প্রশ্নঃ জুলুছ শব্দের অর্থ কি? জশনে জুলুস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই?
উত্তরঃ জুলুছ আরবী শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ হল বসা, শাহী সওয়ারী, শান ও শওকতপূর্ণ শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি।
শরীয়তের পরিভাষায় সমগ্র সৃষ্টির প্রাণ ও উৎস হুজুর পুরনূর (দঃ) এর
শুভাগমনকে স্মরন করে খুশী উদযাপন ও শুকরিয়া আদায়ের জন্য হামদ, নাত, জিকির ও দরূদ ও
সালামের সাথে অত্যন্ত শান শওকতের ভিত্তিতে নবী প্রেমিকদের
শোভাযাত্রাকে জশনে জুলুছে ঈদে
মীলাদুন্নাবী (দঃ) বলা হয়।
প্রিয়নবীর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ও
ভালবাসা প্রদর্শনের এবংসমগ্র সৃষ্টির জন্য অদ্বিতীয় নেয়ামত নবী
করীর (দঃ) এর আগমনে খুশী ও শোকরিয়া প্রকাশের নিমিত্তে এ ধরনের জুলুছ নুরানী জগতের
ফেরেশতাগণের সুন্নাতের অনুসরণ।
পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনূসের ৫৮
নং আয়াতে পরম করুণাময় আল্লাহ
তায়ালা তার বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমতকে বিশেষভাবে স্মরন এবং বৈধ পন্হায় খুশী উদযাপন করার জন্য আদেশ তদুপরি মহানবী (দঃ) এর আম্মাজান হযরত আমেনা খাতুনের বর্ণানা মতে দেখা যায় আল্লাহর প্রিয় মাহবুবের আবির্ভাবের শুভ মূহর্তে অসংখ্য
নূরানী ফেরাশতা দলে দলে জুলুছ সহকারে নবী করীম (দঃ) কে মোবারকবাদ ও স্বাগতম জানানোর
জন্য আসমান থেকে হযরত আমেনার গৃহে নাযীল হয়েছিলেন। উক্ত বর্ণনাসমূহ জগদ্বিখ্যাত হাদিসের ইমামগণ স্ব স্ব রচিত কিতাবে
বর্ণনা করেছেন। যেমন আন নেয়ামাতুল কুবরা আলাল আলম, কৃতঃ
ইমাম হাজর হায়তমী মক্কী (রহঃ)
,
মাওয়াহেবে লাদুনীয়া কৃতঃ ইমাম কোস্তলানী (রহঃ),
আনওয়ারে মুহাম্মেদিয় আল্লামা ইউসুফ নেবহানী (রহঃ) ও
আল খাচায়েচুল কোবরা কৃতঃ ইমাম জালাল উদ্দীন সূয়ূতী (রহঃ) সহ অনেক নির্ভরযোগ্য
কিতাবে এ দরণের উদ্ধৃতি বর্ণনা আছে।
,
সুতারাং নবী করীম (দঃ) শুভাগমনের
মাস রবিউল আওয়ালে, নবী
করিম (দঃ) এর শান মান মর্যাদা প্রদর্শন এবং শ্রদ্ধ্রা ও ভালবাসা নিবেদনের জন্য জশনে জুলুছে ঈদে
মিলাদুন্নাবীর (দঃ) আয়োজন এবং মহান রবের দরবারে শোকরিয়া
আদায়ের জন্য সর্বত্র ঈদে
মিলাদুন্নাবী (দঃ) এর মাহফিল, দরূদ সালাম ও তাবাররুকের ব্যবস্হাপনা
যুগযুগ ধরে হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও ফোকাহায়ে এযাম অতি বরকতময়,
পূর্ণময় ও অন্যতম ইবাদত হিসেবে
ফতোয়া, ফায়সালা প্রদান করেছেন।
সুতারাং এ সব নেক আমলসমূহকে
ঠাট্টা বিদ্রোপ করা, বিদআত,হারাম
ইত্যাদি বলা মূলত, হামদ নাত, দরূদ
সালাম, বয়ান তকরির, খানা পিনা পরিবেশন ও দোয়া মুনাজাতকে
অস্বীকার করার নামান্তর যা সুস্পষ্ট গোমরাহী।
fan post
এই পেইজের ফ্যানদের প্রতি বিনীত অনুরোধ যে যেখানে আছেন আপনার শহরে, গ্রামে, এলাকায় জশনে জুলুছে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিন যে আমরা নবীকে আমাদের মাঝে পেয়ে সবচাইতে বেশি খুশি এবং দরুদ সালাম পড়ে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে লাকো কোটি শোকরিয়া আদায় করুন ।
