NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

হে রাসুল (সা) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনা :-


লেখক, গবেষক  ও সংকলক :  click here to connect in Fb (MASUM BILLAH SUNNY)

হাদিস ১ :
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্নিত, 

عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك

অনুবাদ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাঃ এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ (সা) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে  কখনো দেখ নি)? তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে  আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ সাঃ এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই 
যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। 
যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।

Reference :-

মদিনা শরীফ কেন যেয়ারত করতে হবে??


মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান
হজ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অন্যতম নিদর্শন, মুসলমানদের মিলনমেলার অন্যতম নিমিত্ত । বান্দাকে তার রবের নিকটবর্তী করে হজ্ব । মুমিন বান্দাহ স্বীয় রবের প্রেমে মত্ত হয়ে হজ্বের কার্যাবলি আদায় করে, এক স্থান হতে অন্য স্থানে ছুটে যায়, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে বলতে তাওয়াফ করে, সাফা মারওয়াতে দৌড়ায়, শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে, এমনিভাবে মিনা,মুযদালিফা ও আরাফায় গমন করে বিভিন্ন নিদর্শনাদি অবলোকন করে, এতে করে বান্দার অন্তরে খোদাপ্রেম আরও তীব্রতর হয় । মোটকথা স্বীয় রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে । আর আল্লাহ কার উপর সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট ? কাকে তিনি মাহবুব বলেছেন ? কার জন্যে তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ? মু’মিন মাত্রই এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা আছে । সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এই ইবাদতে অংশ নিতে গিয়ে তাঁর প্রিয় হাবীব সরকারে কায়েনাতের দরবারে উপস্থিত হওয়া কোন অংশে কম মাহাত্ম্যপূর্ণ নয় । মদীনা মুনাওয়ারায় উপস্থিত হওয়া হজ্বের আরকান সমূহের মধ্যে নয় কিন্তু নিঃসন্দেহে অধিক মর্যাদাপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ, বরকতময়, নৈকট্য অর্জনের উচ্চতর মাধ্যম বটে । আর এ কথা নিঃসন্দেহ যে, এটি নবীপ্রেম ও নৈকট্যের ব্যাপার, এটি ঈমান মজবুতিকরন ও বলবৎ রাখার উৎকৃষ্ট মাধ্যম । কেননা সরকার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবার খোদাপ্রাপ্তি, গুনাহ মাফ, রহমত-বরকতের স্থান বৈকি ।
কুরআনের ভাষায় নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওযায় উপস্থিতিঃ
ইরশাদ হচ্ছে-
وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَحِيمًا
অনুবাদঃ এবং যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার জুলুম করে তখন, হে মাহবুব! (তারা) আপনার দরবারে উপস্থিত হয় এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে । আর রাসুল তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও অত্যন্ত দয়ালু পাবে । [১]
এই আয়াতে কারীমা দ্বারা ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য তিনটি অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে-

রাসুলে পাক(দঃ) হাজির নাজির প্রসঙ্গ


يا ايها النبى انا ارسلنك شاهدا ومبشرا ونذيرا وداعيا الى الله باذنه وسراجا منيرا.
অনুবাদ: ‘হে গায়েবের সংবাদদাতা নবী! নিঃসন্দেহে আমি আপনাকে! প্রেরণ করেছি হাজির নাজির (উপস্থিত’ ‘পর্যবেণকারী) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর প্রতি তাঁর নির্দেশে আহ্বানকারী আর আলোকোজ্জ্বলকারী সূর্যরূপে।’ (সূরায়ে আহযাব- আয়াত- ৪৫)
উক্ত আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচটি সুন্দর গুণাবলী উল্লেখ করেছেন। যথা-
(১) شاهد (শাহিদ) তথা- হাজির ও নাজির এবং সাক্ষী।
(২) مبشر (মুবাশ্বির) মু’মিনগণকে বেহেশতের সুসংবাদদাতা।
(৩) نذير (নাযীর) কাফেরদেরকে দোযখের ভীতিপ্রদর্শনকারী।
(৪) داعيا الى الله (দা’য়িয়ান ইলাল্লাহ) আল্লাহপাকের অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারী।
(৫) سراجا منيرا (সিরাজাম মুনীরা) হেদায়তের উজ্জ্বল সূর্যরূপে।
অত্র আয়াতে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচটি গুণাবলীর মধ্যে একটি অন্যতম গুণ হল শাহিদ। এর বিস্তারিত বিশ্লেষণ নিম্নে প্রদত্ত হল।
شاهد শব্দের ব্যাখ্যা

সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইন্তিকালের সময় মালাকুল মাওতের আগমন ও কথাবার্তা


