মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান
হজ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অন্যতম নিদর্শন, মুসলমানদের মিলনমেলার অন্যতম
নিমিত্ত । বান্দাকে তার রবের নিকটবর্তী করে হজ্ব । মুমিন বান্দাহ স্বীয়
রবের প্রেমে মত্ত হয়ে হজ্বের কার্যাবলি আদায় করে, এক স্থান হতে অন্য স্থানে
ছুটে যায়, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে বলতে তাওয়াফ করে, সাফা
মারওয়াতে দৌড়ায়, শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে, এমনিভাবে মিনা,মুযদালিফা ও
আরাফায় গমন করে বিভিন্ন নিদর্শনাদি অবলোকন করে, এতে করে বান্দার অন্তরে
খোদাপ্রেম আরও তীব্রতর হয় । মোটকথা স্বীয় রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য
সর্বাত্মক চেষ্টা করে । আর আল্লাহ কার উপর সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট ? কাকে
তিনি মাহবুব বলেছেন ? কার জন্যে তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ? মু’মিন
মাত্রই এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা আছে । সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের
এই ইবাদতে অংশ নিতে গিয়ে তাঁর প্রিয় হাবীব সরকারে কায়েনাতের দরবারে উপস্থিত
হওয়া কোন অংশে কম মাহাত্ম্যপূর্ণ নয় । মদীনা মুনাওয়ারায় উপস্থিত হওয়া
হজ্বের আরকান সমূহের মধ্যে নয় কিন্তু নিঃসন্দেহে অধিক মর্যাদাপূর্ণ,
গুরুত্বপূর্ণ, বরকতময়, নৈকট্য অর্জনের উচ্চতর মাধ্যম বটে । আর এ কথা
নিঃসন্দেহ যে, এটি নবীপ্রেম ও নৈকট্যের ব্যাপার, এটি ঈমান মজবুতিকরন ও বলবৎ
রাখার উৎকৃষ্ট মাধ্যম । কেননা সরকার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
দরবার খোদাপ্রাপ্তি, গুনাহ মাফ, রহমত-বরকতের স্থান বৈকি ।
কুরআনের ভাষায় নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওযায় উপস্থিতিঃ
ইরশাদ হচ্ছে-
وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا
اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا
رَحِيمًا
অনুবাদঃ এবং যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার
জুলুম করে তখন, হে মাহবুব! (তারা) আপনার দরবারে উপস্থিত হয় এবং আল্লাহর
নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে । আর রাসুল তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই
আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও অত্যন্ত দয়ালু পাবে । [১]
এই আয়াতে কারীমা দ্বারা ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য তিনটি অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে-