ණ ইমাম আহমদ ক্বাস্তলানী বলেছেন- "আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য রহমত নাযিল করুন ওই ব্যক্তির উপর, যে মিলাদ ই পাকের মাস রবিউল আউয়াল-এর রাতগুলোকে ঈদের ন্যায় খুশীর রাতে পরিণত করে, যার অন্তরে শানে রেসালতের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষের রোগ-ব্যাধি রয়েছে তার অন্তরের উপর ক্বিয়ামত সংঘটিত হয়ে যায় ।"
[সূত্রঃ আল মাওয়াহিব' যারক্বানীসহ ১ম খণ্ড ১৩৯ পৃঃ]
মোল্লা আলী ক্বারী (ওফাত ১০১৪ হিঃ) বলেছেন-
অর্থাত্ "মক্কাবাসীগণ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম শরীফের প্রতি গুরুত্ব ঈদ অপেক্ষাও বেশী দিতেন ।"
[সূত্রঃ আল মাওরেদ-আর রাভী, মক্কা মুকাররামায় মুদ্রিত ২৮ পৃঃ]
শাহ ওয়ালী উল্লাহর পর্যবেক্ষণঃ
শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী বলেছেন, "আমি একবার মক্কা মুআযযমায় মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম- এর পবিত্র জন্মের স্থানে উপস্থিত ছিলাম । তখন লোকেরা হুযূরের ওই মুজিযা বর্ণনা করেছিলেন, যেগুলো হুজুরের শুভাগমনের পূর্বে ও হুজুরের নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে প্রকাশ পেয়েছিলো । তখন আমি হঠাত্ দেখতে পেলাম- সেখানে জ্যোতিসমূহেরই ছড়াছড়ি । তখন আমি গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করলাম ও বুজতে পারলাম, ওই 'নূর' (জ্যোতি) হচ্ছে- ওইসব ফিরিশতারই, যাঁদেরকে এমন মাহফিলসমূহের (মীলাদ শরীফ ইত্যাদি) জন্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে । অনুরুপ, আমি দেখেছি 'রহমতের নূর' ও 'ফিরিশতাদের নূর' সেখানে মিলিত হয়েছে ।"
[সূত্রঃ ফুয়ূযুল হেরেমাঈন, আরবী-উর্দুঃ ৮০-৮১ পৃঃ]
শীর্ষস্থানীয় দেওবন্দী ব্যাক্তিবর্গের পীর-মুর্শিদের বাণীঃ
হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজির-ই মক্কী সাহেব বলেছেন, "মওলেদ শরীফ (মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) সমস্ত হেরমাঈন শরীফাঈনবাসীই উদযাপন করেন । আমাদের জন্য এতটুকু দলীলই যতেষ্ট ।"
[সূত্রঃ আশমাম-ই ইমদাদিয়াহ ৪৭ পৃঃ]
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব নজদীর পুত্রের ফাতওয়াঃ
শায়খ আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব নজদী লিখেছেন, "কট্টর কাফির আবূ লাহাব নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর বেলাদতের খুশিতে তার ক্রীতদাসী সুয়ায়বাহকে আযাদ করার ফলে সে কবরে প্রতি সোমবার (বেলাদত শরীফের দিন) শান্তিদায়ক পানীয় (শোষণ) করার জন্য পেয়ে থাকে । সুতরাং ওই একত্ববাদী মুসলমানদের কী অবস্থা হবে (অর্থাত্ সে কেমন নিআমাত লাভ করবে), যে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর খুশি উদযাপন করে থাকে !" (সংক্ষিপ্ত)
[সূত্রঃ মুখতাসার সীরাতুর রসূল ১৩ পৃঃ হাফেয আবদুল গফুর আহলে হাদীস, ঝীলাম কতৃক প্রকাশিত]
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দিন ।
সুতরাং এ কথা অকাট্যভাবে প্রমানিত হল যে, ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরই মহান দিবস ।
(চলবে)