=======================
রাসূল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে কথা বলেছেন, এ মর্মে সহিহ সূত্রে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
মিশকাত শরীফে ’’বাবু ওফাতুন্নাবী’’ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধ্যায়ে হযরত আলী ইবনে হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর একটি দীর্ঘ হাদিস রয়েছে, উক্ত হাদীসে আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘটনাটি এভাবে উল্লেখ আছে।
** -‘‘অতঃপর আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাসূল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হুযরা মোবারকে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তারপর জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! এই যে মালাকুল মওত আজরাঈলও আপনার নিকট আসবার অনুমতি চাই”ছেন। তিনি একমাত্র আপনি ব্যতিত আর কখনও কোন মানুষের নিকট আসতে অনুমতি চাননি। অতএব তাকে প্রবেশের অনুমতি দিন। তখন হুযুর পাক (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন। তিনি এসে হুজুর (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সালাম করলেন এবং বললেন, আপনি অনুমতি দিলে আপনার রূহ মোবারক কবজ করব। আর আমাকে তা বাদ দিতে বললে, আমি তা বাদ দিব। তখন হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনি কি এইরূপ করতে পারবেন? আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, আমি এরূপও আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি যেন আপনার নির্দেশ অনুযায়ী চলি। রাবী বলেন, এই সময় হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হযরত জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দিকে তাকালেন। জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে মুহাম্মদ (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আল্লাহ পাক আপনার সাক্ষাত লাভের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। এটা শুনামাত্র হুযুরে পাক (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বললেন, যে জন্য আপনি আদিষ্ট হয়েছেন তা বাস্তবায়ন কর“ন। তারপর রূহ মোবারক কবজ করলেন।’’
সুত্র:—-

"জুম'আর নামাজের ফজিলত ও এ দিনের মর্তবা"

আল্লাহর গোলাম আমি's photo.
-
৭ দিনে এক সপ্তাহ। এ সাত দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও ফজিলতপূর্ণ দিন হল শুক্রবার। দয়াময় রবের নিকট হতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি নেয়ামত দান করা হয়েছে এ দিনেই। আদি মানব হযরত আদম (আ) কে আল্লাহ তা'য়ালা এ দিনেই সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাহাত্মের কারণে শুক্রবার অতীব ফজিলতপূর্ণ ছিল।
মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া ইবাদতের মধ্যে নামাজ আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। কুরআন ও হাদীসে অন্য কোন ইবাদতের জন্য এতো তাকীদ আসেনি, নামাজের জন্য যত তাকীদ এসেছে।
জামায়াতে নামাজ আদায় ইহ-পারলৌকিক নেয়ামত হাসিল হয়।
জামায়াতে অধিক লোকের সমাগমের কারণে সওয়ার অনেক বেশি হয়। আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন ইচ্ছাপোষন করলেন তার প্রিয় বান্দারা সপ্তাহে অন্ততঃ একবার বহুসংখ্যক লোক একত্রিত হয়ে বিনিষ্ট হৃদয়ে ইবাদত করুক। তাই তিনি তার প্রিয় বন্ধু রাসূল (সা:) এর উম্মতগনকে নেয়ামত দান করলেন। সত্যিই উম্মতে মুহাম্মদী সৌভাগ্যবান। মহান আল্লাহর মনঃপুত সর্বশ্রেষ্ঠ দিন আমাদেরকে দিলেন। সর্বশ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার. আর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত জুম'আর নামাজ উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য নির্ধারণ করলেন।
রাসূল (সা:) এর হাদীস থেকে জানা যায়, সপ্তাহের দিন গুলোর মধ্যে জুম'আর দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। এ দিন হযরত আদম (আ) কে সৃজন করা হয় এবং এদিনই তাকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়, আবার এদিনেই তাকে বেহেশত থেকে বের করে দুনিয়ায় পাঠানো হয় এবং এদিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। এদিন অধিক ফজিলতের দিন। এ দিনে তোমরা অধিক পরিমাণে দুরূদ পাঠ কর্। তোমরা যখন দুরূদ পড়বে তৎক্ষণাৎ তা আমার সামনে পেশ করা হবে। আমি তৎক্ষণাৎ এর প্রতিউত্তর ও দোয়া দিব।

✔✔জানাযা নামাজের পর মৃত ব্যক্তির জন্য হাত উঠিয়ে দোয়া করা সুন্নাত ।

ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার: Islamic Research Center's photo.

