অগণিত হাদীস শরীফের মাধ্যমে জানা যায়, রাসুলে
করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু-গণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ বা জন্ম
বৃত্তান্তের আলোচনা করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে
স্বীয় মীলাদ বা জন্ম দিবস পালন করেছেন। নিম্নে দুটি বর্ণনা করা হল।
দুটি হাদীস শরীফ যা বর্ননা করেছেন এমন এক ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে সারা দুনিয়া বাসী সবার আস্থা রয়েছে! মুসলমানদের ভিতর সব চাইতে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি ছিলেন নবম হিজরীর মুজাদ্দিদ, ইসলামের এমন কোন বিষয় নাই যে বিষয়ে তিনি কিতাব লিখেন নাই! তিনি ছিলেন হাফিযে হাদীস, তিনি পাঁচ লক্ষ এরও বেশি হাদীস শরীফ এর হাফিয ছিলেন! তাফসীর শাস্ত্রে উনার ছিল অগাধ ইলিম! উনাকে তাজুল মুফাসসিরিন বলা হয়! তিনি ছিলেন যামানার লক্ষস্থল ইমাম, খতেমুল হুফ্ফাজ, রয়িসুল মুহাদ্দেসীন, রেজাল শাস্ত্রের বিশেষগ্গ! যিনি জাগ্রত অবস্থায় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পঁচাত্তর বার দেখেছেন! উনার তাফসির সমগ্র মাদ্রাসায় পড়ানো হয়। উনার তাফসির না পড়ে কেউ মুফাসসির হওয়ার দাবী করতে পারে না। তিনি আর কেউ নন, সবার পরিচিত তাফসিরে জালালাইন শরীফ এর মুসান্নিফ হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি!
তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব "সুবলুল হুদা ফি মাওলেদে মুস্তাফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" এ দুই খানা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন!!! হাদীস গুলো উল্লেখ করা হলো --
১.
ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﺍﻟﺪَّﺭْﺩَﺍﺀِ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻪُ ﺍَﻧَّﻪﻣَﺮَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍِﻟٰﻰﺑَﻴْﺖِ ﻋَﺎﻣِﺮِ ﺍﻻَﻧْﺼَﺎﺭِﻯِّ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌَﻠِّﻢُ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻻَﺑْﻨَﺎﺋِﻪﻭَﻋَﺸِﻴْﺮَﺗِﻪ ﻭَﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺼَّﻠٰﻮﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼﻡُ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓَﺘَﺢَﻟَﻚَ ﺍَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻼﺋِﻜَﺔُ ﻛُﻠُّﻬُﻢْﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭْﻥَ ﻟَﻚَ ﻣَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﻓِﻌْﻠَﻚَ ﻧَﺠٰﻰﻧَﺠٰﺘَﻚَ
অর্থ: হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিতআছে যে, একদা তিনি রসূলে পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার সাথে হযরত আমিরআনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুউনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেনযে, তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন,জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতিনি যমীনে তাশরীফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাবলী শ্রবণ করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত খুশি হয়ে বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তিনি উনার রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ উনারা আপনারজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মতো এরূপ কাজকরবে, সেও আপনার মতো নাজাত(ফযীলত) লাভ করবে।”
সুবহানাল্লাহ!
২.
ﻋَﻦْ ﺍِﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﺍَﻧَّﻪٗﻛَﺎﻥَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺫَﺍﺕَ ﻳَﻮْﻡٍ ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪٖ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪٖ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ،ﻓَﻴَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭَﻥْ ﻭَﻳُﺤَﻤِّﺪُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻠَّﺖْﻟَﻜُﻢْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻰْ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার নিজ গৃহে ছাহাবীগণকে সমবেত করে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহপাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহপাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (ছলাত-সালাম) দুরূদ শরীফ পাঠকরছিলেন। এমন সময় রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হয়ে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে দেখে বললেন: “আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।”
[তথ্যসূত্রঃ সুবুলুলহুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম- হযরত ইমামজালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; মাওলুদুল কবীর - হাফিযে হাদীস, ইমাম ইবনে হাযর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; আত তানভীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযার - শায়খ হাফিযে হাদীস আবিল খত্তাব ইবনে দাহিয়্যা রহমাতুল্লাহি আলাইহি; দুররুল মুনাযযাম - সপ্তম অধ্যায় - প্রথম পরিচ্ছেদ; ইশবাউল কালাম; হাক্বীকতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী ৩৫৫ পৃষ্ঠা]
