হযরত আবু বকর (রা:)
আল-বুখারী (রহ:) ও মুসলিম (রহ:) হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণনা করেন যে হুযূর পূর নূর (দ:) তাঁকে বলেন: “তোমার বাবা ও ভাই (আবদুর রহমান)-কে এখানে ডাকো যাতে আমি কিছু একটা লিখে দিতে পারি, কেননা, আমি আশংকা করি যে কেউ হয়তো কোনো দাবি উত্থাপন অথবা কোনো উচ্চাভিলাষ পোষণ করতে পারে; আর যাতে (ওই লেখার দরুণ) আল্লাহ ও ঈমানদাররা আবু বকর (রা:) ছাড়া অন্য কাউকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন।” [নোট-১: মহানবী (দ:)-এর পবিত্র হায়াতে জিন্দেগীর শেষ দিনগুলোতে ব্যক্ত হাদীস। এটি হযরত আয়েশা (রা:)-এর কাছ থেকে ইমাম মুসলিম (রহ:), ইমাম আবু দাউদ (রহ:) ও ইমাম আহমদ (রহ:) বর্ণনা করেছেন।]
আল-হাকিম সহীহ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (দ:) এরশাদ ফরমান: “জান্নাতের বাসিন্দা এক ব্যক্তি এখনি তোমাদের সামনে দৃশ্যমান হতে যাচ্ছেন।” অতঃপর হযরত আবু বকর (রা:) আগমন করেন এবং তাঁদের মাঝে বসেন। [নোট-২: হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে ইমাম তিরমিযী (গরিব হিসেবে) এবং আল-হাকিম (৩:১৩৬=১৯৯০ সংস্করণ ৩:১৪৬) এটাকে সহীহ সনদ ঘোষণা করে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ বর্ণনায় এর সমর্থন পাওয়া যায় - (১) হযরত জাবের (রা:) হতে চারটি সহীহ সনদে ইমাম আহমদ (রহ:); ইমাম তাবারানী - দেখুন আল-হায়তামী (৯:৫৭-৫৮; ৯:১১৬-১১৭); বেশ কয়েকটি সনদে ’আল-আওসাত’ পুস্তকে (৭:১১০ #৭০০২; ৮:৪১ #৭৮৯৭); ‘মুসনাদ আল-শামিয়্যীন’ (১:৩৭৫ #৬৫১); ‘আল-মু’জাম আল-কবীর’ (১০:১৬৭ #১০৩৪৩); আল-হারিস নিজ ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে (২:৮৮৯ #৯৬১); আল-তায়ালিসী তাঁর ‘মুসনাদ’ কেতাবে (পৃষ্ঠা ২৩৪ #১৬৭৪); ইবনে আবি আসিম নিজ ‘আল-সুন্নাহ’ পুস্তকে (২:৬২৪ #১৪৫৩); ইমাম আহমদ (রহ:) স্বরচিত ‘ফাযাইলুস্ সাহাবা’ বইয়ে (১:২০৯ #২৩৩; ২:৫৭৭ #৯৭৭) এবং আল-মুহিব্বুল তাবারী তাঁর ’আল-রিয়াদুন্ নাদিরা’ গ্রন্থে (১:৩০১ #১৪৬); (২) হযরত আবু মাসউদ (রা:) হতে ইমাম তাবারানী আপন ‘আল-মু’জামুল কবীর’ কেতাবে (১৭:২৫০ #৬৯৫); এবং (৩) হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) তাঁর ‘ফযাইলুস্ সাহাবা’ গ্রন্থে (১:১০৪ #৭৬)। শেষোক্ত বই ও তিরমিযীতে আরও বর্ণিত আছে, “অতঃপর মহানবী (দ:) ওই একই কথা আবার বলেন এবং হযরত উমর (রা:) আগমন করেন; সকল বর্ণনাকারী এই ক্রমানুসারে হযরত আলী (ক:)-কে তৃতীয় আগমনকারী বল্লেও ইমাম তাবারানী একটি বর্ণনায় হযরত উসমান (রা:)-এর নাম উল্লেখ করেছেন, যদিও তাঁর অন্যান্য সব বর্ণনায় শুধু হযরত আলী (ক:)-এর নামই এসেছে; দেখুন - হযরত ইবনে মাসউদ (রা:)-এর সূত্রে ‘আল-মু’জামুল কবীর’ (১০:১৬৬-১৬৭ #১০৩৪২, #১০৩৪৪), উম্মে মারসাদ হতে ‘আল-আহাদ ওয়াল মাসানী (৬:২৩৪ #৩৪৬৭) এবং ’আল-কবীর’ (২৪:৩০১ #৭৬৪); দেখুন - ইবনে আব্দিল বারর, ’আল-এস্তিয়াব’ (৪:১৯৫৭ #৪২০৯), এবং হযরত জাবের (রা:) থেকে ইমাম আহমদ (রহ:)-এর ‘ফযাইলে সাহাবা’ (২:৬০৮ #১০৩৮); শেষোক্ত বইয়ে (১:৪৫৪ #৭৩২) হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে একটি বর্ণনায় শুধু হযরত উসমান (রা:)-এর নাম উল্লেখিত হয়েছে, দেখুন-‘কানযুল উম্মাল’ (#৩৬২১১)। নবী পাক (দ:) বেহেশতী হিসেবে আরও যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা হলেন, দশ জন বেহেশতী সাহাবী; হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা:); বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবাবৃন্দ; সুনির্দিষ্ট কয়েকজন যেমন হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসের (রা:); হোদায়বিয়াতে প্রতিশ্রুতি প্রদানকারীগণ; হযরত জাফর ইবনে তাইয়ার (রা:); হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ (রা:); ইসলামের পাঁচ স্তম্ভে কোনো কিছু যোগ না করার বা তা থেকে কোনো কিছু বাদ না দেয়ার অঙ্গীকারকারী এক বেদুঈন; হিংসা থেকে মুক্ত আনসার সাহাবী; ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রা:) ও তাঁর ভাই ইমাম হাসান (রা:); হযরত সাবেত ইবনে কায়েস (রা:); হযরত মালেক (রা:); হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রহ:)-এর সম্মানিত পিতা; হযরত মুআবিয়া (’আল-ফেরদৌস’ ৫:৪৮২ #৮৮৩০ এবং ‘মিযানুল এ’তেদাল’ ২:২৪৩, ৪:৩৫৯); হযরত হেলাল হাবাশী (মওলা আল-মুগিরাহ ইবনে শু’বা হতে ‘আল-এসাবা’ ৬:৫৫০ #৮৯৯৬, দেখুন - ‘নওয়াদিরুল উসূল’ #১২৩ এবং ‘হিলইয়াত আল-আউলিয়া’ ১৯৮৫ সংস্করণ ২:৮১, শেষোক্ত বইয়ে হযরত উয়াইস করনীর নামও উল্লেখিত হয়েছে); হযরত জারির (’নওয়াদির’ #১২৮); হযরত শারিক ইবনে খুবাশা আল-নুমাইরী (এসাবা ৩:৩৮৪ #৩৯৮৭); এবং আল-দাহহাক ইবনে খলীফা আল-আনসারী (প্রাগুক্ত ’নওয়াদির’ ৩:৪৭৫ #৪১৬৬)।] এ ঘটনার আগে মহানবী (দ:) ইতোমধ্যেই হযরত আবু বকর (রা:)-কে বেহেশতী হবার সুসংবাদ দিয়েছিলেন যখন তিনি এরশাদ করেছিলেন: “আবু বকর জান্নাতী, উমরও তাই, উসমানও, আলীও; তালহা, যুবাইর (ইবনে আওয়াম), আবদুর রহমান ইবনে আউফ, সা’আদ (ইবনে আবি ওয়াক্কাস), সাঈদ (ইবনে যায়দ ইবনে আমর) এবং আবু উবায়দা ইবনে জাররাহ সবাই জান্নাতী।” [নোট-৩: হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রহ:) ও হযরত সাঈদ ইবনে যায়দ (রা:) হতে ’সুনান’ ও ইমাম আহমদে বর্ণিত।]
হযরত আবু বকর (রা:) ও হযরত উমর (রা:)
হযরত হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রা:) থেকে ইমাম ইবনে মাজাহ (রহ:) ও আল-হাকিম বর্ণনা করেন যে রাসূলে খোদা (দ:) এরশাদ ফরমান: “আমার (প্রকাশ্য জিন্দেগীর) পরে আসা দু’জন - আবু বকর ও উমরকে তোমরা তোমাদের খলীফা হিসেবে মান্য করবে।” [নোট-৪: এটা একটা দীর্ঘতর হাদীসের অংশ যা হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন (হাসান গরিব হিসেবে); ইমাম আহমদ তাঁর কৃত ’মুসনাদ’ কেতাবে যা আল-যাইনের মতে সহীহ সনদে (১৬:৬১১ #২৩২৭৯), এবং ইমাম আহমদের ’ফযাইলে সাহাবা’ গ্রন্থেও (১:১৮৭); বেশ কয়েকটি সহীহ ও নির্ভরযোগ্য সনদে ইমাম তাহাভী এটা বর্ণনা করেছেন যা উদ্ধৃত হয়েছে আল-আরনা’ওত-এর ‘শরহে মুশকিল আল-আসার’ পুস্তকে (৩:২৫৬-২৫৭ #১২২৪-১২২৬, ৩:২৫৯ #১২৩৩); ইবনে আবি শায়বা (১২:১১); আল-হাকিম (৩:৭৫-৭৬=১১৯০ সংস্করণ ৩:৭৯-৮০) তিনটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন যা তাঁর দ্বারা এবং আল-যাহাবী কর্তৃক নির্ভরযোগ্য বলে সমর্থিত; আর ওই তিনটি রওয়ায়াতের সমর্থন রয়েছে আল-বায়হাকীর ’সুনানে কুবরা’ (৮:১৫৩ #১৬৩৫২), ’আল-মাদখাল’ (১২২ পৃষ্ঠা) এবং ‘আল-এ’তেকাদ’ (৩৪০-৩৪১) গ্রন্থগুলোতে। ইমাম ইবনে হাজর নিজ ’তালখিস আল-হাবির’ পুস্তকে (৪:১৯০) এই হাদীসের সনদগুলোকে নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃত বলে জানিয়েছেন।]
হযরত আবু বকর (রা:), হযরত উমর (রা:) ও হযরত উসমান (রা:)
আবু নুয়াইম, আল-বাযযার, আবু ইয়ালা ও ইবনে আবি খায়সামা হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আমি এক ঘের দেয়া বাগানে মহানবী (দ:)-এর সাহচর্যে ছিলাম। এমন সময় কেউ একজন এসে ফটকে টোকা দেন। হুযূর পাক (দ:) বল্লেন, ‘আনাস, ওনাকে প্রবেশ করতে দাও; তাঁকে বেহেশতের সুসংবাদ দাও এবং বলো যে তিনি আমার উত্তরাধিকারী হবেন।’ আর দেখো, ইনি হযরত আবু বকর (রা:)। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে দরজায় টোকা দিলে রাসূলে আকরাম (দ:) বল্লেন, ’এনাকেও প্রবেশ করতে দাও; তাঁকে বেহেশতের সুসংবাদ দাও এবং বলো যে আবু বকরের পরে তিনি-ই হবেন আমার উত্তরাধিকারী।’ আর দেখো, ইনি হযরত উমর (রা:)। এর পর আরও একজন এসে দরজায় কড়া নাড়েন। এবার নবী করীম (দ:) বল্লেন, ‘একেও প্রবেশ করতে দাও; তাকে বেহেশতের সুসংবাদ দাও এবং বলো যে সে উমরের পরে আমার উত্তরাধিকারী হবে; তাকে আরও জানাবে যে সে শহীদ হবে।’ আর দেখো, ইনি হযরত উসমান (রা:)।” [নোট-৫: হযরত আনাস (রা:) থেকে আবু এয়ালা তাঁর ‘মু’জাম’ কেতাবে (১:১৭৮), ইবনে আবি আসিম স্বরচিত ‘আস-সুন্নাহ’ পুস্তকে (২:৫৫৭), ইবনে আদি নিজ ‘আল-কামিল’ গ্রন্থে (৪:৯১); আর আল-খতীব তাঁর ‘তারিখে বাগদাদ’ বইয়ে (৯:৩৩৯), আল-বাযযার ও ইবনে আসাকির খুব দুর্বল সনদে এটি বর্ণনা করেছেন, কেননা, ইবনে হাজর হায়তামী (রহ:) এর এক রাবী বা বর্ণনাকারীকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছেন। তবে এই রওয়ায়াত স্বতন্ত্রভাবে সমর্থিত হয়েছে।]
হযরত সাফিনা (রা:) থেকে আল-হাকিম সহীহ হিসেবে ঘোষণা করে বর্ণনা করেন, এবং আল-বায়হাকীও তা রওয়ায়াত করেন যে তিনি (সাফিনা) বলেন: “মহানবী (দ:) কর্তৃক {মদীনার} মসজিদ নির্মাণকালে হযরত আবু বকর (রা:) একটি পাথর এনে সেখানে নামিয়ে রাখেন; অতঃপর হযরত উমর (রা:)-ও একটি পাথর এনে রাখেন; এরপর হযরত উসমান (রা:) আরেকটি পাথর এনে সেখানে নামিয়ে রাখেন। এমতাবস্থায় রাসূলে পাক (দ:) এরশাদ ফরমান: ‘এঁরাই আমার (বেসালের) পরে শাসন করবেন’।” [নোট-৬: হযরত সাফিনা (রা:) থেকে আল-হাকিম (৩:১৩=১৯৯০ সংস্করণের ৩:১৪), নুয়াইম ইবনে হাম্মাদের ‘ফিতান’ পুস্তকে, আল-বায়হাকী নিজ ’দালাইল’ গ্রন্থে এবং ইবনে আসাকিরও এটি বর্ণনা করেছেন; হযরত আয়েশা (রা:) থেকেও বর্ণনা করেন আল-হাকিম (৩:৯৬-৯৭=১৯৯০ সংস্করণের ৩:১০৩)।] এই বর্ণনাতে তিনজন খলীফার উত্তরাধিকারের ক্রমের প্রতি ইশারা আছে - আল্লাহ তাঁদের প্রতি রাজি হোন! বাস্তবিকই অন্যান্য কয়েকটি বর্ণনায় স্পষ্টভাবে রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এবং তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “এঁরাই হলেন আমার (বেসালের) পরে উত্তরাধিকারী।” আরেকটি রওয়ায়াতে এসেছে এভাবে, “আমার (বেসালের) পরে এঁরাই হবেন শাসক।” ইমাম আবু যুরা’য়া (আল-ইরাকী) বলেন, “এর সনদ ক্ষতি থেকে মুক্ত, আর আল-হাকিম তাঁর ’মুস্তাদরাক’ কেতাবে এটি বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে সহীহ বলেছেন।” [নোট-৭: তবে আল-বুখারী এই বর্ণনাকে ‘মুনকার’ (ব্যবহারের অযোগ্য) বলেছেন; দেখুন - ইবনে আদি কৃত ‘আল-কামিল’ (২:৪৪০); এ ছাড়াও ‘মুস্তাদরাক’ কেতাবের হাশিয়া (টীকা)-এ আল-যাহাবী এটিকে জাল হিসেবে বিবেচনা করেন; ইবনে কাসির এটিকে ‘গরিব জিদ্দান’ (ভীষণ দুর্বল) হিসেবে চিহ্নিত করেন নিজ ‘বেদায়া’ পুস্তকে। আহলে সুন্নাত তথা সুন্নীদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, মহানবী (দ:) হযরত আবু বকর (রা:)-কে উত্তরাধিকারী নিয়োগ করেন নি সত্য, তবে তিনি তাঁকে নামাযে ইমামতী করার নির্দেশ দিয়ে এদিকে ইঙ্গিত করেছেন।]
আল-বায়হাকী ও আবু নুয়াইম হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আল-’আস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে বলতে শুনেছি - ‘তোমাদের মধ্যে বারো জন খলীফা হবেন। আবু বকর সিদ্দিক আমার (বেসালের) পরে বেশি দিন (শাসনে) থাকবেন না, অল্প সময় থাকবেন; কিন্তু আরবদের গুরু নিষ্কলুষ জীবন যাপন করবেন এবং শাহাদাত বরণ করবেন।’ এমতাবস্থায় কেউ একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! তিনি কে?’ মহানবী (দ:) জবাব দেন, ‘উমর ইবনে খাত্তাব।’ অতঃপর তিনি হযরত উসমান (রা:)-এর দিকে ফিরে বলেন, ‘আর তোমার ক্ষেত্রে, তারা (মোনাফেকরা) বলবে তোমার ওই জামাটি ছুড়ে ফেলে দিতে যেটা আল্লাহতা’লা তোমার কাছে আমানত রেখেছেন। সেই মহান সত্তার শপথ যিনি আমাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন! অবশ্যঅবশ্যই তুমি তা ছুড়ে ফেল্লে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতোক্ষণ না সূঁচের ছিদ্র দিয়ে উট পার হতে পারে’।” [নোট-৮: এটা বর্ণনা করেছেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা:) হতে আল-বায়হাকী এবং আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-আওসাত’ (৮:৩১৯ #৮৭৪৯) ও ‘আল-কবীর’ (১:৫৪ #১২, ১:৯০ #১৪২) কেতাবগুলোতে। দেখুন - আল-হায়তামী (৫:১৭৮); এ ছাড়া ভিন্ন এসনাদে (বর্ণনানুক্রমে) লিপিবদ্ধ হয়েছে ‘আল-আহাদ ওয়াল মাসানী’ পুস্তকে (১:৯৬ #৬৭) যা’তে হযরত উসমান (রা:)-এর উল্লেখ নেই; একই ভাবে লেখা আছে ইবনে আবি আ’সিমের ‘আল-সুন্নাহ’ গ্রন্থে (২:৫৫৮); ‘আবু বকর সিদ্দিক আমার (বেসালের) পরে বেশি দিন (শাসনে) থাকবেন না, অল্প সময় থাকবেন’, এই অংশটিসহ ‘আল-আহাদ ওয়াল মাসানী’ পুস্তকে (১:৭৩-৭৪ #১৩), দেখুন - ইবনে আবি আসিম (২:৫৪৮), ইবনে আল-জাওযী নিজ ‘সিফাতুস্ সাফওয়া’ গ্রন্থে (১:২৩৫-২৩৬), আর তাঁর কাছ থেকে আল-মুহিব্বু আত্ তাবারী ইমাম আয্ যুহরীর বরাতে মুরসাল হিসেবে তাঁর ’আল-রিয়াদ আল-নাদিরা’ কেতাবে (১:৪০৮ #৩২৯)। আয্ যাহাবী এটাকে ’সম্পূর্ণ ত্রুটিযুক্ত’ (ওয়াহিন) বলেছেন তাঁর ’সিয়ার’ গ্রন্থে (৯:১৩৩=আল্ আরনাওত সংস্করণের ১০:৪১১) এবং ‘বাতিল’ (শূন্য) বলেছেন নিজ ‘মিযান’ পুস্তকে (৪:৪৪৩), দেখুন - ইবনে আদি কৃত ‘কামিল’ (৪:২০৭), ইবনে হিব্বান প্রণীত ‘আল-মাজরুহিন’ (২:৪২), এবং ইবনে আল-কায়সারানী রচিত ‘তাযকিরাত আল-মাওদু’আত’ (#১০৩২)। শুধু নিচের বর্ণনাটি সহীহ যা’তে বলা হয়েছে: “ওহে উসমান! আল্লাহতা’লা হয়তো তোমাকে একটি জামা আমানতস্বরূপ দিতে পারেন। মোনাফেকরা সেটা অপসারণ করতে বল্লে তা সরাবে না।” হযূর পাক (দ:) তিনবার এ কথা বলেছিলেন। বিশুদ্ধ রওয়ায়াতে হযরত আয়েশা (রা:) থেকে এই হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন আত্ তিরমিযী (হাসান গরিব), ইবনে হিব্বান, ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ ও আল-হাকিম।]
ইবনে আসাকির হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “বণূ মোস্তালাক্ক (গোত্র)-এর প্রতিনিধিবর্গ আমাকে অনুরোধ করে যেন আমি মহানবী (দ:)-এর খেদমতে এই মর্মে আর্জি পেশ করি যে আগামী বছর তারা হুযূর (দ:)-এর সান্নিধ্যে এসে যদি তাঁকে না পায়, তবে তারা বাধ্যতামূলক যে সদকাহ দিতে হয় তা কার কাছে পেশ করবে। আমি তাদের এই সওয়াল রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর কাছে উপস্থাপন করি। তিনি প্রত্যুত্তর দেন, ‘আবু বকরের কাছে তা জমা দিতে বলবে।’ আমি এ কথা ওই গোত্রের প্রতিনিধিদের কাছে জানালে তারা বলে, ‘যদি আবু বকর (রা:)-কেও না পাই?’ এমতাবস্থায় আমি আবারও বিশ্বনবী (দ:)-এর খেদমতে এই প্রশ্নটি উত্থাপন করি। তিনি এবার বলেন, ‘তাহলে উমরের কাছে তা জমা দিতে বলো।’ গোত্র প্রতিনিধিদল আবার প্রশ্ন করে, ‘যদি তাঁকেও আমরা না পাই?’ অতঃপর রাসূলে আকরাম (দ:) এরশাদ ফরমান, ‘উসমানের কাছে তা জমা দিতে বলো; আর তাকে তারা যেদিন শহীদ করবে, সেদিন যেন তারা ধ্বংস হয়ে যায়’!” [নোট-৯: এটি বর্ণনা করেন হযরত আনাস (রা:) থেকে আবু নুয়াইম নিজ ‘হিলইয়াত আল-আউলিয়া’ পুস্তকে (১৯৮৫ সালের সংস্করণের ৮:৩৫৮) এবং ইবনে আসাকির স্বরচিত ‘তারিখে দামেশ্ক’ কেতাবে (৩৯:১৭৭)। দেখুন - ‘কানযুল উম্মাল’ (#৩৬৩৩৩)।]
বিশুদ্ধ বর্ণনায় আবু এয়ালা হযরত সাহল (রা:) থেকে লিপিবদ্ধ করেন যে উহুদ পাহাড়ে যখন রাসূলে খোদা (দ:), হযরত আবু বকর (রা:), হযরত উমর (রা:) ও হযরত উসমান (রা:) চড়েছিলেন, তখন তা কেঁপে উঠেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “সুদৃঢ় থাকো, ওহে ওহুদ পাহাড়! তোমাতে আর কেউই চড়ে নি শুধু একজন নবী (দ:), একজন সিদ্দিক ও দুইজন শহীদ ছাড়া!” এ ঘটনার পরে হযরত উমর (রা:) ও হযরত উসমান (রা:) শহীদ হন এবং হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেসালপ্রাপ্ত হন। [নোট-১০: হযরত আনাস (রা:) হতে আল-বুখারী, আত্ তিরমিযী (হাসান সহীহ), আবু দাউদ, আন্ নাসায়ী ও ইমাম আহমদ।]
ইমাম
বুখারী
ও
মুসলিম
হযরত
আবু
মূসা
আশ’আরী (রা:) থেকে বর্ণনা
করেন
যে
নবী
করীম
(দ:)
আরিস
কুয়োর
(বাগানের)
অভ্যন্তরে
অবস্থান
করছিলেন
এবং
কুয়োর
প্রস্তরনির্মিত
সীমায়
বসেছিলেন;
তাঁর
পরণের
জামা
পায়ের
গোড়ালির
ওপরে
ওঠানো
ছিল। “আমি
(মূসা
আশআরী)
নিজ
মনে
বল্লাম,
আজ
আমি-ই হবো
মহানবী
(দ:)-এর
দরজা
রক্ষক। এমতাবস্থায়
হযরত
আবু
বকর
(রা:)
ওখানে
উপস্থিত
হলে
আমি
তাঁকে
‘অপেক্ষা
করুন’
বলে
হুযূর
পূর
নূর
(দ:)-কে
জানালাম,
‘হযরত
আবু
বকর
(রা:)
প্রবেশের
অনুমতি
চাইছেন।’ তিনি
উত্তরে
বল্লেন,
‘তাঁকে
(প্রবেশের)
অনুমতি
ও
বেহেশতের
সুসংবাদ
দাও।’ অতঃপর
হযরত
আবু
বকর
(রা:)
(বাগানে)
প্রবেশ
করলেন
এবং
রাসূলুল্লাহ
(দ:)-এর
পাশে
গিয়ে
কুয়োর
ধারে
বসে
পা
দুটো
ঝুলিয়ে
দিলেন। এরপর
হযরত
উমর
(রা:)
ওইখানে
এলেন
এবং
আমি
আবারো
আরয
করলাম,
‘এবার
হযরত
উমর
(রা:)
প্রবেশের
অনুমতি
চাচ্ছেন।’ রাসূলে
খোদা
(দ:)
বল্লেন,
‘তাঁকেও
অনুমতি
ও
বেহেশতের
খোশ-খবরী
দাও।’ ফলে
তিনিও
প্রবেশ
করে
মহানবী
(দ:)
ও
হযরত
আবু
বকর
(রা:)-এর
পাশে
কুয়োর
ধারে
গিয়ে
বসলেন
এবং
পা
ঝুলিয়ে
দিলেন। এবার
এলেন
হযরত
উসমান
(রা:)
যার
পরিপ্রেক্ষিতে
আমি
আবার
আরয
করলাম,
‘হযরত
উসমান
(রা:)
(প্রবেশের)
অনুমতি
চাইছেন।’ মহানবী
(দ:)
উত্তর
দিলেন,
‘তাকে
অনুমতি
দাও
এবং
বলো
যে
একটি
পরীক্ষাশেষে
তার
জন্যে
বেহেশতের
সুসংবাদ
রয়েছে।’ হযরত
উসমান
প্রবেশ
করে
কুয়োর
ধারে
তাঁদের
পাশে
বসার
কোনো
জায়গা
না
পেয়ে
ওই
কুয়োর
বিপরীত
কিনারে
গিয়ে
বসলেন
এবং
পা
ঝুলিয়ে
দিলেন।” সাঈদ
ইবনে
মুসাইয়েব
(রহ:)
বলেন,
“আমি
এই
ঘটনায়
তাঁদের
রওযা
শরীফগুলোর
একটি
ইশারা
পাই।” [নোট-১২:
ইমাম
বুখারী
ও
মুসলিম
রওয়ায়াতকৃত
এবং
(ইবনে
মুসাইয়েবের
মন্তব্য
ছাড়া)
আত্
তিরমিযী
ও
ইমাম
আহমদও
এটি
বর্ণনা
করেছেন। ইমাম
আহমদ
(রহ:)-এর
ভাষ্যগুলোর
একটিতে
বিবৃত
হয়েছে
যে
হযরত
উসমান
(রা:)
তাঁর
আসনের
দিকে
হেঁটে
যাবার
সময়
পড়ছিলেন
- আল্লাহুম্মা
সাবরান।]
আত্ তাবারানী ও আল-বায়হাকী হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “নবী পাক (দ:) আমাকে বাইরে পাঠালেন এ কথা বলে, ‘আবু বকর (রা:)-এর সাথে গিয়ে সাক্ষাৎ করো। তুমি তাকে পাবে নিজ ঘরে কাপড় মুড়িয়ে পা গুটিয়ে (মোহতাবইয়ান) বসে থাকতে। তাঁকে বেহেশতের সুসংবাদ দেবে। এরপর পাহাড়ে যাবে যতোক্ষণ না তুমি উমর (রা:)-কে খুঁজে পাও খচ্চরের পিঠে এবং তাঁর দীর্ঘকায় শরীর দূর থেকে দেখা না যায়। তাঁকেও বেহেশতের সুসংবাদ দেবে। অতঃপর উসমানের কাছে যাবে, যাকে তুমি পাবে বাজারে কেনা-বেচা করতে; তাকেও বেহেশতের খোশ-খবরী দেবে যা একটি মহা ক্লেশের পরে অর্জিত হবে।’ আমি মহানবী (দ:) যেভাবে বলেছিলেন ঠিক সেই অবস্থাতে তাঁদের সবাইকে পাই এবং সংবাদ পৌঁছে দেই।” [নোট-১৩: আরেকটি বিশদ বর্ণনার অংশ হিসেবে হযরত যায়দ ইবনে আরকাম থেকে আত্ তাবারানী রওয়ায়াত করেছেন নিজ ‘আল-আওসাত’ পুস্তকে (১:২৬৬-২৬৭ #৮৬৮); বায়হাকী তাঁর ‘দালাইল’ কেতাবে এবং আয-যাহাবী নিজ ‘সিয়ার’ বইয়ে এর দুর্বলতা উল্লেখ করেন। যদি এটা সত্য হয়, তবে এই ঘটনা সম্ভবত হযরত আবু মূসা আশআরী (রহ:)-এর বর্ণিত ঘটনার আগের। এর জন্যে দেখুন আল-হায়তামী (৯:৫৫-৫৬) এবং ইবনে কাসীর, আল-বেদায়া গ্রন্থের দালাইলুন্ নবুওয়ত অনুচ্ছেদ, ‘মহানবী (দ:)-এর অদৃশ্য ভবিষ্যত জ্ঞান’ শীর্ষক অধ্যায়’।]
আত্ তাবারানী ও আল-বায়হাকী হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “নবী পাক (দ:) আমাকে বাইরে পাঠালেন এ কথা বলে, ‘আবু বকর (রা:)-এর সাথে গিয়ে সাক্ষাৎ করো। তুমি তাকে পাবে নিজ ঘরে কাপড় মুড়িয়ে পা গুটিয়ে (মোহতাবইয়ান) বসে থাকতে। তাঁকে বেহেশতের সুসংবাদ দেবে। এরপর পাহাড়ে যাবে যতোক্ষণ না তুমি উমর (রা:)-কে খুঁজে পাও খচ্চরের পিঠে এবং তাঁর দীর্ঘকায় শরীর দূর থেকে দেখা না যায়। তাঁকেও বেহেশতের সুসংবাদ দেবে। অতঃপর উসমানের কাছে যাবে, যাকে তুমি পাবে বাজারে কেনা-বেচা করতে; তাকেও বেহেশতের খোশ-খবরী দেবে যা একটি মহা ক্লেশের পরে অর্জিত হবে।’ আমি মহানবী (দ:) যেভাবে বলেছিলেন ঠিক সেই অবস্থাতে তাঁদের সবাইকে পাই এবং সংবাদ পৌঁছে দেই।” [নোট-১৩: আরেকটি বিশদ বর্ণনার অংশ হিসেবে হযরত যায়দ ইবনে আরকাম থেকে আত্ তাবারানী রওয়ায়াত করেছেন নিজ ‘আল-আওসাত’ পুস্তকে (১:২৬৬-২৬৭ #৮৬৮); বায়হাকী তাঁর ‘দালাইল’ কেতাবে এবং আয-যাহাবী নিজ ‘সিয়ার’ বইয়ে এর দুর্বলতা উল্লেখ করেন। যদি এটা সত্য হয়, তবে এই ঘটনা সম্ভবত হযরত আবু মূসা আশআরী (রহ:)-এর বর্ণিত ঘটনার আগের। এর জন্যে দেখুন আল-হায়তামী (৯:৫৫-৫৬) এবং ইবনে কাসীর, আল-বেদায়া গ্রন্থের দালাইলুন্ নবুওয়ত অনুচ্ছেদ, ‘মহানবী (দ:)-এর অদৃশ্য ভবিষ্যত জ্ঞান’ শীর্ষক অধ্যায়’।]
আল-হাকিম সহীহ হিসেবে ঘোষণা করে হযরত জাবের (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আমি মহানবী (দ:)-এর সাথে হেঁটে এক মহিলার বাড়িতে যাই যিনি আমাদের জন্যে একটি ভেড়া জবাই করেন। ওই সময় হুযূর পাক (দ:) বলেন, ‘দেখো, বেহেশতীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন প্রবেশ করবেন।’ এমতাবস্থায় হযরত আবু বকর (রা:) সেখানে প্রবেশ করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (দ:) আবার এরশাদ ফরমান, ‘দেখো, বেহেশতীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন প্রবেশ করবেন।’ এবার হযরত উমর (রা:) প্রবেশ করেন। নবী পাক (দ:) আবারও বলেন, ‘দেখো, বেহেশতীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন প্রবেশ করবেন। এয়া আল্লাহ, আপনি যদি চান, তবে এ যেন আলী হয়।’ অতঃপর হযরত আলী (ক:) প্রবেশ করেন।” [নোট-১৪: ওপরে ২ নং নোট দেখুন]