সালাতুল জানাযা তথা জানাযার নামাজ ফরজে কিফায়াহ। জানাযা নামাজের পূর্বে, পরে ও দাফনের পরে মাইয়্যিতের জন্য হাত উঠিয়ে দোয়া করা জায়িয ও সুন্নাত।
জানাযা নামাজের পর কাতার ভঙ্গ করে মাইয়্যিতের জন্য ইজতিমায়ী ভাবে হাত তুলে দোয়া করা জায়িয ও সুন্নাত।
এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত এর ফতওয়া গ্রাহ্য মত।
যারা এ মতের বীপরিত মত পোষন করে, তাদের কথা পরিত্যজ্য এবং কুরআন, হাদীস, ইজমা, ও কিয়াসের খিলাফ।
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন বলেন-
واذا سألك عبادي عني فاني قريب اجيب دعوة الدعي اذا دعان
হে আমার রাসূল (সা:) ! আমার বান্দাগণ যখন আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করে, আমার ব্যাপারে মূলত আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা দোয়া করে তাদের দোয়া কবুল করে নেই।যখন আমার কাছে দোয়া করে।
(সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৬)
অত্র আয়াতে কারীমায় اذا دعان যখনই দোয়া করবে এর দ্বারা অন্যান্য সময়ের মত জানাযা নামাজের পরের সময়টিও অন্তর্ভুক্ত। যা এই আয়াতের হুকুম থেকে খালি নয়।
তাই, জানাযা নামাজের পরও দোয়া কবুল হওয়ার বিষয়টি এই আয়াতে দৃষ্টিগোচর হয়। তাই জানাযা নামাজের পর দোয়া করা জায়িয।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত,
النبي صلي الله عليه وسلم قال ما من عبد يبسط كفيه في دبر كل صلوة يقول اللهم الهي . . . . الا كان حقا علي الله ان الا يرد يديه خأئبتين
রাসূল (সা:) বলেন, যখন কোন বান্দা প্রত্যেক নামাজের পর উভয় হাত উঠিয়ে বলবে, আয় আল্লাহ পাক . . . . তখন আল্লাহ পাক উনার দায়িত্ব হয়ে যায়, তাকে খালি হাতে না ফিরানো। (আল আমালুল ইয়াওম ওয়াল লাইল লিইবনিস সিন্নী)।
এই হাদীস থেকে কি জানাযার নামাজ বাদ পরে যায়?
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত,
قال سمعت رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول اذا صليتم علي الميت فاخلصوا له الدعاء
রাসূল (সা:) বলেছেন, যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির জানাযা পড়ে ফেল, তখন তার জন্য খাছ করে দোয়া কর। (আবু দাউদ শরীফ; ২/৪৫৬ পৃষ্ঠা)
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত,
قال رسول الله صلي الله عليه وسلم علي جنازة فقال اللهم اغفر لحينا وميتنا وصغيرنا وكبيرنا وذكرنا وانثانا وشاهدنا وغائبنا اللهم من احييته منا فاحيه علي الايمان ومن توفيته منا فتوفه علي الاسلام اللهم لا تحرمنا اجره ولا تضلنا بعده
রাসূল (সা:) জনৈক ব্যক্তির জানাযার নামাজ আদায়ের পর এরূপ দোয়া করেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের জীবিত ও মৃতদের ক্ষমা করুন।
আমাদের ছোট ও বড় , পুরুষ ও মহিলা, উপিস্থত ও অনুপস্থিত সকলকে ক্ষমা করুন।
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে যাকে জীবিত রাখেন, তাকে ঈমানের উপর জীবিত রাখুন এবং যাকে মৃত্যু দেন তাকে ইসলামের উপর মৃত্যু দান করুন।
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে বিনিময় হতে মাহরূম করবেন না এবং এরপর আমাদেরকে গোমরাহ করবেন না। (আবু দাউদ শরীফ; ২/১০০ পৃষ্ঠা )
এনায়া শহরে হেদায়া গ্রন্থে উল্লেখ আছে -
روي ان رسول الله صلي الله عليه وسلم وأي رجلا فعل هكذا بعد الفراغ من الصلاة فقال صلي الله عليه وسلم ادع استجيب لك
রাসূল (সা:) সালাতুল জানাযার পরে জনৈক ব্যক্তিকে এমত দোয়া করতে দেখে তাকে সম্বোধন করে বললেন দোয়া কর্।নিশ্চয়ই তোমার দোয়া কবুল করা হবে। (এনায়া শহরে হেদায়া)
অন্য হাদীসে আছে-
روي عن ابن عباس رضي الله تعالي عنهما وابن عمر رضي الله تعالي عنهما انهما فاتهما الصلاة علي الجنازة فلما حضرا مازادا علي الاستغفارله
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) ও হযরত ইবনে উমর (রা:) থেকে বর্ণিত। তাদের দু'জনের একদা জানাযা নামাজ ফউত হলো। যখন তারা (নামাজের পর মাইয়্যিতের কাছে) উপস্থিত হলেন, তখন মাইয়্যিতের জন্য অতিরিক্ত ইস্তিগফার করলেন।(আল মাবসূত লিস সারাখসী; ২য় জি: ৬৭ পৃষ্ঠা)
অন্য যায়গায় উল্লেখ আছে-
وعبد الله ابن سلام رضي الله عنه فاتته الصلاة علي جنازة عمر فلما حضر قال ان سبقتموني با الصلاة عليه فلا تسبقوني بالدعاء
হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রা:) আমিরুল মুমিনীন হযরত উমর (রা:) এর জানাযার নামাজ পাননি। (জানাযার পর) তিনি যখন (সেখানে) উপস্থিত হলেন তখন বললেন, "তোমরা জানাযার নামাজ যদিও আমার পূর্বে পড়ে ফেলেছ, তবে দোয়ার ক্ষেত্রে আমার থেকে অগ্রগামী হয়ো না।
(আল মাবসূত লিস সারাখসী; ২য় জি: ৬৭ পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম আবু হানীফা (রহ:) বলেন যে, দাফনের পরে নয় বরং দাফনের আগে সমবেদনা জ্ঞাপন করা সুন্নাত।কেননা, দাফনের আগে বিরহ-বেদনা অনেক বেশি থাকে।তাই (দাফনের পূর্বে) শোক প্রকাশ করবেন এবং মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করবেন।(মিযানুল কুবরা নিশ শা'রানী, জায়াল হক্ব ১ম হিচ্ছা ২৬৪ পৃষ্ঠা)
নাফিউল মুসলিমীন কিতারে উল্লেখ আছে যে, মাইয়্যিতের জন্য দাফনের পূর্বে (অর্থাৎ জানাযা নামাজের পর) উভয় হাত উঠিয়ে দোয়া করা জায়িয।(জাওয়াহিরুন নাফীস শরহে দুররুল ক্বাইস; ১৩২ পৃষ্ঠা)
(নাফিউল মুসলিমীন)
✅ দেওবন্দী উলামায়ে কেরামের অভিমত।
প্রশ্ন: জানাযা নামাজের পর ঈসালে সওয়ার প্রসঙ্গে: সওয়াল ৩১০৩): জানাযা নামাজের পর মৃতের ওলী উপস্থিত মুসল্লীদেরকে লক্ষ করে বলেন যে, আপনারা তিন বার সূরা ইখলাছ পড়ে মাইয়্যিতের উপর সওয়ার বখশিয়ে দিন। (এটা কিরূপ?)
জওয়াব: এরূপ করাতে কোন দোষ বা ক্ষতি নেই। সুতরাং জানাযা নামাজের পর যদি সকল লোক অথবা কিছু লোক সূরা ইখলাছ তিনবার পড়ে মাইয়্যিতের জন্য সওয়ার রিসানী করে তাতে কোনই ক্ষতি নেই। (অর্থাৎ জায়িয) (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৫ম জি: ৪১৮ পৃষ্ঠা)
জানাযা নামাজের পর ঈসালে সওয়ার প্রসঙ্গে: সওয়াল ৩১৩৪) জানাযা নামাজের পর দাফনের পূর্বে কতক মুসল্লী (মৃতের প্রতি) সওয়ার রিসানী করার জন্য অল্প আওয়াজে একবার সূরা ফাতিহা, তিনবার সূরা ইখলাছ পড়া এবং জানাযা নামাজের ইমাম অথবা কোন নেক লোকের জন্যে (জানাযা নামাজের পরে) উভয় হাত উঠিয়ে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা জায়িয কি না?
জওয়াব: এরূপ পদ্ধতিতে দোয়া করাতে কোন ক্ষতি নেই।
(ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ, ৫ম জি: ৪৩৪, ৪৩৫)
অতএব উপরোক্ত বর্ণনার পরে প্রতিয়মান হয় যে কেহ যদি জানাযার নামাজ পর মৌখিকভাবে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করে তবে তা সুন্নাত হিসেবে প্রমাণিত হবে।
আর সবাই মিলে দু'হাত তুলে মহান আল্লাহর কাছে মৃত ব্যক্তির ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে তা আরো উত্তমতার দাবী রাখে।

