NOTICE:- ------------------ ----------------- ---------------------------

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ আক্বায়িদী বিষয় নিয়ে নূর ই জুলফিকারের নোট সমগ্র।














হে রাসুল (সা) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনা :-


লেখক, গবেষক  ও সংকলক :  click here to connect in Fb (MASUM BILLAH SUNNY)

হাদিস ১ :
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্নিত, 

عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك

অনুবাদ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাঃ এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ (সা) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে  কখনো দেখ নি)? তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে  আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ সাঃ এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই 
যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। 
যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।

Reference :-

মদিনা শরীফ কেন যেয়ারত করতে হবে??


মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান
হজ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অন্যতম নিদর্শন, মুসলমানদের মিলনমেলার অন্যতম নিমিত্ত । বান্দাকে তার রবের নিকটবর্তী করে হজ্ব । মুমিন বান্দাহ স্বীয় রবের প্রেমে মত্ত হয়ে হজ্বের কার্যাবলি আদায় করে, এক স্থান হতে অন্য স্থানে ছুটে যায়, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে বলতে তাওয়াফ করে, সাফা মারওয়াতে দৌড়ায়, শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে, এমনিভাবে মিনা,মুযদালিফা ও আরাফায় গমন করে বিভিন্ন নিদর্শনাদি অবলোকন করে, এতে করে বান্দার অন্তরে খোদাপ্রেম আরও তীব্রতর হয় । মোটকথা স্বীয় রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে । আর আল্লাহ কার উপর সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট ? কাকে তিনি মাহবুব বলেছেন ? কার জন্যে তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ? মু’মিন মাত্রই এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা আছে । সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এই ইবাদতে অংশ নিতে গিয়ে তাঁর প্রিয় হাবীব সরকারে কায়েনাতের দরবারে উপস্থিত হওয়া কোন অংশে কম মাহাত্ম্যপূর্ণ নয় । মদীনা মুনাওয়ারায় উপস্থিত হওয়া হজ্বের আরকান সমূহের মধ্যে নয় কিন্তু নিঃসন্দেহে অধিক মর্যাদাপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ, বরকতময়, নৈকট্য অর্জনের উচ্চতর মাধ্যম বটে । আর এ কথা নিঃসন্দেহ যে, এটি নবীপ্রেম ও নৈকট্যের ব্যাপার, এটি ঈমান মজবুতিকরন ও বলবৎ রাখার উৎকৃষ্ট মাধ্যম । কেননা সরকার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবার খোদাপ্রাপ্তি, গুনাহ মাফ, রহমত-বরকতের স্থান বৈকি ।
কুরআনের ভাষায় নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওযায় উপস্থিতিঃ
ইরশাদ হচ্ছে-
وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَحِيمًا
অনুবাদঃ এবং যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার জুলুম করে তখন, হে মাহবুব! (তারা) আপনার দরবারে উপস্থিত হয় এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে । আর রাসুল তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও অত্যন্ত দয়ালু পাবে । [১]
এই আয়াতে কারীমা দ্বারা ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য তিনটি অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে-

রাসুলে পাক(দঃ) হাজির নাজির প্রসঙ্গ


يا ايها النبى انا ارسلنك شاهدا ومبشرا ونذيرا وداعيا الى الله باذنه وسراجا منيرا.
অনুবাদ: ‘হে গায়েবের সংবাদদাতা নবী! নিঃসন্দেহে আমি আপনাকে! প্রেরণ করেছি হাজির নাজির (উপস্থিত’ ‘পর্যবেণকারী) করে, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর প্রতি তাঁর নির্দেশে আহ্বানকারী আর আলোকোজ্জ্বলকারী সূর্যরূপে।’ (সূরায়ে আহযাব- আয়াত- ৪৫)
উক্ত আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচটি সুন্দর গুণাবলী উল্লেখ করেছেন। যথা-
(১) شاهد (শাহিদ) তথা- হাজির ও নাজির এবং সাক্ষী।
(২) مبشر (মুবাশ্বির) মু’মিনগণকে বেহেশতের সুসংবাদদাতা।
(৩) نذير (নাযীর) কাফেরদেরকে দোযখের ভীতিপ্রদর্শনকারী।
(৪) داعيا الى الله (দা’য়িয়ান ইলাল্লাহ) আল্লাহপাকের অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারী।
(৫) سراجا منيرا (সিরাজাম মুনীরা) হেদায়তের উজ্জ্বল সূর্যরূপে।
অত্র আয়াতে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাঁচটি গুণাবলীর মধ্যে একটি অন্যতম গুণ হল শাহিদ। এর বিস্তারিত বিশ্লেষণ নিম্নে প্রদত্ত হল।
شاهد শব্দের ব্যাখ্যা

সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইন্তিকালের সময় মালাকুল মাওতের আগমন ও কথাবার্তা


=======================
রাসূল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে কথা বলেছেন, এ মর্মে সহিহ সূত্রে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
মিশকাত শরীফে ’’বাবু ওফাতুন্নাবী’’ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধ্যায়ে হযরত আলী ইবনে হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর একটি দীর্ঘ হাদিস রয়েছে, উক্ত হাদীসে আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘটনাটি এভাবে উল্লেখ আছে।
** -‘‘অতঃপর আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাসূল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হুযরা মোবারকে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তারপর জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! এই যে মালাকুল মওত আজরাঈলও আপনার নিকট আসবার অনুমতি চাই”ছেন। তিনি একমাত্র আপনি ব্যতিত আর কখনও কোন মানুষের নিকট আসতে অনুমতি চাননি। অতএব তাকে প্রবেশের অনুমতি দিন। তখন হুযুর পাক (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন। তিনি এসে হুজুর (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সালাম করলেন এবং বললেন, আপনি অনুমতি দিলে আপনার রূহ মোবারক কবজ করব। আর আমাকে তা বাদ দিতে বললে, আমি তা বাদ দিব। তখন হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনি কি এইরূপ করতে পারবেন? আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, আমি এরূপও আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি যেন আপনার নির্দেশ অনুযায়ী চলি। রাবী বলেন, এই সময় হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হযরত জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দিকে তাকালেন। জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে মুহাম্মদ (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আল্লাহ পাক আপনার সাক্ষাত লাভের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। এটা শুনামাত্র হুযুরে পাক (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আজরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বললেন, যে জন্য আপনি আদিষ্ট হয়েছেন তা বাস্তবায়ন কর“ন। তারপর রূহ মোবারক কবজ করলেন।’’
সুত্র:—-