* মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন ,
وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্যে এবং রুকু সেজদাকারীদের জন্যে (সূরা হজ্জ-২৬) |
* আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন "
وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু সেজদাকারীদের জন্যে পবিত্র রাখ।” (সূরা বাকারা-১২৫) |
* উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ইবাদতের ঘরকে নামাজ, ইতিকাফ তথা ইবাদতের জন্য পবিত্র রাখতে হবে | কেননা প্রত্যেকটি মসজিদ হলো খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি | আবাসিক হোটেল বানিয়ে তার পবিত্রতা নষ্ট করা উচিত নয় |
* ফতোয়া আলমগীরীতে উল্লেখ আছে, “মসজিদে না ঘুমানই উত্তম |” নবীজি (সা.) তিন মসজিদ ব্যতিরেকে অন্য কোন মসজিদে সফর করতে নিষেধ করেছেন | হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تشد الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد المسجد الحرام ومسجد الرسول صلى الله عليه و سلم ومسجد الأقصى
অর্থাৎ ‘তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে সফর করা যাবে না | মসজিদে হারাম (মক্কা), আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে আল আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস)”| ( বুখারী শরীফ - ১১২৩ , মুসলিম শরীফ -৩৪৫০ )
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ,
" قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ينبغي للمطي أن تشد رحاله إلى مسجد يبتغى فيه الصلاة غير المسجد الحرام والمسجد الأقصى ومسجدي هذا
অর্থাৎ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, “মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববী ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করা কোন মুসাফিরের জন্য সঙ্গত নয় | (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১১৬০৯) |
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ," হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আকরাম (রা.) হতে বর্ণিত হুযুর আকরাম (সা.) এরশাদ করেন, “তোমরা মসজিদকে ঘুমাবার স্থান বানাইও না | ” (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৫ম খন্ড, ৪৪৬ পৃষ্ঠা) |
একমাত্র ইতেকাফকারির জন্যই কেবল মসজিদে খাওয়া দাওয়া নিদ্রা ও বসবাস ইত্যাদির অনুমতি শরিয়তে রয়েছে তাই বলে পাইকারি হারে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা মসজিদকে বাসস্থান হিসেবে ব্যাবহার করা নিজের ঘরের ন্যায় এটা কোন ক্রমেই শরিয়ত সমর্থিত হতে পারেনা মসজিদের আদব সম্পর্কে গ্য়াত অগাত বালেগ নাবালেগ যুব বৃদ্ধ নির্বেশেষে সর্বস্তরের লোক দু এক কথা আলোচনা করত নির্দ্বিধায় মসজিদে অবস্তান করত পার্থিব কথা বার্তা পানাহার উঠা বসা ও নিদ্রা ইত্যাদি কাজগুলো করায় মসজিদের ইজ্জত হুরমত বিনষ্ট হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই এ খানে উল্লেখ যে শরিয়ী ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত,চাই ওয়াজীব ইতেকাফ হোক বা নফল হোক*
ইতেকাফের অর্থ হলো,ইতেকাফের নিয়তে রোজা রাখা অবস্তায় মসজিদে অবস্তান করা*ইতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য হানাফি মাজহাব মতে রোজা রাখা শর্ত তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতে শর্ত নয় আমাদের ইমামগনের মতে ওয়াজীব ইতেকাফ রোজা ব্যতীত সহীহ হবে না,এমনকি নফল ইতেকাফ রোযা ব্যতীত ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মতে সহীহ হবেব এ মতটি ইমাম হাসান আবু হানিফা রহঃ হতে বর্ননা করেছেন জাহের রেওয়াতে রোজা রাখা ব্যতিত ইতেকাফ শুদ্ধ নয় এমতের ভিত্ততে একদিনের কম কোন ইতেকাফ শরিয়তের গ্রহনযোগ্য নয়*ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর মতে কম পখে এক ঘন্টায় ইতেকাফ হবে কিন্তু তার এ মত গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারন হলো এ কওলের সমার্থনে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীস নেই*