আয়তুল করসি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে।

হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন। তবে আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই আয়তুল করসি বলেই জানি।



দোয়াটি নিম্নরূপ:--আয়াতুল:কুরসী

ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺎَﻟ َ ﻮُﻫ ﺎَّﻟِﺇ َ ﻪَﻟِﺇ ُّ ﻲَﺤْﻟﺍ ُ ﻡﻮُّﻴَﻘْﻟﺍ
ﺎَﻟ ٌ ﺔَﻨِﺳ ُ ﻩُﺬُﺧْﺄَﺗ
ﺎَﻟَﻭ ُ ﻪَﻟ ٌ ﻡْﻮَﻧ
ﺎَﻣ ﻲِﻓ ِ ﺕﺍَﻭﺎَﻤَّﺴﻟﺍ ﺎَﻣَﻭ ﻲِﻓ ْ ﻦَﻣ ِ ﺽْﺭَﺄْﻟﺍ ﺍَﺫ ﻱِﺬَّﻟﺍ
ﻳَﺸْﻔَﻊُ ُ ﻩَﺪْﻨِﻋ
ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﺎَّﻟِﺇ ُ ﻢَﻠْﻌَﻳ ﺎَﻣ ْ ﻢِﻬﻳِﺪْﻳَﺃ َ ﻦْﻴَﺑ ْ ﻢُﻬَﻔْﻠَﺧ ﺎَﻣَﻭ ﺎَﻟَﻭ
ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ
ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ِ ﻪِﻤْﻠِﻋ ْ ﻦِﻣ ﺎَّﻟِﺇ َ ﺀﺎَﺷ ﺎَﻤِﺑ َ ﻊِﺳَﻭ ُ ﻪُّﻴِﺳْﺮُﻛ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺎَﻟَﻭ ﺎَﻤُﻬُﻈْﻔِﺣ ُ ﻩُﺩﻮُﺌَﻳ َ ﻮُﻫَﻭ ُّ ﻲِﻠَﻌْﻟﺍ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্* সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়াশ্*ফাউ ইন্*দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।(সূরা বাকারঃ ২৫৫)



আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত:
১.আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।
২.এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।
৩.এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।
৪.ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য। এবং মৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।
৫.ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)

পীরের আবশ্যকতাঃ-

আহলে বায়াত's photo.
==> দীদারে এলাহী
দেহের রিপুসমূহ ও শয়তান সর্বদাই চায় মানুষকে
কুপথে, কুকর্মে নিতে ও জড়িয়ে রাখতে, যাতে মানুষ
আল্লাহ ও নবী করিম (সাঃ)’র আনুগত্য ত্যাগ
করে চলে । রিপুর (নফসের)সঙ্গে জেহাদকে নবি
করিম (সাঃ) বলেছেনঃ-“জেহাদে আকবর” ।
অর্থাৎ বড় যুদ্ধ । তরীকতের আরিফিনদের (পীরে
কামেলদের) সাহায্য ছাড়া এযুদ্ধে সাফল্য লাভ ও
কলবকে সজীব করার উপায় নাই ।
হযরত বড়পীর শেখ আব্দুর কাদের জিলানী (রহঃ)
“ছবরুল আছবারে” লিখেছেনঃ- “কলব জিন্দা
করবার জন্য যাবতীয় কুরিপু হতে দেলকে
(অন্তরকে) পবিত্র করার জন্য মারেফতপন্থী
পীরে কামেলের অন্বেষণ করা প্রত্যেক নর-নারীর
উপর ফরজ”।
পীরের সাহায্য সহায়তা ব্যাতীত কলবকে
প্রানবন্ত করে তোলা ও রিপুসমূহকে নিজ
আয়ত্তাধীনে আনা সুঃসাধ্য ব্যাপার । নিজের একা
চেষ্টায় তরীকতের পথে আত্মউন্নতির কোন
সম্ভাবনা নাই বলেই পীরের একান্ত প্রয়োজন ।
কামেল পীরের আশ্রয় রিপুসমূহকে আয়ত্তাধীন
দাসবৎ করে রাখতে ও কলবকে কলুষমুক্ত করে
আল্লাহ প্রাপ্তিতে অনন্যসাধারণ সাহায্য প্রদান
করে । তাছাওফের কিতাব পাঠে জ্ঞান লাভ করা
যায় বটে, কিন্তু কিছুই হাসেল করা যায় না ।
কাজেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান (মারেফত) হাসেলের
জন্য “ওছিলার” দরকার । পীর “ওছিলা” বটে ।
তফছিরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছেঃ-“পীরে কামেল
আল্লাহ পাওয়ার ওছিলা ।” বিখ্যাত ‘ছেরাতে
মুস্তাকিম’ নামক কেতাবে লিপিবদ্ধ আছেঃ-“খোদা
প্রাপ্তির ‘ওছিলা’ হচ্ছে মুর্শীদ বা পীর ।
পীরেরদেওয়া দীক্ষাই সৌঅই পীরের শরণাপন্ন হতে
হয় এবং এতে ক্রমান্বয়ে অন্তরে আল্লাহর প্রতি
মহব্বত সৃষ্টি হয় । এমহব্বতই (ঐশীপ্রেমই)
আল্লাহর পরিচয় ঘটায় ও আল্লাহর সান্নিধ্য
বাস্তবায়িত করে । পীরে কামেল আল্লাহর
ছায়াস্বরূপ ।
মৌলানা রুমী (রহঃ) বলেছেনঃ-“পীরে কামেল যখন
আল্লাহর ছায়া মাত্র এবং আল্লাহর নৈকট্য
লাভের প্রধান উপায় (ওছিলা), তখন তাদের
ওছিলার জাতে পাকের (আল্লাহর) মহব্বত হাসেল
কর ।”
পীর মুরীদের পশুবৃত্তিকে দমিয়ে আত্মায় ঐশীভাব
জাগিয়র তোলে মুরীদকে আল্লাহর রাস্তায় আনয়ন
করে । কোরানে পীর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ
হয়েছে । আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও মুক্তির
উদ্দ্যেশ্যই পশুবৃত্তির ও কলুষরুপ ব্যাধি হতে
আত্মাকে সুস্থ রাখার জন্য পীর খুঁজে নিতে বলা
হয়েছে । এখানে উল্লেখ্য যে, শিক্ষাজনিত
আত্মগৌরব বিস্মৃত হয়ে পীরের সমীপে আসতে
হবে, যাতে মনের গর্বভাব না থাকে । কামেল
পীরের সাহায্য ব্যাতীত অন্তরকে সুস্থ রাখা
যেকোন মানুষের পক্ষেই খুব কঠিন ব্যাপার ।
মওলানা রুমী (রহঃ) বলেছেনঃ-“অন্তরের রোগের
প্রতিকারের জন্য প্রত্যেকের উচিত কামেল
পীরের অন্বেষণ করা । কামেল ব্যাতীত কেউ
অন্তরকে সুস্থ রাখতে পারে না ।”

প্রশ্নঃ- টাই পরা বা ব্যাবহার করা ইসলামের হুকুম কি ?

