NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

কোন ওলী আল্লাহ যদি কাশফের মাধ্যমে বা স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে কোন হাদীস শরীফের সত্যতা জেনে নেয় এই ধরনের বিষয়গুলাকে চোখ কান বুজে অস্বীকার এবং অবজ্ঞা করে।

 
" বিশিষ্ট মুহাদ্দিসগনের অনেকেই হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট থেকে এলমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পথ নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছেন বলে বিশুদ্ধ বর্ননা রয়েছে। বিশেষ কোন একখানা হাদীস সম্পর্কে হয়তো তারা সন্দেহে পতিত হয়েছেন। সাক্ষাৎ লাভের সময় তাঁরা জিজ্ঞেস করেছেন, হাদীসখানা শুদ্ধ কিনা? জিজ্ঞাসার জবাবে হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীসখানার শুদ্ধাশুদ্ধ সম্পর্কিত মীমাংসা বলে দিয়েছেন। একই পক্রিয়ায় জাগ্রত অবস্থাতেও অনেকেই হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট থেকে অনেক অমূল্য জ্ঞান লাভ করেছেন বলে প্রচুর বর্ননা রয়েছে।"

দলীল-
√ স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪-১৫ পৃষ্ঠা।

এই হলো দেওবন্দী গুরু মাহীউদ্দীনের বক্তব্য। এবার আসুন আমরা দেখি উক্ত কিতাবে এ প্রসঙ্গে কয়েকটা ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে। ঘটনা গুলা উল্লেখ নিম্নে হুবুহু উল্লেখ করা হলো-

(১) প্রখ্যাত মুহাদ্দিস শায়েখ রাজিউদ্দীন হাসান সাগানী কুতুবুদ্দীন আইবেকের শাষনামলে আফগানিস্তান থেকে এদেশে আগমন করেন এবং বাদায়ূন বসতি স্থাপন করেন। "মাশারেকুল আনওয়ার" নামক বহুল প্রচলিত হাদীসগ্রন্থখানা তারই সংকলিত। ২২৪৬ খানা হাদীস এই কিতাবে সংকলিত হয়েছে। হযরত নিজামুদ্দীন আওলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,কিতাব সংকলনের সময় কোন হাদীস সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিলে হযরত শায়েখ স্বপ্নযোগে রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করতেন এবং হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং সংশ্লিষ্ট হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধ বলে দিতেন।"

দলীল-
√ স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫৫ পৃষ্ঠা।

(২) শায়েখ আবুল মাওয়াহেব শাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি একবার স্বপ্নযোগে হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভ করলাম এবং দু'টি হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। হাদীস দু'টি হচ্ছে-
(ক) এমনভাবে আল্লাহর যিকির করতে থাক যেন লোকে তোমাকে পাগল বলে।"

(খ) ইবনে হেব্বানের বর্ননায় রয়েছে- আল্লাহর যিকির এত অধিক পরিমাণে কর যেন লোকে তোমাকে পাগল সাব্যস্ত করে।"

হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন- দুটি বর্ননাই ঠিক। আমি দু'বার এই একই বিষয়বস্তু দু'ভাবে বলেছি। দু'টি বক্তব্যই আমার।"

দলীল-
√ স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৮ পৃষ্ঠা।

(৩) ইমাম তিবরানী এ মর্মে একখানা হাদীস বর্ননা করেছেন যে, মুসলমানদের কর্তব্য পরস্পরে সদাচার,ভালোবাসা এবং ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা। নিজেদের যেন তারা এক দেহের এক একটা অঙ্গরূপে বিবেচনা করে। শরীরের কোন অঙ্গে ব্যাথা হলে পর যেমন সমগ্র শরীরেই তার পতিক্রিয়া অনুভুত হয় তেমনি যেকোন একজন মুসলমানদের দুঃখ বেদনা দেখলে যেন সকল মুসলমানের মধ্যেই সে বেদনার কষ্ট অনুভূত হয়।"
উক্ত হাদীস বর্ননা করার পর ইমাম তিবরানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি স্বপ্নযোগে হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভ করি এবং জিজ্ঞেস করি যে, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ হাদীস খানা কি সহীহ নয় ! তখন হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র হাতে ইশারা করে পর পর তিনবার বললেন, নিশ্চয়ই সহীহ !

দলীল-
√ স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮৮-৮৯ পৃষ্ঠা।


তথ্যসূত্র -
√ স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
লেখক- মাহীউদ্দীন খান দেওবন্দী (সম্পাদক মাসিক মদীনা)
প্রকাশনা- মদীনা পাবলিকেশন্স, ৩৮/২ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০