মুসলিম বিশ্ব বিজ্ঞানে সে অবদানের
মাধ্যমে সমস্ত দুনিয়ার সভ্যতার পথিকৃৎ হয়ে আছে,যেগুলো আমরা ইতিহাসের
পাতায় দেখতে পাই। মুসলিম বিজ্ঞানীদের ভিতরে প্রযুক্তিবিদ হিসাবে সর্বপ্রথম
যাঁকে স্বীকৃতি দেয়া হয় , তিনি হচ্ছেন আবু ইসহাক আল ফাজারী। অষ্টম
শতাব্দীতে বাগদাদের বাদশা আল- মনসুরের রাজ সভার অন্যতম বিজ্ঞানী ছিলেন আবু
ইসহাক। তিনি প্রথম সমুদ্রে সূর্য ও নক্ষত্র সমূহের উচ্চতা নির্ণয়ের জন্য "
আস্তারলব " ( Astrolabe) নামক যন্ত্র তৈরি করেন। শুধু তাই নয় , অংক
শাস্ত্রের অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির নির্মাণ পদ্ধতির উপরও তিনি
কয়েকটি মূল্যবান বই লিখেন। বাদশা মনসুরের রাজসভায় আরেকজন বিজ্ঞানী ছিলেন ,
উনার নাম ছিল আল নওবখত। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতই প্রকৌশল বিজ্ঞানে অনেক
দক্ষ দিলেন এ ব্যাপারে ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়। বাগদাদের ভিত্তি স্থাপন তাঁর
উন্নত প্রকৌশল বিদ্যার পরিচায়ক।
আল- মানসুরের পরে আসেন তাঁর পুত্র খলীফা হারুন উর রশীদ। তিনি ছিলেন অনেক উদার প্রকৃতির , ন্যায় পরায়ন ও অতি মাত্রায় বিদ্যোৎসাহী। ৭৯৯ ঈসায়ী সালে ফ্রান্সের সম্রাট চার্লেমানকে তিনি একটি ঘড়ি উপহার দেন। ঘড়িটির ডায়ালে ১২ টি ছোট দরজা ছিল দিনের ১২ ঘন্টা বুঝাতে। প্রত্যেক ঘন্টায় নিদৃষ্ট ঘন্টার দরজা খুলে যেত। কতটা ঘন্টা বাজলো সেই হিসাবে সেই কয়টি ছোট ছোট গোলক একটি কাঁসার পাত্রের উপর পড়ায় ঠিক সেই কয়টি শব্দ হতো। ১২ টা বাজলে ১২ টা বল পড়তো এবং পড়া শেষ হলে ১২ জন ছোট ছোট যোদ্ধা ঘোড়ায় চড়ে এক সঙ্গে বেরিয়ে ডায়ালের চারদিকে সুন্দর ভাবে প্যারেড করতো , এবং একে একে দরজা গুলো বন্ধ করে দিত। এখনতো বাজারে অনেক ধরনের ঘড়ি পাওয়া যায় , কিন্তু আজ থেকে ১২০০ বছর পূর্বে সেই যুগে মুসলমানদের তৈরী ঐ আবিষ্কার অনগ্রসর ইউরোপীয়দের কাছে ছিল ভয়ানক বিস্ময় সৃষ্টিকর একটি ব্যাপার।
খলীফা হারুনুর রশীদের পর ক্ষমতায় আসেন তাঁর পুত্র আল- মামুন। পিতা এবং পিতামহের মত তিনিও ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপারে যত্নবান। তাঁর রাজসভা বিদ্বান ব্যাক্তি দারা পূর্ণ ছিল। তিনি তাঁর বিদ্বৎসভার নাম দিয়েছিলেন বায়তুল হিকমা বা বিজ্ঞান একাডেমি। তিনি সর্বোপ্রথম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করেন বাগদাদের আলসামসিয়ার জুনদিশাহপুরে এবং দামেস্কের দুই মাইল দূরে কুয়াসিউন পর্বতের চুড়ায়। বাদশা নিজেও গবেষনাগারে বসে গ্রহ নক্ষত্র পর্যবেক্ষন করতেন।
দূরবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কার মুসলমান পদার্থ বিজ্ঞানী আবুল হাসান , মুহম্মদ ইবনে মুসা আল খরেজমী এই মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর রাজত্ব কালেই মুসলমান বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ মৌলিক পদ্ধতিতে মধ্যেরেখা নির্ণয় করেন। বিষুবরেখা সংলগ্ন পরিধি রেখা , বিষুবরেখা ও আয়ন মন্ডলে সংযোগস্থল , চন্দ্রগ্রহন , ধূমকেতুর ছায়া প্রভৃতি তথ্য নির্ণয় করেন।
যে সময় পশ্চিমা জগৎ বিশ্বাস করত পৃথিবী চ্যাপ্টা ও সমতল , তখন মুসলিম বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর গোলত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই এর আয়তন ও পরিধি পরিমাপ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ্ !!