Imam Sadik's photo.প্রশ্নঃ- টাই পরা বা ব্যাবহার করা ইসলামের হুকুম কি ? দলীলসহ জানালে উপকার হবে।
.
উত্তরঃ-
টাই বর্তমানে বিধর্মীদের শি'অার বা জাতীয় নিদর্শন।অবশ্য শুরুতেই খ্রিষ্টানরা টাই পবিত্র (সলিবে মুকাদ্দাস) ক্রুশ দন্ডের নিদর্শন স্বরুপগলায় ঝুলিয়ে থাকে,,কেননা তারা বিশ্বাস করে যে,হযরত ঈসা (অাঃ) অাল্লাহর পুত্র।বিশ্বের সকল মানুষের পাপ মুক্তির জন্য তিনি ক্রসবিদ্দ হয়ে মারা গেছেন। (( তাদের এ অাকীদা সম্পূর্ণ কুরঅান- হাদিস বিরোধী ও কুফরী)) তাই এই অাকিদার ধারক-বাহক হিসাবে ক্রস সদৃশ্য টাই বর্তমানে ক্রুস ছাড়াও খৃষ্টানরা গলায় ধারণ করে,বা ঝুলিয়ে রাখে এবংলেবাসের মধ্যে টাইকে শামিল করে।অবশ্য বর্তমানে কেউ তাদের অাকীদার উপর অটল, অাবার কেউ খ্রিষ্টানদের জাতীয় নিদর্শন বা পোষাক এই হিসাবে ব্যাবহার করে থাকে।বিধায় মুসলমানদের টাই ব্যাবহার করা নাজায়েজ,পরিত্যাজ্য, পরিত্যাগ করতে হবে।।
.
অামাদের করনীয় হলোঃ
যদি টাই ব্যাবহার করে থাকে পরিত্যাগ করে দেই,তাওবা করে নেই,,
.
*****নিষেধের উপর দলীল সমূহ*****
.
১/ অাবূ দাউদ শরীফ ২য় খন্ড,৫৫৯/
২/ মিশকাত শরীফ ২য় খন্ড,৩৭৫/
৩/ অাল- বিদায়া ওয়াননিহায়া ২য় খন্ড,৯৪/
৪/ খাইরুল ফাতাওয়া ১ম খন্ড,১৫১/
৫/ কিফায়াতুল মুফতী ৯ম খন্ড,১৫৩/
৬/ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ১২ তম খন্ড,৪০৭ পৃষ্ঠা।

যে ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর জান্নাতি পোশাক ও বিছানা দেয়া হবে

মানুষ মরণশীল। কিন্তু অনেক মানুষ কবর অর্থ্যাৎ আখিরাতের জন্য কিছু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে না। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আখিরাতের পুঁজি সঙ্গে করেই কবরে যায়। এই শ্রেণীর মানুষদের জন্য অন্ধকার কবরে সুসংবাদ অপেক্ষা করছে। মৃত্যুর পর থেকে কবর দেয়া পর্যন্ত লাশের পরিণতি সম্পর্কে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
ইবন আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে এক আনসারীর জানাযার সালাতের জন্য বের হয়ে কবর পর্যন্ত গেলাম, তখনও মাটি দেওয়া হয় নি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিবলামুখী হয়ে বসলে আমরাও তাঁর পাশে বসলাম। সকলেই এমন নীরবতা অবলম্বন করছে যেন তাদের মাথায় পাখি বসেছে (কোনো নড়াচড়া নেই)।

৪ জন ব্যক্তি মন থেকে বললেই মৃত ব্যক্তি জান্নাতি

রাসূল (সা)-এর উম্মতরা যাতে সহজে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন উপায় পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বিভিন্ন উপায় বলে দিয়েছেন। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা কখনও আল্লাহর হুকুম মতো ইবাদত করেন নি। তাহলে এই ধরণের ব্যক্তি কি জান্নাতে প্রবেশ করবে?



এ প্রসঙ্গে আবুল আসওয়াদ (রা) বলেন, আমি মদীনায় এসে উমার ইবনে খাত্ত্বাব (রা)-এর নিকট বসলাম। অতঃপর তাঁদের পাশ দিয়ে একটি জানাযা পার হওয়ার পর ওই মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করা হল। উমার (রা) বললেন, ওয়াজেব (অনিবার্য) হয়ে গেল।’ অতঃপর আর একটা জানাযা পার হলে তারও প্রশংসা করা হলে উমার (রা) বললেন, ওয়াজেব হয়ে গেল।’ অতঃপর তৃতীয় একটা জানাযা পার হলে তার নিন্দা করা হলে উমার (রা) বললেন, ওয়াজেব হয়ে গেল।’


আবুল আসওয়াদ বলেন, আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন কী ওয়াজেব হয়ে গেল? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, যে মুসলিমের নেক হওয়ার ব্যাপারে চারজন লোক সাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ আমরা বললাম, আর তিনজন?’ তিনি বললেন, তিনজন হলেও।’(বুখারি ১৩৬৮,২৬৪৩, তিরমিযি ১০৫৯, নাসায়ি ১৯৩৪, আহমদ ১৪০, ২০৪, ৩২০, ৩৯১)

