* মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন ,
وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্যে এবং রুকু সেজদাকারীদের জন্যে (সূরা হজ্জ-২৬) |
* আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন "
وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু সেজদাকারীদের জন্যে পবিত্র রাখ।” (সূরা বাকারা-১২৫) |
* উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ইবাদতের ঘরকে নামাজ, ইতিকাফ তথা ইবাদতের জন্য পবিত্র রাখতে হবে | কেননা প্রত্যেকটি মসজিদ হলো খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি | আবাসিক হোটেল বানিয়ে তার পবিত্রতা নষ্ট করা উচিত নয় |
* ফতোয়া আলমগীরীতে উল্লেখ আছে, “মসজিদে না ঘুমানই উত্তম |” নবীজি (সা.) তিন মসজিদ ব্যতিরেকে অন্য কোন মসজিদে সফর করতে নিষেধ করেছেন | হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تشد الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد المسجد الحرام ومسجد الرسول صلى الله عليه و سلم ومسجد الأقصى
অর্থাৎ ‘তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে সফর করা যাবে না | মসজিদে হারাম (মক্কা), আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে আল আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস)”| ( বুখারী শরীফ - ১১২৩ , মুসলিম শরীফ -৩৪৫০ )
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ,
" قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ينبغي للمطي أن تشد رحاله إلى مسجد يبتغى فيه الصلاة غير المسجد الحرام والمسجد الأقصى ومسجدي هذا
অর্থাৎ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, “মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববী ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করা কোন মুসাফিরের জন্য সঙ্গত নয় | (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১১৬০৯) |
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ," হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আকরাম (রা.) হতে বর্ণিত হুযুর আকরাম (সা.) এরশাদ করেন, “তোমরা মসজিদকে ঘুমাবার স্থান বানাইও না | ” (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৫ম খন্ড, ৪৪৬ পৃষ্ঠা) |
একমাত্র ইতেকাফকারির জন্যই কেবল মসজিদে খাওয়া দাওয়া নিদ্রা ও বসবাস ইত্যাদির অনুমতি শরিয়তে রয়েছে তাই বলে পাইকারি হারে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা মসজিদকে বাসস্থান হিসেবে ব্যাবহার করা নিজের ঘরের ন্যায় এটা কোন ক্রমেই শরিয়ত সমর্থিত হতে পারেনা মসজিদের আদব সম্পর্কে গ্য়াত অগাত বালেগ নাবালেগ যুব বৃদ্ধ নির্বেশেষে সর্বস্তরের লোক দু এক কথা আলোচনা করত নির্দ্বিধায় মসজিদে অবস্তান করত পার্থিব কথা বার্তা পানাহার উঠা বসা ও নিদ্রা ইত্যাদি কাজগুলো করায় মসজিদের ইজ্জত হুরমত বিনষ্ট হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই এ খানে উল্লেখ যে শরিয়ী ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত,চাই ওয়াজীব ইতেকাফ হোক বা নফল হোক*
ইতেকাফের অর্থ হলো,ইতেকাফের নিয়তে রোজা রাখা অবস্তায় মসজিদে অবস্তান করা*ইতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য হানাফি মাজহাব মতে রোজা রাখা শর্ত তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতে শর্ত নয় আমাদের ইমামগনের মতে ওয়াজীব ইতেকাফ রোজা ব্যতীত সহীহ হবে না,এমনকি নফল ইতেকাফ রোযা ব্যতীত ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মতে সহীহ হবেব এ মতটি ইমাম হাসান আবু হানিফা রহঃ হতে বর্ননা করেছেন জাহের রেওয়াতে রোজা রাখা ব্যতিত ইতেকাফ শুদ্ধ নয় এমতের ভিত্ততে একদিনের কম কোন ইতেকাফ শরিয়তের গ্রহনযোগ্য নয়*ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর মতে কম পখে এক ঘন্টায় ইতেকাফ হবে কিন্তু তার এ মত গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারন হলো এ কওলের সমার্থনে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীস নেই*
Zobair
وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্যে এবং রুকু সেজদাকারীদের জন্যে (সূরা হজ্জ-২৬) |
* আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন "
وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু সেজদাকারীদের জন্যে পবিত্র রাখ।” (সূরা বাকারা-১২৫) |
* উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ইবাদতের ঘরকে নামাজ, ইতিকাফ তথা ইবাদতের জন্য পবিত্র রাখতে হবে | কেননা প্রত্যেকটি মসজিদ হলো খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি | আবাসিক হোটেল বানিয়ে তার পবিত্রতা নষ্ট করা উচিত নয় |
* ফতোয়া আলমগীরীতে উল্লেখ আছে, “মসজিদে না ঘুমানই উত্তম |” নবীজি (সা.) তিন মসজিদ ব্যতিরেকে অন্য কোন মসজিদে সফর করতে নিষেধ করেছেন | হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تشد الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد المسجد الحرام ومسجد الرسول صلى الله عليه و سلم ومسجد الأقصى
অর্থাৎ ‘তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে সফর করা যাবে না | মসজিদে হারাম (মক্কা), আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে আল আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস)”| ( বুখারী শরীফ - ১১২৩ , মুসলিম শরীফ -৩৪৫০ )
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ,
" قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ينبغي للمطي أن تشد رحاله إلى مسجد يبتغى فيه الصلاة غير المسجد الحرام والمسجد الأقصى ومسجدي هذا
অর্থাৎ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, “মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববী ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করা কোন মুসাফিরের জন্য সঙ্গত নয় | (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১১৬০৯) |
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ," হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আকরাম (রা.) হতে বর্ণিত হুযুর আকরাম (সা.) এরশাদ করেন, “তোমরা মসজিদকে ঘুমাবার স্থান বানাইও না | ” (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৫ম খন্ড, ৪৪৬ পৃষ্ঠা) |
একমাত্র ইতেকাফকারির জন্যই কেবল মসজিদে খাওয়া দাওয়া নিদ্রা ও বসবাস ইত্যাদির অনুমতি শরিয়তে রয়েছে তাই বলে পাইকারি হারে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা মসজিদকে বাসস্থান হিসেবে ব্যাবহার করা নিজের ঘরের ন্যায় এটা কোন ক্রমেই শরিয়ত সমর্থিত হতে পারেনা মসজিদের আদব সম্পর্কে গ্য়াত অগাত বালেগ নাবালেগ যুব বৃদ্ধ নির্বেশেষে সর্বস্তরের লোক দু এক কথা আলোচনা করত নির্দ্বিধায় মসজিদে অবস্তান করত পার্থিব কথা বার্তা পানাহার উঠা বসা ও নিদ্রা ইত্যাদি কাজগুলো করায় মসজিদের ইজ্জত হুরমত বিনষ্ট হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই এ খানে উল্লেখ যে শরিয়ী ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত,চাই ওয়াজীব ইতেকাফ হোক বা নফল হোক*
ইতেকাফের অর্থ হলো,ইতেকাফের নিয়তে রোজা রাখা অবস্তায় মসজিদে অবস্তান করা*ইতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য হানাফি মাজহাব মতে রোজা রাখা শর্ত তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতে শর্ত নয় আমাদের ইমামগনের মতে ওয়াজীব ইতেকাফ রোজা ব্যতীত সহীহ হবে না,এমনকি নফল ইতেকাফ রোযা ব্যতীত ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মতে সহীহ হবেব এ মতটি ইমাম হাসান আবু হানিফা রহঃ হতে বর্ননা করেছেন জাহের রেওয়াতে রোজা রাখা ব্যতিত ইতেকাফ শুদ্ধ নয় এমতের ভিত্ততে একদিনের কম কোন ইতেকাফ শরিয়তের গ্রহনযোগ্য নয়*ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর মতে কম পখে এক ঘন্টায় ইতেকাফ হবে কিন্তু তার এ মত গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারন হলো এ কওলের সমার্থনে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীস নেই*
Zobair

![Photo: প্রশ্নঃ আমরা মাজারে কেন যাই ?
এতে কোন ফজিলত আছে ?
সাহাবাগণ , সালফে সালেহীনগণ কি মাজারে যেতেন ?
উত্তরঃ মাজারে যাওয়ার কয়েকটা কারণ রয়েছে । নিম্নে মাজারে যাওয়ার কারণসহ সমস্হ প্রশ্নের উত্তর দলীল সহকারে উপস্থাপন করা হলো:-
১ নং কারণঃ মাজারে যাওয়া সাহাবাগণের সুন্নাত । যেমন হাদিস শরীফে এসেছে..
