বর্তমানে যুক্তরাজ্য নিবাসী কাশ্মিরী সুন্নী আলেম হযরত পীর মুহাম্মদ সাকিব ইবনে ইকবাল শামী ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) শীর্ষক একটি মাহফিলে মীলাদ শরীফ যে সাহাবাগণের খাস সুন্নত এবং এমনকি স্বয়ং রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খাস সুন্নত-- এ বিষয়ে হাদীস থেকে প্রামাণ্য দলীল উপস্থাপন করে আলোকপাত করেন। "মওলিদের মহৎ উদ্দেশ্য" শীর্ষক এই ওয়াজের ভিডিওটি বাংলা ভাষাভাষী ভাই-বোনদের সুবিধার জন্য বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করছি। (বিঃদ্রঃ ওয়াজ শরীফটি অনেক দীর্ঘ সময়ের হলেও আপলোডকৃত ভিডিওটি মাত্র ১২ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের।)
(মীলাদ শরীফ সম্পর্কিত একটি হাদীস প্রসঙ্গে) আল্লামা মুহাম্মদ সাকিব ইবনে শামী ওয়াজে বলছেন, "..... ইমাম হাকিম (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন তাঁর 'মুস্তাদ্রাক'-এ। আর স্মরণ করুন, 'মুস্তাদ্রাক' কি? ইমাম হাকিম (রঃ)-এর 'মুস্তাদ্রাক' হচ্ছে এমন একটি হাদীসের কিতাব যাতে ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম (রঃ)-এর শর্তসমূহ অনুযায়ী হাদীস সংকলন করা হয়েছে।
সুতরাং ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম (রঃ) কর্তৃক অর্পিত (ঐ) শর্তসমূহ, (যা সম্পর্কে) ইমাম মুসলিম (রঃ) স্বয়ং তাঁর 'সহীহ্ মুসলিম' কিতাবের 'মুকাদ্দামা'-য় (ভূমিকা অংশে) বলেন, আপনারা (খুঁজে দেখলে) পাবেন যে, তারা সব সহীহ হাদীসসমূহ সংকলন করেন নি। বরং কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। তাই ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম (রঃ) শর্ত অনুযায়ী তাদের পর উলামাগণ রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম)-এর হাদীস সংকলন করতেন। সকল সহীহ হাদীসই সংকলন করা (অর্থাৎ গ্রন্থে বর্ণনা করা) তাদের জন্য সম্ভবপর ছিল না। কিন্তু তারা কিছু শর্ত আরোপ করে গেছেন। আর 'মুস্তাদ্রাক' কিতাবের সকল হাদীসই ইমাম হাকিম (রঃ)-এর মতে, ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম (রঃ)-এর শর্ত অনুযায়ী সংকলিত। সুবহান আল্লাহ !
(এরপর তিনি হাদীসখানা বর্ণনা করতে শুরু করলেন) ইমাম হাকিম (রঃ) তাঁর 'মুস্তাদ্রাক'-এ বর্ণনা করেছেন, "হযরত খুরাইম ইবনে আউস (রাঃ) থেকে বর্ণিত..." (তবে এর পূর্বে) আমি আপনাদেরকে হাদীসটির পটভূমি বর্ণনা করছি। ইমাম ইবনে হাজর আস্কালানী (রঃ)-এর মতে (হাদীসে বর্ণিত) এই ঘটনাটি ঘটেছিল তাবূক যুদ্ধের পরে। তাবূক যুদ্ধের পর সাহাবাগণ (রাঃ) রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এক সমাবেশে একত্রিত হন।
(হাদীসটি হচ্ছে) সাহাবী হযরত খুরাইম ইবনে আউস ইবনে হারিছা (রাঃ) বলেন, "আমরা রসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম এবং হঠাৎ সাইয়্যিদিনা হযরত আব্বাস (রাঃ) (নবীজীর (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাচা) বললেন যে, "ইয়া রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি (আপনার শানে) একটি নাত পরিবেশন করতে চাই। আপনার গুণকীর্তন করতে চাই। সুবহান আল্লাহ !"
রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দোয়া করে দিলেন, অনুমতি দিয়ে দিলেন।" এখন, ইমাম ইবনে হাজর আস্কালানী (রঃ) বলছেন,"তাবূক যুদ্ধের পর সংঘটিত এই সমাবেশটি ছিল (তৎকালীন সময়ের তুলনায়) বিশাল একটি সমাবেশ। এটা এমন একটি সমাবেশ যেখানে ৩০,০০০ সাহাবায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।" সুবহান আল্লাহ!
রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাঁর চাচাকে তো এটা) বলেন নি যে, "তুমি কেন যুদ্ধের পর আমার নাত পরিবেশন করতে চাও? " কিংবা "রাসূলের (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গুণকীর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ নয় !" অথবা "তুমি এত বড় একটা যুদ্ধ করে এসেছ। তো কেন তুমি নাত গেয়ে তোমার সময় নষ্ট করছ এবং করছ তাই, যা আমি এখনই (আপনাদের) বলতে যাচ্ছি?" (কিন্তু) রসূলুল্লাহি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসব (কোনটাই) বলেন নি। সুবহান আল্লাহ !