পারস্যের মহাকবি শেখ সাদীর উপদেশ ও বিখ্যাত বানী সমূহ (মোট ৩৫ টি )


✮ অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।
|
✮ অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।
.
✮ আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।
|
✮ এমনভাবে জীবন যাপন করে যেন কখনো মরতে হবেনা,আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিলনা।
|
✮ হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নীরিহ হরিনের উপর জুলুম করার নামান্তর।
|
✮ যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারেনা।
|
✮ প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
|
✮ দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারন তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।
|
✮ মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলেদিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময খুব চিন্তা করে বলা উচিত।
|
✮ মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যানের মুখ দেখবে না।
|
✮ দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।
|

মহানবীর মাযহাব কি?


মহানবী (দ:)সরাসরি আল্লাহর হকুম আহকাম পালন করতেন,সাহাবীরা ৪ ইমামের মাধ্যমে এবং সরাসরি মহানবী কে অনসুরন করতেন।আর আমাদের জন্য রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহর হকুম আহকাম পালন, রাসুলের আনুগত্য করা ফরজ,ফকিহ আলেমদের অনুসরন ওয়াজিব .

সাহাবীদের মাযহাব কি?
সাহাবায়ে কিরাম যারা সরাসরি রাসূল সাঃ এর কাছে ছিলেন তাদের জন্য রাসূল সাঃ এর ব্যাখ্যা অনুসরণ করা ছিল আবশ্যক। এছাড়া কারো ব্যাখ্যা নয়। কিন্তু যেই সকল সাহাবারা ছিলেন নবীজী সাঃ থেকে দূরে তারা সেই স্থানের বিজ্ঞ সাহাবীর মাযহাব তথা মত অনুসরণ করতেন। যেমন ইয়ামেনে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এর মত তথা মাযহাবের অনুসরণ হত। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ কে অনুসরণ করতেন ইরাকের মানুষ। রাসূল সাঃ যখন মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেন তখন মুয়াজ রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছে বিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমি কিভাবে ফায়সাল করবে?” তখন তিনি বললেন-“আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও?” তিনি বললেন-“তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত দ্বারা ফায়সালা করব”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?” তখন তিনি বললেন-“তাহলে আমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব”। তখন রাসূল সাঃ তাঁর বুকে চাপড় মেরে বললেন-“যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট”। {সূনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৯৪, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৬১}
এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় হযরত মুয়াজ রাঃ বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলে নিজ থেকে ইজতিহাদ করব, আল্লাহর নবী বললেন-“আল হামদুলিল্লাহ”। আর ইয়ামেনের লোকদের উপর হযরত মুয়াজের মত তথা মাযহাব অনুসরণ যে আবশ্যক এটাও কিন্তু হাদীস দ্বারা

গুহাবাসী বা আসহাবে কাহফের বিস্ময়কর ঘটনা




══❖══❖❖❖❖❖❖══❖══
✏ ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম আম্মা বা’দ।
আল কাহফ الكهف সূরাটি কুরআনে পাকের ১৮তম সূরা৷কাহাফ মানে গুহা। আর আসহাবে কাহাফ মানে গুহাবাসী।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তায়ালা যে সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করেছেন,তার প্রত্যেকটি ঘটনাতেই রয়েছে আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বিষয়।সূরাটিতে বিস্ময়কর কিছু কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। যে কাহিনীগুলো আল্লাহ তায়ালা এ জন্য উল্লেখ করেছেন,যেন তার বান্দারা এইগুলো বারবার পড়ে এবং পার্থিব জীবনের বিভিন্ন পরীক্ষাগুলো উপমা ও উদাহরণসহ উপলব্ধি করে পরকালমুখী জীবন যাপন করতে পারে।আসহাফে কাহাফ বা গুহাবাসীর আশ্চর্যজনক ঘটনাও পবিত্র কুরআনের শিক্ষণীয় ঘটনাসমূহের অন্যতম একটি ঘটনা।এ সূরাটিতে কোরাইশদের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহ হযরত মুসা এবং হযরত খিযির (আঃ) এর ঘটনাটিও বর্ণনা করা হয়েছে।
#হযরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূরা কাহফ সম্পূর্ণটুকু এক সময় নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন। (রূহুল-মা'আনী)

ইমাম হযরত মেহেদী (আঃ)