Zobair
وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্যে এবং রুকু সেজদাকারীদের জন্যে (সূরা হজ্জ-২৬) |
* আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন "
وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
অর্থাৎ “আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু সেজদাকারীদের জন্যে পবিত্র রাখ।” (সূরা বাকারা-১২৫) |
* উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ইবাদতের ঘরকে নামাজ, ইতিকাফ তথা ইবাদতের জন্য পবিত্র রাখতে হবে | কেননা প্রত্যেকটি মসজিদ হলো খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি | আবাসিক হোটেল বানিয়ে তার পবিত্রতা নষ্ট করা উচিত নয় |
* ফতোয়া আলমগীরীতে উল্লেখ আছে, “মসজিদে না ঘুমানই উত্তম |” নবীজি (সা.) তিন মসজিদ ব্যতিরেকে অন্য কোন মসজিদে সফর করতে নিষেধ করেছেন | হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تشد الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد المسجد الحرام ومسجد الرسول صلى الله عليه و سلم ومسجد الأقصى
অর্থাৎ ‘তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে সফর করা যাবে না | মসজিদে হারাম (মক্কা), আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) এবং মসজিদে আল আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস)”| ( বুখারী শরীফ - ১১২৩ , মুসলিম শরীফ -৩৪৫০ )
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ,
" قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ينبغي للمطي أن تشد رحاله إلى مسجد يبتغى فيه الصلاة غير المسجد الحرام والمسجد الأقصى ومسجدي هذا
অর্থাৎ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, “মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববী ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করা কোন মুসাফিরের জন্য সঙ্গত নয় | (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১১৬০৯) |
* হাদিস শরীফে আরো এসেছে ," হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আকরাম (রা.) হতে বর্ণিত হুযুর আকরাম (সা.) এরশাদ করেন, “তোমরা মসজিদকে ঘুমাবার স্থান বানাইও না | ” (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৫ম খন্ড, ৪৪৬ পৃষ্ঠা) |
একমাত্র ইতেকাফকারির জন্যই কেবল মসজিদে খাওয়া দাওয়া নিদ্রা ও বসবাস ইত্যাদির অনুমতি শরিয়তে রয়েছে তাই বলে পাইকারি হারে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা মসজিদকে বাসস্থান হিসেবে ব্যাবহার করা নিজের ঘরের ন্যায় এটা কোন ক্রমেই শরিয়ত সমর্থিত হতে পারেনা মসজিদের আদব সম্পর্কে গ্য়াত অগাত বালেগ নাবালেগ যুব বৃদ্ধ নির্বেশেষে সর্বস্তরের লোক দু এক কথা আলোচনা করত নির্দ্বিধায় মসজিদে অবস্তান করত পার্থিব কথা বার্তা পানাহার উঠা বসা ও নিদ্রা ইত্যাদি কাজগুলো করায় মসজিদের ইজ্জত হুরমত বিনষ্ট হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই এ খানে উল্লেখ যে শরিয়ী ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত,চাই ওয়াজীব ইতেকাফ হোক বা নফল হোক*
ইতেকাফের অর্থ হলো,ইতেকাফের নিয়তে রোজা রাখা অবস্তায় মসজিদে অবস্তান করা*ইতেকাফ সহীহ হওয়ার জন্য হানাফি মাজহাব মতে রোজা রাখা শর্ত তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতে শর্ত নয় আমাদের ইমামগনের মতে ওয়াজীব ইতেকাফ রোজা ব্যতীত সহীহ হবে না,এমনকি নফল ইতেকাফ রোযা ব্যতীত ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মতে সহীহ হবেব এ মতটি ইমাম হাসান আবু হানিফা রহঃ হতে বর্ননা করেছেন জাহের রেওয়াতে রোজা রাখা ব্যতিত ইতেকাফ শুদ্ধ নয় এমতের ভিত্ততে একদিনের কম কোন ইতেকাফ শরিয়তের গ্রহনযোগ্য নয়*ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর মতে কম পখে এক ঘন্টায় ইতেকাফ হবে কিন্তু তার এ মত গ্রহনযোগ্য না হওয়ার কারন হলো এ কওলের সমার্থনে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীস নেই*
Zobair