NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

62. আমরা মাজারে কেন যাই ? এতে কোন ফজিলত আছে ? সাহাবাগণ , সালফে সালেহীনগণ কি মাজারে যেতেন ?


Photo: ‎প্রশ্নঃ আমরা মাজারে কেন যাই ? 
এতে কোন ফজিলত আছে ?
সাহাবাগণ , সালফে সালেহীনগণ কি মাজারে যেতেন ?

উত্তরঃ মাজারে যাওয়ার কয়েকটা কারণ রয়েছে । নিম্নে মাজারে যাওয়ার কারণসহ সমস্হ প্রশ্নের উত্তর দলীল সহকারে উপস্থাপন করা হলো:-

১ নং কারণঃ মাজারে যাওয়া সাহাবাগণের সুন্নাত । যেমন হাদিস শরীফে এসেছে..

اصاب الناس قحط في زمان عمر_ فجاء رجل الي قبر النبي صلعم فقال يارسول الله استسف لامتك فانهم قد هلكوا فاتي الرجل في المنام فقيل له ائت عمر فاقرئه السلام _ واخبره انكم مستقيمون 

হযরত ওমর রঃ এর সময় একদা অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের উপর দুর্ভিক্ষ পতিত হল । তখন এক সাহাবী হযরত বেলাল বিন হারেস রঃ রাসূল দঃ এর রওযা মোবারকে এসে আবেদন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ দঃ আপনার উম্মত ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে আপনি আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করুন । সে সাহাবিকে স্বপ্নযোগে বলা হল , হযরত ওমর রঃ কে গিয়ে সালাম বল এবং তাকে বল যে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করা হবে । সুবহানাল্লাহ !
_______________________________

* আল মুসান্নাফ ,ইবনে আবি শায়বাহ । (খন্ড ১২ ,পৃঃ৩২ হাদিস নং ১২০৫১.)

*হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ, ফতহুল বারী শরহে বুখারী ,
(খন্ড ২ পৃঃ ৪৯৫ ও ৪১২)
_______________________________

হযরত ইবনে আবি শায়বাহ, ইবনে হাজর আসকালানী ,ও ইমাম কোস্তলানী রহঃ তারা বলেছেন
هذا حديث صحيح
অত্র হাদিস খানা সহীহ সনদে বর্ণিত ! 



২নং কারণঃ- আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণের রওযা হল দোআ কবুলের বিশেষ স্হান । 
যেমন ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেন ...

اني لاتبرك بابي حنيفة واجيء الي قبره فاذا عرضت لي حاجة صليت ركعتين وجئت الي قبره وسالت الله الحاجة عنده فما تبعد عني حتي تقضي_

নিশ্চয়ই আমি ইমাম আবু হানিফা রঃ হতে বরকত হাসিল করি এবং আমি তার রওজায় জিয়ারত করতে আসি । আমার যখন কোন প্রয়োজন পড়ে তখন আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার কবরে আসি এবং তার পাশে দাড়িয়ে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করি । অতঃপর আমি সেখান থেকে আসতে না আসতেই আমার প্রয়োজন পূর্ণ হয়ে যায় । সুবহানাল্লাহ !
_______________________________

ফতোয়ায়ে শামী , খন্ড ১ পৃঃ ১ .
তারিখে বাগদাদ , খন্ড ১ পৃঃ ১২৩
রুদ্দুল মুখতার খন্ড ১ পৃঃ ৪১ 
আলখায়রাতুল হেসান , পৃঃ ৯৪
_______________________________

ওহাবী ভাইদের বলছি । আপনারা কি নিজেদের ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর চেয়ে বড় মুফতী মনে করেন ? নাউযুবিল্লাহ ।



(খ ) শাহ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী রহঃ যিনি সকলের কাছে মান্য ও গ্রহণযোগ্য , এবং যিনি প্রচ্যের বুখারী হিসেবে পরিচিত । তিনি তার কিতাবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন হযরত মুছা কাজেম এর কবর শরীফ দোআ কবুল হবার জন্য পরশ পাথরের মত পরীক্ষিত ! সুবহানাল্লাহ ।
_
______________________________