১. প্রথম ইমাম হযরত আলী(আঃ) ইতিপূর্বে চল্লিশ
হিজরীতে কুফার মসজিদে গুপ্তঘাতকের হস্তে
শাহাদত বরণ করেছেন।
২. ৫০ হিজরীতে মুয়াবিয়ার চক্রান্তে বিষ প্রয়োগে
শাহাদত বরণ করলেন দ্বিতীয় ইমাম হযরত হাসান
(আঃ)।
৩. তৃতীয় ইমাম হযরত হুসাইন (আঃ) ৬১ হিজরীতে
কারবালার ময়দানে শাহাদত বরণ করেছেন।
৪. চতুর্থ ইমাম হযরত জয়নাল আবেদীন (আঃ)
উমাইয়া খলিফা আল উয়ালিদের সময়ে বিষ
প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন।
৫. পঞ্চম ইমাম হযরত বাকের (আঃ) উমাইয়া খলিফা
হিসামের সময়ে বিষ প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন
১১৪ হিজরীতে।
৬. ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদেক (আঃ) ১৪৮
হিজরীতে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুরের সময়ে
বিষ প্রয়োগে শাহাদত বরণ করে।
৭. সপ্তম ইমাম মুসা কাজেম(আঃ) ১৮৩ হিজরীতে
আব্বসীয় খলিফা হারুন আর রশীদের সময়ে বিষ
প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন ।
৮. অষ্টম ইমাম হযরত আলী রেজা (আঃ) ২০৩
হিজরীতে আব্বসীয় খলিফা মামুনের সময়ে বিষ
প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন।
৯. নবম ইমাম হযরত আলী তকী(আঃ) ২২০ হিজরীতে
তৎকালীন আব্বসীয় খলিফা মুতাসিমের সময় বিষ
প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন।
১০. দশম ইমাম হযরত আলী নকী(আঃ) ২৫৪ হিজরীতে
আব্বাসীয় খলিফা আল মুতামিদের সময়ে বিষ
প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন।
১১. একাদশ ইমাম হযরত হাছান আসকারী (আঃ) ২৬০
হিজরীতে আব্বাসীয় খলিফা আল মুতাজিদের
সময়ে বিষ প্রয়োগে শাহাদত বরণ করেন।
১২. দ্বাদশ ইমাম হযরত মেহেদী (আঃ) এখনো ধরাধামে আগমন করেন নাই। তিনি হলে আখেরি নবী খোদ খোদা পাক (দঃ) এর শেষ বংশধর আর সেই কারনে আখেরি নবীর উম্মতের মধ্যে আহলে বায়াত ই ইসলাম কায়েম করার জন্য এবং বাতিলদের কতল করার জন্য তিনি আগমন করবেন। তার আগমনের জন্য অপেক্ষায় আছে ১৮ হাজার মাখলুক।

মা - বাবার ব্যপারে কুরআন ও সহি হাদিসের নির্দেশ ঃ


আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন,
‘রাবি্বর হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা।’ অর্থাৎ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মা-বাবাকে রহমত করুন। যেমনি শৈশবে তাঁরা আমাদের লালন-পালন করেছিলেন।’
(সুরা বনিইসরাইল, আয়াত ২৩-২৪)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
‘তোমরা আমার (আল্লাহর) শোকর করো এবং সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবারও।’ (সুরা লোকমান, আয়াত-১৪)
‘আর উপাসনা করো আল্লাহর, তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে শরিক করো না । মা-বাবার সঙ্গে সৎ ও সদয় ব্যবহার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত ৩৬)।
সৃষ্টিজগতের মধ্যে সর্বাধিক অনুগ্রহকারী ও রহমদিল করে সৃষ্টি করা হয়েছে মাকে। সে জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর মায়ের হক বা অধিকার বেশি। তা আমরা জানতে পারি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস থেকে।
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

হুজুর ( সাঃ) বর্ণনা করেন আমি মেরাজের রজনীতে ছয় শ্রেণীর নারীকে জাহান্নামের কঠিন আযাব ভোগ করতে দেখেছি।



( ১) ঐ নারী যে মাথার চুল খুলে
বেপর্দা হয়ে ঘর থেকে বাহির হয়

( ২) ঐ নারী যে তার স্বামীর
সাথে তর্ক করে এবং স্বামীকে সম্মান
করেনা
 

( ৩) ঐ নারী যে তার স্বামী থাকার
সত্ত্বেও পর পুরুষের সাথে কুকর্মে লিপ্ত
হয়
 

( ৪) ঐ নারী সে অপবিত্র থাকার
সত্ত্বেও পবিত্রতা অর্জনে অলসতা করে
এবং নামাজের অমনোযোগী।
 

( ৫) ঐ নারী যে মিথ্যা কথা বলে এবং
গীবত গায়।
 

( ৬) ঐ নারী যে অন্যের সুখ দেখে
হিংসা করে এবং উপকার করে খোঁটা
দেয়।
 




সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফাযায়িল-ফযীলত


-মাওলানা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ উফিয়া আনহু
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন- “আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁকেই উনার খাছ বান্দা হিসেবে মনোনীত করে থাকেন।” (সূরা শুরা : আয়াত শরীফ ১৩)
উক্ত আয়াত শরীফ-এ যাঁদের কথা বলা হয়েছে উনারা হচ্ছেন মনোনীত ওলীআল্লাহ তথা আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট। হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই উচুঁ স্তরের ওলীআল্লাহ। উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এর অন্যত্র ইরশাদ করেন “সাবধান! নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তা-