اصاب الناس قحط في زمان عمر_ فجاء رجل الي قبر النبي صلعم فقال يارسول الله استسف لامتك فانهم قد هلكوا فاتي الرجل في المنام فقيل له ائت عمر فاقرئه السلام _ واخبره انكم مستقيمون
হযরত ওমর রঃ এর সময় একদা অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের উপর দুর্ভিক্ষ পতিত হল । তখন এক সাহাবী হযরত বেলাল বিন হারেস রঃ রাসূল দঃ এর রওযা মোবারকে এসে আবেদন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ দঃ আপনার উম্মত ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে আপনি আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করুন । সে সাহাবিকে স্বপ্নযোগে বলা হল , হযরত ওমর রঃ কে গিয়ে সালাম বল এবং তাকে বল যে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করা হবে । সুবহানাল্লাহ !
_______________________________
* আল মুসান্নাফ ,ইবনে আবি শায়বাহ । (খন্ড ১২ ,পৃঃ৩২ হাদিস নং ১২০৫১.)
*হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ, ফতহুল বারী শরহে বুখারী ,
(খন্ড ২ পৃঃ ৪৯৫ ও ৪১২)
_______________________________
হযরত ইবনে আবি শায়বাহ, ইবনে হাজর আসকালানী ,ও ইমাম কোস্তলানী রহঃ তারা বলেছেন
هذا حديث صحيح
অত্র হাদিস খানা সহীহ সনদে বর্ণিত !
২নং কারণঃ- আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণের রওযা হল দোআ কবুলের বিশেষ স্হান ।
যেমন ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেন ...
اني لاتبرك بابي حنيفة واجيء الي قبره فاذا عرضت لي حاجة صليت ركعتين وجئت الي قبره وسالت الله الحاجة عنده فما تبعد عني حتي تقضي_
নিশ্চয়ই আমি ইমাম আবু হানিফা রঃ হতে বরকত হাসিল করি এবং আমি তার রওজায় জিয়ারত করতে আসি । আমার যখন কোন প্রয়োজন পড়ে তখন আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার কবরে আসি এবং তার পাশে দাড়িয়ে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করি । অতঃপর আমি সেখান থেকে আসতে না আসতেই আমার প্রয়োজন পূর্ণ হয়ে যায় । সুবহানাল্লাহ !
_______________________________
ফতোয়ায়ে শামী , খন্ড ১ পৃঃ ১ .
তারিখে বাগদাদ , খন্ড ১ পৃঃ ১২৩
রুদ্দুল মুখতার খন্ড ১ পৃঃ ৪১
আলখায়রাতুল হেসান , পৃঃ ৯৪
_______________________________
ওহাবী ভাইদের বলছি । আপনারা কি নিজেদের ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর চেয়ে বড় মুফতী মনে করেন ? নাউযুবিল্লাহ ।
(খ ) শাহ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী রহঃ যিনি সকলের কাছে মান্য ও গ্রহণযোগ্য , এবং যিনি প্রচ্যের বুখারী হিসেবে পরিচিত । তিনি তার কিতাবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন হযরত মুছা কাজেম এর কবর শরীফ দোআ কবুল হবার জন্য পরশ পাথরের মত পরীক্ষিত ! সুবহানাল্লাহ ।
_
______________________________
# আশিয়াতুল লুমআত
( খন্ড ২ পৃঃ ৯২৩ ).
৩ নং কারণঃ- সম্মানিত জায়গা বলে.. যেমন আল্লাহ তাআলার বাণী
ومن يعظم شعائر الله فانها من تقواي القلوب
যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহকে তাজিম বা সম্মান করল তার নিশ্চয়ই উহা অন্তরের তাকওয়া বা খোদাভীতির অন্তর্ভুক্ত । (আল কোরআন)
_______________________________
আর যেহেতু আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ তার নিদর্শনের অন্তর্ভূক্ত সেহেতু তাদের প্রতি সম্মান করা মূলত খোদাভীতির অন্তর্ভূক্ত ।
এখন এ ব্যপারে ওহাবীগুরু আশরাফ আলী থানবী কি বলে দেখি...
