাহ" এর উক্ত আয়াত শরীফ ও ব্যাখ্যা দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো, শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই মহান আল্লাহ পাক সরাসরি মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।
সূতরাং প্রমানিত হলো মাটির সৃষ্টি বলতে যত আয়াত শরীফ আছে সেগুলা দ্বারা একমাত্র আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বুঝানো হয়েছে, অন্যকোন মানুষকে বুঝানো হয় নাই।
[ পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকুন ]
নাউযুবিল্লাহ !!
এ কথার প্রেক্ষিতে তারা কুরআন শরীফ থেকে কিছু আয়াত শরীফ পেশ করে। যে আয়াত শরীফকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করে তারা বলে থাকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাটির মানুষ।
নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক !!
কুরআন শরীফ অনুসন্ধান করে ১৪ খানা আয়াত শরীফ পাওয়া গেছে, যে আয়াত শরীফগুলোতে বলা হয়েছে, মানুষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।"
উক্ত আয়াত শরীফ সমূহের তাফসীরে শতশত তাফসীরের কিতাব অনুসন্ধান করে দেখা গেছে "মানুষ মাটির তৈরী" যাতীয় যত আয়াত শরীফ বর্নিত হয়েছে সবগুলোতেই শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।
অথচ মুনাফিক ওহাবী দেওবন্দী গং সেই আয়াতগুলার তাফসীরে বিররায় বা, মনগড়া তাফসীর করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির মানুষ বলার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে । ইতিপূর্বে আমি চারখানা আয়াত শরীফ এবং নির্ভরযোগ্য অসংখ্য তাফসীরের কিতাব থেকে দেখিয়েছি মানুষ মাটির সৃষ্টি বলতে শুধু মাত্র আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।
বিগত পর্বের লিংক-->
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=1465925753626469&id=100006271751511&set=a.1381446318741080.1073741825.100006271751511&refid=18&_ft_
আজকের পোস্টেও আমরা দুইখানা আয়াত শরীফ এবং উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীর দলীল স্বরূপ পেশ করে প্রমান করে দেখাবো মাটির সৃষ্টি মানুষ বলতে আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।
(৫) পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
قال له صاحبه وهو يحاوره اكفرت بالذي خلقك من تراب ثم من نطفة ثم سواك رجلا
অর্থ: তাঁর সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললো, তুমি তাকে অস্বীকার করছো যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে অতঃপর পূর্নাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে।"
[ সূরায়ে কাহাফ ৩৭ নং আয়াত শরীফ ]
উক্ত আয়াত শরীফে 'খলাক্কা মিন তুরাব" বা সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, এখানে মাটি থেকে কাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সে প্রসঙ্গে মুফাসসিরিনে কিরাম গনের অভিমত উল্লেখ করা হচ্ছে--->
→ মুহিয়্যুস সুন্নাহ, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহীম বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে লিখেন-
(خلقك من تراب) اي خلق اصلك من تراب لان خلق اصله يبب في خلقه
অর্থ: (তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল ( হযরত আদম আলাইহিস সালাম ) উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা উনার আছলের সৃষ্টি উনার সৃষ্টির কারন।"
দলীল-
√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা।
→ তাজুল মুফসসিরিন, আল্লামা আবুল ফজল শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমুদ আলুসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন-
(خلقك من تراب) اي في ضمن خلق اصلك منه وهو ادم عليه السلام
অর্থ: (তিনি তোমাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল আর তিনি হলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম, উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল মায়ানী ৮ম খন্ড ২৭৬ পৃষ্ঠা।
→ বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন-
(خلقك من تراب) لانه اصل ماد تك اومادة اصلك ادم عليه السلام
অর্থ: ( তিনি তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) কেননা তোমার মাদ্দার আছল অথবা তোমার আছলের মাদ্দাহ হলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম।"
দলীল-
√ তাফসীরে মাযহারী ৬ষ্ঠ খন্ড ৩৫ পৃষ্ঠা।
→ শাইখুল মুফাসসিরিন আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার তাফসীর গ্রন্থে লিখেছেন-
( قال له صاحبه) اي اخاه المسلم (وهو يحاوره) اي يكلمه ويعظه في الله تعالي (اكفرت بالذي خلقك من تراب) يعني ادم عليه اسلام
অর্থ: ( তাঁকে তার সাথী বললেন) অর্থাৎ তার মুসলমান ভাই বলেন। তিনি তার সাথে আল্লাহ পাক সম্পর্কে নসীহত করেছিলেন। যিনি তোমাকে অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে সামারকান্দী ২য় খন্ড ২৯৯ পৃষ্ঠা।
→তাজুল মুফাসসিরিন, আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--
(بالذي خلقك) اي ضمن خلق اصلك ادم عليه السلام (من تراب)
অর্থ: ( যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল বয়ান ৫ম খন্ড ২৪৭ পৃষ্ঠা।
"সুরায়ে কাহাফের" এর উক্ত আয়াত শরীফ ও তফসীর দ্বারা প্রমানিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাই মুফাসসিরিনে কিরামগন আয়াত শরীফে বর্নিত خلقك "তোমাকে সৃষ্টি করেছেন" এ বাক্যের অর্থ করেছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, যেহেতু শুধুমাত্র আদম আলাইহিস সালাম মাটির সৃষ্টি ।
===============================
(৬) মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
الذي احسن كل شءي خلقه وبدأ خلق الانسان من طين
অর্থ: যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।"
[ সূরায়ে সিজদাহ ৭ নং আয়াত শরীফ]
উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে মুফাসসিরিনে কিরামগনের অভিমত উল্লেখ করা হলো-
→ বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان من طين) يعني خلق ادم عليه السلام من طين من ادم الارض
অর্থ: ( তিনি কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে জমিনের কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ২৯ পৃষ্ঠা।
→ বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان) يعني ادم عليه السلام من طين
অর্থ: আল্লাহ পাক কাদামাটি দ্বারা মানুষ অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি শুরু করেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে মাযহারী ৭ম খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা।
→ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسن من طين) يعني ادم عليه السلام
অর্থ: তিনি কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেন অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টির সূচনা করেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা।
→বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان من طين) يعني ادم عليه السلام
অর্থ: ( তিনি কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করা শুরু করেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে কুরতুবী ৭ম খন্ড ৯০ পৃষ্ঠা।
→ আল্লামা আলুসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
(وبدأ خلق الانسان) ادم عليه السلام (من طين)
অর্থ: ( তিনি মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করা শুরু করেন কাদামাটি থেকে।"
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল মায়ানী ১১ তম খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা।
এছাড়া উক্ত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পৃথিবীর সকল তাফসীরের কিতাবে "কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেন" বলতে আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টির কথাই বুঝানো হয়েছে।
দলীল-
√ তাফসীরে রূহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১১১ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে কাদেরী ২য় খন্ড ২৩৬ পৃষ্ঠা।
সূরাতুস সিজদাহ" এর উক্ত আয়াত শরীফ ও ব্যাখ্যা দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো, শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই মহান আল্লাহ পাক সরাসরি মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।
সূতরাং প্রমানিত হলো মাটির সৃষ্টি বলতে যত আয়াত শরীফ আছে সেগুলা দ্বারা একমাত্র আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বুঝানো হয়েছে, অন্যকোন মানুষকে বুঝানো হয় নাই।
[ পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকুন ]