ইমাম আহমদ (রহ:) ও
আত্ তাবারানী (রহ:) হযরত আবু
যর গিফারী (রা:) হতে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন: “মহানবী
(দ:) যখন আমাদের ছেড়ে
যান (পরলোক গমন করেন),
তখন উড়তে সক্ষম এমন
কোনো পাখি ছিল না
যার সম্পর্কে তিনি আমাদের জানান
নি।” [নোট-১: এটি বর্ণনা
করেছেন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হতে আত্ তাবারানী
নিজ আল-কবীর (২:১৫৫ #১৬৪৭) কেতাবে,
যার বরাত ইমাম ইবনে
হাজর হায়তামী (৮:২৬৩-২৬৪);
এছাড়াও ইমাম আহমদ (রহ:),
আবু দাউদ (রহ:), আত্
তায়ালিসী, ইবনে সা’আদ
তাঁর ’তাবাকাত’ (২:৩৫৪) পুস্তকে,
আল-বাযযার নিজ ‘মুসনাদ’
(৯:৩৪১ #৩৮৯৭) গ্রন্থে,
আত্ তাবারী স্বরচিত তাফসীর
কেতাবে (৭:১৮৯), ইবনে
আবদ আল-বারর তাঁর
‘আল-এসতিয়াব’ পুস্তকে (৪:১৬৫৫), ইবনে
হিব্বান (১:২৬৭ #৬৫
এসনাদ সহীহ), এবং আদ্
দারু কুতনী নিজ ‘এলাল’
কেতাবে (৬:২৯০ #১১৪৮)। এর
উদ্ধৃতি আছে আল্ হায়তামী
(রহ:), ‘মাওয়ারিদ আল-যামান’ (৪৭
পৃষ্ঠা) গ্রন্থে। এটি
হযরত আবু আল-দারদা
(রা:) হতে বর্ণনা করেছেন
আবু এয়ালা তাঁর ‘মুসনাদ’
পুস্তকে (৯:৪৬ #৫১০৯
এসনাদ সহীহ)।]
ইমাম মুসলিম (রহ:) হযরত ‘আমর ইবনে আখতাব (আবু যায়দ) আল-আনসারী (রা:) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “মহানবী (দ:) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, যতোক্ষণ না যোহরের নামাযের সময় হয়; তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন এবং নামাযশেষে আবার তাতে উঠে আমাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন। ইতোমধ্যে আসরের নামাযের সময় হয় এবং তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি নামাযশেষে আবারও মিম্বরে আরোহণ করেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁর বয়ান রাখেন। পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই তিনি আমাদের বলেন। আমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি-ই সবচেয়ে জ্ঞানী যিনি এর অধিকাংশ মনে রাখতে পেরেছিলেন।” [নোট-২: ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ বর্ণিত]
আল-বুখারী ও মুসলিম হযরত হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রা:) হতে রওয়ায়াত করেন, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ (দ:) আমদের মাঝে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে (কথা বল)-ছিলেন; আর তিনি ওই সময় থেকে (পৃথিবীর) শেষ সময় পর্যন্ত যা যা ঘটবে তার কোনোটাই বাদ দেন নি, সবই আমাদের বলেছেন। যাঁরা তা মনে রাখতে পেরেছেন, মনে রেখেছেন এবং যাঁরা ভুলে গিয়েছেন, তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন। যাঁরা ওখানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা সবাই এটা জানেন। আমি হয়তো ওর কিছু কিছু ভুলে গিয়ে থাকতে পারি; কিন্তু যখনই তা ঘটে তখনই আমার মনে পড়ে যায়, যেমনিভাবে কেউ এমন কোনো ব্যক্তিকে মনে রাখেন যিনি দূরে কোথাও ছিলেন, অথচ তিনি ফিরে আসার পরপরই তাঁকে চেনতে পারেন।” [নোট-৩: হযরত হুযায়ফা (রা:) হতে ইমাম আল-বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম আহমদ বর্ণিত; হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে ইমাম তিরমিযী ও ইমাম আহমদও বর্ণনা করেছেন এটি। আল-বুখারী হযরত উমর (রা:) হতেও অনুরূপ একটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন।]
