,(১) মাওলানা
হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রাঃ তিনি বলেন আমার নীতি হচ্ছে আমি মিলাদ
শরীফের মাহফিলে যোগদান করি বরং একে বরকতের ওসীলা মনে করে আমি নিজেই প্রতি
বছর এর আয়োজন করে থাকি এবং কিয়ামে
আনন্দ ও তৃপ্তি পেয়ে থাকি, (ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়ালা")(২) আল্লামা
আহমদ আলী শাহারানপুরী রাঃ তিনি বলেন যে, মিলাদ শরীফ পুন্যময়, মুস্তাহাব
যিকিরের অন্তর্ভুক্ত, আমাদের জানামতে কোন মুসলমান মিলাদ শরীফ শরিয়ত সম্মত
নয় বা বিদয়াত বলে ফতওয়া দিতে পারেনা, (আল মুহান্নাদ, পৃষ্টা ৪৭-৪৮)(৩)
দেওবন্দের প্রতিষ্টাতাদের অন্যতম, আলেম কুল শ্রেষ্ট মাওলানা কাসেম নানুতুবি
রাঃ তিনি বলেন মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াকুব সাহেব (প্রধান শিক্ষক মাদরাসায়ে
আরাবিয়া দেওবন্দ) স্বয়ং দেওবন্দে বহুবার মিলাদ মাহফিলে শরিক হয়েছেন
সবাই কেয়াম করার সময় তিনিও কেয়াম করেছেন, তথাপি হুজুর সাঃ জন্ম আলোচনার
সম্মানার্থে সারা মজলিস যখন দাড়িয়ে যাবে তখন কেউ না দাড়িয়ে বসে থাকা
বেয়াদবী মুক্ত নয়, ( মুকাদ্দামায়ে দুররুল মুনাজ্জাম)(৪) মাওলানা রশিদ
আহমদ গাংগুহী রাঃ তিনি, স্পষ্টভাবে স্বিকার করেছেন যে ফয়্সালাতে হাফতে
মাসায়েলে শাইখুল আরব ওয়াল আজম হাজি এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি রাঃ এর
রিসালাতে মৌলুদ, ইসালে সাওয়াব ও ওরস এ তিন মাসায়েলাতে যা তিনি লিখেছেন
তার সাথে আমিও একমত (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, পৃষ্টা, ১৪৯-৫০)(৫) মাওলানা আশরাফ
আলী থাবী রাঃ তিনি বলেন, রাসুল সাঃ এর শানে আহবান বোধক শব্দ ব্যবহার করা
হয় এবং অন্যান্য যাবতীয় দোস ত্রুটি থেকে এ মাহফিল সম্পুর্ন মুক্ত থাকে এ
আদত শরিয়ত বিরোধী নয় এমন সব কার্যকলাপ, যেমন-শিরনী বিতরন, কিয়াম করা আতর
ব্যবহার বসার জন্য বিছানা বিচানো ইত্যাদিও পালন করা, এ জাতীয় মাহফিলে খুব
কমি দৃষ্টিগোচর হয়, এ জাতীয় মাহফিলে যোগদান করা প্রথম প্রকারের নায়
নির্ভেজাল জায়েয অথবা দ্বিতীয় প্রকারের ন্যায় নাজায়েয ও নয়, (ইসলাহুর
রুসুম-১০০)