হযরত আবু বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান ও হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম
ইমাম আহমদ, আল-বাযযার ও আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-আওসাত’ কেতাবে হযরত জাবের (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “রাসূলে পাক (দ:) হযরত সা’আদ ইবনে আল-রাবী’ (রা:)-কে দেখতে বের হন। (সেখানে) তিনি বসেন এবং আমরাও বসে পড়ি। অতঃপর তিনি বলেন, ‘বেহেশতে বসবাসকারীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন তোমাদের দৃষ্টিগোচর হবেন।’ এমতাবস্থায় হযরত আবু বকর (রা:) তাশরীফ আনেন। এরপর মহানবী (দ:) বলেন, ‘বেহেশতে বসবাসকারীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন তোমাদের দৃষ্টিগোচর হবেন।’ এবার হযরত উমর ফারুক (রা:) এলেন। তিনি আবার বল্লেন, ‘বেহেশতে বসবাসকারীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন তোমাদের দৃষ্টিগোচর হবে।’ অতঃপর হযরত উসমান (রা:) এলেন। মহানবী (দ:) আবারও বল্লেন, ‘বেহেশতে বসবাসকারীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এখন তোমাদের দৃষ্টিগোচর হবে। এয়া আল্লাহ, আপনি চাইলে সে যেন আলী হয়।’ এমতাবস্থায় হযরত আলী (ক:) সেখানে এলেন।” [নোট-১৫: হযরত জাবের (রা:) থেকে আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-আওসাত’ গ্রন্থে (৭:১১০ #৭০০২) যা’তে হযরত আলী (ক:)-এর উল্লেখ নেই; আল-হায়তামী (৯:৫৭); হযরত উসমান (রা:)-এর উল্লেখ ছাড়া ‘মুসনাদ আল-শামিয়্যীন’ পুস্তকে (১:৩৭৫ #৬৫১)। দেখুন - ২ নং নোট।]
হযরত আবু বকর, উমর, উসমান, আলী, তালহা, যুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহুম
ইমাম মুসলিম হযরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (দ:) হেরা পর্বতে সর্ব-হযরত আবু বকর, উমর, উসমান, আলী, তালহা ও যুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহুমের সাথে অবস্থান করছিলেন যখন পাথর নড়ে ওঠে। এমতাবস্থায় হুযূর পাক (দ:) ওর উদ্দেশ্যে বলেন, “স্থির হও! তোমার ওপরে আর কেউই নেই একজন পয়গম্বর, একজন সিদ্দিক, কিংবা শহীদান ছাড়া।” [নোট-১৬: হযরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে মুসলিম, আত্ তিরমিযী (সহীহ) ও ইমাম আহমদ বর্ণিত।] বাস্তবিকই হযরত আবু বকর (রা:) ছাড়া বাকি সবাই শাহাদাত বরণ করেন - আল্লাহ তাঁদের সবার প্রতি রাজি হোন। পাহাড়ের কম্পন আবারও (অন্য সময়ে) হয়েছিল যখন নবী পাক (দ:) অন্য কয়েকজন সাহাবীসহ সেখানে গিয়েছিলেন।