সপ্তদশ শতকে গ্যালিলিও যখন পৃথিবী গতিশীল এ সূর্য ঘুরছে বলে মহাপাপ করে ফেলেছিল এবং নির্যাতিত হয়েছিল তারও সাতশত বছর পূর্বে মুসলমান বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর গতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হন। সূর্যের চারদিকে পৃথিবী উপবৃত্তাকার ধুরছে এটা মুসলমানগন জেনেছেন বহু আগে। কিন্তু তারও কয়েকশত বছর পরে বিধর্মী বিজ্ঞানী টাইকো দ্য ব্রাহে ও কোপার্নিকাস একে বৃত্তাকার বলে ভুল রায় দেয়। কোনকে ত্রিখন্ডিত করা সম্ভব করেছিলেন মুসলমান বিজ্ঞানীরা। বাহুর পরিমাপ দিয়ে ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল বের করার বিখ্যাত এবং আধুনিক কৃতিত্ব মুসলমান বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয় , নিউটনের ক্যালকুলাস ও নবম শতকের মুসলিম বিজ্ঞানী সাবেত ইবনে কুররার গবেষনার ফল। যেটা নিউটন নিজ নামে চালিয়ে দিয়েছে।
আল- মানসুরের পরে আসেন তাঁর পুত্র খলীফা হারুন উর রশীদ। তিনি ছিলেন অনেক উদার প্রকৃতির , ন্যায় পরায়ন ও অতি মাত্রায় বিদ্যোৎসাহী। ৭৯৯ ঈসায়ী সালে ফ্রান্সের সম্রাট চার্লেমানকে তিনি একটি ঘড়ি উপহার দেন। ঘড়িটির ডায়ালে ১২ টি ছোট দরজা ছিল দিনের ১২ ঘন্টা বুঝাতে। প্রত্যেক ঘন্টায় নিদৃষ্ট ঘন্টার দরজা খুলে যেত। কতটা ঘন্টা বাজলো সেই হিসাবে সেই কয়টি ছোট ছোট গোলক একটি কাঁসার পাত্রের উপর পড়ায় ঠিক সেই কয়টি শব্দ হতো। ১২ টা বাজলে ১২ টা বল পড়তো এবং পড়া শেষ হলে ১২ জন ছোট ছোট যোদ্ধা ঘোড়ায় চড়ে এক সঙ্গে বেরিয়ে ডায়ালের চারদিকে সুন্দর ভাবে প্যারেড করতো , এবং একে একে দরজা গুলো বন্ধ করে দিত। এখনতো বাজারে অনেক ধরনের ঘড়ি পাওয়া যায় , কিন্তু আজ থেকে ১২০০ বছর পূর্বে সেই যুগে মুসলমানদের তৈরী ঐ আবিষ্কার অনগ্রসর ইউরোপীয়দের কাছে ছিল ভয়ানক বিস্ময় সৃষ্টিকর একটি ব্যাপার।
খলীফা হারুনুর রশীদের পর ক্ষমতায় আসেন তাঁর পুত্র আল- মামুন। পিতা এবং পিতামহের মত তিনিও ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপারে যত্নবান। তাঁর রাজসভা বিদ্বান ব্যাক্তি দারা পূর্ণ ছিল। তিনি তাঁর বিদ্বৎসভার নাম দিয়েছিলেন বায়তুল হিকমা বা বিজ্ঞান একাডেমি। তিনি সর্বোপ্রথম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করেন বাগদাদের আলসামসিয়ার জুনদিশাহপুরে এবং দামেস্কের দুই মাইল দূরে কুয়াসিউন পর্বতের চুড়ায়। বাদশা নিজেও গবেষনাগারে বসে গ্রহ নক্ষত্র পর্যবেক্ষন করতেন।
দূরবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কার মুসলমান পদার্থ বিজ্ঞানী আবুল হাসান , মুহম্মদ ইবনে মুসা আল খরেজমী এই মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর রাজত্ব কালেই মুসলমান বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ মৌলিক পদ্ধতিতে মধ্যেরেখা নির্ণয় করেন। বিষুবরেখা সংলগ্ন পরিধি রেখা , বিষুবরেখা ও আয়ন মন্ডলে সংযোগস্থল , চন্দ্রগ্রহন , ধূমকেতুর ছায়া প্রভৃতি তথ্য নির্ণয় করেন।
যে সময় পশ্চিমা জগৎ বিশ্বাস করত পৃথিবী চ্যাপ্টা ও সমতল , তখন মুসলিম বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর গোলত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই এর আয়তন ও পরিধি পরিমাপ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ্ !!
সপ্তদশ শতকে গ্যালিলিও যখন পৃথিবী গতিশীল এ সূর্য ঘুরছে বলে মহাপাপ করে ফেলেছিল এবং নির্যাতিত হয়েছিল তারও সাতশত বছর পূর্বে মুসলমান বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর গতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হন। সূর্যের চারদিকে পৃথিবী উপবৃত্তাকার ধুরছে এটা মুসলমানগন জেনেছেন বহু আগে। কিন্তু তারও কয়েকশত বছর পরে বিধর্মী বিজ্ঞানী টাইকো দ্য ব্রাহে ও কোপার্নিকাস একে বৃত্তাকার বলে ভুল রায় দেয়। কোনকে ত্রিখন্ডিত করা সম্ভব করেছিলেন মুসলমান বিজ্ঞানীরা। বাহুর পরিমাপ দিয়ে ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল বের করার বিখ্যাত এবং আধুনিক কৃতিত্ব মুসলমান বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয় , নিউটনের ক্যালকুলাস ও নবম শতকের মুসলিম বিজ্ঞানী সাবেত ইবনে কুররার গবেষনার ফল। যেটা নিউটন নিজ নামে চালিয়ে দিয়েছে।