جو استعانت و انتمداد باعتقاد علم و قدرت مستقل ھو وہ شرک ہے اور جو باعتقاد علم وقدرت غیر مستقل ہو اور وہ کسی دلیل سے ثابت ہو جاۓ تو جائز ہے خواہ مستمد منہ زندہ ہو یاموت..
অর্থঃ "অলীগণের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে তাদের নিকট যে সাহায্য প্রার্থনা করা হয় তা শিরক । কিন্তু অলীগণের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্বূর্ণ মনে না করে বরং আল্লাহ প্রদত্ত মনে করে যদি তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয় এবং যেকোন প্রমাণ ও উদাহরণ দ্বারা তাদের উক্ত খোদাপদত্ত জ্ঞান ও ক্ষমতা প্রমাণিত হয় তাহরে তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা জায়েয । চাই তিনি জীবিত হোন অথবা মৃত"
_______________________________
[ইমদাদুল ফতোয়া , খণ্ড ৩ , আকায়েদ ও কালাম অধ্যায় ।]
Zobair Ahmed](https://fbcdn-sphotos-d-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/t1/p403x403/75050_615746661832558_1687790800_n.jpg)
![Photo: জানাযার আগে ও পরে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা নিয়ে ওহাবীদের বিতর্কের জবাব ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এ কথার উপর একমত যে মুসলমান মৃত ব্যক্তিদের জন্য জানাযার আগে ও পরে দোআ করা অবশ্যই পছন্দনীয় এবং কোরআন হাদিসের অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত।
দলিল ১,:-জানাযার আগে দোআর প্রমাণ । সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত যে সাহাবাগণও ফারুখে আযম এর লাশ মুবারকের চতুর্দিকে দাড়িয়ে তার জন্য দোআ করেছেন । ﻭﺿﻊ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻋﻠﻲ ﺳﺮﻳﺮﻩ ﻓﺘﻜﻔﻨﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺪﻋﻮﻥ ﻭ ﻳﺜﻨﻮﻥ ﻭ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻴﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺮﻓﻊ ﻭ ﺍﻧﺎ ﻓﻴﻬﻢ ﻗﺎﻝ ﻓﻠﻢ ﻳﺮﻋﻨﻲ ﺍﻻ ﺑﺮﺟﻞ ﻗﺪ ﺍﺧﺬ ﺑﻤﻨﻜﺒﻲ ﻣﻦ ﻭﺭﺍﺇﻱ ﻓﺎﻟﺘﻔﺖ ﺍﻟﻴﻪ ﻓﺎﺫﺍ ﻫﻮ ﻋﻠﻲ ﻓﺘﺮﺣﻢ ﻋﻠﻲ ﻋﻤﺮ ___ হযরত ইবনে আব্বাস রঃ হতে বর্ণিত , হযরত উমর বিন খাত্তাব রঃ কে খাটের উপর কাফন পরায়ে মানুষেরা তার জন্য দোআ, ছানা পাঠ করেছেন । খাট থেকে তুলে নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। আমিও তাদের মধ্যে ছিলাম। এক ব্যাক্তি পেছন থেকে এসে আমার কাঁধ ধরলে দেখলাম তিনি তো হযরত আলী রঃ । তিনি হযরত উমার রঃ এর জন্য রহমত কামনা করেন। [সহিহ বুখারি ও মুসলিম শরীফ]
জানাযার পর লোকটি কেমন ছিল তা স্বাক্ষী দেওরা জায়েয ও উত্তম ।
দলীল ২:-... ﻋﻦ ﺍﻡ ﺳﻠﻤﺔ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺫﺍ ﺣﻀﺮﺗﻢ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﺍﻭ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﺧﻴﺮﺍ ﻓﺎﻥ ﺍﻟﻤﻼﺇﻛﺔ ﻳﻮﻣﻨﻮﻥ ﻣﺎ ﺗﻘﻮﻟﻮﻥ হযরত উম্মে সালামা রঃ হতে বর্ণিত রাসুল দঃ বলেছেন যখন তোমরা কোন রুগ্ন বা মৃত ব্যক্তির পাশে হাজির হও তখন তার সম্পর্কে ভাল বলবে। কেননা তোমরা যা বল ফেরেশতারা তাই বিশ্বাস করে। [সহিহ মুসলিম।]