ইমাম মুসলিম হযরত হুযায়ফা (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন: “রাসূলে খোদা (দ:) আমাকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই বলেছেন এবং এমন কোনো কিছু বাকি ছিল না যে সম্পর্কে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি নি; শুধু আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি নি মদীনাবাসীর মদীনা থেকে বের হবার কারণ কী হবে?” [নোট-৪: হযরত হুযায়ফা (রা:) হতে ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ বর্ণিত যা’তে নিম্নের বাক্যটি সংযুক্ত - “শেষ মুহূর্ত অবধি”।]
আবু দাউদ (রহ:) হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে তিনি বলেন: “আল্লাহর শপথ! আমি জানি না আমার সাথীবৃন্দ (অন্যান্য সাহাবী) ভুলে গিয়েছেন না ভুলে যাওয়ার ভান করছেন [নোট-৫: ফিতনা প্রতিরোধের বিষয়টি; মোল্লা কারী নিজ ‘শরহে শেফা’ পুস্তকে বলেন: ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেয়ার ব্যাপারটি], কিন্তু রাসূলুল্লাহ (দ:) দুনিয়ার শেষ সময় অবধি যতো ফিতনা সংঘটনকারীর আবির্ভাব হবে তাদের কারোর নামই বাদ দেন নি; এদের প্রত্যেকেরই ন্যূনতম তিন’শ অনুসারী হবে। মহানবী (দ:) তাদের প্রত্যেকের নাম, তাদের বাবার নাম ও গোত্রের নাম আমাদের জানিয়েছেন।” [নোট-৬: হযরত হুযায়ফা হতে আবু দাউদ বর্ণিত।]
হযরত আনাস (রা:) হতে আবু এয়ালা সহীহ সনদে রওয়ায়াত করেন যে তিনি বলেন: “মহানবী (দ:) না-রাজি হালতে বের হয়ে এলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে বল্লেন, ‘আজ তোমরা আমাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞেস করবে না, শুধু আমি তোমাদের এই ব্যাপারে বলবো;’ আর আমরা দৃঢ় প্রত্যয় পোষণ করছিলাম যে জিবরীল (আ:) তাঁর সাথেই ছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত উমর (রা:) বল্লেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! এই কিছু দিন আগেও আমরা অজ্ঞতার যুগে বসবাস করতাম। আপনার কাছে মাফ চাই, আপনি আমাদের (অজ্ঞতা প্রকাশ করে) বে-ইজ্জতীতে ফেলবেন না। আমাদের ক্ষমা করুন, আর আল্লাহতা’লাও আপনাকে ক্ষমা করুন’।” [নোট-৭: হযরত আনাস (রা:) হতে আবু্ এয়ালা নিজ ’মুসনাদ’ গ্রন্থে (৬:৩৬০ #৩৬৮৯) বর্ণনা করেছেন। আর ইমাম হায়তামীর (৭:১৮৮) মতে, এর বর্ণনাকারীরা আল-বুখারী ও মুসলিমেরই বর্ণনাকারী। এই দুই ইমামের ’সহিহাইনে’ একটি দীর্ঘতর বর্ণনা সংযুক্ত রয়েছে। ‘আর আল্লাহতা’লাও আপনাকে মাফ করুন’, হযরত উমর (রা:)-এর এই বাক্যটি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা ব্যক্ত করে।]
হযরত উমর (রা:) থেকে আবু এয়ালা গ্রহণযোগ্য সনদে রওয়ায়াত করেন; তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে বলতে শুনেছি, ‘কুরাইশের এই গোত্র (হাই্য) ততোক্ষণ নিরাপদ থাকবে যতোক্ষণ না তারা ধর্ম থেকে সরে মুরতাদ হয়ে যাবে।’ এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলে, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আমি কি জান্নাতে যাবো, না জাহান্নামে?’ হুযূর পূর নূর (দ:) বলেন, ‘বেহেশ্তে।’ আরেক ব্যক্তি উঠে একই প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন, ‘দোযখে।’ অতঃপর তিনি এরশাদ ফরমান, ‘আমি তোমাদের কিছু না বলা পর্যন্ত তোমরা আমাকে কিছু বলো না। ভয়-ভীতির কারণ না হলে তোমরা একে অপরের দাফন বন্ধ করে দিতে (লাওলা আন লা তাদাফানূ); আমার অবশ্যই তোমাদেরকে বলা উচিত যে বিপুল সংখ্যক লোক জাহান্নামে যাবে এবং তারা কারা তা তোমরা জানবে। আমাকে যদি এ ব্যাপারে আদেশ দেয়া হয়, তবে আমি তা নিশ্চয় পালন করবো’।” [নোট-৮: হযরত ইবনে উমর (রা:) হতে আবু এয়ালা এটা বর্ণনা করেছেন তাঁর ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে (১০:৬৬ #৫৭০২); এবং দীর্ঘতর বর্ণনায় লিপিবদ্ধ করেছেন ইবনে আবি হাতিম নিজ ‘এলাল’ পুস্তকে (২:২৫৬ #২২৬২)।]
ইমাম মুসলিম (রহ:) হযরত ‘আমর ইবনে আখতাব (আবু যায়দ) আল-আনসারী (রা:) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “মহানবী (দ:) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, যতোক্ষণ না যোহরের নামাযের সময় হয়; তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন এবং নামাযশেষে আবার তাতে উঠে আমাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন। ইতোমধ্যে আসরের নামাযের সময় হয় এবং তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি নামাযশেষে আবারও মিম্বরে আরোহণ করেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁর বয়ান রাখেন। পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই তিনি আমাদের বলেন। আমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি-ই সবচেয়ে জ্ঞানী যিনি এর অধিকাংশ মনে রাখতে পেরেছিলেন।” [নোট-২: ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ বর্ণিত]
আল-বুখারী ও মুসলিম হযরত হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রা:) হতে রওয়ায়াত করেন, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ (দ:) আমদের মাঝে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে (কথা বল)-ছিলেন; আর তিনি ওই সময় থেকে (পৃথিবীর) শেষ সময় পর্যন্ত যা যা ঘটবে তার কোনোটাই বাদ দেন নি, সবই আমাদের বলেছেন। যাঁরা তা মনে রাখতে পেরেছেন, মনে রেখেছেন এবং যাঁরা ভুলে গিয়েছেন, তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন। যাঁরা ওখানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা সবাই এটা জানেন। আমি হয়তো ওর কিছু কিছু ভুলে গিয়ে থাকতে পারি; কিন্তু যখনই তা ঘটে তখনই আমার মনে পড়ে যায়, যেমনিভাবে কেউ এমন কোনো ব্যক্তিকে মনে রাখেন যিনি দূরে কোথাও ছিলেন, অথচ তিনি ফিরে আসার পরপরই তাঁকে চেনতে পারেন।” [নোট-৩: হযরত হুযায়ফা (রা:) হতে ইমাম আল-বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম আহমদ বর্ণিত; হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে ইমাম তিরমিযী ও ইমাম আহমদও বর্ণনা করেছেন এটি। আল-বুখারী হযরত উমর (রা:) হতেও অনুরূপ একটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন।]
ইমাম মুসলিম হযরত হুযায়ফা (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন: “রাসূলে খোদা (দ:) আমাকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই বলেছেন এবং এমন কোনো কিছু বাকি ছিল না যে সম্পর্কে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি নি; শুধু আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি নি মদীনাবাসীর মদীনা থেকে বের হবার কারণ কী হবে?” [নোট-৪: হযরত হুযায়ফা (রা:) হতে ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ বর্ণিত যা’তে নিম্নের বাক্যটি সংযুক্ত - “শেষ মুহূর্ত অবধি”।]