# আশিয়াতুল লুমআত
( খন্ড ২ পৃঃ ৯২৩ ).


৩ নং কারণঃ- সম্মানিত জায়গা বলে.. যেমন আল্লাহ তাআলার বাণী 

ومن يعظم شعائر الله فانها من تقواي القلوب 

যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহকে তাজিম বা সম্মান করল তার নিশ্চয়ই উহা অন্তরের তাকওয়া বা খোদাভীতির অন্তর্ভুক্ত । (আল কোরআন)

_______________________________

আর যেহেতু আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ তার নিদর্শনের অন্তর্ভূক্ত সেহেতু তাদের প্রতি সম্মান করা মূলত খোদাভীতির অন্তর্ভূক্ত ।


এখন এ ব্যপারে ওহাবীগুরু আশরাফ আলী থানবী কি বলে দেখি...

جو استعانت و انتمداد باعتقاد علم و قدرت مستقل ھو وہ شرک ہے اور جو باعتقاد علم وقدرت غیر مستقل ہو اور وہ کسی دلیل سے ثابت ہو جاۓ تو جائز ہے خواہ مستمد منہ زندہ ہو یاموت..

অর্থঃ "অলীগণের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে তাদের নিকট যে সাহায্য প্রার্থনা করা হয় তা শিরক । কিন্তু অলীগণের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্বূর্ণ মনে না করে বরং আল্লাহ প্রদত্ত মনে করে যদি তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয় এবং যেকোন প্রমাণ ও উদাহরণ দ্বারা তাদের উক্ত খোদাপদত্ত জ্ঞান ও ক্ষমতা প্রমাণিত হয় তাহরে তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা জায়েয । চাই তিনি জীবিত হোন অথবা মৃত"
_______________________________

[ইমদাদুল ফতোয়া , খণ্ড ৩ , আকায়েদ ও কালাম অধ্যায় ।] 

Zobair Ahmed‎প্রশ্নঃ আমরা মাজারে কেন যাই ?
এতে কোন ফজিলত আছে ?
সাহাবাগণ , সালফে সালেহীনগণ কি মাজারে যেতেন ?

উত্তরঃ মাজারে যাওয়ার কয়েকটা কারণ রয়েছে । নিম্নে মাজারে যাওয়ার কারণসহ সমস্হ প্রশ্নের উত্তর দলীল সহকারে উপস্থাপন করা হলো:-

১ নং কারণঃ মাজারে যাওয়া সাহাবাগণের সুন্নাত । যেমন হাদিস শরীফে এসেছে..

اصاب الناس قحط في زمان عمر_ فجاء رجل الي قبر النبي صلعم فقال يارسول الله استسف لامتك فانهم قد هلكوا فاتي الرجل في المنام فقيل له ائت عمر فاقرئه السلام _ واخبره انكم مستقيمون

হযরত ওমর রঃ এর সময় একদা অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের উপর দুর্ভিক্ষ পতিত হল । তখন এক সাহাবী হযরত বেলাল বিন হারেস রঃ রাসূল দঃ এর রওযা মোবারকে এসে আবেদন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ দঃ আপনার উম্মত ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে আপনি আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করুন । সে সাহাবিকে স্বপ্নযোগে বলা হল , হযরত ওমর রঃ কে গিয়ে সালাম বল এবং তাকে বল যে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করা হবে । সুবহানাল্লাহ !
_______________________________

* আল মুসান্নাফ ,ইবনে আবি শায়বাহ । (খন্ড ১২ ,পৃঃ৩২ হাদিস নং ১২০৫১.)

*হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ, ফতহুল বারী শরহে বুখারী ,
(খন্ড ২ পৃঃ ৪৯৫ ও ৪১২)
_______________________________

হযরত ইবনে আবি শায়বাহ, ইবনে হাজর আসকালানী ,ও ইমাম কোস্তলানী রহঃ তারা বলেছেন
هذا حديث صحيح
অত্র হাদিস খানা সহীহ সনদে বর্ণিত !



২নং কারণঃ- আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণের রওযা হল দোআ কবুলের বিশেষ স্হান ।
যেমন ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেন ...

اني لاتبرك بابي حنيفة واجيء الي قبره فاذا عرضت لي حاجة صليت ركعتين وجئت الي قبره وسالت الله الحاجة عنده فما تبعد عني حتي تقضي_

নিশ্চয়ই আমি ইমাম আবু হানিফা রঃ হতে বরকত হাসিল করি এবং আমি তার রওজায় জিয়ারত করতে আসি । আমার যখন কোন প্রয়োজন পড়ে তখন আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার কবরে আসি এবং তার পাশে দাড়িয়ে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করি । অতঃপর আমি সেখান থেকে আসতে না আসতেই আমার প্রয়োজন পূর্ণ হয়ে যায় । সুবহানাল্লাহ !
_______________________________

ফতোয়ায়ে শামী , খন্ড ১ পৃঃ ১ .
তারিখে বাগদাদ , খন্ড ১ পৃঃ ১২৩
রুদ্দুল মুখতার খন্ড ১ পৃঃ ৪১
আলখায়রাতুল হেসান , পৃঃ ৯৪
_______________________________

ওহাবী ভাইদের বলছি । আপনারা কি নিজেদের ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর চেয়ে বড় মুফতী মনে করেন ? নাউযুবিল্লাহ ।



(খ ) শাহ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী রহঃ যিনি সকলের কাছে মান্য ও গ্রহণযোগ্য , এবং যিনি প্রচ্যের বুখারী হিসেবে পরিচিত । তিনি তার কিতাবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন হযরত মুছা কাজেম এর কবর শরীফ দোআ কবুল হবার জন্য পরশ পাথরের মত পরীক্ষিত ! সুবহানাল্লাহ ।
_
______________________________

# আশিয়াতুল লুমআত
( খন্ড ২ পৃঃ ৯২৩ ).


৩ নং কারণঃ- সম্মানিত জায়গা বলে.. যেমন আল্লাহ তাআলার বাণী

ومن يعظم شعائر الله فانها من تقواي القلوب

যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহকে তাজিম বা সম্মান করল তার নিশ্চয়ই উহা অন্তরের তাকওয়া বা খোদাভীতির অন্তর্ভুক্ত । (আল কোরআন)

_______________________________

আর যেহেতু আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ তার নিদর্শনের অন্তর্ভূক্ত সেহেতু তাদের প্রতি সম্মান করা মূলত খোদাভীতির অন্তর্ভূক্ত ।


এখন এ ব্যপারে ওহাবীগুরু আশরাফ আলী থানবী কি বলে দেখি...

جو استعانت و انتمداد باعتقاد علم و قدرت مستقل ھو وہ شرک ہے اور جو باعتقاد علم وقدرت غیر مستقل ہو اور وہ کسی دلیل سے ثابت ہو جاۓ تو جائز ہے خواہ مستمد منہ زندہ ہو یاموت..

অর্থঃ "অলীগণের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে তাদের নিকট যে সাহায্য প্রার্থনা করা হয় তা শিরক । কিন্তু অলীগণের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্বূর্ণ মনে না করে বরং আল্লাহ প্রদত্ত মনে করে যদি তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয় এবং যেকোন প্রমাণ ও উদাহরণ দ্বারা তাদের উক্ত খোদাপদত্ত জ্ঞান ও ক্ষমতা প্রমাণিত হয় তাহরে তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা জায়েয । চাই তিনি জীবিত হোন অথবা মৃত"
_________________ [ইমদাদুল ফতোয়া , খণ্ড ৩ , আকায়েদ ও কালাম অধ্যায় ।]