জানাযার পর দোআ করা ।
দলীল ৩:- ... ﺍﺫﺍ ﺻﻠﻴﺘﻢ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻓﺎﺧﻠﺼﻮﺍ ﻟﻪ যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির জানাযা পড়ে ফেল তখন তার জন্য একনিষ্ঠভাবে দুআ কর। [মিশকাত শরীফ, বাবু সালাতিল জানাযা।] ঊক্ত হাদিস দ্বারা পরিস্কারভাবে জানাজার পর দোআর কথা প্রকাশ পায়।
দলীল ৪... ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻋﻤﺎﻣﺔ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻱ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﺍﺳﻤﻊ ﻗﺎﻝ ﺟﻮﻑ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﺍﻻﺧﺮ ﻭ ﺩﺑﺮ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﺍﻟﻤﻔﺘﻮﺑﺎﺕ হযরত আবু উমামা রঃ হতে বর্নিত তিনি বলেন আমি রাসুল দঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম কোন দোআ অধিক গ্রহণযোগ্য? তিনি দঃ বলেন শেষ রাত্রির নির্জন মুহুর্ত ও ফরয নামাজের পর দোআ করা। [সুনানে তিরমীযি ও নাসায়ী ] সুতরাং যেহেতু জানাযার নামাজ ফরযে কেফায়া তাই এর পর দোয়া করা উত্তম।
দলীল ৫.... ﻋﻦ ﻋﺜﻤﺎﻥ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺫﺍ ﻓﺮﻍ ﻣﻦ ﺩﻓﻦ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻭﻗﻒ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺳﺘﻐﻔﺮﻭﺍ ﻻﺧﻴﻜﻢ ﻭﺳﻠﻮﺍ ﻟﻪ ﺍﻟﺘﺜﺒﻴﺖ ﺍﻧﻪ ﺍﻻﻥ ﻳﺴﺎﻝ হযরত উসমান রঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল দঃ লাশ দাফনের পর দাড়িয়ে বলতেন তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সাবেত কদম থাকার জন্য দোয়া কর । কেননা তাকে এখনি প্রশ্ন করা হবে। [সুনানে আবু দাউদ ও বায়হাকি সহিহ সনদে বর্ননা করেছেন]
দলীল ৬.... রাসূল দঃ হযরত তালহা বিন বরা আনসারী রঃ এর জানাযা পড়ালেন এবং এরপর হাত তুলে দোয়া করলেন হে আল্লাহ! তাকে তালহাকে এ অবস্হায় সাক্ষাত দান কর যে তুমি তাকে দেখবে আর সে তোমাকে দেখে খুশী হবে । [ জুরকানী শরহে মুয়াত্তা ২য় খণ্ড পৃঃ ৬১, আওনুল উবুদ শরহে আবি দাউদ ৩য় খণ্ড পৃঃ ১৯৪ ]
দলীল ৭... হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম হযরত ওমর ফারুখ রঃ এর জানাযার শরীক হতে আসলেন কিন্তু তার পূর্বেই জানাযা নাযাজ হয়ে কেলে তিনি দূর থেকে বললেন যদিও তোমরা আমার আগেই জানাযা পড়ে ফেলেছ কিন্তু এখন দোয়ার ক্ষেত্রে আমার পূর্বে করে ফেলনা , আমাকে দোয়ার অন্তর্ভূক্ত কর । [মাবসুত ২য় খণ্ড, পৃঃ ৬৭]
এখন বাতিল ফেরকার প্রতি চ্যলেণ্জ আপনারা একটা সহীহ হাদীস দেখান যাতে জানাযার পর নবী দঃ কর্তৃক দোয়া নিষেধ করা হয়েছে। জানি পারবেন না । কারণ আপনাদের হাদিসটা যে কিতাবে আছে তা এখনো ছাপা হয়নি। তাহলে কোন দলীল না থাকা স্বত্তেও আপনারা জানাযার আকে পরে দোয়া কেন অস্বীকার করেন? এগুলো আপনাদের নিচক ধর্মীয় গোড়ামী ছাড়া আর কিছু নয় । আপনাদের হেদায়েত নসীব হোক, আমীন !
www.facebook.com/Zobair.1992](https://fbcdn-sphotos-d-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/t1/s403x403/1011810_614749935265564_667777433_n.jpg)



