অসংখ্য দলীল থাকার পরও তাবলিগীরা এ বিষয়টা অস্বীকার করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এসকল তাবলিগীরা তাদের কিতাবেই হাজির এবং নাজিরের অনেক দলীল উল্লেখ করছে, যেগুলা আজ তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাড়িয়েছে।
বর্তমানে দেওবন্দীদের অন্যতম গুরু হচ্ছে "মাসিক মদীনা" পত্রিকার সম্পাদক মাহীউদ্দীন খান। সে আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে একটা বই লিখেছিলো। বইটার নাম হচ্ছে "স্বপ্নযোগে রাসূল্লাল্লহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"। এই বইতে দেওবন্দী মাহীউদ্দীন খান স্বপ্নে এবং জাগ্রত অবস্থায় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিয়ারত মুবারক সম্পর্কে অনেক গুলা ঘটনা বর্ননা করেছে। এখন ওই বই থেকে একটা ঘটনা আপনাদের সামনে উল্লেখ করবো, এ ঘটনা পড়ে আপনারা হাজির নাজিরের বিষয়ে নিজেরাই বিবেকের আদালতে বিচার করুন।
উক্ত কিতাবে বর্নিত একটি ঘটনা হুবুহু বর্ননা করা হলো-
মুফতীয়ে আজম আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বরকতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার একখানা ঘটনা-
"১৯৭১ সালে হজ্ব ও রওজাপাক জিয়ারত শেষে দেশে ফিরে আসার পর একদিন কতিপয় বিশিষ্ট সাক্ষাৎপ্রর্থীর মধ্য থেকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, রীতিমত নামাজ-দোয়ার দ্বারা আখেরী নবী হযরত রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জিয়ারত সম্ভব কিনা ?
জবাবে মুফতী সাহেব বললেন, আল্লাহ তা'য়ালার ইচ্ছা হলে তা অবশ্যই সম্ভব হতে পারে। তবে কোন উম্মতী যদি আল্লাহ ও রসূলের কোন হুকুমের প্রতি নাফরমানী না করে, এখলাছের সাথে এবাদত করে, শরীয়তের সঠিক অনুসরণ করে এবং সর্বোপরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি আন্তরিক মুহব্বত পোষন করে, তবে তাকে দর্শন প্রদান করার জন্য আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই আগ্রহী হয় পরেন। এরপর আবেগ আপ্লুত কন্ঠে তিনি বলেন, শুধু স্বপ্নেই নয় জাগ্রত অবস্থাতেও চর্মচক্ষেই তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখা যায়। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, একদিন তিনি সকালবেলায় খানকায় বসে হাদীসের কিতাব লিখেছিলেন, হঠাৎ লক্ষ্য করলেন, হযরত রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় জ্যোতির্ময় পুরুষের বেশে খানকায় প্রবেশ করলেন এবং তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করতঃ মুচকি হেসে চলে গেলেন। (একটি পূন্যময় জীবনি)
দলীল-
√ স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৫৭ পৃষ্ঠা।
লেখক - মাহীউদ্দীন খান দেওবন্দী (সম্পাদক মাসিক মদীনা)।
প্রকাশনা- মদীনা পবলিকেশান্স, ৩৮/২ বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০।