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপনারা (আপনাদের অনেকে) ভাবেন যে, লোকজনকে মীলাদুন্নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন না করতে বলার মাধ্যমে আপনারা তাদেরকে বিদ্আত এবং শিরক থেকে রক্ষা করছেন। কিন্ত এটা রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শিক্ষা ছিল না। রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো তাকে (আব্বাস (রাঃ)) অনুমতি দিয়েছিলেনই, দোয়াও করে দিয়েছিলেন।
এরপর সাইয়্যিদিনা আব্বাস (রাঃ) নাত আবৃত্তি করলেন। আর এটাই ছিল 'মীলাদ'। সুবহান আল্লাহ! তো মীলাদ কি? (মীলাদ হচ্ছে) রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্মের সময় যেসকল অলৌকিক ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছিল সেগুলো বর্ণনা করা। (আর) সেটাই হচ্ছে মীলাদ।
দুইটি জিনিস বলা হয়েছে; মীলাদুন্নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দু'টি অপরিহার্য উপাদান। এটা হচ্ছে দ্বিতীয়টি (অর্থাৎ জন্মের সময়কার অলৌকিক ঘটনাবলী বর্ণনা)।
৩০,০০০ সাহাবীর সামনে সাইয়্যিদিনা আব্বাস (রাঃ) আবৃত্তি করলেন, "আপনার জন্ম হয়েছিল যেদিন (অর্থাৎ আপনার মীলাদ বা মওলিদ হয়েছিল যেদিন), সারা জাহান যে আলোকিত হয়েছিল আপনার নূরেরই রওশানীতে; জান্নাত আর আসমান তো আলোকিত হয়েছিল আপনার নূরেরই মহিমায়"। সুবহান আল্লাহ !
কে বলেছিলেন এটা? সাইয়্যিদিনা আব্বাস (রাঃ)। এটা একটা দীর্ঘ ক্বাসীদা। এর প্রতিটি পংক্তি, প্রতিটি শ্লোক (যা তিনি বর্ণনা করেছেন) হচ্ছে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মীলাদ।
হাদীসটি রয়েছে ইমাম হাকিম (রঃ)-এর 'মুস্তাদ্রাক'-এ। এছাড়াও বর্ণিত হয়েছে যেসকল কিতাবে সগুলোর মধ্যে রয়েছে-- ইমাম তাবারানী (রঃ)-এর 'মুয়াজ্জামুল কাবীর', ইমাম ইবনে হাজর হাইসামী (রঃ)-এর 'মাজমুয়া' জাওয়ায়ীদ', ইমাম আবূ নয়ীম (রঃ)-এর 'হিলিয়া', ইমাম কুরতুবী (রঃ)-এর 'জামে লি আদিল আহকামিল কুরআন', ইমাম হালাবী (রঃ)-এর 'সীরাতে হালাবীয়া', ইবনে কুরদামা (রঃ)-এর 'আল-মুগনী'।
তো কতজন সাহাবা মীলাদশরীফ পালন করেছিলেন? ৩০,০০০ সাহাবা (রাঃ), একই মজলিসে, একই সমাবেশে তারা মওলুদ শরীফ পালন করলেন। এখন, Commemoration (স্মৃতিচারণ) বা Celebration (উদ্যাপন)-এর অর্থ কি? আপনারা অক্সফোর্ড কিংবা যেকোন ডিকশনারী খুললেই দেখবেন যে, এর অর্থ হচ্ছে অতীতে ঘটে গেছে এমন কিছু স্মৃতিরক্ষার্থে স্মরণ করা, (জীবিত অথবা মৃত এমন কারও) গুণকীর্তন করা এবং তার জন্য খুশি প্রকাশ করা। এটাই হচ্ছে উদ্যাপন।
তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)) কি করছিলেন? তাঁরা রসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্মের সময়কার অলৌকিক ঘটনাবলী স্মরণ করছিলেন। তারা তো নবী পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মীলাদ শরীফই পালন করছিলেন। স্মরণ রাখবেন, নবী পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্মবৃত্তান্ত বর্ণনা করতে একত্রিত হওয়াই হচ্ছে মীলাদুন্নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আর একদম সেটাই সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) করেছেন। ৩০,০০০ সাহাবা।
এর মানে কী দাঁড়ায়? ৩০,০০০ সাহাবা কিন্তু (হাতে-গোনা যায় এমন) ছোট-খাটো কোন সংখ্যা নয়। তাদের মধ্যে কেউই (সেদিন) এগিয়ে এসে বলেননি যে, "আপনারা যা করছেন তা বিদ্আত, নতুন উদ্ভাবনা ; তা শিরক, আপনারা আল্লাহ পাকের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করছেন।" "কেউই না।" এর মানে কী দাঁড়াল? এর মানে হচ্ছে, মীলাদ শরীফ ৩০,০০০ সাহাবার (রাঃ) ঐকমত্যে প্রমাণিত। সুবহান আল্লাহ !