উত্তরঃ জুলুছ আরবী শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ হল বসা, শাহী সওয়ারী, শান ও শওকতপূর্ণ শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি।
শরীয়তের পরিভাষায় সমগ্র সৃষ্টির প্রাণ ও উৎস হুজুর পুরনূর (দঃ) এর
শুভাগমনকে স্মরন করে খুশী উদযাপন ও শুকরিয়া আদায়ের জন্য হামদ, নাত, জিকির ও দরূদ ও
সালামের সাথে অত্যন্ত শান শওকতের ভিত্তিতে নবী প্রেমিকদের
শোভাযাত্রাকে জশনে জুলুছে ঈদে
মীলাদুন্নাবী (দঃ) বলা হয়।
প্রিয়নবীর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ও
ভালবাসা প্রদর্শনের এবংসমগ্র সৃষ্টির জন্য অদ্বিতীয় নেয়ামত নবী
করীর (দঃ) এর আগমনে খুশী ও শোকরিয়া প্রকাশের নিমিত্তে এ ধরনের জুলুছ নুরানী জগতের
ফেরেশতাগণের সুন্নাতের অনুসরণ।
পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনূসের ৫৮
নং আয়াতে পরম করুণাময় আল্লাহ
তায়ালা তার বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমতকে বিশেষভাবে স্মরন এবং বৈধ পন্হায় খুশী উদযাপন করার জন্য আদেশ তদুপরি মহানবী (দঃ) এর আম্মাজান হযরত আমেনা খাতুনের বর্ণানা মতে দেখা যায় আল্লাহর প্রিয় মাহবুবের আবির্ভাবের শুভ মূহর্তে অসংখ্য
নূরানী ফেরাশতা দলে দলে জুলুছ সহকারে নবী করীম (দঃ) কে মোবারকবাদ ও স্বাগতম জানানোর
জন্য আসমান থেকে হযরত আমেনার গৃহে নাযীল হয়েছিলেন। উক্ত বর্ণনাসমূহ জগদ্বিখ্যাত হাদিসের ইমামগণ স্ব স্ব রচিত কিতাবে
বর্ণনা করেছেন। যেমন আন নেয়ামাতুল কুবরা আলাল আলম, কৃতঃ
ইমাম হাজর হায়তমী মক্কী (রহঃ)
,
মাওয়াহেবে লাদুনীয়া কৃতঃ ইমাম কোস্তলানী (রহঃ),
আনওয়ারে মুহাম্মেদিয় আল্লামা ইউসুফ নেবহানী (রহঃ) ও
আল খাচায়েচুল কোবরা কৃতঃ ইমাম জালাল উদ্দীন সূয়ূতী (রহঃ) সহ অনেক নির্ভরযোগ্য
কিতাবে এ দরণের উদ্ধৃতি বর্ণনা আছে।
,
সুতারাং নবী করীম (দঃ) শুভাগমনের
মাস রবিউল আওয়ালে, নবী
করিম (দঃ) এর শান মান মর্যাদা প্রদর্শন এবং শ্রদ্ধ্রা ও ভালবাসা নিবেদনের জন্য জশনে জুলুছে ঈদে
মিলাদুন্নাবীর (দঃ) আয়োজন এবং মহান রবের দরবারে শোকরিয়া
আদায়ের জন্য সর্বত্র ঈদে
মিলাদুন্নাবী (দঃ) এর মাহফিল, দরূদ সালাম ও তাবাররুকের ব্যবস্হাপনা
যুগযুগ ধরে হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও ফোকাহায়ে এযাম অতি বরকতময়,
পূর্ণময় ও অন্যতম ইবাদত হিসেবে
ফতোয়া, ফায়সালা প্রদান করেছেন।
সুতারাং এ সব নেক আমলসমূহকে
ঠাট্টা বিদ্রোপ করা, বিদআত,হারাম
ইত্যাদি বলা মূলত, হামদ নাত, দরূদ
সালাম, বয়ান তকরির, খানা পিনা পরিবেশন ও দোয়া মুনাজাতকে
অস্বীকার করার নামান্তর যা সুস্পষ্ট গোমরাহী।
fan post
এই পেইজের ফ্যানদের প্রতি বিনীত অনুরোধ যে যেখানে আছেন আপনার শহরে, গ্রামে, এলাকায় জশনে জুলুছে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিন যে আমরা নবীকে আমাদের মাঝে পেয়ে সবচাইতে বেশি খুশি এবং দরুদ সালাম পড়ে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে লাকো কোটি শোকরিয়া আদায় করুন ।