উক্ত হাদীস শরীফদ্বয় থেকে দিবালোক এর ন্যায় প্রমান হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায়, উনার উপস্থিতিতে বিলাদাত শরীফ মজলিশ করা হয়েছে! এবং তিনি নিজেই বিলাদাত শরীফ পাঠ কারীদের সুসংবাদ দিয়েছেন।
দুটি হাদীস শরীফ যা বর্ননা করেছেন এমন এক ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে সারা দুনিয়া বাসী সবার আস্থা রয়েছে! মুসলমানদের ভিতর সব চাইতে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি ছিলেন নবম হিজরীর মুজাদ্দিদ, ইসলামের এমন কোন বিষয় নাই যে বিষয়ে তিনি কিতাব লিখেন নাই! তিনি ছিলেন হাফিযে হাদীস, তিনি পাঁচ লক্ষ এরও বেশি হাদীস শরীফ এর হাফিয ছিলেন! তাফসীর শাস্ত্রে উনার ছিল অগাধ ইলিম! উনাকে তাজুল মুফাসসিরিন বলা হয়! তিনি ছিলেন যামানার লক্ষস্থল ইমাম, খতেমুল হুফ্ফাজ, রয়িসুল মুহাদ্দেসীন, রেজাল শাস্ত্রের বিশেষগ্গ! যিনি জাগ্রত অবস্থায় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পঁচাত্তর বার দেখেছেন! উনার তাফসির সমগ্র মাদ্রাসায় পড়ানো হয়। উনার তাফসির না পড়ে কেউ মুফাসসির হওয়ার দাবী করতে পারে না। তিনি আর কেউ নন, সবার পরিচিত তাফসিরে জালালাইন শরীফ এর মুসান্নিফ হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি!
তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব "সুবলুল হুদা ফি মাওলেদে মুস্তাফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" এ দুই খানা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন!!! হাদীস গুলো উল্লেখ করা হলো --
১.
ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﺍﻟﺪَّﺭْﺩَﺍﺀِ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻪُ ﺍَﻧَّﻪﻣَﺮَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍِﻟٰﻰﺑَﻴْﺖِ ﻋَﺎﻣِﺮِ ﺍﻻَﻧْﺼَﺎﺭِﻯِّ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌَﻠِّﻢُ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻻَﺑْﻨَﺎﺋِﻪﻭَﻋَﺸِﻴْﺮَﺗِﻪ ﻭَﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺼَّﻠٰﻮﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼﻡُ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓَﺘَﺢَﻟَﻚَ ﺍَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻼﺋِﻜَﺔُ ﻛُﻠُّﻬُﻢْﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭْﻥَ ﻟَﻚَ ﻣَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﻓِﻌْﻠَﻚَ ﻧَﺠٰﻰﻧَﺠٰﺘَﻚَ
অর্থ: হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিতআছে যে, একদা তিনি রসূলে পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার সাথে হযরত আমিরআনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুউনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেনযে, তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন,জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতিনি যমীনে তাশরীফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাবলী শ্রবণ করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত খুশি হয়ে বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তিনি উনার রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ উনারা আপনারজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মতো এরূপ কাজকরবে, সেও আপনার মতো নাজাত(ফযীলত) লাভ করবে।”
সুবহানাল্লাহ!
২.
ﻋَﻦْ ﺍِﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﺍَﻧَّﻪٗﻛَﺎﻥَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺫَﺍﺕَ ﻳَﻮْﻡٍ ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪٖ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪٖ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ،ﻓَﻴَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭَﻥْ ﻭَﻳُﺤَﻤِّﺪُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻠَّﺖْﻟَﻜُﻢْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻰْ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার নিজ গৃহে ছাহাবীগণকে সমবেত করে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহপাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহপাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (ছলাত-সালাম) দুরূদ শরীফ পাঠকরছিলেন। এমন সময় রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হয়ে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে দেখে বললেন: “আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।”
[তথ্যসূত্রঃ সুবুলুলহুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম- হযরত ইমামজালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; মাওলুদুল কবীর - হাফিযে হাদীস, ইমাম ইবনে হাযর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; আত তানভীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযার - শায়খ হাফিযে হাদীস আবিল খত্তাব ইবনে দাহিয়্যা রহমাতুল্লাহি আলাইহি; দুররুল মুনাযযাম - সপ্তম অধ্যায় - প্রথম পরিচ্ছেদ; ইশবাউল কালাম; হাক্বীকতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী ৩৫৫ পৃষ্ঠা]
উক্ত হাদীস শরীফদ্বয় থেকে দিবালোক এর ন্যায় প্রমান হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায়, উনার উপস্থিতিতে বিলাদাত শরীফ মজলিশ করা হয়েছে! এবং তিনি নিজেই বিলাদাত শরীফ পাঠ কারীদের সুসংবাদ দিয়েছেন।