আবু দাউদ (রহ:) হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে তিনি বলেন: “আল্লাহর শপথ! আমি জানি না আমার সাথীবৃন্দ (অন্যান্য সাহাবী) ভুলে গিয়েছেন না ভুলে যাওয়ার ভান করছেন [নোট-৫: ফিতনা প্রতিরোধের বিষয়টি; মোল্লা কারী নিজ ‘শরহে শেফা’ পুস্তকে বলেন: ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেয়ার ব্যাপারটি], কিন্তু রাসূলুল্লাহ (দ:) দুনিয়ার শেষ সময় অবধি যতো ফিতনা সংঘটনকারীর আবির্ভাব হবে তাদের কারোর নামই বাদ দেন নি; এদের প্রত্যেকেরই ন্যূনতম তিন’শ অনুসারী হবে। মহানবী (দ:) তাদের প্রত্যেকের নাম, তাদের বাবার নাম ও গোত্রের নাম আমাদের জানিয়েছেন।” [নোট-৬: হযরত হুযায়ফা হতে আবু দাউদ বর্ণিত।]
হযরত আনাস (রা:) হতে আবু এয়ালা সহীহ সনদে রওয়ায়াত করেন যে তিনি বলেন: “মহানবী (দ:) না-রাজি হালতে বের হয়ে এলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে বল্লেন, ‘আজ তোমরা আমাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞেস করবে না, শুধু আমি তোমাদের এই ব্যাপারে বলবো;’ আর আমরা দৃঢ় প্রত্যয় পোষণ করছিলাম যে জিবরীল (আ:) তাঁর সাথেই ছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত উমর (রা:) বল্লেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! এই কিছু দিন আগেও আমরা অজ্ঞতার যুগে বসবাস করতাম। আপনার কাছে মাফ চাই, আপনি আমাদের (অজ্ঞতা প্রকাশ করে) বে-ইজ্জতীতে ফেলবেন না। আমাদের ক্ষমা করুন, আর আল্লাহতা’লাও আপনাকে ক্ষমা করুন’।” [নোট-৭: হযরত আনাস (রা:) হতে আবু্ এয়ালা নিজ ’মুসনাদ’ গ্রন্থে (৬:৩৬০ #৩৬৮৯) বর্ণনা করেছেন। আর ইমাম হায়তামীর (৭:১৮৮) মতে, এর বর্ণনাকারীরা আল-বুখারী ও মুসলিমেরই বর্ণনাকারী। এই দুই ইমামের ’সহিহাইনে’ একটি দীর্ঘতর বর্ণনা সংযুক্ত রয়েছে। ‘আর আল্লাহতা’লাও আপনাকে মাফ করুন’, হযরত উমর (রা:)-এর এই বাক্যটি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা ব্যক্ত করে।]
হযরত উমর (রা:) থেকে আবু এয়ালা গ্রহণযোগ্য সনদে রওয়ায়াত করেন; তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে বলতে শুনেছি, ‘কুরাইশের এই গোত্র (হাই্য) ততোক্ষণ নিরাপদ থাকবে যতোক্ষণ না তারা ধর্ম থেকে সরে মুরতাদ হয়ে যাবে।’ এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলে, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আমি কি জান্নাতে যাবো, না জাহান্নামে?’ হুযূর পূর নূর (দ:) বলেন, ‘বেহেশ্তে।’ আরেক ব্যক্তি উঠে একই প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন, ‘দোযখে।’ অতঃপর তিনি এরশাদ ফরমান, ‘আমি তোমাদের কিছু না বলা পর্যন্ত তোমরা আমাকে কিছু বলো না। ভয়-ভীতির কারণ না হলে তোমরা একে অপরের দাফন বন্ধ করে দিতে (লাওলা আন লা তাদাফানূ); আমার অবশ্যই তোমাদেরকে বলা উচিত যে বিপুল সংখ্যক লোক জাহান্নামে যাবে এবং তারা কারা তা তোমরা জানবে। আমাকে যদি এ ব্যাপারে আদেশ দেয়া হয়, তবে আমি তা নিশ্চয় পালন করবো’।” [নোট-৮: হযরত ইবনে উমর (রা:) হতে আবু এয়ালা এটা বর্ণনা করেছেন তাঁর ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে (১০:৬৬ #৫৭০২); এবং দীর্ঘতর বর্ণনায় লিপিবদ্ধ করেছেন ইবনে আবি হাতিম নিজ ‘এলাল’ পুস্তকে (২:২৫৬ #২২৬২)।]