আর আমরা কেনই বা সাহাবায়ে কেরামের কথা বলছি? সেখানে তো রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। সুবহান আল্লাহ ! এই মওলুদ শরীফের মাহফিল, এটা হুযুরে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুমতি নিয়েই সংঘটিত হয়েছিল। তিনি নিজে এটা উদ্যাপন করেছেন। তিনি এর (এই আয়োজনের) অংশ ছিলেন। এতটাই বড় আয়োজন হয়েছিল! সুবহান আল্লাহ !
(এছাড়াও অন্য একটি হাদীসে রয়েছে) কবি সাহাবী হযরত হাসান বিন সাবিত (রাঃ) আবৃত্তি করেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার মীলাদ (জন্ম বা সৃষ্টি) এমনই যে এর চেয়ে অধিকতর উৎকৃষ্ট আর কোন মীলাদ নেই। আপনার মীলাদ এমনই যে তা যেকোন প্রকারের ত্রুটি থেকে মুক্ত, পবিত্র। আপনার মীলাদ এমনই যেন এভাবেই আপনি (জন্ম নিতে) ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন।"
তো এগুলো ছিল অগণিত দলীল মধ্য থেকে কতিপয় দলীল। (তবে এসব দলীল বুঝতে) আপনাদেরকে প্রথমে নিরূপন করতে হবে মওলিদ শরীফের সংজ্ঞা কি? এটা হচ্ছে (প্রথমত,) আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করা এজন্য যে, তিনি আমাদেরকে রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা রহমত দ্বারা অনুগ্রহ করেছেন এবং (দ্বিতীয়ত,) রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্মের সময়কার অলৌকিক ঘটনাবলী বর্ণনা করা। আর এটাই হচ্ছে মীলাদুন্নবী। এটা সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) সুন্নাহ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
এখন, (এতদ সম্পর্কিত) এটা হচ্ছে ৩য় হাদীস শরীফ (যা আমি বর্ণনা করব)। 'আল-হাভী লিল ফাতাওয়ী' হচ্ছে ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রঃ)-এর ফতোয়াসমূহের সংকলন গ্রন্থ যা থেকে তিনি তাঁর 'হুসনুল মাকাসিদ ফী আমালিল মাওলিদ' গ্রন্থে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এবং ইমাম বায়হাকী (রঃ)-ও বর্ণনা করেছেন। আর তা হচ্ছেঃ
"সাইয়্যিদিনা আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিজের জন্য আকীকা করলেন। হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রঃ) হাদীসটির উপর মন্তব্য করেন যে, রসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি দুম্বা কুরবানী করলেন। এমনটি করার কারণ হচ্ছে (এর মাধ্যমে) তিনি আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করেছেন।"
আপনারা জানেন, ঈদে মীলাদুন্নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাহফিলে আমরা কি করি? আমরা লোকজনকে আপ্যায়ন করাই। নাকি করাই না? এখন একটা প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে যে, যদি এ কাজটি বিদ্আত হয়ে থাকে? (আপনারা বলতে পারেন,) আমরা ঈদে মীলাদুনবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করার জন্য একটা মাহফিলের আয়োজন করতে পারি কি না? ঠিক আছে, আপনি তো এটা প্রমাণই করে দিলেন যে, আমরা পারি। কিন্তু মীলাদুন্নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুষ্ঠানে কি লোকজনকে আপ্যায়ন করানো কিংবা লোকজনকে খাবার দেয়ার অনুমতি রয়েছে?
ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রঃ) বলেন যে, রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই আকীকা (অনুষ্ঠানটি) তাঁর জন্মের ৭ দিন পর অনুষ্ঠিত হয়। আর রসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দাদা সাইয়্যিদিনা আব্দুল মুত্তালিব (আঃ) তাঁর জন্মের ৭ দিন পর এই আকীকা (আয়োজন) করেন। ইমাম সুয়ূতী (রঃ) বলেন, আকীকা জীবনে একবারই (করতে) হয়। আর এই দুম্বা কুরবানীই ছিল রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-র মওলিদ। সুবহান আল্লাহ !
এটা যেন-তেন কেউ বলেন নি, এটা বলেছেন হাফীযুল হাদীস ইমাম সুয়ূতী (রঃ)। আমি তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত একটি বক্তব্য পেশ করতে পারি। তিনি ছিলেন রসূলে আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন মস্তবড় আশেক। (কিন্তু বিস্তারিত বলতে) সময় আমাকে অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে পারি। তাঁর সম্বন্ধ ছিল রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে। রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য এমনই নিষ্কলুষতা ছিল তাঁর মধ্যে।
এই জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রঃ) বলেন যে, এটাই ছিল রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-র মওলিদ যা প্রতীয়মান করে যে, মাওলিদের মাহফিলে লোকজনকে খাওয়ানো স্বয়ং রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। সুবহান আল্লাহ ! কেন তিনি লোকজনকে খাইয়েছেন, কেন তিনি দুম্বা কুরবানী করেছেন? আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করার জন্য।
(ভিডিও সমাপ্ত)